নাটোরের লালপুর উপজেলার আড়বাব ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি আবু সাঈদ সোহাগ। তিন মাস আগে বিয়ে করেন একই ইউনিয়নের চুষপাড়া আগরপুর গ্রামের ইমেইল হুদার মেয়ে রিমা খাতুন ওরফে রুমাকে।
গত ২৩ জুলাই অনুষ্ঠান করে স্ত্রীকে বাড়ি নিয়ে আসতে উভয় পরিবারে প্রস্তুতি শেষ হয়। কিন্তু এর আগেই সারা দেশে শুরু হয় কোটা সংস্কার আন্দোলন। গত ১৯ জুলাই নিজ আইডিতে পোস্ট দিয়ে ছাত্রলীগ সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি নেওয়ার ঘোষণা দেন সোহাগ। ২২ জুলাই রাতে নিজ বাড়ি থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
সাঈদ সোহাগ ওই ইউনিয়নের বোয়ালিয়াপাড়া গ্রামের মহির উদ্দিনের ছেলে।
সোহাগ ও রিমার পরিবার সূত্রে জানা যায়, সব আয়োজন সম্পন্ন করেন রিমার পরিবার। সকালে যখন তারা বিষয়টি জানতে পারেন তখন রান্নার প্রস্তুতিও প্রায় সম্পন্ন। তখন রিমার বাবা তখন সোহাগের স্বজনদের যেতে বলেন। রান্না করা খাবার যাতে নষ্ট না হয় সেজন্য বর ছাড়াই খাওয়া শেষে বউকে নিয়ে আসেন তারা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সোহাগের পরিবারের এক সদস্য দাবি করেন, ‘ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগ করায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
সোহাগের গ্রেপ্তারের বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করে স্ত্রী রিমা জানান, তিনি এখন বাবার বাড়িতে অবস্থান করছেন। এ ব্যাপারে কথা বলবেন না।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহমেদ জানান, বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় সোহাগকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
নাটোর মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের সভাপতি প্রভাতী বসাক বলেন, ‘কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পদ থেকে অব্যাহতির ঘোষণার জেরে সোহাগকে গ্রেপ্তার করা হলে তা সঠিক হয়নি। কেননা, বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার আগের রাতে গ্রেপ্তারে সবাই মনঃক্ষুণ্ন হয়েছেন। নতুন বউয়ের স্বপ্নকে ধ্বংস করা হয়েছে, যা অমানবিক এবং একজন স্ত্রীর অধিকার লঙ্ঘনের শামিল।’
কামাল মৃধা/জোবাইদা/অমিয়/