গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২০৯ বন্দি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ৬ বন্দি নিহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার রামেশ্বসরপুর গ্রামের মকবুল মিয়ার ছেলে ইমতিয়াজ পাভেল (২৭), টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার কামুটিয়া গ্রামের রাজ্জাক শেখের ছেলে স্বপন শেখ কালু (৪৫), জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার সোনারপাড়া গ্রামের রইজউদ্দীনের ছেলে আফজাল হোসেন (৩০), নওগাঁর মান্দা উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের সালাম সরদারের ছেলে আসলাম হোসেন, জাকির হোসেনের ছেলে মো. জিন্নাহ (২৪) এবং সিতারাম হরিজনের ছেলে রাধে শ্যাম হরিজন (৬৭)।
বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেলে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে বন্দিরা বিদ্রোহ করে। তারা কারাগার ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কারারক্ষীরা তাদের থামানোর চেষ্টা করলে বন্দিরা কারারক্ষীদের ওপর চড়াও হয়। বন্দিরা দেয়াল ভেঙে, দেয়াল টপকে, দেয়ালের সঙ্গে থাকা বিদ্যুতের পাইপ লাগিয়ে কারারক্ষীদের মারধর করে পালিয়ে যেতে চায়। একপর্যায়ে সেনাবাহিনীকে খবর দেওয়া হলে সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে বিদ্রোহ দমন করে। বন্দিদের মধ্যে ২০৯ জন দেয়াল টপকে পালিয়ে গেছে। এ সময় নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহগুলো গাজীপুর শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে হাসপাতালটির আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মোহাম্মদ মোস্তাক আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বুধবার সকালে একটি ট্রাকে করে ছয়জনের লাশ মর্গে রেখে চলে যায়। ডিউটিরত চিকিৎসককে খবর দিলে মেট্রোপলিটন পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। পরে পুলিশের সহযোগিতায় পরিবারের কাছে নিহতদের লাশ হস্তান্তর করা হয়।
পলাশ/সালমান/