ঢাকা ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫
English
মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে বাড়ছে ডায়রিয়া রোগী, স্যালাইন সংকট

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৪, ০৮:৫৯ এএম
আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৪, ০৯:৩৭ এএম
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে বাড়ছে ডায়রিয়া রোগী, স্যালাইন সংকট
ছবি : খবরের কাগজ

ফুডপয়জনিং ও আবহাওয়াজনিত কারণে রোটা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে বাড়ছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। এর মধ্যে বেশির ভাগ রোগীই শিশু। এ ছাড়া প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন দেড় শতাধিক ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী। এতে হাসপাতালে আইভি ফ্লুইড স্যালাইনের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বাইরে থেকে রোগীরা স্যালাইন কিনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। 

ডায়রিয়া ওয়ার্ড সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে অর্থাৎ ৯ জুলাই থেকে গতকাল বেলা ৩টা পর্যন্ত ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে ১৭৪ রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ৭৪ জনই শিশু। বাকি ১০০ জন প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষ।

চিকিৎসকরা বলছেন, দূষিত পানি পান করা, অস্বাস্থ্যকর ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশের খাবার, বিশেষ করে রাস্তার পাশের খোলা খাবার খাওয়া, অপরিষ্কার হাতে খাওয়া, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাদ্য সংরক্ষণ ইত্যাদি ডায়রিয়ার অন্যতম কারণ। রাতে ঠাণ্ডার ভাব আবার দিনে ভ্যাপসা গরম, এমন সব কারণেই রোটা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

এদিকে এক সপ্তাহ ধরে স্যালাইন সরবরাহ না থাকায় রোগী ও স্বজনদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ডায়রিয়ার কারণে নিজের সন্তানকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন রোকসানা খাতুন। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলেকে গত ৩ দিন আগে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি করিয়েছি। প্রতিদিন স্যালাইন দিতে হচ্ছে। সরবরাহ না থাকায় বাইরের ফার্মেসি থেকে স্যালাইন কিনতে হচ্ছে।’

সাবিনা ইয়াসমিন নামের আরেকজন জানান, তার মেয়ের গত দুদিন থেকে পাতলা পায়খানা আর বমি হচ্ছিল। হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। হাসপাতাল থেকে খাওয়ার স্যালাইনসহ যাবতীয় ওষুধ দিলেও তরল স্যালাইনের সরবরাহ নেই জানিয়ে বাইরে থেকে কিনে আনতে বলেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন জানান, হাসপাতালে স্যালাইনের সরবরাহ নেই। তবে দুই-এক দিনের মধ্যেই চলে আসবে। ইদানীং ফুডপয়জনিংয়ের কারণে প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি এবং বর্তমানে ঠাণ্ডা গরমের জন্য শিশুদের রোটা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ডায়রিয়া হচ্ছে।

সীমান্তের শূন্যরেখায় দাঁড়িয়ে মৃত মায়ের মুখ দেখলেন ২ মেয়ে

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৪:৩৯ পিএম
আপডেট: ০৩ জুন ২০২৫, ০৫:০১ পিএম
সীমান্তের শূন্যরেখায় দাঁড়িয়ে মৃত মায়ের মুখ দেখলেন ২ মেয়ে
ছবি: খবরের কাগজ

বাংলাদেশের চুয়াডাঙ্গা ও ভারতের নদীয়া সীমান্তবাসী এক হৃদয়ছোঁয়া ঘটনার সাক্ষী হলেন। শূন্যরেখায় দাঁড়িয়ে মৃত মায়ের মুখ শেষবারের মতো দেখার সুযোগ পেলেন বাংলাদেশে বসবাসরত দুই মেয়ে। বিজিবি ও বিএসএফের মানবিক উদ্যোগের ফলে এটি সম্ভব হলো।

পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার চাপড়া থানার গোংরা গ্রামের বাসিন্দা লোজিনা বেগম (৮০) বার্ধক্যজনিত কারণে গত ২ জুন রাত ৯টার দিকে মৃত্যুবরণ করেন। তার চার ছেলে ও চার মেয়ে। দুই মেয়ে দীর্ঘদিন ধরে দামুড়হুদা উপজেলার জয়পুর গ্রামে স্বামী-সন্তানসহ স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন।

মঙ্গলবার (৩ জুন) মায়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে দুই মেয়ে চুয়াডাঙ্গা ৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কাছে আবেদন করেন, যেন তারা সীমান্তে দাঁড়িয়ে শেষবারের মতো মায়ের মুখ দেখতে পারেন। বিষয়টি জানার পর ৬ বিজিবির জগন্নাথপুর বিওপি ও ভারতের ১৬১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের গোংরা ক্যাম্প সহমর্মিতা দেখিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়।

পরে সকাল ৯টা ১০ মিনিট থেকে ৯টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত সীমান্তের মেইন পিলার ৯৬/৮-এস এর শূন্যরেখায় দুই দেশের স্বজনদের উপস্থিতিতে মরদেহ দেখার কার্যক্রম শেষ হয়।

