ঢাকা ১ আশ্বিন ১৪৩১, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

টানা বৃষ্টিতে কৃষকের স্বস্তি, ধান-পাটে মিলছে সুফল

প্রকাশ: ১১ আগস্ট ২০২৪, ১০:১৫ এএম
টানা বৃষ্টিতে কৃষকের স্বস্তি, ধান-পাটে মিলছে সুফল
কয়েক দিনের বৃষ্টিতে জমিতে পানি জমায় আমন ধান রোপণ করছেন কৃষকরা। শুক্রবার গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার মনোহরপুর ইউপির কুমারগাড়ী গ্রামের সাসপের বিল থেকে তোলা। ছবি- খবরের কাগজ

ভরা বর্ষায় বৃষ্টির দেখা পাওয়া না গেলেও শ্রাবণের শেষ সময়ে এসে গাইবান্ধায় ব্যাপক বৃষ্টিপাত হচ্ছে। দুদিনের টানা বৃষ্টিতে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। চলতি আমন মৌসুমে তাদের এবার সেচ বাবদ বাড়তি খরচ গুনতে হবে না। স্বস্তির বৃষ্টিতে কৃষকের পাট জাগ দেওয়ার দুশ্চিন্তারও অবসান ঘটেছে। কৃষকরা বলছেন, গত বছর এই সময় আমনের আবাদ করে তারা ভালো ফলন পেয়েছেন।

এবার পুরো মৌসুমে বৃষ্টি না থাকায় তারা দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ের বৃষ্টি তাদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। এখন তারা পাটের খেতেই আমন আবাদ করবেন। কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত আমন রোপণ করা যায়। জেলার মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের নানাভাবে কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নিয়ন্ত্রণকক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, গত বুধবার থেকে শুক্রবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত জেলায় ২৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রের্কড করা হয়। এই দুদিনে এ সপ্তাহের রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে রংপুর আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা সারা দেশে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। বৃষ্টিপাত আরও বাড়তে পারে। রংপুর বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

পলাশবাড়ী উপজেলার তালুক ঘোড়াবান্ধা গ্রামের আলম মিয়া (৫০) বলেন, পুরো আষাঢ় মাসে বৃষ্টি হয়নি। শ্রাবণ মাস প্রায় শেষ, বর্ষা মৌসুমে পানি ছিল না। পানির অভাবে অনেক কৃষকই সেচযন্ত্র চালু করে আমন রোপণ করছেন। এতে চাষিদের সেচ বাবদ বাড়তি খরচ গুনতে হয়েছে। তবে গত বুধবার থেকে রাতে-দিনে থেমে থেমে অনেক বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে জমিতে পানি জমতে শুরু করেছে। পর্যাপ্ত বৃষ্টি হওয়ায় কৃষকদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। 

একই গ্রামের বিপ্লব মিয়া (৪০) বলেন, সাধারণত আষাঢ় মাসের মাঝামাঝি সময়ে আমন রোপণ করে থাকি। কিন্তু এবার আষাঢ়ে বৃষ্টি ছিল না। শ্রাবণের শেষ দিকে এসে ভারি বৃষ্টি হচ্ছে। এখন আমন রোপণ করতে পারব। ভালো ফলন পাব। গত বছর এমন সময়ে আমন ধান রোপণ করেছিলাম। ভালো ফলন পেয়েছি।

প্রতিবেশী জাফিরুল ইসলাম (৫২) নামে এক কৃষক জানান, পানির অভাবে আমন রোপণ নিয়ে যেমন শঙ্কা ছিল, তেমনি পাট জাগ দেওয়া নিয়েও ছিল দুশ্চিন্তা। পানির অভাবে পাট জাগ দিতে না পেরে অনেক চাষির পাট জমিতেই শুকিয়ে যাচ্ছিল। পর্যাপ্ত বৃষ্টিতে এখন পাট কেটে দ্রুত আমন চাষ করতে পারবে।

