ঢাকা ১০ আষাঢ় ১৪৩২, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫
English

উত্তরাঞ্চলে শিল্প বিকাশে বাধা

প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২৪, ০৩:০৫ পিএম
আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২৪, ০৫:২৩ পিএম
উত্তরাঞ্চলে শিল্প বিকাশে বাধা
উত্তরাঞ্চলের একমাত্র রাসায়নিক কারখানা বগুড়ার শেরপুরের এস আর কেমিক্যাল কোম্পানির বাইরে প্রতিষ্ঠানটির কিছু কর্মী কাজ করছেন। ছবি: খবরের কাগজ

উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত বগুড়ায় প্রতিবছর ৫ লাখ টন সবজি উৎপাদন হয়। কিন্তু সংরক্ষণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় মোট উৎপাদনের ১০ থেকে ১৫ শতাংশই নষ্ট হয়ে যায়। বাজারদর পড়ে গেলে কখনো কখনো এই ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়ে। কৃষকরা ক্ষতির শিকার হন।

শুধু কৃষি খাত নয়, সেন্ট্রাল ইটিপিসহ (অ্যাফলুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট) অর্থনৈতিক অঞ্চল, গ্যাস ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ এবং প্রয়োজনীয় অবকাঠামো না থাকায় বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোয় শিল্প-কারখানার বিকাশ হচ্ছে না। ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর নেতাদের পাশাপাশি শিল্পপতিরা বলছেন, এসব সংকট সমাধানের পাশাপাশি প্রকৃত উদ্যোক্তাদের ব্যাংক লোন নিশ্চিত করা গেলে এ অঞ্চলে বড় বড় শিল্প-কারখানা গড়ে উঠবে। এতে সরকারের রাজস্ব আহরণও বাড়বে।

বগুড়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির খসড়া হিসাব থেকে জানা গেছে, গত ১০ বছরে বগুড়ায় পাওয়ার প্ল্যান্ট, কেমিক্যাল কোম্পানি ও সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিসহ বিভিন্ন শিল্প-কারখানায় ১৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হয়েছে। তবে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) কর্মকর্তারা বলছেন, শুধু শিল্প প্লটের সংকটের কারণে বগুড়ায় প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ আটকে আছে।

বগুড়া বিসিকের উপমহাব্যবস্থাপক (এজিএম) এ কে এম মাহফুজুর রহমান জানান, বগুড়ায় দুটি শিল্প এলাকার প্লট অনেক বছর আগেই শেষ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় প্রায় ৩০০ একর জমির ওপর দুই হাজার প্লট নিয়ে উত্তরাঞ্চল কৃষি প্রক্রিয়াকরণ শিল্পপার্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এখানে গড়ে উঠবে দুগ্ধজাত পণ্যের কারখানার পাশাপাশি আলু, মরিচ ও মাছ প্রক্রিয়াজাত ইন্ডাস্ট্রিসহ নানা ধরনের শিল্প-কারখানা। এতে কর্মসংস্থান হবে অন্তত ১ লাখ মানুষের। 

এ কে এম মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘বগুড়া শিল্প নগরীর ভেতরে থাকা ৯৪টি শিল্প-কারখানা থেকে সরকার এখন বছরে ১০০ কোটি টাকার রাজস্ব পায়। আর প্রস্তাবিত শিল্প পার্ক থেকে সরকারের রাজস্ব আয় হবে অন্তত ১ হাজার কোটি টাকা। শুধু তা-ই নয়, সবজিসহ পচনশীল অনেক কৃষিপণ্য নষ্ট হওয়া বন্ধ হবে।’

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবে বলা হয়েছে, প্রতি বছর শুধু বগুড়াতেই নানা ধরনের অন্তত ৫ লাখ টন সবজি উৎপাদন হয়। বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমির সাবেক পরিচালক কৃষিবিদ ড. এ কে এম জাকারিয়া জানান, সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় প্রকারভেদে উৎপাদিত সবজির ১০ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত নষ্ট হয়। বাজার দর পড়ে গেলে কখনো কখনো আরও বেশি সবজি নষ্ট হয়।

বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মতলুবর রহমান বলেন, ‘বগুড়ার মহাস্থানহাটকে কেন্দ্র করে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিশেষায়িত হিমাগার নির্মাণ করতে হবে। হিমাগার নির্মাণ হলে প্রচুর সবজি সংরক্ষণ করা যাবে। একই সঙ্গে সারা বছর সবজি খাওয়া যাবে এবং চাষিরাও ভালো দাম পাবেন।’ 

বগুড়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাসুদার রহমান মিলন জানান, উত্তরাঞ্চলের কেন্দ্রস্থল বগুড়ায় অ্যাগ্রো মেশিনারিজ কারখানার পাশাপাশি ফুড প্রসেসিং ইউনিট ও পাওয়ার প্ল্যান্টসহ আরও অনেক শিল্প-কারখানা স্থাপন করার সুযোগ রয়েছে। তবে তার জন্য প্রয়োজন সেন্ট্রাল ইটিপিসহ অর্থনৈতিক অঞ্চল, ভালো অবকাঠামো, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার পাশাপাশি সঠিক উদ্যোক্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যাংক লোন নিশ্চিত করা। 

মাসুদার রহমান মিলন বলেন, ‘সেন্ট্রাল ইটিপি থাকলে এক দিকে যেমন শিল্প-কারখানা প্রতিষ্ঠায় ব্যয় কমে তেমনি পরিবেশ রক্ষা সহজ হয়। গত ১০ বছরে বগুড়ায় অন্তত ১৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে শিল্প-কারখানাসহ বিভিন্ন খাতে। বগুড়ায় এখন ৪টি রাইস ব্র্যান অয়েল মিল থাকলেও আরও প্রয়োজন এবং সেগুলো প্রতিষ্ঠার সুযোগ আছে। আজাদ গ্রুপ ও বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন লিমিটেড (বিসিএল) পরিচালনা করছে অন্তত ২২টি শিল্প-কারখানা। এসবের মধ্যে আছে সিরামিক, গ্লাস ও বোর্ডমিলসহ নানা ধরনের শিল্প-কারখানা।’ 

এস আর গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান উত্তরাঞ্চলে একমাত্র এস আর কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড উৎপাদিত অধিকাংশ রাসায়নিক দ্রব্য রপ্তানি হয় চীন, ভিয়েতনাম, ভারত, জাপান, মায়ানমার, ইন্দোনেশিয়া ও শ্রীলঙ্কায়। ১ হাজার কোটি টাকার প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কাঁচামাল বিদ্যুৎ। সে কারণেই নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ প্রয়োজন এ শিল্পে। প্রতিষ্ঠানটি ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আসিফ রব্বানী বলেন, ‘সরকারি সহযোগিতা পেলে এ কারখানায় উৎপাদিত পণ্য আরও অনেক দেশেই রপ্তানি সম্ভব।’ 

রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু জানান, বিশেষায়িত হিমাগার, মিঠা পানির মাছ ও পান প্রসেসিং ইউনিটসহ নানা ধরনের শিল্প-কারখানা প্রতিষ্ঠার সুযোগ রয়েছে রাজশাহীতে। কিন্তু উদ্যোক্তারা আসতে চান না অর্থনৈতিক জোন এবং প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ ও গ্যাসের অভাবে। 

রিংকু বলেন, ‘রাজশাহীতে উৎপাদিত মিঠা পানির মাছের চাহিদা রয়েছে ভারতের দার্জিলিং ও শিলিগুড়িসহ পাহাড়ি এলাকায়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নাটোর ও নওগাঁয় প্রতি বছর যে পরিমাণ আম নষ্ট হয় তা সংরক্ষণে নেই প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিশেষায়িত হিমাগার। টমেটো, মাছ, পান ও অন্যান্য কৃষিজাত পণ্যের ওপর নির্ভর করে নানা ধরনের শিল্প-কারখানা গড়ে তোলা সম্ভব।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘নানা সমস্যার কারণে বিনিয়োগকারীরা রাজশাহীমুখী হচ্ছেন না। গত ১০ বছরে মাত্র দুটি বড় শিল্প-কারখানা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আরেকটি শিল্প-কারখানা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

