ঢাকা ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫
English
শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ছেলের রক্তমাখা লুঙ্গিটি দেখান আর কাঁদেন মা

প্রকাশ: ০৩ আগস্ট ২০২৪, ১০:০০ এএম
আপডেট: ০৩ আগস্ট ২০২৪, ১০:১৩ এএম
ছেলের রক্তমাখা লুঙ্গিটি দেখান আর কাঁদেন মা
মা ফজিলা খাতুন। ছবি: খবরের কাগজ

কিশোর আসিফের মাথায় গুলি লেগেছিল। রক্তে ভিজে গিয়েছিল পরনের লুঙ্গি। তার কবরের কাছে বসে থাকেন মা। লোকজন এলে ছেলের সেই রক্তমাখা লুঙ্গি দেখান আর অঝোরে কাঁদেন। 

সেদিনের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আসিফের (১৭) বাবা আমজাদ হোসেন বলেন, ‘ঘটনা গত ১৯ জুলাইয়ের। সন্ধ্যা ৬টার দিকে পোলায় ফোন দিয়া বলল, আব্বু আমি অ্যাক্সিডেন্ট করছি, তুমি তাড়াতাড়ি হাসপাতালে আসো। আমি মিরপুর-১০ নম্বরে আলোক হাসপাতালে গিয়া দেখি মাথায় গুলি খাইয়া পোলাডা পড়ে আছে। রক্তে ভিইজ্যা গেছে লুঙ্গি। তখনো গোলচত্বরে গোলাগুলি চলছিল। রাস্তায় রিকশাও তেমন একটা নাই। দু-একটা রিকশা আছিল। গোলাগুলির ভয়ে কেউ যাইতে চাইল না। পরে একটা রিকশা নিয়া সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে যাই। ডাক্তার সাহেবরা পোলারে ব্যান্ডেজ করে। নিউরোতে (নিউরোসায়েন্স হাসপাতাল) নিয়ে যাইতে বলে। এরপর আরেকটা রিকশা কইরা যখন হাসপাতালে যাইতাছি, তখন পোলাডা কইতাছিল, আব্বু আমার ওপর থেকে দাবি ছাইড়া দিও, আমি তোমার স্বপ্ন পূরণ করতে পারলাম না। মনে হয়, আমি আর বাঁচব না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার বুকটা ফাইট্টা যাইতাছিল। পরে হাসপাতালের নিয়া গেলে ডাক্তার সাহেবরা বলল, আমার ছেলে মইরা গেছে।’

স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, আসিফের বাবা আমজাদ আলী প্রায় ২০ বছর ধরে ঢাকার মিরপুর এলাকায় ঝুট কাপড়ের ব্যবসা করেন। বাড়ি শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের কেরেঙ্গাপাড়া গ্রামে। ছয় সন্তানের মধ্যে আসিফ ছিল দ্বিতীয়। আসিফের বড় বোনের বিয়ে হয়েছে ঢাকায়। অন্য ভাইবোনদের নিয়ে তার মা গ্রামের বাড়িতে থাকেন। আসিফ প্রায় এক বছর আগে মিরপুরে একটি তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ শুরু করে। বাবার সঙ্গে মিরপুরে একটি ভাড়া বাসায় থাকত সে। গত ১৯ জুলাই কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছিলেন মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বরে। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হচ্ছিল। এক বন্ধুর ফোন পেয়ে আসিফ বাসা থেকে বের হয়েছিল। এরপর গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় সে।

পরদিন ২০ জুলাই সকালে তার লাশ গ্রামের বাড়িতে আনা হয়। দুপুরে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।

গত বুধবার আসিফের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তার মা ফজিলা খাতুন কবরের পাশে বসে আছেন। প্রতিবেশীরা তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। একপর্যায়ে হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে মাটিয়ে গড়াগড়ি করতে থাকেন ফজিলা। একপর্যায়ে মূর্ছা যান। অনেকক্ষণ মাথায় পানি ঢালার পর সংজ্ঞা ফেরে তার। 

