ঢাকা ১৭ কার্তিক ১৪৩১, শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪

সাজেকে ইউপিডিএফ কর্মী গুলিবিদ্ধ, জেএসএসের বিরুদ্ধে অভিযোগ

প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৫ পিএম
সাজেকে ইউপিডিএফ কর্মী গুলিবিদ্ধ, জেএসএসের বিরুদ্ধে অভিযোগ
ছবি: খবরের কাগজ

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকে প্রতিপক্ষের সশস্ত্র হামলায় মন্টু চাকমা (৫৫) নামের একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। 

শনিবার (১৩ জুলাই) বিকালে সাজেকের মাচালং ব্রিজ পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। 

গুলিবিদ্ধ মন্টু চাকমাকে নিজেদের কর্মী বলে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন প্রসীত খীসার ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। হামলার জন্য সন্ত লারমার জেএসএসকে দায়ী করে বিক্ষোভ করেছে সংগঠনটি।

আহত মন্টু চাকমা খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার বাবুছড়া রুখচন্দ্র কার্বারী পাড়ার বাসিন্দা। তার পিতার নাম মৃত হেঙগি ধন চাকমা। 

স্হানীয়রা জানান, বিকাল ৩টা ১০মিনিটের সময় জেএসএস সন্তু গ্রুপের অভিযান ও বিফোর্স চাকমার নেতৃত্বে ৭ জনের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী সাজেক ইউনিয়নের মাচালং ব্রিজ পাড়ায় হানা দিয়ে সেখানে সাংগঠনিক কাজে থাকা ইউপিডিএফ কর্মী মন্টু চাকমার ওপর সশস্ত্র হামলায় চালায়। এতে তিনি পিঠে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন।

গোলাগুলির ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মারুফ আহমেদ। তিনি বলেন, সাজেকে একটা গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। আমাদের পুলিশ ঘটনাস্থলের গেছে। তবে কোন কিছু পাইনি। 

এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে গণমাধ্যমে এক বিবৃতি পাঠিয়েছে ইউপিডিএফ। সংগঠনটির রাঙামাটি জেলা সংগঠক সচল চাকমার পাঠানো বিবৃতিতে তিনি এই হামলার ঘটনাকে ন্যাক্কারজনক ও কাপুরুষোচিত আখ্যায়িত করে বলেন, ইউপিডিএফের নেতৃত্বে চলমান সিএইচটি রেগুলেশন রক্ষার আন্দোলন নস্যাৎ করে দেয়ার লক্ষ্যে সন্তু গ্রুপ এই হামলা চালিয়েছে। এর মাধ্যমে তারা সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে।  

বিবৃতিতে তিনি অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)। সংগঠনটির বাঘাইছড়ি থানা কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব চাকমা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা যতটুকু জেনেছি এটা তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে ঘটেছে।

এদিকে,  ইউপিডিএফ কর্মী মন্টু চাকমাকে গুলি করে হত্যা চেষ্টার প্রতিবাদে সাজেকের উজোবাজারে শনিবার (১৩ জুলাই) বিকালে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ইউপিডিএফ। 

এসময় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)-এর বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখার সভাপতি প্রকাশ চাকমা।

তিনি মন্টু চাকমাকে হত্যার চেষ্টার নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে এ ঘটনায় জড়িত সন্তু গ্রুপের সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

তিনি বলেন, সন্তু লারমা খুন ও সংঘাতের রাজনীতি জিইয়ে রেখে জনগণের আন্দোলন ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে। তাকে প্রতিহত করতে জনগণকে রুখে দাঁড়াতে হবে। জনগণের আদালতে একদিন সন্তু লারমার বিচার করা হবে।

জুয়েল/এমএ/ 

জাতীয় কবিতা পরিষদের লক্ষ্মীপুর জেলা কমিটি আহ্বায়ক গাজী গিয়াস, সদস্যসচিব মুরাদ-আল হাসান

