
পাঁচ দিন ধরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পড়ে থাকা লাশটি বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর গাজী নঈমুল হোসেন লিটুর।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার স্ত্রী নাজমা বেগম ও বড় ভাই গাজী মঞ্জুরুল হোসেন বরুণ।
গাজী মঞ্জুরুল হোসেন বরুণ জানান, গত ৫ আগস্ট সকালে আওয়ামী লীগের শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচির জন্য বাসা থেকে বের হন লিটু। তিনি বেলা দেড়টা পর্যন্ত নগরীর সোহেল চত্বরের দলীয় কার্যালয়ের সামনে ছিলেন। পরে সেখান থেকে নগরীর কালীবাড়ী রোডের সেরনিয়াবাত ভবনে যান। বেলা ৩টার দিকে বিএনপি নেতা-কর্মীরা ওই ভবনে অগ্নিসংযোগ করার পর থেকে লিটু নিখোঁজ ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম পটপরিবর্তনের কারণে লিটু হয়তো কোথাও আত্মগোপনে রয়েছে। কিন্তু গত চার দিনে কারও সঙ্গে কোনো যোগাযোগ না থাকায় আত্মীয়স্বজন, দলীয় শুভাকাঙ্ক্ষীদের জানিয়েও তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। মুঠোফোনও বন্ধ ছিল। মর্গে পড়ে থাকা লাশটি অন্য কারও ভেবে সেখানে এতদিন খোঁজ নিইনি। আজ (শুক্রবার) দুপুরে মর্গে গিয়ে লিটুর লাশটি শনাক্ত করা হয়। এ সময় আমার সঙ্গে লিটুর স্ত্রী নাজমা বেগমও ছিলেন।’
গত ৫ আগস্ট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর বাসভবনে অগ্নিসংযোগ করেন বিক্ষুব্ধ জনতা। সেদিন রাতে ওই বাড়ির দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষ থেকে তিনটি লাশ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। সে রাতেই নিহত দুজনের লাশ শনাক্ত করেন তাদের স্বজনরা। অন্য লাশটি মর্গেই ছিল। গতকাল জানা গেল লাশটি লিটুর।