
সিলেটের বন্দরবাজারে পুলিশের গুলিতে নিহত সাংবাদিক এটিএম তুরাব হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাত ১০ পুলিশ সদস্যকে অভিযুক্ত করে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
বুধবার (২৪ জুলাই) রাতে এসএমপির কোতোয়ালী মডেল থানায় সিলেটের সাংবাদিক সংগঠনের নেতাদের নিয়ে লিখিত এজাহার দেন সাংবাদিক তুরাবের বড় ভাই আবুল হাসান মো. আজরফ (জাবুর আহমদ)।
এজাহারের কপি গ্রহণ করেন সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার আজবাহার আলী শেখ ও কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন শিপন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সিলেট প্রেস ক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবির, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহিত চৌধুরী, ওভারসিজ করেসপনডেন্ট অ্যঅসোসিয়েশন সিলেটের (ওকাস) সভাপতি ও সিলেট প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি খালেদ আহমদ, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম, সহসভাপতি হুমায়ুন কবির লিটন, সিলেট উইমেনস জার্নালিস্ট ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শাকিলা ববি, কার্যনির্বাহী সদস্য তামান্না আহমদ রত্না, দৈনিক প্রভাতবেলার সম্পাদক ও সিলেট প্রেস ক্লাবের সাবেক কোষাধ্যক্ষ কবির আহমদ সোহেল, সাংবাদিক দিগেন সিংহ, মুনশি ইকবাল, এমজেএইচ জামিল, গোলজার আহমদ হেলাল, আবুল হোসেন, ফটোসাংবাদিক রেজা রুবেল, মামুন হোসেন, আজমল হোসেন, আনোয়ার হোসেন ও রেজাউল করিম সোহেল প্রমুখ।
গেল শুক্রবার (১৯ জুলাই) দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটের সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য কোর্টপয়েন্টে অবস্থানের সময় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের মধ্যে গুলিতে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
অভিযোগ দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মঈন উদ্দিন শিপন বলেন, ‘এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে আগেই একটি মামলা করা হয়েছে। সেটির তদন্ত চলছে। বুধবার রাতে পরিবারের পক্ষ থেকে দায়েরকৃত অভিযোগটি আমরা রেখেছি এবং জিডি হিসেবে রেকর্ড করেছি। কার এবং কোন দিক থেকে আসা গুলিতে বিদ্ধ হয়ে তিনি মারা গেছেন, এসব বিষয় তদন্ত করা হচ্ছে। এখনই নিশ্চিত হয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। পরিবারের লিখিত অভিযোগ ও পুলিশের মামলাকে সমন্বয় করে তদন্ত করা হচ্ছে।’
শাকিলা ববি/সাদিয়া নাহার/অমিয়/