একসময় রংপুর অঞ্চলে শিল্প বলতে বিড়ি কারখানাকে বোঝানো হতো। কিন্তু এখন গ্যাস আসার পর অনেকেই শিল্প-কারখানা প্রতিষ্ঠার জন্য জায়গা কিনছেন। রংপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মো. আকবর আলী জানান, গত ১০ বছরে হিমাগার ছাড়া তেমন কোনো শিল্প-কারখানা গড়ে ওঠেনি। একসময় লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও রংপুরে পাটের ব্যবসার কিছুটা প্রসার ঘটলেও পাটভিত্তিক তেমন শিল্প-কারখানা নেই। দুটি জুট মিল রয়েছে। 

তিনি আরও জানান, পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা ও লালমনিরহাটে বুড়িমারি স্থলবন্দরসহ বেশ কয়েকটি বন্দর আছে রংপুর বিভাগে। নেপাল, ভুটান, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য এসব বন্দর এখন ব্যবহার করা হয়। বন্দরসংলগ্ন এলাকাগুলোয় গড়ে তোলা সম্ভব বালি ও পাথরনির্ভর শিল্প-কারখানা। তবে রংপুরে অর্থনৈতিক জোন প্রতিষ্ঠার কথা বলছেন ব্যবসায়ী নেতারা।

মো. আকবর আলী বলেন, ‘রংপুর অঞ্চলে গ্যাস আসার ফলে শিল্পের বিকাশের যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে তা বাস্তবে কাজে লাগাতে প্রয়োজন অর্থনৈতিক জোনসহ অবকাঠামোর উন্নয়ন।’ 

ঘিওরে ব্যবসায়ীকে দাঁড়ি ধরে মারধরের ভিডিও ভাইরাল

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ০৩:৩৭ পিএম
আপডেট: ২৪ জুন ২০২৫, ০৩:৩৯ পিএম
ঘিওরে ব্যবসায়ীকে দাঁড়ি ধরে মারধরের ভিডিও ভাইরাল
ছবি: ভিডিও থেকে

মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় আলী আজম মানিক (৩৩) নামে এক ব্যবসায়ীকে দোকানে ঢুকে দাঁড়ি ধরে মারধরের অভিযোগ উঠেছে নাসিম ভূঁইয়া (৪৫) নামে একজনের বিরুদ্ধে।  এ ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যা স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।

সোমবার (২৩ জুন) রাত ৯ টার দিকে ঘিওর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আলী আজম মানিক ‘মানিক কম্পিউটার’ নামে একটি দোকান পরিচালনা করেন। ঘটনার পর তিনি ঘিওর থানায় নাসিম ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ পত্রে আলী আজম মানিক উল্লেখ করেন, ‘নাসিম ভূঁইয়া প্রায়ই আমার দোকানে কাজ করাতে এসে বিল না দিয়ে চলে যেতেন। টাকা চাইলে দোকান বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিতেন এবং একাধিকবার টাকা দাবি করতেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, তাকে টাকা না দিলে ঘিওর বাজারে ব্যবসা করতে দেবেন না।’

তিনি আরো বলেন, ‘২৩ জুন রাত ৯টার দিকে তিনি আবার দোকানে এসে জরুরি কাজ করানোর কথা বলেন। আমি তখন অন্য এক কাস্টমারের কাজে ব্যস্ত ছিলাম, তাই কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে বলি। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমার দাড়ি ধরে টানাহেঁচড়া শুরু করেন, অকথ্য গালিগালাজ করেন এবং এরপর এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও থাপ্পড় মারেন। এতে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয় এবং দাড়িতে প্রচণ্ড ব্যথা পাই।’ আমার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ও কাস্টমাররা এগিয়ে এলে তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, ‘এখানে আমাকে ব্যবসা করতে দেবেন না এবং হাত-পা ভেঙে দেবেন। হামলার সময় তিনি একটি মনিটর ভেঙে ফেলেন যার দাম প্রায় ১৫ হাজার টাকা। পরে স্থানীয়রা আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।’

এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ, মানিকগঞ্জ জেলা শাখার নেতা মাওলানা মুহাম্মদ রমজান মাহমুদ বলেন, ‘সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্ট দেখা গেছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি উত্তেজিতভাবে দোকানে প্রবেশ করে আলী আজম মানিকের দাড়ি ধরে তাকে আঘাত করছেন। এটি একটি ঘৃণ্য ও অন্যায় আচরণ। নবিজি (সা.)-এর সুন্নত দাড়ি ধরে টান দেওয়ার কোনো অধিকার কারো নেই। এটি শুধু ব্যক্তি মানিকের নয়, বরং পুরো ধর্মপ্রাণ সমাজের আত্মমর্যাদায় আঘাত।’ আমরা দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের দুঃসাহস দেখানোর সাহস না পায়। যদি দ্রুত তাকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা না হয়, তাহলে আলেম সমাজ কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দিতে বাধ্য হবে।

ভিডিও লিংক

এ বিষয়ে অভিযুক্ত নাসিম ভূঁইয়ার ফোন নম্বরটি বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) কোহিনুর মিয়া বলেন, ‘আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আসাদ/মেহেদী/

জৈন্তাপুর ও ছাতক সীমান্ত দিয়ে ৩৯ জনকে পুশইন

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ০৩:০১ পিএম
আপডেট: ২৪ জুন ২০২৫, ০৩:২০ পিএম
জৈন্তাপুর ও ছাতক সীমান্ত দিয়ে ৩৯ জনকে পুশইন
ছবি: সংগৃহীত

সিলেটের জৈন্তাপুর ও সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলা সীমান্ত দিয়ে ৩৯ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। 

মঙ্গলবার (২৪ জুন) ভোররাত ও সকালে এসব ঘটনা ঘটে।

সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি) সূত্র জানায়, মঙ্গলবার ভোর ৫টায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী জৈন্তাপুর সীমান্ত দিয়ে ১৯ জন নারী, পুরুষ ও শিশুকে পুশইন করে। তাদের সবার বাড়ি বাংলাদেশের কুড়িগ্রামে। এ সময় বিজিবি সদস্যরা তাদের আটক করেন। একইভাবে, সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার নোয়াকোট সীমান্ত দিয়ে ২০ জনকে পুশইন করা হয়। তাদের মধ্যে তিনটি পরিবারের নারী, পুরুষ ও শিশু রয়েছেন। তাদেরকেও আটক করেন বিজিবির সদস্যরা। এই ২০ জনের মধ্যে ১৯ জনের বাড়ি কুড়িগ্রাম ও একজনের বাড়ি পাবনায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিজিবির সিলেট ব্যাটালিয়নের (৪৮ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নাজমুল হক খবরের কাগজকে জানান, আটকরা বিভিন্ন সময়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করে বিভিন্ন স্থানে বসবাস করছিলেন। তাদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

রিফাত/

ফরিদপুরে তেলের লড়িচাপায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ০২:৫৯ পিএম
ফরিদপুরে তেলের লড়িচাপায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
প্রতীকী ছবি

ফরিদপুরে তেলের লড়িচাপায় শ্রীবাস মজুমদার (৩১) ও রাশেদ মোল্লা (২৬) নামে দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।

সোমবার (২৩ জুন) রাতে সদরের মুন্সী বাজার বাইপাস সড়কের বরকতের মার্কেটের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

শ্রীবাস ফরিদপুর সদরের কৈজুরী ইউনিয়নের সাচিয়া গ্রামের ক্ষিতীশ মজুমদারের ছেলে এবং রাশেদ একই এলাকার জালাল মোল্লার ছেলে।
  
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে বরকতের মার্কেটের সামনে তেলের লড়িটি একটি মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এ সময় মোটরসাইকেল আরোহী শ্রীবাস ঘটনাস্থলেই নিহত হন। গুরুতর আহত হন রাসেদ। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করান এবং সেখানে রাতেই তার মৃত্যু হয়। 

