ফুডপয়জনিং ও আবহাওয়াজনিত কারণে রোটা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে বাড়ছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। এর মধ্যে বেশির ভাগ রোগীই শিশু। এ ছাড়া প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন দেড় শতাধিক ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী। এতে হাসপাতালে আইভি ফ্লুইড স্যালাইনের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বাইরে থেকে রোগীরা স্যালাইন কিনে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
ডায়রিয়া ওয়ার্ড সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে অর্থাৎ ৯ জুলাই থেকে গতকাল বেলা ৩টা পর্যন্ত ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে ১৭৪ রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ৭৪ জনই শিশু। বাকি ১০০ জন প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষ।
চিকিৎসকরা বলছেন, দূষিত পানি পান করা, অস্বাস্থ্যকর ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশের খাবার, বিশেষ করে রাস্তার পাশের খোলা খাবার খাওয়া, অপরিষ্কার হাতে খাওয়া, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাদ্য সংরক্ষণ ইত্যাদি ডায়রিয়ার অন্যতম কারণ। রাতে ঠাণ্ডার ভাব আবার দিনে ভ্যাপসা গরম, এমন সব কারণেই রোটা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
এদিকে এক সপ্তাহ ধরে স্যালাইন সরবরাহ না থাকায় রোগী ও স্বজনদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ডায়রিয়ার কারণে নিজের সন্তানকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন রোকসানা খাতুন। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলেকে গত ৩ দিন আগে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি করিয়েছি। প্রতিদিন স্যালাইন দিতে হচ্ছে। সরবরাহ না থাকায় বাইরের ফার্মেসি থেকে স্যালাইন কিনতে হচ্ছে।’
সাবিনা ইয়াসমিন নামের আরেকজন জানান, তার মেয়ের গত দুদিন থেকে পাতলা পায়খানা আর বমি হচ্ছিল। হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। হাসপাতাল থেকে খাওয়ার স্যালাইনসহ যাবতীয় ওষুধ দিলেও তরল স্যালাইনের সরবরাহ নেই জানিয়ে বাইরে থেকে কিনে আনতে বলেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন জানান, হাসপাতালে স্যালাইনের সরবরাহ নেই। তবে দুই-এক দিনের মধ্যেই চলে আসবে। ইদানীং ফুডপয়জনিংয়ের কারণে প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি এবং বর্তমানে ঠাণ্ডা গরমের জন্য শিশুদের রোটা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ডায়রিয়া হচ্ছে।