ঢাকা ২৯ আষাঢ় ১৪৩২, রোববার, ১৩ জুলাই ২০২৫
English

গুলিতে নিহত ছেলেকে হারিয়ে মা পাগলপ্রায়

প্রকাশ: ০২ আগস্ট ২০২৪, ০৩:১২ পিএম
ছেলেকে হারিয়ে মা পাগলপ্রায়
মিনহাজুল ইসলাম

গাজীপুরের বড়বাড়ি এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় হেলপারের কাজ করত জয়পুরহাটের কিশোর মিনহাজুল ইসলাম (১৭)। কারফিউ চলাকালে গত ২০ জুলাই বড়বাড়ি জয়বাংলা সড়কে গুলিতে নিহত হয় সে। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে তার অসুস্থ মা মেরিনা বেগম এখন পাগলপ্রায়।

নিহত মিনহাজুল ইসলাম জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার উত্তর রামশালা গ্রামের আবু বক্কর সরদারের ছেলে। আবু বক্কর বিদেশে থাকেন। 

প্রায় ১৫ বছর আগে ২ বছরের মিনহাজুলকে রেখে বাবা আবু বক্কর সরদার প্রবাসে চলে যান। এর পর থেকে মিনহাজুলের মা একই গ্রামে বাপের বাড়িতে থাকতেন। পরে মিনহাজ ১৩ বছর বয়সে গাজীপুরে তার খালার বাসায় চলে যায়। তার মা মেরিনা গুরুতর অসুস্থ। মিনহাজ একটি পোশাক কারখানায় কাজ নেয়। বেতন থেকে মায়ের চিকিৎসার জন্য বাড়িতে টাকা পাঠাত। গত কোরবানির ঈদের ছুটিতে মিনহাজুল বাড়িতে এসেছিল। তখন অসুস্থ মাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তার খালার বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে রেখে মায়ের চিকিৎসা করাত।

নিহত মিনহাজুলের খালু শাহ্ পরান বলেন, ‘আমার বাড়ির পাঁচতলায় থাকত মিনহাজুল। গত ২০ জুলাই দুপুর ১২টার দিকে বাড়ি থেকে নিচে সড়কে যায় সে। ওই সময় তার বাম হাতের কনুই ভেদ করে বাম পাঁজরে একটি গুলি লাগে। এ সময় স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তাকে জয়দেবপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।’

নিহতের চাচাতো ভাই মাহফুজ হোসেন বলেন, ‘আমার ভাই কোনো আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিল না। সে পোশাক কারখানায় চাকরি করত। ওই দিন রাস্তায় বের হওয়ামাত্রই তাকে গুলি করা হয়। আমি ভাই হত্যার বিচার চাই।’

নিহতের চাচা মোতালেব হোসেন বলেন, ‘ছোটবেলায় মিনহাজের বাবা ওর মাকে ছেড়ে বিদেশে চলে যায়। তবে মা অন্যত্র বিয়েও করেননি। এমন অবস্থায় মা মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। একমাত্র সন্তান মিনহাজের রোজগারের টাকায় চিকিৎসা চলত অসুস্থ মায়ের। এখন তার মায়ের কী হবে?’

এ বিষয়ে আক্কেলপুর থানার অফিসার ইনচার্জ নয়ন হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। তবে ঘটনাটি অন্য জেলার হওয়ায় বেশি কিছু বলতে পারছি না।’

ফরিদগঞ্জে এনজিওর ঋণের টাকার চাপে গৃহবধূর আত্মহত্যা

প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২৫, ০৫:৪৪ পিএম
ফরিদগঞ্জে এনজিওর ঋণের টাকার চাপে গৃহবধূর আত্মহত্যা
ফরিদগঞ্জ মডেল থানা

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে এনজিওর ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন নাজমা বেগম (৩০) নামে এক গৃহবধূ। 

উপজেলার রূপসা উত্তর ইউনিয়নের দক্ষিণ বদরপুর গ্রামে রবিবার (১৩ জুলাই) সকালে এ ঘটনা ঘটে। দুুই সন্তানের জননী ওই গৃহবধূ অটোরিকশাচালক জাকির হোসেনের স্ত্রী। খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।

