চট্টগ্রামের মুরাদপুরে একটি পাঁচতলা ভবন থেকে ছাত্রলীগের কর্মীদের ফেলে দেওয়া, রগকাটা, হত্যাচেষ্টা ও মারধরের ঘটনায় পাঁচলাইশ থানায় পাঁচটি মামলা হয়েছে। সর্বশেষ মামলাটিতে ৫০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এতে আরও ৩০-৩৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
ভুক্তভুগীদের পক্ষে সম্রাট নামে একজন ছাত্রলীগ কর্মী ২৫ জুলাই পাঁচলাইশ থানায় বাদি হয়ে মামলাটি করেন। এ নিয়ে পাঁচলাইশে মোট ৭টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় অন্তত ৪ হাজার জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। তবে জ্ঞাত আসামির সংখ্যা খুবই কম।
এর আগে পাঁচলাইশ থানায় আরও ৪টি মামলা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। আর দুটি করে পুলিশ। এখন সেই থানায় ছাত্রলীগের মামলার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ এ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পাঁচলাইশ জোনের এসি মো. আরিফ হোসেন খবরের কাগজকে বলেন, মোট ৭টি মামলা হয়েছে পাঁচলাইশ থানায়। পাঁচলাইশ থানায় হওয়া ৭ মামলার মধ্যে ৬টিতে ৫০০-৫৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। মামলাগুলোর মধ্যে ২টি পুলিশ বাদি হয়ে করেছে। এগুলো হলো ৩০২ ধারায় একটি হত্যা মামলা এবং অপরটি পুলিশের উপর হামলা ও ভাঙচুরের।
পাঁচলাইশ থানার ওসি সন্তোষ কুমার চাকমা খবরের কাগজকে বলেন, থানার ৭টি মামলায় এখন পর্যন্ত ১৮০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নগর পুলিশের মুখপাত্র কাজী তারেক আজিজ খবরের কাগজকে বলেন, কেবল পাঁচলাইশ থানার ছাত্রলীগের ৫টি মামলায় ২৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর পাঁচলাইশ থানায় মোট গ্রেপ্তার ১৮০ জন।
তিনি আরও বলেন, এ নিয়ে সিএমপির বিভিন্ন থানায় হত্যা, দাঙ্গা, সন্ত্রাসী কার্যক্রম, নাশকতাসহ নানা অভিযোগে মামলা হয়েছে ২০টি। গত ২৪ ঘন্টায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৪০ জনকে। আর নগরে মোট গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৫১৬ জনকে।
গত ১৬ জুলাই কোটা আন্দোলনকে ঘিরে নগরের মুরাদপুর এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এসময় শিক্ষার্থী, ছাত্রলীগ, পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ওইদিন সেখানের একটি পাঁচতলা ভবন থেকে ২২ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে ফেলে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এরমধ্যে ৯ জনকে ভর্তি করা হয় নগরের পার্কভিউ হাসপাতালে, সেখানের ৪ জনকে আইসিইউতে নেওয়া হয়।
আর ৮ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে ৩ জনকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। ৫ জনকে মেহেদিবাগের ন্যাশনাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, এরমধ্যে ২ জনকে আইসিইউতে নেওয়া হয়।
এম কে মনির/এমএ/