ঢাকা ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫
English
শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

রাজশাহীতে লুট হওয়া মালামাল উদ্ধারে মাঠে সেনাবাহিনী

প্রকাশ: ১১ আগস্ট ২০২৪, ১০:১২ এএম
রাজশাহীতে লুট হওয়া মালামাল উদ্ধারে মাঠে সেনাবাহিনী
ছবি : সংগৃহীত

রাজশাহীতে লুট হওয়া মালামাল উদ্ধারে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে মাঠে নেমেছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। 

শনিবার (১০ আগস্ট) সকালে নগরীর বুলনপুর ও কোর্ট এলাকায় অভিযান চালান তারা। এ সময় লুটের প্রায় ৩০ শতাংশ মালামাল উদ্ধার করা হয়।

সরেজমিন দেখা যায়, লুট হওয়া মালামাল ফেরত দিতে মাইক নিয়ে প্রতিটি গলিগলিতে আহ্বান জানান ছাত্ররা। আহ্বানে সাড়া দিয়ে অনেকেই মালামাল ফেরত দেন। একজন ম্যাজিস্ট্রেট ফেরত পাওয়া মালামালগুলোর তালিকা করেন। জানা যায়, গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগ করলে সারা দেশের মতো রাজশাহীর বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। সেই লুট হওয়া মালামাল উদ্ধারে শনিবার থেকে পাড়া-মহল্লায় সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে অভিযান শুরু হয়।
 
এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, স্থানীয় তরুণ সমাজ, সংশ্লিষ্ট অফিস ও রেড ক্রিসেন্টের আহ্বানে সাড়া দিয়ে রাজশাহীর বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা থেকে লুট হওয়া মালামাল ফিরিয়ে দিতে শুরু করেন অনেকে। নগর ভবন থেকে লুট হওয়া মালামাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মানুষ ফেরত দিতে শুরু করে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থী ও রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা এসব মালামাল লিপিবদ্ধ করে লোকজনের কাছ থেকে বুঝে নেন। বিশেষ করে হাইটেক পার্ক ও রাসিকের মালামাল ফেরত আসে বেশি। এ ছাড়া অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি অফিস ও স্থাপনা থেকে লুট হওয়া মালামালও অল্প কিছু ফেরত আসে। ফিরিয়ে দেওয়া মালামালের মধ্যে কম্পিউটার সামগ্রী, অফিস আসবাবপত্র, ফ্যান, এসি, চেয়ার ও সোফা রয়েছে।  

রাজশাহীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ফাহিম রাজ জানান, যা ঘটে গেছে তা খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত এবং দুঃখজনক। তারা এগুলো কখনোই সমর্থন করেন না। তাই শুরু থেকেই এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য তাদের পক্ষ থেকে সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়।  

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহীর সমন্বয়ক তাহাজ নূর আদি বলেন, এসব ঘটনার পর শুরু থেকেই মানুষকে রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট না করার জন্য সচেতন করা হয়েছে। কারণ এসব সম্পদ সবার। তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে যারা মালামাল ফেরত দিচ্ছেন, তাদের কাউকেই কোনো হয়রানির মধ্যে পড়তে হচ্ছে না। এ ছাড়া তাদের পরিচয়ও গোপন রাখা হচ্ছে।

সেনাবাহিনীর মেজর মোবাশ্বির হোসেন খান বলেন, ‘আমরা রেড ক্রিসেন্টসহ সহযোগী সংগঠন নিয়ে মাঠে নেমেছি। আমরা লুটপাট হওয়া মালামাল উদ্ধারে মাঠে নেমেছি। এরই মধ্যে আমরা ৩০ শতাংশ লুটপাটের মালামাল উদ্ধার করেছি। এসব মালামাল স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই অভিযান চলমান থাকবে।

পলাশবাড়ীতে কয়েকটি গ্রামে ঈদুল আজহা উদযাপন

প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২৫, ০২:০২ পিএম
পলাশবাড়ীতে কয়েকটি গ্রামে ঈদুল আজহা উদযাপন
ছবি: খবরের কাগজ

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করেছে কয়েকটি গ্রামের কিছু মুসল্লি।

দেশের প্রচলিত নিয়মানুসারে এলাকায় একদিন আগেই উদযাপন করায় স্থানীয়দের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। 