কুমারগাড়ী গ্রামের বাটু মিয়া বলেন, বৃষ্টির কারণে জমিতে পর্যাপ্ত পানি জমেছে। সব কৃষক একসঙ্গে আমন ধান রোপণ করতে ব্যস্ত সময় পার করছে। এতে কৃষি শ্রমিকসংকট দেখা দিয়েছে। 

কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি মৌসুমে জেলায় ১ লাখ ৩৩ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর ১ লাখ ২৯ হাজার ৭২০ হেক্টর জমিতে আমনের চাষ হয়েছিল। এরই মধ্যে কৃষকরা সেচ কার্যক্রম শুরু করে জেলায় ৫৩ শতাংশ জমিতে আমন রোপণ শেষ করেছেন। এ ছাড়াও জেলায় ১৩ হাজার ৭৯০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। এসব আবাদ থেকে ৩৯ হাজার ৯০০ টন পাট উৎপাদনের সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক খোরশেদ আলম বলেন, অনেক চাষিদের বীজতলায় বীজ পরিপক্ব হয়ে যাচ্ছে। তারা বৃষ্টির অপেক্ষা না করে আগেই সেচযন্ত্র চালু করে আমন রোপণ শুরু করেছেন। এখন ভারী বৃষ্টিতে জলাশয়গুলোতে পানি ভরে গেছে। কৃষকরা সহজেই পাট জাগ দিতে পারবেন। পানির অভাবে আমন রোপণ নিয়ে কিছুটা চিন্তা থাকলেও দুদিনের বৃষ্টিতে সেই সংকট দূর হয়েছে। কৃষকরা পুরাদমে আমন রোপণ শুরু করেছে। আগস্ট মাসের ১২ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে আমন ধান লাগানো শেষ হবে। তবে সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত আমন রোপণ করা যায়। জেলার মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের নানাভাবে কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

ঈদে মিলাদুন্নবীর মিছিল ঘিরে সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩০

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৩ পিএম
ঈদে মিলাদুন্নবীর মিছিল ঘিরে সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩০
ঈদে মিলাদুন্নবীর জলসে মিছিলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু হয়েছে। ছবি : খবরের কাগজ

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে ঈদে মিলাদুন্নবী জলসে মিছিলকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে মীর আরিফ মিলন (৫২) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া ১০-১২টি দোকানপাট ও ঘর ভাঙচুর এবং এ ঘটনায় উভয়পক্ষের ৩০ জন আহত হয়েছেন। 

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টার দিকে উপজেলার ছয়সূতি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মিলন উপজেলার ছয়সূতি এলাকার মৃত মীর জাবু মিয়ার ছেলে।  

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কুলিয়ারচরের ছয়সূতির প্রতাপনাথ বাজার এলাকার সৈয়দ আবু মোহাম্মদ মঞ্জুরুল হামিদ (রহ.) মাজার আয়োজিত মাহফিলে মাওলানা গিয়াস উদ্দিন আত তাহেরীর আগমনকে কেন্দ্র করে এলাকায় বিরোধ সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে সোমবার সকালে ঈদে মিলাদুন্নবীর মিছিলকে কেন্দ্র করে সুন্নি সমর্থক ও ইমাম-উলামাদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ইমাম-উলামা পরিষদের সমর্থক মীর আরিফ মিলন নামের এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

কুলিয়ারচর ইমাম-উলামা পরিষদের নেতা মুফতি নাসির উদ্দিন রহমানী ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আসাদুল্লাহ বলেন, ‘প্রশাসনের সঙ্গে আমরা কয়েক দফা কথা বলেছি। প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা সিরাতুন্নবী মাহফিল বন্ধ রাখি। কিন্তু তাদের ঈদে মিলাদুন্নবীর জশনে জুলুসের মিছিল করতে দেয়। তারা আমাদের এক ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করেছে এবং অনেকে আহত হয়েছেন। তারা হুসাইয়নিয়া মাদ্রাসা ও কেন্দ্রীয় মসজিদে বেদাতিরা হামলা ও ভাঙচুর করেছে।’ 