মৃতের পরিবারের বরাত দিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ইউনুছ পাটওয়ারী বলেন, এলাকার বিভিন্ন এনজিও থেকে নাজমা বেগম ও জাকির হোসেন দম্পতি ঋণ গ্রহণ করেছেন। জাকির হোসেন অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। এক সময়ে ভালোভাবে সংসার চললেও বর্তমান আগের মতো রোজগার নেই, পরিবার চালাতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে তাকে। একদিকে পরিবারের আর্থিক অস্বচ্ছতা, অন্যদিকে এনজিওর ঋণের চাপ। এনজিও কর্মীরা বিভিন্ন সময়ে ওই গৃহবধূর বাড়িতে গিয়ে ঋণের টাকা পরিশোধের জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। এনিয়ে পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হয়। ঘটনার দিন সকালে পরিবারের সবাই যখন বাহিরে ছিল, সবার অগোচরে নাজমা বেগম বসতঘরের আঁড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দেন। কিছুক্ষণ পর তার স্বামী বাড়িতে এসে দেখে নাজমা বেগমের মরদেহ ঝুলে আছে। এ সময় তিনি চিৎকার দিলে প্রতিবেশরী ছুটে এসে পুলিশকে খবর দেয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, খবর পেয়ে নাজমা বেগম নামে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়ার জন্য মরদেহ জেলা সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

ফয়েজ/সুমন/

মাদারগঞ্জে একজনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা, অপরজনকে গলাকাটা অবস্থায় উদ্ধার

প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২৫, ০৫:২১ পিএম
আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২৫, ০৫:২৪ পিএম
মাদারগঞ্জে একজনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা, অপরজনকে গলাকাটা অবস্থায় উদ্ধার
মাদারগঞ্জ মডেল থানা

জামালপুরের মাদারগঞ্জে নিজ বাড়িতে মাসুদ প্রামাণিক (২৩) নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা ও রুবেল প্রামাণিক (২০) নামে একজনকে গলাকেটে গুরুতর আহত করেছে দুর্বৃত্তরা।

রবিবার (১৩ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার কোয়ালিকান্দি এলাকা থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত মাসুদ প্রামাণিক উপজেলার চরপাকেরদহ ইউনিয়নের কোয়ালিকান্দি এলাকার সম্রাট প্রামাণিকের ছেলে ও আহত রুবেল প্রামাণিক একই এলাকার আলতাফুর প্রামাণিকের ছেলে।

পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আলতাফুর প্রামাণিকের সৌদি প্রবাসী ছেলে রবিবার সকালে দেশে ফেরার কথা। এজন্য আলতাফুর প্রামাণিকের পরিবারের লোকজন শুধু রুবেলকে বাড়িতে রেখে ঢাকা বিমানবন্দরে যান। এদিকে শনিবার রাত ১১টার দিকে রুবেল প্রামানিক বাড়িতে একা থাকায় তার ভাতিজা মাসুদ প্রামানিককে ডেকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। শনিবার সকাল গড়িয়ে গেলেও তারা দুইজন ঘুম থেকে না উঠায় মাসুদ প্রামাণিকের পরিবারের লোকজন ডাকাডাকি করে। তাদের দুইজনের কোনো সাড়া-শব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে বিছানার উপর রক্তাক্ত অবস্থায় মাসুদের মরদেহ দেখতে পান ও গলাকাটা অবস্থায় আহত রুবেলকে উদ্ধার করে মাদারগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। জানা গেছে, কিছুদিন পর মাসুদের সিঙ্গাপুর যাওয়ার কথা ছিল। সিঙ্গাপুর পাঠানোর জন্য ঢাকার একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল।

মাদারগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল্লাহ সাইফ জানান, একজনকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে, আরেকজনকে গলা কেটে আহত করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হবে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আসমাউল আসিফ/সুমন/

রাজশাহীতে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলায় যুবক গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২৫, ০৫:০৭ পিএম
রাজশাহীতে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলায় যুবক গ্রেপ্তার
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

রাজশাহীতে ষষ্ঠ শ্রেণিপড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে (১৪) ধর্ষণের অভিযোগে মো. টুটুল (১৯) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। 

শনিবার (১২ জুলাই) রাতে জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার বিজয়নগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