এ সময় দুই মেয়ে শেষবারের মতো মায়ের মুখ দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। এতে দুই দেশের সীমান্তবাসী ও উপস্থিতরা বিজিবি-বিএসএফে এই মানবিক সহযোগিতায় মুগ্ধ হন।

চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজমুল হাসান বলেন, “সীমান্তে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার পাশাপাশি মানবিক বিষয়েও বিজিবি সর্বদা আন্তরিক। এ ধরনের কার্যক্রম পারস্পরিক আস্থা, ভ্রাতৃত্ববোধ ও আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে ভূমিকা রাখবে।”

তিনি আরও বলেন, “সীমান্তের নিরাপত্তা রক্ষার পাশাপাশি বিজিবি মানবিক ও সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেও কাজ করে যাচ্ছে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।”

বিজিবি জানায়, সীমান্ত এলাকায় বসবাসরতদের মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও আস্থা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এমন মানবিক কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত রাখা হবে। সীমান্তে অপরাধ রোধ ও আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে এটি এক মাইলফলক হয়ে থাকবে বলেও আশা করা হচ্ছে।

মিজানুর রহমান/অমিয়/

পঞ্চগড়ে জুলাই অভ্যুত্থানে আহত-নিহতদের পরিবারকে ঈদ উপহার ও অনুদান

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৪:৩৩ পিএম
আপডেট: ০৩ জুন ২০২৫, ০৪:৪৭ পিএম
পঞ্চগড়ে জুলাই অভ্যুত্থানে আহত-নিহতদের পরিবারকে ঈদ উপহার ও অনুদান
ছবি: খবরের কাগজ

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের ৩৬ পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে আর্থিক অনুদান ও ঈদ সামগ্রী দিয়েছে জেলা সমাজকল্যাণ কমিটি ও 'ওয়ারিয়র্স অব জুলাই, পঞ্চগড়'।

মঙ্গলবার (৩ মে) পঞ্চগড় জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ সহায়তা করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক সাবেত আলী, প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সামসি আরা জামান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক অনিরুদ্ধ কুমার রায়, জামায়াতের আমির ইকবাল হোসাইন, যুবদলের সদস্য সচিব নুরুজ্জামান বাবু, ওয়ারিয়র্স অব জুলাই, পঞ্চগড়ের আহ্বায়ক মো. আব্দুল্লাহ আল মাসুদ রানা ও সদস্যসচিব এ.কে.এম সাজ্জাদুর রহমান আকাশ। 

আন্দলনে চোখে গুলিবিদ্ধ হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় থাকা রবিউল ইসলাম বলেন, 'আমার এক চোখের আলো অনেকটাই নিভে গেছে, কিন্তু এখনো আশায় বাঁচি। আজকের এ সহানুভূতি আমাদের বাঁচার সাহস জোগায়।'

একই কথা বলেন আব্দুর রশিদ, যিনি পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছিলেন, তিনি বলেন, 'ভুলে যাওয়া সহজ, কিন্তু মনে রাখা অনেক কঠিন। আজকের এ আয়োজন আমাদের জানান দেয়, কেউ একজন এখনো মনে রেখেছে।'

আব্দুল হামিদ নামে এক নিহতের বাবা বলেন, 'ছেলেকে তো আর ফিরে পাব না। কিন্তু এমন দিনে কেউ পাশে এসে দাঁড়ালে মনে হয়, সে শুধু আমার ছেলে নয়, জাতির সন্তান ছিল।'

জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সামসি আরা জামান বলেন, 'এরা শুধু সংখ্যায় কিছু পরিবার নয় এরা আমাদের বিবেকের স্মারক। আমরা চাই, কেউ যেন ভুলে না যায় কাদের রক্তে লেখা হয়েছে পঞ্চগড়ের ইতিহাস।'

জেলা প্রশাসক মো. সাবেত আলী  বলেন, 'জুলাই আগষ্টে যারা শহিদ হয়েছেন তাদের ত্যাগ আমাদের গর্ব ও অনুপ্রেরণার উৎস। পঞ্চগড় জেলা প্রশাসন সবসময় এ পরিবারগুলোর পাশে থাকবে মানবিক দায়িত্ব থেকে, দেশের প্রতি ভালোবাসা থেকে। এ আয়োজনের মাধ্যমে আমরা তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছি এবং সেই শ্রদ্ধা সবসময় থাকবে। যারা আহত হয়েছেন তাদের পাশেও আমরা রয়েছি ৷'

তিনি আরও বলেন, এ আয়োজন শুধু অনুদান বিতরণ নয়, ছিল একান্ত মানবিক দায়বদ্ধতার প্রকাশ। পঞ্চগড়ের মাটি ও মানুষের প্রতি ভালোবাসা থেকে গড়ে ওঠা এই উদ্যোগ প্রমাণ করে, শোকের মধ্যেও সম্মান থাকতে পারে, বেদনার মধ্যেও দায়িত্ববোধ জাগ্রত থাকতে পারে।