সৈয়দ আবু মোহাম্মদ মঞ্জুরুল হামিদ (রহ.) মাজারের খাদেম সৈয়দ ফয়জুল আলম বলেন, ‘গতকাল গিয়াস উদ্দিন তাহেরী হুজুরকে দিয়ে একটি মাহফিল করানোর কথা ছিল। কিন্তু উপজেলা প্রশাসন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা মাহফিল আয়োজন বন্ধ করে দেয়। প্রতি বছরের মতো এবারও প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী আমরা মিছিল বের করি। তারা আমাদের মিছিলে হামলা চালিয়ে মাজারসহ ৮-১০টি ঘর, দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে।’

খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ বিষয়ে কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ (ওসি) মো. সারোয়ার জাহান বলেন, ‘ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আহলে সুন্নতে জামায়েত একটি মিছিল ছিল। সেই মিছিলকে কেন্দ্র করে ইমাম-উলামা পরিষদের লোকদের সঙ্গে বিরোধ ছিল। তারই জের ধরে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মিছিল গেলে সে সময় মিছিল থেকে কয়েকজন দুষ্কৃতিকারী মসজিদের দিকে ইটপাটকেল ছুড়লে দু’পক্ষের মধ্য সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় ইমাম-উলামা পরিষদের এক সমর্থক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এলাকায় পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।’

সালমান/ 

 

পুকুরে ডুবে প্রাণ গেল দুই শিশুর

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:০৯ পিএম
পুকুরে ডুবে প্রাণ গেল দুই শিশুর
পানিতে ডুবে মৃত্যু। প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের চকরিয়ায় পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাহারিয়া ঘোনা সিকদার পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মিফতাহুল জন্নাত (১০) ওই এলাকার জমির উদ্দিনের মেয়ে এবং সানজিদা হোছাইন ইমু (৮) নবী হোছাইনের মেয়ে। তারা সম্পর্কে চাচাতো বোন। জন্নাত কাহারিয়া ঘোনা সিকদার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণি ও ইমু চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

পানিতে ডুবে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী। 

এদিকে স্থানীয় সিকদারপাড়া জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন মওলানা ফুরকান উদ্দিন জানান, জন্নাত ও ইমু সকালে কয়েকজন শিশুর সঙ্গে বাড়ির পাশে উঠানে খেলছিল। খেলার ছলে সবার অজান্তে পুকুরে ডুবে যায় তারা। পরিবারের লোকজন তাদের বাড়িতে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাদের পুকুরের পানিতে ভাসতে দেখেন তারা। তাদের মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন তারা। এ সময় আহাদ জামান (৬) নামের এক শিশুকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে শিশুটি।

ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।’

সালমান/

 

ভারতে গিয়ে ভারতবিরোধী পোস্ট, ভিসা বাতিল বাংলাদেশি যুবকের

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২৯ পিএম
ভারতে গিয়ে ভারতবিরোধী পোস্ট, ভিসা বাতিল বাংলাদেশি যুবকের
আলমগীর শেখ

লালমনিরহাটের পাটগ্রামের যুবক আলমগীর শেখ (৩৫) ভারতে টুরিস্ট ভিসায় গিয়ে ভারতবিরোধী পোস্ট ও লাইভে কথা বলার অভিযোগে তাকে আটক করে ভিসা বাতিল করে বাংলাদেশে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।
 
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে বুড়িমারী ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ আহসান হাবীব বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে রবিবার রাত ৮টায় ভারতে চ্যাংড়াবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের মাধ্যমে ভিসা বাতিল করে তাকে বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। 