ফরিদপুরের করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন চৌধুরী খবরের কাগজকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি বলেন, ‘খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তেলের লড়িটি আটক করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’

সঞ্জিব/পপি/

ঠাকুরগাঁওয়ে বাসচাপায় প্রাণ গেল বাবা-মেয়ের

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ০২:৪৫ পিএম
ঠাকুরগাঁওয়ে বাসচাপায় প্রাণ গেল বাবা-মেয়ের
ছবি: খবরের কাগজ

ঠাকুরগাঁওয়ে বাসচাপায় তিন চাকার ‘পাগলু’ গাড়িতে থাকা আশরাফুল ইসলাম (৫২) এবং তার মেয়ে রুবাইয়া খাতুন (১৫) নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকালে ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড় মহাসড়কের খোশবাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

রুবাইয়া বোদা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

পুলিশ জানায়, ঢাকা থেকে পঞ্চগড়গামী ভিআইপি এন্টারপ্রাইজের একটি বাস খোশবাজার মাদ্রাসা পোস্ট অফিসের কাছে পৌঁছালে সামনে থাকা তিন চাকার পাগলু গাড়িতে ধাক্কা দেয়। এতে গাড়িতে থাকা আশরাফুল ঘটনাস্থলেই নিহত হন এবং গুরুতর আহত অবস্থায় রুবাইয়াকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়। 

দুর্ঘটনার পর বাসটি আটক করা হয়েছে। তবে চালক ও সহকারী পালিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছেন ভুল্লী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। 

তিনি জানান, তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে এবং বোদা হাইওয়ে পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছে।

এই ঘটনায় খোশবাজার এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। 

স্থানীয় বাসিন্দা সাইদুর রহমান বলেন, ‘বাবা-মেয়ের এমন মৃত্যু খুব কষ্টদায়ক। মেয়েটা খুব মেধাবী ছিল।’ 

আরেক বাসিন্দা সাফিয়া বেগম কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘দুটি প্রাণ চলে গেল, এলাকায় শোক আর কান্না ছাড়া আর কিছু নেই। এমন মৃত্যু আর দেখতে চাই না আমরা।’

নবীন/পপি/

মতলবে স্ত্রীর বিরুদ্ধে পুরুষাঙ্গ কেটে দেওয়ার অভিযোগ

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ০২:০১ পিএম
আপডেট: ২৪ জুন ২০২৫, ০২:৩৬ পিএম
মতলবে স্ত্রীর বিরুদ্ধে পুরুষাঙ্গ কেটে দেওয়ার অভিযোগ
মো. উজ্জ্বল

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় মো. উজ্জ্বল (৩৫) নামে এক ব্যক্তির পুরুষাঙ্গ কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার দ্বিতীয় স্ত্রী কল্পনা বেগমের (২৫) বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

সোমবার (২৩ জুন) রাত ২টার দিকে উপজেলার গজরা ইউনিয়নের কৃষ্ণপুরে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পর থেকে কল্পনা ও তার বাবা বাবর আলী পলাতক।

উজ্জ্বল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার চওড়াপাড়ার শামসুজ্জামানের ছেলে। তিনি কল্পনার সঙ্গে কিছুদিন ধরে কৃষ্ণপুরে শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করছিলেন।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রাতে কোনো এক সময় ঘুমন্ত অবস্থায় কল্পনা ধারালো কিছু দিয়ে তার স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে দেয়। উজ্জ্বল রক্তাক্ত ও অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকলে তার মোবাইল থেকে তৃতীয় স্ত্রী ফারজানাকে ফোন করে বিষয়টি জানানো হয়। পরে ফারজানা উজ্জ্বলকে প্রথমে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।

মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল হক বলেন, ‘সদর হাসপাতাল থেকে বিষয়টি আমাকে জানানো হয়েছে। উজ্জ্বলের দ্বিতীয় স্ত্রী কল্পনা কৌশলে বাড়িতে নিয়ে শরীরের সংবেদনশীল অঙ্গ কেটে দেয় বলে অভিযোগ। বিষয়টি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

রিফাত/অমিয়/