ঢাকা ১ আশ্বিন ১৪৩১, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

জামালপুরে কারাবিদ্রোহ নিয়ন্ত্রণে, ৬ বন্দি নিহত

প্রকাশ: ০৯ আগস্ট ২০২৪, ০৬:২০ পিএম
জামালপুরে কারাবিদ্রোহ নিয়ন্ত্রণে, ৬ বন্দি নিহত
ছবি: খবরের কাগজ

জামালপুরে ১০ ঘন্টা পর জেলা কারাগারের বন্দিদের বিদ্রোহ নিয়ন্ত্রণে এনেছে কারা কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় ৬ বন্দি নিহত হন। এ ঘটনায় জেলার, কারারক্ষী ও বন্দিসহ আহত হয়েছে ১৯ জন।  

শুক্রবার (৯ আগস্ট) দুপুরে কারাগারের জেলার আবু ফাত্তাহ জানান, গত ৫ আগস্ট পর্যন্ত রাজনৈতিক ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গ্রেপ্তারকৃতদের সরকার মুক্তি দেয়। এতে অন্যান্য বন্দিরা তাদের মুক্তি দাবি করে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে বেশ কিছু কয়েদি দুইভাগে বিভক্ত হয়ে মারামারি করে। এর মধ্যে একটি গ্রুপের কয়েদিরা কারাগার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য তার কাছে এসে কারা ফটকের চাবি চায়। এ সময় তিনি কয়েদিদের চাবি দিতে না চাইলে তার উপর হামলা করে তাকে ও ১৩ কারারক্ষীকে জিম্মি করে মারধর করে কারাগারের ভেতরের ফটক ভেঙে বের হওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কারারক্ষীরা গুলি করে। মুহুর্মুহু গুলির শব্দে পাশ্ববর্তী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ শহরজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় দুই ঘন্টা থেমে থেমে ব্যাপক গোলাগুলি হয়। গোলাগুলির এক পর্যায়ে কারাগারের অভ্যন্তরে অগ্নিসংযোগ করে কয়েদিরা। অগ্নিসংযোগের ফলে সকল গুরুত্বপূর্ণ নথি, কাগজপত্র ও কয়েদিদের ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিসপত্র ভষ্মিভূত হয়ে যায়। এ সময় কয়েদিরা বাকী কারারক্ষীদের উপরও হামলা করে তাদের জিম্মি করে ফেলে। 

কারাগারে হট্টগোল এবং গুলির শব্দ পেয়ে কারাগারের ঠিক পাশেই অস্থায়ী ক্যাম্পে থাকা সেনাবাহিনীর সদস্যরা এগিয়ে এসে কারাগারের চারপাশ ঘিরে ফেলে। এ সময় কারাগারের ভেতর থেকে কয়েদীরা ‘আমাদের বাঁচান’ বলে তাদের আর্তনাদের শব্দ পাওয়া যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে কারাগারের দেওয়ালের উপর দিয়ে পানি ছিটিয়ে এক ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। সেনাবাহিনীর সদস্যরা এ সময় মাইকিং করে কয়েদিদের শান্ত থাকা ও পালিয়ে না যাওয়ার জন্য আহ্বান জানায়। এদিকে বিক্ষুব্ধ কয়েদিদের হাতে দুই ঘন্টা বন্দি থাকার পর অন্যান্য কয়েদির সহযোগিতায় জেলার আবু ফাত্তাহ বন্দিদশা থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন। পরে সেনাবাহিনী, র‌্যাব, পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। বিকাল থেকে সন্ধ্যার পর পর্যন্ত কারাগারের অভ্যন্তরে কয়েদিদের কাছে জিম্মি থাকা ৩ নারী কারারক্ষীসহ ১৩ জন কারারক্ষীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কারা কর্তৃপক্ষ। 

এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ কারারক্ষী রুকনুজ্জামান (৫০) কে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং সাদেক আলী (৪৫) ও জাহিদুল ইসলাম (৪১) কে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, অন্যান্য আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ধীরে ধীরে বেশিরভাগ কয়েদি নিজেরাই সেলে চলে গেলেও বিদ্রোহী কয়েদিরা পালানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখে। এতে পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থেমে থেমে গুলি চলায় কারারক্ষীরা, সেই সঙ্গে কারাগারের ভেতর থেকে কয়েদিদের আত্মচিৎকার ভেসে আসে। এদিকে বন্দি সকল কারারক্ষীদের কারাগারের অভ্যন্তর থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও ১০ ঘন্টা পর মধ্য রাতে পুরো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। 