রনি /রিফাত/মেহেদী/

নাটোরে এক পিকআপের পেছনে আরেকটির ধাক্কা, নিহত ২

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৪:১৭ পিএম
নাটোরে এক পিকআপের পেছনে আরেকটির ধাক্কা, নিহত ২
নাটোর সদর থানা

নাটোরে ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে একটি পিকআপের পাংচার হওয়া চাকা পরিবর্তনের সময় আরেকটি পিকআপের চাপায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (২ জুন) রাতে সদর উপজেলার স্টেশন গুড়পট্টি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন পাবনা জেলার বেড়ার আম ব্যবসায়ী আব্দুল মজিদ (৭০) ও পিকআপচালক রনি (৩৫)।

নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানান, সোমবার রাতে চাপাইনবাবগঞ্জের কানসাট থেকে পিকআপে আম নিয়ে পাবনা যাচ্ছিলেন মজিদ। রাত ১১টার দিকে নাটোর শহরের চকবৈদ্যনাথ (চামড়াপট্টি) এলাকায় গাড়ির টায়ার পাংচার হয়। পরে পিকআপের চালক রনি ও মজিদ পাংচার হওয়া চাকা খুলছিলেন। ওই সময় বিদ্যুৎ চলে গেলে হঠাৎ পেছন থেকে আসা একটি পিকআপ তাদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়। 

ওসি বলেন, আইনি প্রকৃয়া শেষে মঙ্গলবার দুপুরে দুটি মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

কামাল মৃধা/অমিয়/

দেওয়ানগঞ্জে ৫টি মাথার খুলিসহ কঙ্কাল উদ্ধার

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৪:০৮ পিএম
দেওয়ানগঞ্জে ৫টি মাথার খুলিসহ কঙ্কাল উদ্ধার
ছবি: খবরের কাগজ

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার দেওয়ানগঞ্জ বাজারের ময়লার স্তূপে একটি কালো ব্যাগ থেকে পাঁচটি মাথার খুলিসহ মানুষের কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (০৩ জুন) সকাল ১০টার দিকে এগুলো উদ্ধার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হাসান।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দেওয়ানগঞ্জ বাজারে ময়লার স্তুপের পাশে একটি কালো ব্যাগ দেখতে পেয়ে সন্দেহ হলে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন। পরে ওই ব্যাগ থেকে ৫টি মাথার খুলিসহ মানুষের কঙ্কাল উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায়  ঘটনাস্থলে ভিড় করে উৎসুক জনতা।

ওসি নাজমুল হাসান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে কঙ্কাল চোরচক্র এগুলো চুরি করে কোথাও নিতে না পেরে ওইখানে ফেলে রেখে গেছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আসিফ/মেহেদী/

টাঙ্গাইলে প্রবাসীর গাড়িতে ডাকাতি, আটক ৫

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৩:২২ পিএম
আপডেট: ০৩ জুন ২০২৫, ০৩:৪৪ পিএম
টাঙ্গাইলে প্রবাসীর গাড়িতে ডাকাতি, আটক ৫
ছবি: খবরের কাগজ

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে জর্ডান প্রবাসী বিউটি আক্তারের গাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৩ জুন) দুপুরে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গ্রেপ্তাররা হলেন,বাগেরহাটের রোমান,বরিশাল জেলার সোহাগ,আরিফ হোসেন, আব্দুল হাকিম ও পটুয়াখালী জেলার মিলন সিকদার। 

এ সময় পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, 'শনিবার (৩১ মে) রাতে জর্ডান প্রবাসী বিউটি আক্তার ও তার পরিবারের সদস্যরা বিমানবন্দর থেকে একটি গাড়ি ভাড়া করে তাদের বাড়ি বগুড়ার দিকে যাচ্ছিল। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে মির্জাপুরে এলাকায় পৌঁছাইলে একটি হাইস গাড়ি তাদের পথরোধ করে তাদের কাছে থাকা টাকা ও ৫টি মোবাইল নিয়ে নেয়। এ সময় পাশে থাকা হাইওয়ে পুলিশের টহলদল দেখে ডাকাতদল গুলি ছুঁড়ে ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত হাইস গড়িটি রেখে পালিয়ে যায়। এতে হাইওয়ে পুলিশের রেকারের হেলপার তুহিন গুলিবিদ্ধ হন। এর পর ডাকাতের কবলে পড়া ভুক্তভোগীদের মধ্যে সম্পা নামে একজন মির্জাপুর থানায় মামলা করেন।

পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, 'মামলার পর জেলা গোয়েন্দা টিম ও মির্জাপুর থানার চৌকস টিম সোমবার (২ জুন) রাতে অভিযান চালিয়ে ঢাকার সাভার থেকে চারজন ও মিরপুর থেকে একজনকে আটক করতে সক্ষম হয়। এ ছাড়া লুণ্ঠিত তিনটি মোবাইল, নগদ ১৩৫০০ টাকা জব্দ করাসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাস, চাপাতি, চাকু, লাঠি ও মোবাইল জব্দ করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আদিবুর রহমান, টাঙ্গাইল জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক কাজী জাকেরুল মওলা। 

জুয়েল/রিফাত/মেহেদী/