ঢাকা ১ আশ্বিন ১৪৩১, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সিলেটে শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবিতে অভিভাবক সমাবেশ

প্রকাশ: ০৩ আগস্ট ২০২৪, ০৪:০০ পিএম
আপডেট: ০৩ আগস্ট ২০২৪, ০৪:১০ পিএম
সিলেটে শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবিতে অভিভাবক সমাবেশ
সিলেটে অভিভাবক সমাবেশ।  ছবি: খবরের কাগজ

সিলেটে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সব যৌক্তিক দাবির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ এবং কারাবন্দী শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবিতে সমাবেশ করেছেন সংক্ষুব্ধ অভিভাবকরা।

শনিবার (৩ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে সংক্ষুব্ধ নাগরিক আন্দোলনের ব্যানারে আয়োজিত সমাবেশে এ দাবি জানান তারা।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আহ্বান করা এই সমাবেশে শতাধিক অভিভাবক ও নাগরিক অংশ নেন। 

সমাবেশে বলা হয়, ‘আন্দোলন দমনের নামে শিক্ষার্থীদের নির্বিচারে হত্যা, অব্যাহত ধরপাকড় ও নিপীড়ন-নির্যাতনে অভিভাবক এবং নাগরিক হিসেবে আমরা সংক্ষুব্ধ। আলোচনা হোক আর অনুশোচনার সিদ্ধান্ত হোক- আগে কারাবন্দি শিক্ষার্থীদের মুক্তি দিন।’ 

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংক্ষুব্ধ নাগরিক আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল করিম চৌধুরী কিম। 

সূচনা বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুদীপ্ত অর্জুন। 

সমাবেশ সঞ্চালনা করেন যুব সংগঠক অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান।
 
প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল করিম কিম বলেন, ‘কোটা সংস্কারের একটি নির্দোষ দাবিকে অসহনীয় পরিস্থিতিতে নিয়ে যাওয়ার দায় সরকারের। আরিচা রোডের ট্রাকড্রাইভারের মতো বেপোরোয়া রাষ্ট্র পরিচালনার খেসারত আজ দেশবাসীকে দিতে হচ্ছে। দেশ আজ বিপন্ন। আমাদের সন্তানেরা বন্দুকের মুখে বুক পেতে দাঁড়াচ্ছে। যারা বন্দুক নিয়ে তাদের রুখে দিতে চাইছে ওরাও আমাদের ভাই, আমাদের সন্তান। এই অসহ্য পরিস্থিতি মেনে নিতে পারছি না। রাষ্ট্রেরও সংস্কার প্রয়োজন।’

আইনজীবী সুদীপ্ত অর্জুন বলেন, ‘চলমান ছাত্র আন্দোলনে সুস্পষ্ট অভিযোগ ছাড়া অপ্রাপ্তবয়স্ক ও মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের আটক করা হয়েছে। তাদেরকে অবিলম্বে ছেড়ে দিতে হবে। প্রশাসনকে মানুষের আবেগ ও সংবেদনশীলতা বুঝতে হবে। একজন সাধারণ ছাত্র ক্ষতিগ্রস্ত হলে পুরো সমাজের মননে এর প্রতিক্রিয়া হয়। আর দুর্বৃত্তরা এর সুযোগ নেয়।’ 

তিনি বলেন, ‘আমরা এক চরম দুঃসময় ও ক্রান্তিলগ্ন অতিক্রম করছি। সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলন নিয়ন্ত্রনে সরকারের চরম ব্যর্থতা, নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর মাত্রাতিরিক্ত বলপ্রয়োগ, ব্যাপক প্রাণহানি, সহিংসতা ও রাষ্ট্রীয় সম্পদের ধ্বংসযজ্ঞে দেশের মানুষ আজ উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠায় আছেন। সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী কিংবা সুযোগ সন্ধানী সন্ত্রাসীদের দ্বারা হয়রানির আশঙ্কা।’