শুক্রবার (৬ জুন ) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জেলার সহিহ হাদিস সম্প্রদায়ের মুসল্লিরা উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের তালুক ঘোড়াবান্দা গ্রামের মধ্যপাড়ার ব্যক্তিমালিকানাধীন ভবনের ছাদে ঈদের নামাজ আদায় করেন।

ঈদের নামাজে ইমামতি ও খুৎবা পাঠ করেন মাসুদ রানা। 

সকাল থেকেই সদর উপজেলা, পলাশবাড়ী ও সাদুল্লাপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে মুসল্লিরা তালুক ঘোড়াবান্ধা মধ্যপাড়ায় জড়ো হতে থাকেন। পরে তারা সেখানে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেন।

ঈদের জামাতে শিশুসহ ২৫ থেকে ৩০ জন মুসুল্লি অংশ নেন।

নামাজ শেষে মুসল্লিরা ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করেন।

নামাজ পড়তে আসা সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের রুঘুনাথপুর গ্রামের সাদেকুল ইসলাম ও একই ইউপির দুর্গাপুর গ্রামের আব্বাস আলী আকন্দ বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদের নামাজ পড়তেই আজ সকালে এখানে এসেছি। সবাই মিলে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করলাম। এভাবেই ১০ বছর যাবত ঈদের নামাজ পড়ে আসছি।

পলাশবাড়ী উপজেলার তালুক ঘোড়াবান্ধা গ্রামের শাহারুল ইসলাম বলেন, আমাদের গ্রামের ৮-১০টি পরিবার মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করে আসছি।  তবে কোরবানি দেব আগামীকাল। 

এদিকে, একদিন আগে ঈদ উদযাপনে অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত ছিল পুলিশ।

রফিক খন্দকার/অমিয়/

গাজীপুরে ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত, কোরবানি শনিবার

প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২৫, ০১:৫১ পিএম
গাজীপুরে ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত, কোরবানি শনিবার
ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুর সদর উপজেলার পূর্ব ডগরী এলাকায় পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে কোরবানি দেওয়া হবে আগামীকাল অর্থাৎ সরকার নির্ধারিত ঈদের দিন।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) ভোর ৬টার দিকে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে অনুষ্ঠিত এই জামাতে ৮০ থেকে ১০০ জন মুসল্লি অংশ নেন।

জামাতে ইমামতি করেন মাওলানা ড. এ কে এম মাহবুবুর রহমান। 

জামাতকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

স্থানীয়রা জানান, সৌদি আরবের চাঁদ দেখার ভিত্তিতে তারা প্রতিবছরই ঈদ উদযাপন করে থাকেন। এবারও সেই ধারাবাহিকতায় ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। তবে তারা জানান, কোরবানির পশু জবাই করা হবে বাংলাদেশের সরকার নির্ধারিত ঈদের দিনেই।

এ বিষয়ে মুসল্লিদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে কোরবানি দেওয়ার নির্দিষ্ট সময় রয়েছে - যা আরাফাহ দিবসের পরদিন থেকে শুরু হয়ে পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে সম্পন্ন করা যায়। তাই কোরবানি বাংলাদেশে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্ধারিত ঈদের দিনেই দেওয়া হবে।

এদিকে, সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আগেভাগে ঈদ উদযাপনের বিরোধিতা করে স্থানীয় হক্কানি ওলামায়ে কেরাম এবং ঈমানদার তাওহিদি জনতা সম্প্রতি বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন। এতে এলাকায় কিছুটা উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে উভয়পক্ষকে শান্তিপূর্ণ অবস্থান বজায় রাখার আহ্বান জানানো হয়।

জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম জানান, ঈদের একদিন আগে জামাত অনুষ্ঠিত হলেও এ বিষয়ে সরকারিভাবে কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকায় এবং কোনো ধরনের বাধা না আসায় তা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন ছিল।

পলাশ প্রধান/অমিয়/

ফরিদপুরে ১২ গ্রামে ঈদুল আজহা উদযাপন

প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২৫, ০১:২১ পিএম
ফরিদপুরে ১২ গ্রামে ঈদুল আজহা উদযাপন
ছবি: খবরের কাগজ

ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ১২টি গ্রামে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল আজহা উদযাপন করা হচ্ছে। 

শুক্রবার (৬ জুন) বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ও রূপাপাত ইউনিয়নের চারটি স্থানে সকাল ৯টা, সাড়ে ৯টায় ও ১০টায় পর্যায়ক্রমে চারটি ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

এ ছাড়াও আলফাডাঙ্গা, ভাঙ্গা ও সদরপুর উপজেলার কয়েকটি গ্রামে ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে।

ঈদ জামাতে অংশ নিয়ে মুসল্লিরা বলেন, চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার মির্জাখীল দরবার শরীফের মুরিদানরা মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগে ঈদ ও অন্যান্য ধর্মীয় উৎসব উদযাপন করে থাকেন। 

সরোজমিনে দেখা যায়, বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের রাখালতলি ঈদগাহ ময়দানে সকাল ৯টা, মাইটকুমরা জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টা, মাইটকুমরা লস্করবাড়ি জামে মসজিদে সাড়ে ৯টা এবং সহস্রাইল দায়রা শরীফে সকাল ১০টায় ঈদের নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা।

নামাজ শেষে তারা কোরবানি দেওয়া শুরু করেন। 

সঞ্জিব দাস/অমিয়/

গরুর জন্য ‘আবাসিক হোটেল’ খাবার ‘বুফে’ পদ্ধতিতে

প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২৫, ০১:০৪ পিএম
আপডেট: ০৬ জুন ২০২৫, ০১:১০ পিএম
গরুর জন্য ‘আবাসিক হোটেল’ খাবার ‘বুফে’ পদ্ধতিতে
ছবি: খবরের কাগজ

মানুষের জন্য নয়, চুয়াডাঙ্গায় এবার গরুর জন্য তৈরি হয়েছে ব্যতিক্রমী এক ‘আবাসিক হোটেল’। যেখানে প্রতিটি গরুর জন্য নির্ধারিত ভাড়া ২৪ ঘণ্টায় মাত্র ৫০০ টাকা। আছে চেক-ইন, চেক-আউট, গোসল, দিনে চার বেলা খাবার, এমনকি খোলা পরিবেশে ঘোরাফেরার সুব্যবস্থাও।

জেলার দামুড়হুদা উপজেলার ডুগডুগি গরুর হাটের পাশেই আমবাগানের ভেতর গড়ে উঠেছে এই অভিনব হোটেল ‘আরিফ গবাদিপশু হোটেল কাম ওয়্যারহাউস’।

উদ্যোক্তা আরিফুল ইসলাম একজন অভিজ্ঞ গরু ব্যবসায়ী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে গরু কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত এবং হাটে আসা অন্যান্য ব্যাপারীদেরও সহযোগিতা করেন।

গরু কেনার পর এক হাট থেকে অন্য হাটে নিতে যেসব ব্যাপারী গরু রেখে যাওয়ার উপযুক্ত জায়গা খুঁজে পান না, তাদের সমস্যার সমাধান করতেই গড়ে তুলেছেন এই বিশেষ হোটেল।

হোটেলটি আপাতত ১৭টি গরু রাখার সক্ষমতা সম্পন্ন হলেও ভবিষ্যতে এর পরিধি আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। গরু রাখার স্থান প্রতিদিন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা হয়। প্রতিটি গরুর জন্য নির্দিষ্ট খাবারের পাত্রে সব সময় ঘাস-বিচালি রাখা থাকে। গরুর খাওয়া নির্ভর করে তার ইচ্ছায়। চাহিদা অনুযায়ী সব সময় খাবার প্রস্তুত থাকে। পাশাপাশি কর্মীরা গরুর গোসল করান এবং দিনে তিন-চার বেলা খাবার দেন।

হোটেল মালিক আরিফুল ইসলাম বলেন, “অনেকেই কোরবানির হাটে এসে একটি গরু কেনার পর আরেকটি কেনার আগে চিন্তায় পড়ে যান, যে আগের গরুটি রাখবেন কোথায়। তাদের কথা মাথায় রেখেই এই হোটেল চালু করেছি। হাটের কাছাকাছি হওয়ায় যারা একাধিক গরু কিনতে চান, তারা প্রথমে গরু হোটেলে রেখে নিশ্চিন্তে হাটে ঘুরে বাকি গরু কিনে নিতে পারছেন।”