প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫৬ পিএম
আহ্বায়ক গাজী গিয়াস, সদস্যসচিব মুরাদ-আল হাসান
গাজী গিয়াস উদ্দিন আহ্বায়ক (বায়ে) ও মুরাদ-আল হাসান চৌধুরী সদস্যসচিব। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

গাজী গিয়াস উদ্দিনকে আহ্বায়ক ও মুরাদ-আল হাসান চৌধুরীকে সদস্যসচিব করে জাতীয় কবিতা পরিষদ, লক্ষ্মীপুর জেলার আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে। 

শুক্রবার (১ নভেম্বর) জাতীয় কবিতা পরিষদের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কবি মোহন রায়হান, কেন্দ্রীয় যুগ্ম-আহ্বায়ক কবি শাহিন রেজা ও কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন এ কমিটি ঘোষণা করেন।

শুক্রবার (১ নভেম্বর) আহ্বায়ক গাজী গিয়াস উদ্দিন ও সদস্য সচিব মুরাদ-আল হাসান চৌধুরী গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

কমিটির সদস্যরা হলেন- মাহবুবুল বাসার, মোর্শেদ আলম হাওলাদার, মিঞা মাহবুব, বেলায়েত হোসেন (রায়পুর),সাইফুল ইসলাম, কাউসার বিন জামান, বাসুদেব পোদ্দার(রামগতি), হাসিনা আক্তার, ওমর ফারুক চৌধুরী(রামগঞ্জ), রিয়াজুল ইসলাম জাকির, সোলায়মান চৌধুরী(কমলনগর), এনামুল হক, বোরহান উদ্দীন রব্বানী, হোসেন আহমদ জান, জামাল হোসেন রাজু, মো. ইবরাহিম, কামরুল হাসান হৃদয়, ফারহানা আক্তার দৃষ্টি, উম্মে আইমান তৃষা (চন্দ্রগঞ্জ), আহমাদ ফাহাদ ও মো. হাসান উদ্দিন। সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ শিঘ্রই লক্ষ্মীপুর সফরে আসবেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

এ যেন ক্ষুদে বই পোকাদের মিলনমেলা

প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৬ পিএম
এ যেন ক্ষুদে বই পোকাদের মিলনমেলা
ছবি: খবরের কাগজ

সময়টা শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটা। হেমন্তের সকালের সূর্যটা সবেমাত্র প্রখরতা ছড়াতে শুরু করল। তবে মেঘেদের ছোটাছুটি থাকায় আকাশটা ঘোমট বেঁধে ছিল। যেন বৃষ্টি আসবে আসবে ভাব। এরই মধ্যেই চট্টগ্রাম মহানগরের নিউ মার্কেট সংলগ্ন মিউনিসিপ্যাল মডেল হাইস্কুল এণ্ড কলেজ প্রাঙ্গনে একে একে আসতে শুরু করল শিক্ষার্থীরা। কেউ অভিভাবকের সঙ্গে, কেউবা আবার বন্ধুদের সঙ্গে দলবেঁধে। সবার চোখে মুখে সে কী উচ্ছ্বাস, আনন্দ। সারিবদ্ধভাবে সবাই আসন গ্রহণ করল। জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হলো অনুষ্ঠান। এরপর অতিথিদের বক্তব্য। তারপরই শুরু হলো কাঙ্খিত সেই মুহুর্তের পালা। 

এক এক করে শিক্ষার্থীরা ডাক পাচ্ছে মঞ্চে। তাইতো লাইনে দাঁড়িয়ে সবাই কানে কানে কথা বলছে। কার পুরস্কার কী হতে পারে এসব যেন তাদের ভাবনার বিষয় হয়ে পড়েছে। দেশবরেণ্য অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদসহ মঞ্চ অলঙ্কিত করেছেন অতিথিরা। তাদের কাছ থেকে শিক্ষার্থীরা গ্রহণ করছেন শুভেচ্ছা অভিনন্দন ও সেরা পাঠক পুরস্কার। পুরস্কার পেয়েই শিক্ষার্থীরা বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ছেন। কেননা পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হচ্ছে নানা বিষয়ে পছন্দের সব বই, ক্রেষ্ট আর বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের সনদ। যেখানে লেখা আছে তাদের বই পড়ে কৃতিত্ব অর্জনের কথা। 