সমাবেশের এক পর্যায়ে সংক্ষুব্ধ নাগরিক আন্দোলনের সিদ্ধান্ত উপস্থাপন করা হয়। 

এতে বলা হয়, ‘সংক্ষুব্ধ নাগরিক আন্দোলন অপ্রাপ্তবয়স্ক শিক্ষার্থীদের ধরপাকড়ের নামে হয়রানি বা বিপদের সম্মুখীন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দল-মত, জাতি-ধর্ম ও রাজনৈতিক মতাদর্শ নির্বিশেষে যে কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী, বাহিনী বা সংস্থা দ্বারা হয়রানির শিকার হলে কিংবা নিজেকে বিপন্নবোধ মনে করলে আমাদের জানাতে পারেন। সংক্ষুব্ধ নাগরিক আন্দোলন পাশে থাকার চেষ্টা করবে।’ 

সংহতি জানিয়ে আরও বক্তব্য দেন রাজনীতিবিদ ও কলাম লেখক আনসার খান, সাংস্কৃতিক সংগঠক মনির হেলাল, রাজনৈতিক সংগঠক উজ্জ্বল রায়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক আশরাফ উদ্দিন, পলিটিক্যাল স্ট্যাডিজের অধ্যাপক ড. দিলারা রহমান, সাবেক ছাত্রনেতা মাহবুবুর রহমান ওয়েছ, রেজাউল কিবরিয়া, রোটারিয়ান সামসুল হক দিপু, অভিভাবকদের পক্ষে ওয়াসিকুজ্জামান চৌধুরী অনি, অ্যাডভোকেট জাকিয়া জালাল, রুহুল কুদ্দুস মাসুম, মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান চৌধুরী, প্রথম আলো উত্তর আমেরিকার আবাসিক কর্মকর্তা রোমেনা বেগম রোজী, শিশু-কিশোর সংগঠন উষার পরিচালক নিগাত সাদিয়া প্রমুখ।

মেহেদী/পপি/অমিয়/

চট্টগ্রামে জশনে জুলুস সোমবার, ৬০ লাখ জনসমাগমের আশা

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৫ পিএম
আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৬ পিএম
চট্টগ্রামে জশনে জুলুস সোমবার, ৬০ লাখ জনসমাগমের আশা
জশসে জুলুস (ফাইল ছবি)

ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে প্রতিবছরের মতো এবারও ব্যাপক আয়োজনের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম নগরীতে জশসে জুলুস বের করা হবে। এবারের জশনে জুলুসে ৬০ লাখের বেশি ধর্মপ্রাণ মুসলমানের সমাগম ঘটবে বলে আশা আয়োজকদের। 

আগামীকাল সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় নগরের ষোলশহরের আলমগীর খানকা-এ কাদেরিয়া সৈয়্যদিয়া তৈয়্যবিয়া থেকে জুলুসটি বের করা হবে। নগরের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে বিবিরহাটের জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসাসংলগ্ন জুলুস মাঠে জমায়েত ও জোহরের নামাজের পর দোয়ার মধ্য দিয়ে বেলা ২টায় শেষ হবে। 

আনজুমান এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, হুজুর কেবলাগণ ইতোমধ্যেই ১৪ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশ বিমানের মাধ্যমে শুভাগমন করেছেন। জুলুসে উপস্থিত থাকবেন আনজুমান ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মহসিন, সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, অ্যাডিশনাল সেক্রেটারি মুহাম্মদ সামশুদ্দিন, জয়েন্ট মোহাম্মদ সিরাজুল হক, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি এস এম গিয়াস উদ্দিন শাকের, গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান পেয়ার মোহাম্মদসহ আনজুমান ট্রাস্টের কার্যকরী সদস্যরা ও গাউসিয়া কমিটির সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী। 