রক্তমাখা সেই লুঙ্গি দেখিয়ে ফজিলা খাতুন বলেন, ‘আমার পোলাডা রাজনীতি করত না। বড় কোনো চারহিও (চাকরি) করত না। কয়টা ভাতের লাইগ্যা গার্মেন্টসে চারহি করত। আমার কইজার ধনডারে গুলি কইর‌্যা মাইর‌্যালছে। যারা তারে মারছে, তাদের বিচার আল্লাহ করব।’

রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. খোরশেদ আলম খোকা বলেন, ‘ঢাকা থেকে আমার ইউনিয়নে একটি লাশ এসেছে। কিন্তু কেমনে মারা গেছে তা জানতে পারিনি। ইউনিয়ন পরিষদ কিংবা আমি ব্যক্তিগতভাবে তার পরিবারকে যতটুকু সম্ভব সহযোগিতা করব।’

নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাসুদ রানা বলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমি খোঁজখবর নেব। পরিবারটির সহযোগিতায় পাশে থাকব।’

ধোবাউড়া সীমান্ত দিয়ে ৯ জনকে পুশইন

প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২৫, ১১:২৫ এএম
ধোবাউড়া সীমান্ত দিয়ে ৯ জনকে পুশইন
ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের ধোবাউড়া সীমান্ত দিয়ে দুই শিশুসহ ৯ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরাক্ষী বিএসএফ।

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) বিকেলে উপজেলার মুন্সিপাড়া বিওপি এলাকা দিয়ে তাদের পুশইন করা হয়।

বিষয়টি খবরের কাগজকে নিশ্চিত করে ময়মনসিংহ ৩৯ বিজিবির ব্যাটালিয়নের আওতাধীন মুন্সিপাড়া ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার মো. খায়রুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন যাবত ভারতের চেন্নাইয়ে বসবাস করে কাজ করছিলেন তারা। কিন্তু সম্প্রতি তাদেরকে বাংলাদেশে চলে যেতে ভয়ভীতি দেখায় ভারতীয়রা। এ অবস্থায় তারা বাংলাদেশে আসার চেষ্টা করলে ভারতীয় পুলিশ আটক করে। পরে মুন্সিপাড়া বিওপি এলাকা দিয়ে পুশইন করা হয়। পরে বিজিবির নজরে আসলে দুই শিশুসহ ৯ জনকে হেফাজতে নেওয়া হয়।

তাদেরকে ধোবাউড়া থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন বলেও জানিয়েছেন মো. খায়রুল ইসলাম।

এর আগে গত ২ জুন এই সীমান্ত দিয়ে ১২ জনকে পুশইন করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। 

কামরুজ্জামান মিন্টু/অমিয়/

চট্টগ্রামে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি, অভিযানে উদ্ধার

প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২৫, ১১:০১ এএম
চট্টগ্রামে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি, অভিযানে উদ্ধার
ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে নিজ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে অপহরণ করা হয় এক ব্যবসায়ীকে। ঘটনার সাড়ে ৮ ঘণ্টা পর জহির উদ্দিন মিন্টুকে (৪৯) উদ্ধার করেছে যৌথ বাহিনী। 

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার কাঞ্চনা ইউনিয়নের স্লুইসগেট এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। এর আগে গত বুধবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার এওচিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বইক্যার পাড়া এলাকা থেকে তাকে অপহরণ করা হয়।

অপহরণের শিকার জহির উদ্দিন মিন্টু উপজেলার নলুয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের শাহাজাহান সাহেবের বাড়ি এলাকার মৃত আবদুল কাদেরের ছেলে। এ ছাড়াও তিনি একই ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি বলে জানিয়েছেন বর্তমান ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন লিটন।

জহিরের সঙ্গে তার ছোট ভাই মো. সোহেলকে (৩৫) অপহরণ করা হলেও পরে তাকে বাড়ি থেকে মুক্তিপণ নিয়ে আসার জন্য ছেড়ে দেন অপহরণকারীরা। মো. সোহেল বলেন, ‘৭-৮ জনের সশস্ত্র দল অপহরণের পর আমাদের কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।’

