ঢাকা ৪ বৈশাখ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২

খুলনায় পুলিশ-শিক্ষার্থী সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

প্রকাশ: ৩১ জুলাই ২০২৪, ০৫:১৫ পিএম
আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২৪, ০৬:০৩ পিএম
খুলনায় পুলিশ-শিক্ষার্থী সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
ছবি : খবরের কাগজ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি চলাকালে খুলনায় পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। 

এ সময় শিক্ষার্থীরা মিছিল বের করার চেষ্টা করলে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ ছাড়া কয়েকটি স্থানে লাঠিচার্জের ঘটনাও ঘটেছে।

বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুরে নগরীর রয়েল মোড়, ময়লাপোতা মোড়, শিববাড়ি, ডালমিল মোড়, ডাকবাংলা ও পিকচার প্যালেসসহ বিভিন্ন স্থানে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় ৩৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানা গেছে।

এদিন দুপুর সোয়া ২টার দিকে সাতরাস্তা মোড়ে বিক্ষোভকালে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ শুরুর পর পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সংঘর্ষে রয়েল মোড় থেকে পিটিআই মোড় পর্যন্ত এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানেগ্যাস ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে।

এর আগে সকাল থেকেই পুলিশ নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থান নিয়ে তল্লাশি শুরু করে। দুপুর ১২টার দিকে ময়লাপোতা এলাকায় শিক্ষার্থীরা মিছিল শুরু করলে পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশের ধাওয়ায় ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় তারা।

দুপুর ২টায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের আরেকটি অংশ মিছিল নিয়ে রয়েল মোড়ে অবস্থান নেয়। একই সময় পিটিআই মোড়ে শিক্ষার্থীদের আরেকটি অংশের ওপর পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এখানে লাঠিচার্জে বেশ কয়েকজন আহত হয়।

খুলনা মেট্টোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘খুলনায় শিক্ষার্থীরা এতদিন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করেছে। মঙ্গলবার রাতে সার্কিট হাউজে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ কর্মসূচি প্রত্যাহারও করে। তবে বুধবার শিক্ষার্থীদের আরেকটি অংশ হঠাৎ করেই বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়ে সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে ও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।’

মাকসুদ রহমান/সালমান/

মুন্সীগঞ্জে ১ম ধাপে স্বাস্থ্যকার্ড পেলেন ৩২ আহত জুলাইযোদ্ধা

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:০০ পিএম
মুন্সীগঞ্জে ১ম ধাপে স্বাস্থ্যকার্ড পেলেন ৩২ আহত জুলাইযোদ্ধা
আহত জুলাইযোদ্ধাদের হাতে স্বাস্থ্যকার্ড তুলে দেন জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত। ছবি: খবরের কাগজ

মুন্সীগঞ্জে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত জুলাইযোদ্ধাদের মাঝে স্বাস্থ্যকার্ড বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এ উপলক্ষে অনুষ্ঠানে প্রথমে আলোচনা ও একার্ড বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমধাপের জেলা ৩২ জন আহতের হাতে কার্ড তোলে দেওয়া হয়। 

এদিকে অনুষ্ঠানে আন্দোলনের বিভিন্ন অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন আহতরা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত, সিভিল সার্জন ডাক্তার মঞ্জুরুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী হুমায়ুন রশীদসহ সংশ্লিষ্টরা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, পর্যায়ক্রমে তালিকাভুক্ত বাকি আহতদের মাঝে স্বাস্থ্যকার্ড প্রদান করা হবে। আর স্বাস্থ্যকার্ডের মাধ্যমে দেশের সরকারি সকল চিকিৎসাকেন্দ্রে বিনামূল্যে চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ থাকবে আহতদের।

মঈনউদ্দিন সুমন/মাহফুজ

 