ট্রাস্টের সেক্রেটারি জেনারেল আনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, দরবারে আলিয়া কাদেরিয়া সিরিকোট শরিফের (পাকিস্তান) তৎকালীন সাজ্জাদদানশীন, হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ৩৯তম বংশধর, আধ্যাত্মিক সাধক সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহের পরামর্শক্রমে ১৯৭৪ সাল থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামে জশনে জুলুস উদযাপিত হয়ে আসছে। এটি আয়োজন করে আসছে আনজুমান এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট। প্রতিবছর এই জুলুসে লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমানের মিলনমেলা ঘটে আসছে। এবারের জুলুসে নেতৃত্ব দেবেন আওলাদে রাসুল সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবের শাহ (ম.জি.আ.) ও সৈয়্যদ মুহাম্মদ কাশেম শাহ (ম.জি.আ.)।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ থেকে এক নির্দেশনায় জানানো হয়েছে, জুলুস চলার সময় নগরের পাঁচলাইশ থানার জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসার মাঠ থেকে বিবিরহাট হয়ে মুরাদপুর, মুরাদপুর ট্রাফিক পুলিশ বক্স থেকে ডান দিকে মোড় নিয়ে ষোলশহর ২ নম্বর গেট, ষোলশহর ২ নম্বর গেট এলাকা থেকে জিইসি মোড়, লর্ডস ইন হোটেল থেকে ২ নম্বর গেট, মুরাদপুর বামে মোড় নিয়ে বিবিরহাট থেকে জামেয়া আহম্মদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণের অভিমুখে চলাচলের কারণে অভিমুখ সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের আবির্ভাব তিথি উপলক্ষে মহোৎসব

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:০৫ পিএম
শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের আবির্ভাব তিথি উপলক্ষে মহোৎসব
ছবি : খবরের কাগজ

পাবনায় শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের ১৩৭তম আবির্ভাব তিথি উপলক্ষে মহোৎসব উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে প্রার্থনা সভা, গঙ্গাস্নান, ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পসহ নানা আয়োজন করা হয়।  

রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে সৎসঙ্গ বাংলাদেশ-এর আয়োজনে হিমাইতপুর বিশ্ববিজ্ঞান কেন্দ্র প্রাঙ্গণে ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের শুভ জন্মলগ্ন ঘোষণার মধ্য দিয়ে শুরু হয় উৎসবের আয়োজন। 

এ সময় প্রার্থনা সভায় বক্তব্য রাখেন সৎসঙ্গের কেন্দ্রীয় সদস্য ডা. সুব্রত রায়, সম্পাদক শ্রী ধৃতব্রত আদিত্য, সহ-সম্পাদক নিখিল মজুমদার।

জন্মোৎসবের আয়োজনে বাংলাদেশ, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের কয়েক হাজার অনুকূলভক্ত অংশ নেন।

নিখিল মজুমদার জানান, অনুষ্ঠানের অন্যান্য আয়োজনের মধ্যে পাবনা শহরের পাথরতলায় শ্রীশ্রী ঠাকুরবাড়িতে অনুষ্ঠিত হয় সৎসঙ্গ বাংলাদেশের ২৫১তম শরৎকালীন ঋত্বিক অধিবেশন। পরে মহাপ্রসাদ বিতরণ, শ্রীশ্রী ঠাকুরের প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ঠাকুরের দিব্য জীবন বাণী নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

এ ছাড়া সন্ধ্যায় সান্ধ্যকালীন সমবেত বিনতি প্রার্থনা, বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ পাঠ এবং সংগীতানুষ্ঠানের মাধ্যমে উৎসবের সমাপ্তি হবে।

১৮৮৮ সালে পাবনায় জন্ম নেওয়া ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র সাম্য ও অসাম্প্রদায়িকতার বাণী দিয়ে সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের মন জয় করেন। ভক্তদের হৃদয়ের এই মহাপুরুষের জন্মস্থান পাবনার হিমাইতপুর প্রতি বছর ঠাকুরের আবির্ভাব ও মৃত্যু দিবস সাড়ম্বরে পালন করেন সৎসঙ্গের সদস্যরা।