শুক্রবার (১ নভেম্বর) সকালে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র ও গ্রামীণফোন আয়োজিত স্কুল কর্মসূচির পুরস্কার বিতরণ-২০২৪ এ এমন দৃশ্য চোখে পড়েছে। যেখানে সাড়ে পাঁচ হাজার শিক্ষার্থীর মিলন ঘটেছে। পুরস্কার বিতরণ উপলক্ষে নগরের ৯৩ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে মিউনিসিপ্যাল স্কুল এণ্ড কলেজের মাঠ। 

পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, সমাজকর্মী ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ট্রাষ্টি পারভীন মাহমুদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু সাঈদ মোহাম্মদ আলী, রিহ্যাবের সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী মো. আবদুল আউয়াল, গ্রামীণফোনের চট্টগ্রাম সার্কেল বিজনেস হেড সামরিন বোখারী, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মিউনিসিপ্যাল মডেল হাই স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সাহেদুল কবির চৌধুরী ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক শামীম আল মামুন। 

কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, বইপড়া কর্মসূচিতে কৃতিত্বের জন্য চট্টগ্রাম মহানগরের ৫ হাজার ৫০৩ জন শিক্ষার্থীকে পুরস্কার প্রদান করেছে  বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ও গ্রামীণফোন। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ছেচল্লিশ বছর ধরে সারাদেশে স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের জন্য নানাবিধ উৎকর্ষ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।বর্তমানে সারাদেশে এই কর্মসূচির আওতায় প্রায় ১৭০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২ লাখ ৫০ হাজার ছাত্রছাত্রী অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বইপড়াকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ছাত্রছাত্রীদের জন্য রয়েছে বিপুল সংখ্যক পুরস্কারের ব্যবস্থা। গতবছরও সমসংখ্যক শিক্ষার্থীকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল।

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক শামীম আল মামুন স্বাগত বক্তব্যে বলেন, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র সবসময় আলোকিত মানুষ তৈরি করার জন্য নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে এবং আগামীতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে। 

অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, সুন্দর স্বপ্নে ভরা বই আমরা তোমাদের হাতে তুলে দিয়েছি। এসব বই একেকটি জ্ঞানের আধার। উন্নত জাতি গঠনে নতুন নতুন জ্ঞানের প্রয়োজন। জ্ঞান ছাড়া একটি জাতি সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে না। তাই বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র বই পড়ার মাধ্যমে নতুন নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করে যাচ্ছে। 

কর্মসূচির নিয়মানুসারে সেরাপাঠক বিজয়ীদের মধ্যে লটারির মাধ্যমে প্রতি ১০ জনে একটি বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়। এছাড়া প্রতি পর্বে একজন অভিভাবককে লটারির মাধ্যমে নির্বাচন করে বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের যুগ্ম পরিচালক (প্রোগ্রাম) মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ সুমন। 

এম কে মনির/মাহফুজ/এমএ/

 

 

মাদকের গডফাদার বদির ম্যানেজার জাফর আটক

প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১১:১১ পিএম
আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১১:১৪ পিএম
মাদকের গডফাদার বদির ম্যানেজার জাফর আটক
ছবি: সংগৃহীত

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক কারবারি উখিয়া টেকনাফের সাবেক সংসদ আব্দুর রহমান বদি ওরফে ইয়াবা বদির ম্যানেজার জাফর আহমেদকে যৌথ অভিযান চালিয়ে আটক করেছে র‌্যাব। তিনি টেকনাফ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বলে জানা যায়।

