নাটোরে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে নাভিশ্বাস অবস্থা জনগণের। সবজি থেকে শুরু করে মাছ, মাংস সবকিছুর দাম এত বেশি যে বেঁচে থাকাটা তাদের জন্য কষ্টের। জিনিসপত্রের দাম শুনেই মাথা ঘোরে বলে দাবি স্থানীয়দের।
সরেজমিনে নাটোর শহরের স্টেশন বাজার, নীচা বাজার, তেবাড়িয়া হাট, দিঘাপতিয়া হাটসহ জেলার বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে দেখা যায়, জিনিসপত্রের দাম ঊর্ধ্বমুখী। কাঁচামরিচ ২৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া আলু ৭০-৮০ টাকা কেজি, ডাঁটা শাক ১৫-২০ টাকা আঁটি, বেগুন ৬০ টাকা কেজি, করল্লা ৮০ টাকা কেজিসহ সব সবজির দামই ঊর্ধ্বমুখী।
বাজারে আসা জমেলা বেগম জানান, সব জিনিসের দাম বেশি। ৫০০ টাকায় বাজার করেও সপ্তাহ চলছে না।
দিঘাপতিয়া বাজারের চা দোকানি ইয়াকুব আলী জানান, তার বয়স প্রায় ৭০ বছর। বাপ-দাদারা যতদিন বেঁচে ছিলেন তারাই বাজার করতেন। সেই ধারাবাহিকতায় তিনিও বাজার করতেন। কিন্তু জিনিসপত্রের দাম বাড়ার পর থেকে গত ৪-৫ বছর তিনি আর বাজার করেন না। কেননা, বাজারে জিনিসপত্রের দাম শুনলেই তার মাথা ঘোরে। এতে অসুবিধা হয়। তাই সুস্থ থাকার জন্য তিনি বাজারে যান না। ছেলেরা যা কেনে তাই খেয়ে দিন চলছে।
হাগুড়িয়া এলাকার রমেন জানান, তার বয়স ৭০ পার হয়েছে। চার আনা সের থেকে চাল কেনা শুরু করেছেন। সবশেষ ৪০ টাকা কেজি চাল কেনার পর থেকে আর বাজার করেন না। বাজারের দায়িত্ব তার ছেলেদের দিয়ে দিয়েছেন।
দিঘাপতিয়া বাজারের দর্জি ও কৃষক আত্তাব আলী জানান, এক মণ ধান বিক্রি করে এখন এক সপ্তাহের বাজার হয় না। সারা দিন দোকানে যা আয় হয় তা দিয়ে আর সংসার চলছে না।
কামাল মৃধা/সাদিয়া নাহার/অমিয়/