ঘুষ ছাড়া কাজ করেন না গোয়াইনঘাটের সাব-রেজিস্ট্রার মাসুদ পারভেজ

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৩৩ পিএম
আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:১৬ পিএম
ঘুষ ছাড়া কাজ করেন না গোয়াইনঘাটের সাব-রেজিস্ট্রার মাসুদ পারভেজ
ছবি: খবরের কাগজ

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে সপ্তাহে দুই দিন (মঙ্গলবার ও বুধবার) দলিল রেজিস্ট্রেশন করা হয়ে থাকে। এই অফিসে আবাসিক ভূমি রেজিস্ট্রেশনের করতে প্রতি শতকে ১ হাজার টাকা, নকল তোলতে প্রতি দলিলে ১ হাজার টাকা ঘুষ প্রদান করা হচ্ছে ওপেন সিক্রেট। এছাড়া যদি কোনো জমির কাগজপত্রে সমস্যা থাকে তাহলে মোটা অঙ্কের ঘুষ প্রদান না করলে কোনো কাজই হয় না। জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে ঘুষ নেওয়া নিয়মে রূপান্তরিত করেছিলেন গোয়াইনঘাটের সাব রেজিস্টার মাসুদ পারভেজ। 

বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট অভিযানে তারই প্রমাণ পাওয়া গেছে। 

দুদক প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জুয়েল মজুমদারের নেতৃত্বে কোর্ট পরিদর্শক মো. জাহিদুল ইসলাম এবং উপসহকারী পরিচালক নিঝুম রায় প্রান্তর সমন্বয়ে এই এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। এই অভিযানে গোয়াইনঘাট উপজেলা সাব-রেজিস্টারের কার্যালয়ে দলিল রেজিস্ট্রেশন, তল্লাশি, নকল উত্তোলনসহ অন্যান্য কাজে সেবা প্রার্থীদের হয়রানি এবং ঘুষ দাবিসহ নানাবিধ অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।

অভিযান পরিচালনাকালে দলিল লেখক মো. নাসির উদ্দিন, মো. আব্দুল হান্নান, মো. জালালউদ্দিনসহ প্রায় ২০ জনের বক্তব্য গ্রহণ করা হয়। তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, গোয়াইনঘাটে আবাসিক ভূমি রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে প্রতি শতকে ১ হাজার টাকা, নকল তোলার ক্ষেত্রে প্রতি দলিলে ১ হাজার টাকা ঘুষ প্রদান করতে হয়। যদি কোনো জমির কাগজপত্র সম্পর্কিত সমস্যা থাকে সেক্ষেত্রে মোটা অঙ্কের ঘুষ প্রদান করতে হয়। উক্ত কাজগুলো সাব রেজিস্টার মাসুদ পারভেজের নির্দেশে মোহরার মো. আব্দুল মালেক ও দালাল সবুজ আহমদ সম্পন্ন করে থাকেন। 

অভিযানকালে নলজুরি গ্রামের বাসিন্দা ভুক্তভোগী মো আব্দুল হান্নান জানান, তার একটি দলিল সম্পন্ন করার জন্য তিনি গোয়াইনঘাট সাব রেজিস্টার অফিসের নকল নবীশ মনি দাসের মাধ্যমে দালাল সবুজ আহমদকে ৪০ হাজার টাকা প্রদান করেন। এ ব্যাপারে এনফোর্সমেন্ট টিম মনি দাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি লিখিতভাবে জানান যে, সাব-রেজিস্টার মাসুদ পারভেজ এবং তার পার্সোনাল এজেন্ট সবুজ আহমদ পরস্পর যোগসাজশে প্রতিটি দলিলে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে। তারা ঘুষ ছাড়া রেজিস্ট্রেশন ও কোনো কাজই করেন না। পাশাপাশি সবার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন।

প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান দুদক প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জুয়েল মজুমদার। 

শাকিলা ববি/মাহফুজ

ভারতে অনুপ্রবেশকালে বকশীগঞ্জে ২ বাংলাদেশি যুবক আটক

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:১৪ পিএম
ভারতে অনুপ্রবেশকালে বকশীগঞ্জে ২ বাংলাদেশি যুবক আটক
ছবি: সংগৃহীত