টেকনাফ সদর ইউনিয়নের উত্তর নেঙ্গুলবিল এলাকার বাসিন্দা মৃত সুলতান আহম্মদের ছেলে জাফর আহম্মদ (৬৭)। তিনি টেকনাফ পৌরসভা ২নং ওয়ার্ড পুরাতন পল্লান পাড়া এলাকার বাসিন্দা।

শুক্রবার (১ নভেম্বর) রাতে ঢাকা পূর্ব বাসাবো এলাকায় যৌথ অভিযান চালিয়ে বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।

কক্সবাজার র‌্যাব ১৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাজ্জাদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, টেকনাফে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রদের বিরুদ্ধে সকল হামলা ও কুকীর্তির নেতৃত্বে ছিল জাফর আহম্মদ প্রকাশ মাফিয়া জাফর। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পরপর টেকনাফের ঝর্নাচত্বর এলাকায় ছাত্র জনতার উপর জাফরের নেতৃত্বে নির্বিচারে গুলি চালায় জাফরসহ তার লালিত শীর্ষ সন্ত্রাসীরা। হামলার সময় তাদের হাতে দুটি শর্টগান ও একটি পিস্তল দেখা গেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শী এবং স্থানীয় সূত্রে জানা যায়। গত ১৮ আগস্ট ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টা মামলার অন্যতম আসামি জাফর আহম্মদ প্রকাশ মাফিয়া জাফর। এই মামলার প্রধান আসামি ইয়াবা গডফাদার আব্দুর রহমান বদি ওরফে ইয়াবা বদি ইতিপূর্বে র‌্যাবের হাতে আটক হলেও তার বিশ্বস্ত সহযোগী জাফর এতদিন অধরাই ছিল। র‌্যাব তাকে গ্রেপ্তারের জন্য সব সময় অভিযান অব্যাহত রেখেছে। 

লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ১ নভেম্বর রাতে গোয়েন্দা নজরদারি মাধ্যমে র‌্যাব-১৫ এবং র‌্যাব-৩ ঢাকা পূর্ব বাসাবো এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে জাফর আহমদকে আটক করা হয়। গত ৫ আগস্ট রাতে টেকনাফে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে জাফর এবং তার তিন ছেলের নেতৃত্বে টেকনাফের আলো শপিং কমপ্লেক্স, হোটেল নাফ কুইন ও আব্দুল্লাহ ব্রাদার্স ফিলিং স্টেশনে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। উক্ত ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা রুজু করা হয়। তিনটি মামলায় মাদকের গডফাদার জাফর আহম্মদ প্রকাশ মাফিয়া জাফর এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়। 

র‌্যাব সূত্রে জানা যায়, টেকনাফের ভয়ঙ্কর মাদক ইয়াবা সিন্ডিকেটের ডন মাদক সম্রাট আব্দুর রহমান বদি ওরফে ইয়াবা বদির বিশ্বস্ত সহযোগী হিসেবে এলাকায় পরিচিত সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আহম্মদ প্রকাশ মাফিয়া জাফর। সংসদ সদস্য থাকাকালে আব্দুর রহমান বদি নিজের নির্বাচনি এলাকা টেকনাফকে পরিণত করেছিলেন মাদক, চোরাচালান, চাঁদাবাজি, অপহরণ ও হত্যার স্বর্গরাজ্যে। আর সেই স্বর্গরাজ্য কার্যক্রমের বিশ্বস্ত সহচর ছিল জাফর। 

২০২২ সালে ডিসেম্বর ১২৭৫ জন মাদক কারবারিকে তালিকাভুক্ত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে আব্দুর রহমান বদি ও তার ঘনিষ্ঠ সহচর জাফরকে ইয়াবা সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণের অন্যতম মূল হোতা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ২০১৯ সালে আত্মসমর্পণকারী মাদককারবারীরা পুনরায় জামিনে বের হয়ে জাফরের নেতৃত্বে আবার সঙ্গবদ্ধ হয়েছে এবং ইয়াবা ব্যবসার ব্যাপক প্রসার ঘটিয়েছে।