বরগুনার বামনায় নাশকতা মামলায় দশ মাসের এক অন্তঃসত্ত্বা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী নারীকে আসামি করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই সঙ্গে তার স্বামী সাদ্দাম হোসেনকেও আসামি করা হয়েছে। তবে পুলিশ বলছে, জব্দকরা হাজিরা খাতা দেখে তাদের আসামি করা হয়েছে।
অভিযুক্ত সাদ্দাম হোসেনের দাবি, চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বামনায় ১৩ জনসহ আরও ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে নাশকতার অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেছে থানা পুলিশ। কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত না থেকেও হয়রানিমূলকভাবে মামলার এজাহারে সাদ্দাম হোসেনকে ৮ নম্বর ও তার দশ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী স্ত্রী সোনিয়া আফরোজকে ১১ নম্বর আসামি করা হয়েছে।
সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘সম্প্রতি দুলিয়া ও ফরিদা নামের দুই নারীর সঙ্গে আমার জমি নিয়ে বিরোধ হয়। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আলতাফ হোসেন তাদের পক্ষে সালিশি করেন এবং বামনা থানার ওসি তুষার কুমার মণ্ডল ও এসআই দেবাশীষ হাওলাদার তাদের পক্ষ নিয়ে কথা বলেন। তবে আমরা সালিশের রায় মেনে নিইনি। সেই ক্ষোভে আমাদেরকে মিথ্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে। মামলার কারণে আমি আমার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও বুকাবুনিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সবুজ বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য নয়। বরং ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে থানায় গিয়ে বলেছি মেয়েটি বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অন্তঃসত্ত্বা। ৮ আগস্ট তার ডেলিভারি হওয়ার কথা। তাকে আসামি না করতে বলার পরও মেয়েটি ও তার স্বামীকে আসামি করার কারণ হিসেবে থানার ওসি আমাকে বলেছেন তার কাছে প্রমাণ আছে। প্রমাণ ছাড়া কাউকে আসামি করা হয়নি।’
বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তুষার কুমার মণ্ডল বলেন, ‘২৩ জুলাই বিকেলে উপজেলার সদর ইউনিয়নের আমতলী গ্রামে নাশকতা সৃষ্টির জন্য জামায়াতের কিছু নেতা-কর্মী একত্রিত হচ্ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে উপস্থিত নেতা-কর্মীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় সাইমুন ও জাফর নামের দুজনকে আটক করে পুলিশ। আসামি সোনিয়া আফরোজ ও তার স্বামী সাদ্দাম হোসেনও তাদের সঙ্গে সেখানে ছিলেন। জব্দ করা হাজিরা খাতায় তাদের স্বাক্ষর রয়েছে। তাই তাদেরকে মামলার আসামি করা হয়েছে।’