জামালপুরের বকশীগঞ্জে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় দুই বাংলাদেশি যুবককে আটক করা হয়েছে। বুধবার (১৬ এপ্রিল) রাতে উপজেলার ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের মাজারটিলা এলাকার সীমান্তবর্তী পিলারের নিকট তাদের আটক করেছে জামালপুর ৩৫ বিজিবির সাতানী পাড়া সীমান্ত ফাঁড়ির সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে জামালপুর ৩৫ বিজিবির পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়। 

বিজিবির হাতে আটকরা হলেন- ভোলা জেলার সদর উপজেলার বেদুরিয়া গ্রামের লিটন গাজীর ছেলে খোকন গাজী (৩১) ও ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলার এলংজানী গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে সোহেল রানা (৩২)। 

প্রেস বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা গেছে, কাজের উদ্দেশ্যে ওই দুই বাংলাদেশি যুবক বুধবার রাতে বকশীগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী ১০৮৬ পিলারের কাছে মাজারটিলা এলাকা দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। এ সময় জামালপুর ৩৫ বিজিবির সাতানী পাড়া বিওপির টহলরত সদস্যদের সন্দেহ হলে তাদেরকে আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে কাজের উদ্দেশ্যে ভারতে যাচ্ছিলেন বলে স্বীকার করেন ওই দুই যুবক। আটকের সময় তাদের কাছ থেকে ভারতীয় ২টি আধার কার্ড, ৩টি মোবাইল, ৫টি সিম কার্ড, ২টি চার্জার ও কিছু নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে বকশীগঞ্জ থানায় ওই দুইজনকে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ জানান, ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে বিজিবির হাতে আটক দুই বাংলাদেশি যুবকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে তাদের জামালপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। 

আসমাউল আসিফ/মাহফুজ

 

 

চিত্রশিল্পীর ঘরে আগুন, পাশে দাঁড়াল সরকার

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৪১ পিএম
চিত্রশিল্পীর ঘরে আগুন, পাশে দাঁড়াল সরকার
ছবি: খবরের কাগজ

পহেলা বৈশাখের আনন্দ শোভাযাত্রার মোটিফ নির্মাণের জেরে চিত্রশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনাটি দেশজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। ঘটনাটি সরকার অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। পুড়ে যাওয়া ঘরটি সরকারিভাবে মানবেন্দ্র ঘোষের ইচ্ছা অনুযায়ী পুনর্নির্মাণ করে দেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে শিল্পীর বাড়িতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা।

চিত্রশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষ বলেন, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যেন কোনো রাজনৈতিক বা ধর্মীয় রূপ না দেওয়া হয় সে বিষয়ে সরকারকে অনুরোধ করেন। সেই সঙ্গে মানবেন্দ্র ঘোষ ও তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়টিও জানান।

মানবেন্দ্র ঘোষ বলেন, আমি চাই, এই বিষয়টা যেন শিল্প-সংস্কৃতির দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখা হয়। এখানে কোনো ধর্ম বা রাজনীতির বিষয় নেই।

এদিকে, ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসেছেন ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট ঢাকার অতিরিক্ত ডিআইজি মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে খুবই সতর্কভাবে তদন্ত চলছে।

আগুন লাগানোর ঘটনায় মানবেন্দ্র ঘোষ নিজেই বাদী হয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ জানায়, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালিয়ে এখন পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আজ তাদেরকে আদালতে পাঠানো হবে।
 
আসাদ জামান/মাহফুজ

 

