রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকে প্রতিপক্ষের সশস্ত্র হামলায় মন্টু চাকমা (৫৫) নামের একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
শনিবার (১৩ জুলাই) বিকালে সাজেকের মাচালং ব্রিজ পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ মন্টু চাকমাকে নিজেদের কর্মী বলে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন প্রসীত খীসার ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। হামলার জন্য সন্ত লারমার জেএসএসকে দায়ী করে বিক্ষোভ করেছে সংগঠনটি।
আহত মন্টু চাকমা খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার বাবুছড়া রুখচন্দ্র কার্বারী পাড়ার বাসিন্দা। তার পিতার নাম মৃত হেঙগি ধন চাকমা।
স্হানীয়রা জানান, বিকাল ৩টা ১০মিনিটের সময় জেএসএস সন্তু গ্রুপের অভিযান ও বিফোর্স চাকমার নেতৃত্বে ৭ জনের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী সাজেক ইউনিয়নের মাচালং ব্রিজ পাড়ায় হানা দিয়ে সেখানে সাংগঠনিক কাজে থাকা ইউপিডিএফ কর্মী মন্টু চাকমার ওপর সশস্ত্র হামলায় চালায়। এতে তিনি পিঠে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন।
গোলাগুলির ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মারুফ আহমেদ। তিনি বলেন, সাজেকে একটা গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। আমাদের পুলিশ ঘটনাস্থলের গেছে। তবে কোন কিছু পাইনি।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে গণমাধ্যমে এক বিবৃতি পাঠিয়েছে ইউপিডিএফ। সংগঠনটির রাঙামাটি জেলা সংগঠক সচল চাকমার পাঠানো বিবৃতিতে তিনি এই হামলার ঘটনাকে ন্যাক্কারজনক ও কাপুরুষোচিত আখ্যায়িত করে বলেন, ইউপিডিএফের নেতৃত্বে চলমান সিএইচটি রেগুলেশন রক্ষার আন্দোলন নস্যাৎ করে দেয়ার লক্ষ্যে সন্তু গ্রুপ এই হামলা চালিয়েছে। এর মাধ্যমে তারা সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে।
বিবৃতিতে তিনি অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)। সংগঠনটির বাঘাইছড়ি থানা কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব চাকমা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা যতটুকু জেনেছি এটা তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে ঘটেছে।
এদিকে, ইউপিডিএফ কর্মী মন্টু চাকমাকে গুলি করে হত্যা চেষ্টার প্রতিবাদে সাজেকের উজোবাজারে শনিবার (১৩ জুলাই) বিকালে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ইউপিডিএফ।
এসময় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)-এর বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখার সভাপতি প্রকাশ চাকমা।
তিনি মন্টু চাকমাকে হত্যার চেষ্টার নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে এ ঘটনায় জড়িত সন্তু গ্রুপের সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
তিনি বলেন, সন্তু লারমা খুন ও সংঘাতের রাজনীতি জিইয়ে রেখে জনগণের আন্দোলন ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে। তাকে প্রতিহত করতে জনগণকে রুখে দাঁড়াতে হবে। জনগণের আদালতে একদিন সন্তু লারমার বিচার করা হবে।
জুয়েল/এমএ/