আলমগীর শেখ পাটগ্রাম পৌর শহরের জুম্মাপাড়া এলাকার নুরু শেখের ছেলে।

ইমিগ্রেশন পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ৩ সেপ্টেম্বর পর্যটন ভিসায় ভারত যান আলমগীর হোসেন। ভারতে গিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভারতবিরোধী পোস্ট ও লাইভ করেন। পরে বিষয়টি নিরাপত্তা আধিকারিকদের নজরে আসে। পরে আলমগীরকে চিহ্নিত করে রাখা হয়। পরে রবিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশে ফেরত আসার সময় তাকে আটক করা হয়। এরপর চলে জিজ্ঞাসাবাদ। অবশেষে তার ভিসা বাতিল করে তাকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়। 

আলমগীর শেখ ভারতের আগ্রার তাজমহলে গিয়ে ফেসবুকে লাইভে এসে বলেন, ‘১৯৭১ সালে ভারত আমাদের অনেক সহযোগিতা করছেন, পাশাপাশি পাকিস্তান থেকে আমাদের ভাগ করে দিয়েছেন। এবার বাংলাদেশের জনগণ মিলে আমরা ভারতকে ভাগ করতে চাই। মনিপুরের জয় হোক। পাশাপাশি আমার বাংলা আমি ফেরত চাই। পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা আসাম রাজ্য বাংলাদেশের কাছে ফেরত দিতে বলেন।’

এমআই বকুল/জোবাইদা/অমিয়/

পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ৪৬ ঘণ্টা পর লঞ্চ চলাচল শুরু

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২৬ পিএম
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ৪৬ ঘণ্টা পর লঞ্চ চলাচল শুরু
ছবি : খবরের কাগজ

বৈরী আবহাওয়ায় ৪৬ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। এর আগে নদীপথে দুর্ঘটনা এড়াতে শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টা থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। 

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে পুনরায় লঞ্চ চলাচল শুরু হয়। 

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) পাটুরিয়া লঞ্চঘাটের সুপারভাইজার পান্না লাল নন্দী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, শনিবার সকালে বৈরী আবহাওয়ার কারণে নদী উত্তাল হয়ে প্রচণ্ড ঢেউয়ের সৃষ্টি হওয়ায় লঞ্চ চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। তাই দুর্ঘটনা এড়াতে ওইদিন বেলা ১১টা থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সকাল ৯টা থেকে পুনরায় লঞ্চ চলাচল শুরু হয়।

পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে মোট ১৭টি লঞ্চ দিয়ে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে।

আসাদ জামান/জোবাইদা/অমিয়/

সীমান্তে আবারও মহিষের চালান আটক

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২৪ পিএম
সীমান্তে আবারও মহিষের চালান আটক
৪৮ বিজিবির অভিযানে আটক ভারতীয় মহিষ ও মোবাইল ফোনের ডিসপ্লের চালান। ছবি : খবরের কাগজ

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মহিষ ও পৃথক অভিযানে ভারতীয় মালামাল জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি)।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে বিজিবি এ অভিযান পরিচালনা করে।

পরের দিন রবিবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানানো হয়। 

এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর ৪৮ বিজিবির অধীন সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার বিরাইমারা ব্রিজের সীমান্ত এলাকা থেকে ৬৭টি ভারতীয় মহিষ আটক করা হয়। 

অন্তর্বর্তী সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধে সর্বোচ্চ সতর্কতায় এ অভিযান পরিচালিত হয় বলে বিজিবির পক্ষ থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

বিজিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার রাতে সিলেট ব্যাটালিয়নের ৪৮ বিজিবির আওতাধীন শ্রীপুর এবং বাংলাবাজার বিওপির টহলদল সীমান্ত এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে এক হাজার ১৬৬ পিস ভারতীয় স্মার্ট মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে­ এবং সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলায় ১৬টি ভারতীয় মহিষ আটক করতে সক্ষম হয়। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় এক কোটি চার লাখ ৪৫ হাজার ৪০০ টাকা।

বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশের পর চোরাকারবারিরা বিজিবি টহল দলের টের পেয়ে মালামাল ফেলে পালিয়ে যায়।

জোবাইদা/অমিয়/