সাতকানিয়া সেনাবাহিনী ক্যাম্পে দায়িত্বরত ক্যাপ্টেন পারভেজ বলেন, ‘মুক্তিপণ দেওয়ার আগেই সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে জহির উদ্দিন মিন্টুকে উদ্ধার করা হয়।’ সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. তফিকুল আলম বলেন, ‘এ ঘটনায় পরিবারের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পরপরই যৌথবাহিনী অভিযান শুরু করে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’

টাঙ্গাইলে সেরা পাঠকরা পেলেন সনদ ও পুরস্কার

প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২৫, ১০:১৩ এএম
টাঙ্গাইলে সেরা পাঠকরা পেলেন সনদ ও পুরস্কার
পাঠকদের মধ্যে সনদপত্র ও পুরস্কার বিতরণ । খবরের কাগজ

জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত জাতীয়ভিত্তিক গ্রন্থপাঠ কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী সেরা পাঠকদের মধ্যে সনদপত্র ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে।

এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকালে বাতিঘর আদর্শ পাঠাগার মিলনায়তনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে গজারিয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক আলীম আল রাজী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের হাতে সনদপত্র ও পুরস্কার তুলে দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাতিঘর আদর্শ পাঠাগারের সভাপতি মো. শাহজাহান ও পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা মো. কামরুজ্জামান, সদস্য রিপন মিয়া, মো. আল-আমিন প্রমুখ।

পাঠাগারের গ্রন্থাগারিক মো. জাহিদ হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, পাঠাগারের সদস্য মনসুর হেলাল এবং পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী ফাওজিয়াহ হক জিনাত। জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের এই গ্রন্থপাঠ কার্যক্রমে দেশের ৪০টি বেসরকারি গ্রন্থাগার থেকে প্রতিটি থেকে ১০ জন করে মোট ৪০০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে বাতিঘর আদর্শ পাঠাগারের স্কুল পর্যায়ের পাঠক ফাওজিয়াহ হক জিনাত সেরা দশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে। সে পুরস্কার হিসেবে ১০ হাজার টাকা নগদ অর্থ, ৫ হাজার টাকার সমমূল্যের বই এবং সনদপত্র লাভ করেছে। এ ছাড়াও গ্রন্থাগার থেকে অংশ নেওয়া ৯ জন শিক্ষার্থী সনদপত্র পেয়েছেন।

‘এসো বই পড়ি, নিজেকে আলোকিত করি’ স্লোগানকে সামনে রেখে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চৌরাকররা গ্রামে ২০১০ সালে গড়ে ওঠে বাতিঘর আদর্শ পাঠাগার। প্রতিষ্ঠার পর থেকে পাঠাগারটি গ্রামের মানুষের মধ্যে পাঠাভ্যাস তৈরি ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে সেলুন, বাসস্ট্যান্ড ও স্টেশন অণুপাঠাগার স্থাপনসহ শিক্ষামূলক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি আর্তমানবতার সেবায় বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।

ঝড়ে ভেঙে গেছে ঘর, ঈদ কেটেছে না খেয়ে

প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২৫, ১০:০১ এএম
আপডেট: ১৩ জুন ২০২৫, ১০:০৫ এএম
ঝড়ে ভেঙে গেছে ঘর, ঈদ কেটেছে না খেয়ে
ছবি: খবরের কাগজ

হঠাৎ ঝড়ো বৃষ্টি, মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যাপার। কিন্তু সেই ঝড়ই পাল্টে দেয় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার দর্জিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল বাসেদ ও বাসিরন বেগমের জীবন। যে ঘর একদিন ছিল তাদের একমাত্র নিরাপদ আশ্রয়, সেটি এখন কেবল ভাঙা টিন আর ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন বাঁশের বেড়ার মাথা গোঁজার ঠিকানা। 