রবিবার (১৩ জুলাই) র‌্যাব-৫-এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গ্রেপ্তার মো. টুটুল পবা উপজেলার গহমাবোনা গ্রামের বাসিন্দা। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওই স্কুলছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল আসামি টুটুল। গত ১১ মে রাত ১০টার দিকে দেখা করার নামে ওই কিশোরীকে বাড়ির পাশে ডেকে নেয় সে। এরপর নির্জন স্থানে সে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। এ সময় ওই ছাত্রীর চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এলে টুটুল পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করা হয়।

র‌্যাব জানায়, ঘটনাটি ছায়াতদন্ত করছিল র‌্যাব। মামলার তদন্ত কর্মকর্তার অনুরোধে অভিযান চালিয়ে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এনায়েত/সালমান/ 

চট্টগ্রামে আরও ৪ জনের করোনা শনাক্ত

প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২৫, ০৪:০৪ পিএম
চট্টগ্রামে আরও ৪ জনের করোনা শনাক্ত
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে এক দিনের ব্যবধানে আরও চারজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৯৫ জনে। 

রবিবার (১৩ জুলাই) চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, নগরের ১০টি ল্যাবে একদিনে ৮৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষা করা হয়। পরে তাদের মধ্যে ৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়। আক্রান্তদের মধ্যে তিনজন নগরের বাসিন্দা। করোনার সংক্রমণ বাড়ায় সাধারণ মানুষকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে।

জানা গেছে, চট্টগ্রামে চলতি বছর প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত ১০ জুন। সেদিন নগর ও উপজেলা মিলে আক্রান্ত হয়েছিল তিনজন। এরপর গত ১১ থেকে ১৪ জুন একজন করে আক্রান্ত হয়েছিল। তবে গত ১৫ জুন করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ঠেকে ৯ জনে। গত ১৬ ও ১৭ জুন ১০ জন করে এবং গত ১৮, ১৯, ২০ ও ২১ জুন ৬ জন করে করোনায় আক্রান্ত হন। গত ২২ জুন ১২ জন, ২৩ জুন ৪ জন ও ২৪ জুন ১২ জনের করোনা শনাক্ত হয়। গত ২৫ জুন ৯ জন, ২৬ জুন ১৩ জন, ২৭ জুন ১২ জন ও ২৮ জুন ৬ জন, ২৯ জুন ৫ জন ও ৩০ জুন ১০ জন আক্রান্ত হন। 

১ জুলাই ১৫ জন, ২ জুলাই ৫ জন, ৩ জুলাই ৬ জন, ৪ জুলাই ৩ জন, ৫ জুলাই ১ জন, ৬ জুলাই ৩ জন, ৭ জুলাই ২ জন, ৮ জুলাই ৪ জন, ৯ জুলাই ৫ জন, ১০ জুলাই ৩ জন ও ১১ জুলাই একজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গতকাল ১২ জুলাই কেউ আক্রান্ত হয়নি। সবশেষ ১৩ জুলাই নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন চারজন।

এখন পর্যন্ত জেলায় করোনায় মারা গেছেন আটজন। তাদের মধ্যে চারজন নারী ও চারজন পুরুষ। 

সালমান/

কাষ্টঘরে মাদকবিরোধী অভিযানে আটক ২৫

প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২৫, ০৩:৫০ পিএম
কাষ্টঘরে মাদকবিরোধী অভিযানে আটক ২৫
ছবি: সংগৃহীত

সিলেট নগরীর কাষ্টঘর এলাকায় মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান চালিয়ে মাদকসহ ২৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। 

শনিবার (১২ জুলাই) বিকেলে কাষ্টঘর সুইপার কলোনিতে এ বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় মাদকদ্রব্য ও নগদ টাকা জব্দ করা হয়।

রবিবার (১৩ জুলাই) সিলেট মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

পুলিশ জানায়, অভিযানে মাদকদ্রব্য হেফাজতে রাখা, বিক্রি ও মাদক বিক্রির নগদ অর্থসহ ২৫ জনকে আটক করা হয়। এ সময় ২২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৬৯০ পুড়িয়া গাঁজা, ১৫৮ লিটার দেশীয় চোলাই মদ এবং মাদক বিক্রির নগদ ৫৭ হাজার টাকা জব্দ করা হয়। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে এসএমপির এডিসি (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, আটকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

সালমান/