গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় মাদরাসাছাত্রের বিরুদ্ধে এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ছাত্র মানসুর হাওলাদার (২২) পলাতক। শিশুটিকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
রবিবার (১৪ জুলাই) শিশুটির বাবা বাদি হয়ে কোটালীপাড়া থানায় ধর্ষণ মামলা করেছেন।
অভিযুক্ত মানসুর কুরপালা মাদরাসার মাওলানা বিভাগের মিশকাত শ্রেণির ছাত্র। গেল রোজার ঈদের পর থেকে মসজিদে নামাজ পড়ান।
শিশুটির পরিবার জানায়, গেল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আমতলী ইউপির ছোট দক্ষিণপাড় গ্রামের বাইতুন নুর জামে মসজিদের ইমাম মানসুর হাওলাদার শিশুটিকে তার সঙ্গে মসজিদে তার রুমে একটি বালতি রেখে আসতে বলে। এ সময় শিশুটিকে একা পেয়ে রুমের দরজা বন্ধ করে শিশুটির মুখ, চোখ ও হাত বেঁধে ধর্ষণ করেন। এতে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়ে।
পরে মানসুর ঘটনাটি কাউকে বললে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। শিশুটি প্রথমে চুপ থাকলেও পরে বাড়িতে গিয়ে তার মাকে বিষয়টি জানায়।
শিশুটির বাবা জানান, তিনি ঢাকায় ছিলেন। তার মেয়ের খবর পেয়ে তিনি বাড়িতে আসেন। লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি প্রথমে গোপন রাখা হয়। পরবর্তীতে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে বুধবার দুপুরে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
তিনি মানসুরের বিচার ও শাস্তির দাবি জানান।
কোটালীপাড়া কল্যাণ সংঘের প্রতিষ্ঠাতা মনিরুজ্জামান শেখ জুয়েল বলেন, ‘প্রশাসনের উচিত এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া। সেইসঙ্গে ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে আইনের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা।’
কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফিরোজ আলম জানান, এ ঘটনার পর থেকে আসামি পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। নির্যাতনের শিকার ওই শিশুর ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে।
বাদল সাহা/সাদিয়া নাহার/অমিয়/