পার্থ হাসান/জোবাইদা/অমিয়/

হাতিয়ায় ২২ জেলেকে জীবিত উদ্ধার

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:২৭ পিএম
আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:২৭ পিএম
হাতিয়ায় ২২ জেলেকে জীবিত উদ্ধার
হাতিয়ায় ডুবে যাওয়া মাছ ধরার ট্রলারের ২২ মাঝিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ছবি: খবরের কাগজ

নোয়াখালীর হাতিয়ায় ঝড়ে ডুবে যাওয়া মাছ ধরার ট্রলার থেকে ২২ জেলেকে জীবিত উদ্ধারের খবর পাওয়া গেছে।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেন জাহাজমারা আমতলী ঘাটের বোট মালিক লুৎফুল্লাহিল নিশান।

তিনি জানান, আমতলীর কামরু মাঝির ডুবে যাওয়া বোটের ১০ জন জেলেকে চট্টগ্রামের বাঁশখালি থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় পার্কভিউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

তারা হলেন- রাশেদ মাঝি, কামরু কোম্পানী, আজমির, ভাগি শরীফ, নাহিদ, বেলাল, বাবুর্চি শরীফ, ইরাক, নাঈম মিস্ত্রি ও মামুন। তারা সবাই জাহাজমারা ইউনিয়নের নতুন সুখচর গ্রামের বাসিন্দা।

এ ছাড়া আমতলী ঘাটের এনাম চৌধুরী খবরের কাগজকে জানান, হাতিয়া উপজেলা দমার চরে ভেসে আসা ১২ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করেছেন স্থানীয়রা। উদ্ধার হওয়া জেলেরা আমতলী ঘাটের ডুবে যাওয়া রহিম মাঝির বোটের। 

তবে তিন জেলে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানানো হয়। উদ্ধার হওয়া জেলেদের স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।

নিঝুম দ্বীপের মেহেরাজ মাঝির ডুবে যাওয়া ট্রলারের সবাই উদ্ধার হলেও রহিম নামের এক জেলে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানান স্থানীয় সাহেদ মেম্বার।

গত শুক্রবার ঝড়ো হাওয়ায় হাতিয়ার আমতলী ঘাট, নিঝুম দ্বীপ, বুড়িরদোনা ঘাট, দানার দোল ঘাট ও বাংলা বাজার ঘাটের দূরবর্তী মেঘনার কয়েকটি স্থানে ট্রলার ডুবে যায়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার ভূমি মিল্টন চাকমা খবরের কাগজকে জানান, আমতলী ঘাটের তিনজন ও নিঝুমদ্বীপে একজন জেলে এখনো নিখোঁজ রয়েছে। এ ছাড়াও নিঝুমদ্বীপে ডুবে যাওয়া ট্রলারগুলোর মধ্যে তিনটি উদ্ধার হয়েছে।

হানিফ সাকিব/সাদিয়া নাহার/অমিয়/

ডিসি-এসপির আশ্বাসে সচল কক্সবাজার সদর হাসপাতাল

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:০৫ পিএম
আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৯ পিএম
ডিসি-এসপির আশ্বাসে সচল কক্সবাজার সদর হাসপাতাল
ডিসি-এসপিদের সঙ্গে কথা বলছেন চিকিৎসকরা। ছবি: খবরের কাগজ

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের চিকিৎসককে হামলার প্রতিবাদে ও দোষীদের দ্রুত বিচার এবং চিকিৎসকদের কর্মস্থলে স্থায়ী নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে কর্মবিরতি পালন করা চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ৫ দিন পর জেলা প্রসাশক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারের (এসপি) আশ্বাসে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছেন। 

রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আন্দোলনরত চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালা্হউদ্দিন, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ এবং সিভিল সার্জন ডা. আসিফ আহমেদ হাওলাদার বৈঠক করেন। 