জেলার আবু ফাত্তাহ বিদ্রোহের ঘটনায় ৬ জন বন্দি নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের আসার পর ৪০ থেকে ৫০ জন কারারক্ষীদের নিয়ে মধ্য রাতে কারাগারে প্রবেশ করে সব বন্দির সেলে অবস্থান করা নিশ্চিত করা হয়। কারা বন্দিদের মধ্যে যারা বিদ্রোহে অংশ নেয়নি তাদের জিম্মি করে ও নিজেদের মধ্যে মারামারির ঘটনায় ঘটনাস্থলেই নিহত ৫ বন্দির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও এ ঘটনায় গুরুত্বর আহত ৬ জন বন্দিকে উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ শুক্রবার সকালে আহতদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজন বন্দির মৃত্যু হয়।

নিহতরা হলেন- জামালপুর সদর উপজেলার আরমান, রায়হান, শ্যামল, ফজলে রাব্বি বাবু, জসিম, রাহাত। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর তাদের মৃত্যুর কারণ জানা যাবে বলে জানান তিনি। তাছাড়া বাকী কারাবন্দিরা সুস্থ আছে, তারা খাওয়া-দাওয়া করছে। বর্তমানে এই কারাগারে ৬৬৯ জন কারাবন্দি রয়েছে, কোন রাজনৈতিক বা জঙ্গি আসামি নেই, আর কয়েদিদের কেউ পালাতে পারেনি। 

আসমাউল আসিফ/এমএ/

পুকুরে ডুবে প্রাণ গেল দুই শিশুর

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:০৯ পিএম
পুকুরে ডুবে প্রাণ গেল দুই শিশুর
পানিতে ডুবে মৃত্যু। প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের চকরিয়ায় পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাহারিয়া ঘোনা সিকদার পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মিফতাহুল জন্নাত (১০) ওই এলাকার জমির উদ্দিনের মেয়ে এবং সানজিদা হোছাইন ইমু (৮) নবী হোছাইনের মেয়ে। তারা সম্পর্কে চাচাতো বোন। জন্নাত কাহারিয়া ঘোনা সিকদার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণি ও ইমু চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

পানিতে ডুবে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী। 

এদিকে স্থানীয় সিকদারপাড়া জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন মওলানা ফুরকান উদ্দিন জানান, জন্নাত ও ইমু সকালে কয়েকজন শিশুর সঙ্গে বাড়ির পাশে উঠানে খেলছিল। খেলার ছলে সবার অজান্তে পুকুরে ডুবে যায় তারা। পরিবারের লোকজন তাদের বাড়িতে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাদের পুকুরের পানিতে ভাসতে দেখেন তারা। তাদের মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন তারা। এ সময় আহাদ জামান (৬) নামের এক শিশুকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে শিশুটি।

ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।’

সালমান/

 

ভারতে গিয়ে ভারতবিরোধী পোস্ট, ভিসা বাতিল বাংলাদেশি যুবকের

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২৯ পিএম
ভারতে গিয়ে ভারতবিরোধী পোস্ট, ভিসা বাতিল বাংলাদেশি যুবকের
আলমগীর শেখ

লালমনিরহাটের পাটগ্রামের যুবক আলমগীর শেখ (৩৫) ভারতে টুরিস্ট ভিসায় গিয়ে ভারতবিরোধী পোস্ট ও লাইভে কথা বলার অভিযোগে তাকে আটক করে ভিসা বাতিল করে বাংলাদেশে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।
 
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে বুড়িমারী ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ আহসান হাবীব বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে রবিবার রাত ৮টায় ভারতে চ্যাংড়াবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের মাধ্যমে ভিসা বাতিল করে তাকে বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। 

আলমগীর শেখ পাটগ্রাম পৌর শহরের জুম্মাপাড়া এলাকার নুরু শেখের ছেলে।

ইমিগ্রেশন পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ৩ সেপ্টেম্বর পর্যটন ভিসায় ভারত যান আলমগীর হোসেন। ভারতে গিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভারতবিরোধী পোস্ট ও লাইভ করেন। পরে বিষয়টি নিরাপত্তা আধিকারিকদের নজরে আসে। পরে আলমগীরকে চিহ্নিত করে রাখা হয়। পরে রবিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশে ফেরত আসার সময় তাকে আটক করা হয়। এরপর চলে জিজ্ঞাসাবাদ। অবশেষে তার ভিসা বাতিল করে তাকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়। 