প্রধান উপদেষ্টার নাম ভাঙিয়ে মৎস্য অফিস সহকারীর কোটি টাকা লোপাট

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৩২ পিএম
আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৩২ পিএম
প্রধান উপদেষ্টার নাম ভাঙিয়ে মৎস্য অফিস সহকারীর কোটি টাকা লোপাট
অভিযুক্ত সোনারগাঁয়ে মৎস্য কার্যালয়ের অফিস সহকারী মাহবুব আলম সুমন। ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মৎস্য কার্যালয়ের অফিস সহকারী মাহবুব আলম সুমনের বিরুদ্ধে প্রধান উপদেষ্টার নাম ভাঙিয়ে প্রায় কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠেছে। 

বুধবার (১৬ এপ্রিল) সকালে ভুক্তভোগীরা সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা রহমানের নিকট পৃথকভাবে কয়েকটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। 

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার মৎস্য কার্যালয়ের অফিস সহকারী মাহবুব আলম সুমন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস প্রত্যেক দরিদ্র অসহায়দের নগদ দুই লাখ টাকা দিবে বলে জানিয়েছেন। এর জন্য দারিদ্রবিমোচন কর্মসংস্থান ব্যাংকে জমা দেওয়ার জন্য তাকে দিতে হবে ছয় হাজার টাকা। শতাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে জন প্রতি ছয় হাজার টাকার বিনিময়ে দিয়েছেন একটি করে ম্যাসেজ। সে ম্যাসেজে লেখা হয়েছে আপনার একাউন্টে পাঁচ হাজার টাকা জমা হয়েছে। পরে ভুক্তভোগীরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারে ঐ ব্যাংকে তাদের কোনো একাউন্ট নেই। যে মোবাইল নম্বর দিয়ে মেসেজ দেওয়া হয়েছে সেটাও ব্যাংক কর্তৃপক্ষের নয়। এভাবে তিনি একটি ইউনিয়ন থেকেই হাতিয়ে নিয়েছেন প্রায় ১০ লাখ টাকা। এমন করে বিভিন্ন ইউনিয়ন মিলিয়ে প্রায় কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি। 

আরেকটি পৃথক অভিযোগ থেকে জানা যায়, পাঁচ লাখ টাকার সরকারি ঘর দিবে বলে জনপ্রতি নিয়েছে দেড় লাখ টাকা। গাভী দেওয়ার কথা বলে নিয়েছেন জনপ্রতি ৫০ হাজার টাকা। একই সঙ্গে মাতৃকালীন ভাতা, বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতার জন্য নিয়েছেন জন প্রতি ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার একাধিক ভুক্তভোগীর অভিযোগ পেলেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। 

ভুক্তভোগী স্বর্ণা জানান, আমরা গরীব মানুষ। মাহবুব আলম সুমন মৎস্য কর্মকর্তার পরিচয়ে প্রধান উপদেষ্টার অনুদান দেওয়ার কথা বলে আমাদের থেকে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেন। আমরা তাকে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই। 

সনমান্দী ইউনিউনের আরেক ভুক্তভোগী তাছলিমা বেগম জানান, আমিসহ আমাদের এলাকার অনেকের থেকেই বাড়ি ও গাভী দিবে বলে প্রত্যেকের থেকে দেড় লাখ টাকা থেকে শুরু করে পঁচিশ হাজার করে টাকা নেয়। এখন অফিসে এসে জানতে পেরেছি। তিনি আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। এ বিষয়ে আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ করেছি। তিনি আমাদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেছেন। 

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার জানান, ভুক্তভোগীরা আমার কাছে পূর্বেও একাধিকবার অভিযোগ নিয়ে এসেছেন। সুমনকে ৪ বার শোকজ করা হয়েছে। কিন্তু সে বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে রমজান মাস থেকেই অফিসে অনুপস্থিত। এ কারণে আমি নিজেই ভুক্তভোগীদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে নিয়ে গিয়েছি।  

এ বিষয়ে সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা রহমান বলেন, ভুক্তভোগী গ্রাহকদের নিকট থেকে অভিযোগ পেয়েছি সংশ্লিস্ট কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইমরান হোসেন/মাহফুজ