বয়সের ভারে নুয়ে পড়া বাসেদ আজ স্ত্রী ও একমাত্র শিশুসন্তানকে সঙ্গে নিয়ে বসবাস করছেন একটি অস্থায়ী ভাঙা টিনের ছাউনির নিচে। খাবার নেই, নিরাপত্তা নেই। ঈদের দিনটিও কেটেছে অনাহারে ও কান্নায়।

এর আগে গত ১১ মে ঝড়ে তাদের একমাত্র কাঁচাঘরটি সম্পূর্ণ ধসে পড়েছে। এর পর থেকেই মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন তারা। স্থানীয় কিছু যুবক মিলে ভাঙা টিন ও বাঁশ দিয়ে অস্থায়ী একটি ছাউনি তৈরি করে দিলেও সামান্য বৃষ্টি বা বাতাসেই সেটি নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। নিরাপত্তাহীন অবস্থায় স্ত্রী ও শিশুকে নিয়ে বাস করছেন বাসেদ। তিনি বলেন, ‘আমার একমাত্র ঘরটি ঝড়ে ভেঙে গেছে। অনেক কষ্টে জীবনযাপন করছি। কয়েকবার উপজেলা পরিষদে গিয়েছি। কিন্তু কোনো সহযোগিতা পাইনি। খেয়ে-না খেয়ে দিন কাটাচ্ছি।’

বাসিরন বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী অসুস্থ। কিছুই করতে পারেন না। ঈদও কেটেছে না খেয়ে কান্না করে। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো লোক দেখতে আসা তো দূরের কথা, খবরটুকুও নেয়নি। আমাদের একটা ঘরের ব্যবস্থা হলে অনেক উপকার হতো।’ 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একসময় পাথর ভাঙার শ্রমিক ছিলেন বাসেদ। বয়স ও অসুস্থতার কারণে এখন কর্মক্ষম নন। সামান্য আয়ে সংসার চালাতেন স্ত্রী। ঘর হারানোর পর সেই আয়ের পথও বন্ধ। এই দুঃসময়ে উপজেলা প্রশাসনের শরণাপন্ন হলেও মেলেনি কোনো সহায়তা।

আব্দুর সাত্তার নামে এক প্রতিবেশী বলেন, ‘আমরা নিজেরাই কয়েকবার খবর দিয়েছি। কিন্তু বাসেদের ঘর দেখতে কোনো সরকারি লোক আসেনি।’ জাকির হোসেন নামে আরেক প্রতিবেশী বলেন, ‘আমরা সবাই মিলে কোনো রকম থাকার ঘরটি দাঁড় করিয়ে দিয়েছি।’ 

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মাইদুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি জানা ছিল না। গত সপ্তাহে আমরা জেনেছি। সে সময় ইউএনও স্যারসহ যাওয়ার কথা ছিল। পরে নানা জটিলতায় যাওয়া হয়নি। আশা করছি, ঈদের ছুটির পর এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হবে।’ এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া উপজেলার ইউএনও আফরোজ শাহীন খসরু বলেন, ‘ভুক্তভোগীকে আমরা টিন দেব, টাকাও দেব।’

সরাইলে জমি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩০

প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২৫, ০৯:৫৩ এএম
সরাইলে জমি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩০
সরাইলে জমি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন। 

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের পাকশিমুল গ্রামের লোকজনদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দফায় দফায় চলা এ সংঘর্ষের কারণে সরাইল-অরুয়াইল সড়কে অন্তত দেড় ঘণ্টা যানচলাচল বন্ধ থাকে। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, পাকশিমুল গ্রামের সরাইল-অরুয়াইল সড়কের পাশে একটি জায়গা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা নূর আলম ও আবদুর রউফের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এর জেরে বৃহস্পতিবার সকালে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে সকাল সাড়ে ১০টায় উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দফায় দফায় চলা সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, জেলা সদর হাসপাতাল ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

সরাইল সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার তপন সরকার জানান, সরাইল থানা ও পুলিশ লাইন থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনে। পরবর্তী সংঘর্ষ এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।