আলমগীর শেখ ভারতের আগ্রার তাজমহলে গিয়ে ফেসবুকে লাইভে এসে বলেন, ‘১৯৭১ সালে ভারত আমাদের অনেক সহযোগিতা করছেন, পাশাপাশি পাকিস্তান থেকে আমাদের ভাগ করে দিয়েছেন। এবার বাংলাদেশের জনগণ মিলে আমরা ভারতকে ভাগ করতে চাই। মনিপুরের জয় হোক। পাশাপাশি আমার বাংলা আমি ফেরত চাই। পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা আসাম রাজ্য বাংলাদেশের কাছে ফেরত দিতে বলেন।’

এমআই বকুল/জোবাইদা/অমিয়/

পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ৪৬ ঘণ্টা পর লঞ্চ চলাচল শুরু

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২৬ পিএম
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ৪৬ ঘণ্টা পর লঞ্চ চলাচল শুরু
ছবি : খবরের কাগজ

বৈরী আবহাওয়ায় ৪৬ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। এর আগে নদীপথে দুর্ঘটনা এড়াতে শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টা থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। 

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে পুনরায় লঞ্চ চলাচল শুরু হয়। 

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) পাটুরিয়া লঞ্চঘাটের সুপারভাইজার পান্না লাল নন্দী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, শনিবার সকালে বৈরী আবহাওয়ার কারণে নদী উত্তাল হয়ে প্রচণ্ড ঢেউয়ের সৃষ্টি হওয়ায় লঞ্চ চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। তাই দুর্ঘটনা এড়াতে ওইদিন বেলা ১১টা থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সকাল ৯টা থেকে পুনরায় লঞ্চ চলাচল শুরু হয়।

পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে মোট ১৭টি লঞ্চ দিয়ে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে।

আসাদ জামান/জোবাইদা/অমিয়/

সীমান্তে আবারও মহিষের চালান আটক

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২৪ পিএম
সীমান্তে আবারও মহিষের চালান আটক
৪৮ বিজিবির অভিযানে আটক ভারতীয় মহিষ ও মোবাইল ফোনের ডিসপ্লের চালান। ছবি : খবরের কাগজ

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মহিষ ও পৃথক অভিযানে ভারতীয় মালামাল জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি)।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে বিজিবি এ অভিযান পরিচালনা করে।

পরের দিন রবিবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানানো হয়। 

এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর ৪৮ বিজিবির অধীন সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার বিরাইমারা ব্রিজের সীমান্ত এলাকা থেকে ৬৭টি ভারতীয় মহিষ আটক করা হয়। 

অন্তর্বর্তী সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধে সর্বোচ্চ সতর্কতায় এ অভিযান পরিচালিত হয় বলে বিজিবির পক্ষ থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

বিজিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার রাতে সিলেট ব্যাটালিয়নের ৪৮ বিজিবির আওতাধীন শ্রীপুর এবং বাংলাবাজার বিওপির টহলদল সীমান্ত এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে এক হাজার ১৬৬ পিস ভারতীয় স্মার্ট মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে­ এবং সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলায় ১৬টি ভারতীয় মহিষ আটক করতে সক্ষম হয়। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় এক কোটি চার লাখ ৪৫ হাজার ৪০০ টাকা।

বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশের পর চোরাকারবারিরা বিজিবি টহল দলের টের পেয়ে মালামাল ফেলে পালিয়ে যায়।

জোবাইদা/অমিয়/

ময়মনসিংহে মাদকসম্রাজ্ঞী সুরমা গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:১৫ পিএম
ময়মনসিংহে মাদকসম্রাজ্ঞী সুরমা গ্রেপ্তার
ছবি : খবরের কাগজ

ময়মনসিংহে অভিযান চালিয়ে সুরমা বেগম (৩৮) নামে এক মাদকসম্রাজ্ঞীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।

রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টায় ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে এদিন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শহরের ইসলামবাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার সুরমা বেগম একই এলাকার লিটন মিয়ার স্ত্রী। তিনি শহরে অনেকের কাছে মাদকসম্রাজ্ঞী হিসেবে পরিচিত।

এ বিষয়ে র্যাব-১৪ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সামসুজ্জামান বলেন, সুরমা বেগম দীর্ঘদিন যাবত শহরে মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত। তিনি মাদকসম্রাজ্ঞী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ১২ থেকে ১৩টি মাদক মামলা আদালতে বিচারাধীন। গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি পলাতক ছিলেন।

তিনি বলেন, গ্রেপ্তার সুরমা বেগমকে জেলার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে হস্তান্তর করা হয়েছে। মাদক কারবারে সক্রিয় অন্যদেরও আইনের আওতায় আনতে চেষ্টা চলছে।

কামরুজ্জামান মিন্টু/জোবাইদা/অমিয়/