মানুষের হোটেলের মতোই এখানে রয়েছে চেক-ইন ও চেক-আউট ব্যবস্থা। গরু হোটেলে প্রবেশের পর ঠিক ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত সময়কে এক দিনের হিসেব ধরা হয়। খাওয়া-দাওয়া সম্পূর্ণ ‘বুফে’ পদ্ধতিতে। কেউ চাইলে ছাগল রাখার ব্যবস্থাও রয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, গরুর হোটেলটির পরিবেশ পরিচ্ছন্ন, নিরাপত্তাব্যবস্থা উন্নত এবং যোগাযোগব্যবস্থাও সহজ। জেলা সদরের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ থাকায় এখান থেকে দেশের যেকোনো প্রান্তে গরু পাঠানো সম্ভব।

হোটেল কর্তৃপক্ষ জানায়, নতুন এই উদ্যোগে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। চাহিদা অনুযায়ী ভবিষ্যতে আরও কক্ষ বা ঘর নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। হোটেলটি শিগগিরই সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডা. আ. হা. ম. শামিমুজ্জামান বলেন, “এটি একটি অভিনব ও সময়োপযোগী উদ্যোগ। গরু কেনাবেচায় আগ্রহী ব্যবসায়ীদের জন্য এটি অত্যন্ত সহায়ক। এখান থেকে গরু নিরাপদে রেখে ব্যবসায়ীরা আরাম করে কেনাকাটা সম্পন্ন করতে পারছেন। শুধু কোরবানির মৌসুম নয়, এই হোটেল সারা বছর খোলা থাকবে।”

মিজানুর রহমান/অমিয়/

যমুনা সেতু পশ্চিম মহাসড়কে ঢাকামুখী লেনে ৪ কিমি যানজট

প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২৫, ১২:৫৪ পিএম
যমুনা সেতু পশ্চিম মহাসড়কে ঢাকামুখী লেনে ৪ কিমি যানজট
ছবি: খবরের কাগজ

সিরাজগঞ্জের যমুনা সেতুর পশ্চিম প্রান্তে ঢাকামুখী লেনে দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট। যমুনা সেতু পশ্চিমপাড় থেকে সায়দাবাদ পর্যন্ত পুরোপুরি অচলাবস্থায় রয়েছে ঢাকামুখী লেন। 

ঈদের আগের দিন শুক্রবার (৬ জুন) সকাল থেকে যাত্রীদের সুবিধা ও উত্তরবঙ্গগামী গাড়ির গতি ঠিক রাখতে সাময়িক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এই লেনের টোল আদায়। ফলে সেতু এলাকা ও সংযোগ মহাসড়কে সৃষ্টি হয়েছে চরম অচলাবস্থা।

সরেজমিনে যমুনা সেতু পশ্চিম সংযোগ সড়ক এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ঢাকামুখী লেনে ট্রাক, বাস ও প্রাইভেটকারগুলো ঘণ্টার পর ঘণ্টা এক জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে। তবে উত্তরবঙ্গগামী লেন স্বাভাবিক।

যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল বলেন, ঢাকামুখী যেসব যানবাহন রয়েছে; সেগুলোর মধ্যে চালক ও হেলপার ছাড়া যাত্রী নেই বললেই চলে। অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গগামী লেনে যাত্রী ও গাড়ির চাপ ব্যাপক হলেও যানজট নেই। তাই মানুষের সুবিধার্থে আপাতত ঢাকামুখী লেন বন্ধ রাখা হয়েছে, কিন্তু উত্তরমুখী লেনে টোল আদায় চলছে।

এদিকে হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রউফ বলেন, উত্তরবঙ্গগামী যাত্রীদের চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। যমুনা সেতু পার হওয়ার পর আর কোনো বড় ধরনের জট নেই। মানুষ নিশ্চিন্তে বাড়ি ফিরছেন। যানজট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশ ও ট্রাফিক বিভাগ টানা কাজ করছে। তারা যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বিভিন্ন জায়গায় দায়িত্ব পালন করছেন। তবে ঢাকামুখী লেনে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ তাদের কার্যক্রমে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঢাকামুখী লেনের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কিছুটা সময় লাগবে। 

অমিয়/