
কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকা ও জেলায় গত এক সপ্তাহে মোট ২৭টি মামলায় আসামি করা হয়েছে প্রায় ৪০ হাজার। এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছে ৭০৩ জন। এরা সবাই বিএনপি-জামায়াতের কর্মী ও সমর্থক।
বুধবার (২৪ জুলাই) কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয় ভাঙচুর, হত্যাচেষ্টা, মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ ও বিস্ফোরণের ঘটনায় নগরের চান্দগাঁও থানায় আরেকটি মামলা হয়েছে। এতে ৭০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
অপরদিকে ১৬ জুলাই রাত থেকে বুধবার (২৪ জুলাই) সকাল আটটা পর্যন্ত চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলায় গ্রেপ্তার হয়েছে ৭০৩ জন।
সিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, চট্টগ্রামে কোটা সংস্কার আন্দোলনে হত্যা, দাঙ্গা, সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও নাশকতার ঘটনায় ১৬টি মামলা হয়েছে। এতে আসামি প্রায় ৩৬ হাজার। এসব মামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৬ জনসহ মোট ৩৭৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন বলেন, চট্টগ্রাম জেলায় হামলা, ভাঙচুরের ঘটনায় ১১টি মামলা হয়েছে। এগুলোতে আসামি প্রায় চার হাজার। এসব মামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৭ জনসহ ৩৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে গত ১৬ জুলাই বিকেলে নগরের পাঁচলাইশ থানাধীন মুরাদপুর এলাকায় তিনজন নিহত হয়েছেন। গেল ১৮ জুলাই চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাটে সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ দিন বহদ্দারহাটে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ চবি শিক্ষার্থী হৃদয় চন্দ্র বড়ুয়া মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন বলে জানা গেছে ।
হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১৬ জন
চট্টগ্রামে সহিংসতার ঘটনায় আহত ১৬ জন ভর্তি রয়েছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এর মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় আইসিইউতে রয়েছেন।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন বলেন, কোটা নিয়ে সহিংসতার ঘটনায় আহত দুই শতাধিক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এর মধ্যে বেশিরভাগই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এখন ১৬ জন ভর্তি আছেন হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে। অগ্নিদগ্ধ একজন আছেন আইসিইউতে।
চট্টগ্রাম ব্যুরো/জোবাইদা/অমিয়/