বৈঠক শেষে এ সিদ্ধান্ত জানান চিকিৎসকরা।

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের প্রতিনিধি শাহ তালাল মাহমুদ দিহান খবরের কাগজকে বলেন, ‘কক্সবাজারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা আমাদের সঙ্গে বৈঠক করে যেহেতু আশ্বাস দিয়েছেন সেহেতু আমরা ৫ দিনের জন্য কর্মবিরতি প্রত্যাহার করছি। যেটি আজকে বিকেল ৩টা থেকে কার্যকর হবে। আমরা চাই চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে। কিন্তু ৫ দিনের মধ্যে আমাদের দাবির অগ্রগতি না হলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ 

এ সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন বলেন, ‘রোগীর স্বজন দ্বারা ডা. সজীব কাজীকে মারধরের ঘটনার প্রেক্ষিতে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে সেটার প্রেক্ষিতে আমরা বেশকিছু ব্যবস্থা নিয়েছি। তারমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ উদ্যোগের ফলে তাৎক্ষণিক ব্যাটালিয়ন আনসার মোতায়েন করতে পেরেছি। এখন থেকে ১২ জন আনসার মোতায়েন থাকতে তার মধ্যে অস্ত্রধারী থাকবে ছয়জন। পুলিশের একটা স্থায়ী ব্যবস্থা হয়েছে। এছাড়া সার্বক্ষণিক টহল দেবে পুলিশ এবং যৌথ বাহিনীর টহলও রয়েছে। এভাবেই নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।’ 

পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, ‘ঘটনা ঘটার পরপরই আমরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত চারজনকে আটক করেছি। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ৫ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। মামলা হওয়ার আগে থেকেই কিন্তু আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকি আসামিদেরও ধরার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’ 

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাত ১টায় হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে মারধরের শিকার হন সজীব কাজী নামের এক চিকিৎসক। এরপর হামলার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে অভিযুক্তদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবিতে জরুরি বিভাগসহ কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করে চিকিৎসকরা। এরপর থেকে জরুরি বিভাগ ছাড়া সব চিকিৎসাসেবা বন্ধ ছিল।

মুহিববুল্লাহ মুহিব/ইসরাত চৈতী/অমিয়/

ফরিদপুরে দুইদিন ধরে বন্ধ বিদ্যুৎসেবা

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৪১ পিএম
আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:১৭ পিএম
ফরিদপুরে দুইদিন ধরে বন্ধ বিদ্যুৎসেবা

ফরিদপুরে গত দুইদিন ধরে বিদ্যুৎসেবা বন্ধ থাকায় জনজীবন প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। জাতীয় গ্রিডে ত্রুটির কারণে এ সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ অফিস।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে ব্রেকার মেরামত করা হলেও সংযোগ দেওয়ার আগেই আবারও রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে সড়কে গাছ পড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে হঠাৎ বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে একটানা বিদ্যুৎ না থাকায় কারও বাসায় পানি নেই, ফ্রিজের জিনিসপত্রও নষ্ট হচ্ছে। এছাড়া অটোরিকশা কিংবা ইজিবাইকে চার্জ দিতে না পারায় ভোগান্তিতে পড়ছে নিম্ন আয়ের মানুষ। শিল্প ও উৎপাদনমুখী কলকারখানাও বন্ধ রয়েছে। দুই দিন বিদ্যুৎ না থাকায় অনেকটা অচল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে জেলায়।

ফরিদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (সেবা) এস এম রুবাইদ হোসেন খবরের কাগজকে বলেন, ‘বিদ্যুতের জাতীয় গ্রিডের ব্রেকারে ত্রুটির কারণে ফরিদপুরে বিদ্যুৎ সংযোগ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। তবে গত শনিবার রাতে ব্রেকার মেরামত করা হলেও রবিবার সকালে ঝড়ে গাছ পড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। আমাদের বিদ্যুৎ বিভাগের সবাই কাজ করছেন গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছে দিতে।’ 

সঞ্জিব দাস/ইসরাত চৈতী/অমিয়/