ঢাকা ৩০ ভাদ্র ১৪৩১, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নোয়াখালীতে থানা থেকে লুট হওয়া ৯০১ অস্ত্র-গুলি উদ্ধার

প্রকাশ: ১২ আগস্ট ২০২৪, ০৪:০৯ পিএম
নোয়াখালীতে থানা থেকে লুট হওয়া ৯০১ অস্ত্র-গুলি উদ্ধার
ছবি: খবরের কাগজ

নোয়াখালীর চাটখিল ও সোনাইমুড়ী থানা থেকে লুট হওয়া ৯০১ অস্ত্র, গুলি ও টিয়ারশেল উদ্ধার করেছে জেলা আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী (ভিডিপি)। এ ছাড়া পুলিশের ব্যবহৃত কিছু সরঞ্জামও উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার (১২ আগস্ট) দুপুরে আনসারের জেলা কমান্ড্যান্ট কার্যালয়ের সামনে অস্ত্রগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে সেনাবাহিনীর নোয়াখালী ক্যাম্পের উপ-অধিনায়ক মেজর রিফাত আনোয়ারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

আনসার ও ভিডিপির পরিচালক (জেলা কমান্ড্যান্ট) রোকসানা বেগম বিষয়টি খবরের কাগজকে নিশ্চিত করেছেন।

উদ্ধার হওয়া অস্ত্রগুলোর মধ্যে চাটখিল থানার ১২০ রাউন্ড রাইফেলের বুলেট, একটি এসএমজি, সাউন্ড গ্রেনেড, ম্যাগজিন, পাঁচটি শর্টগান, ২০টি সীসা কার্তুজ, তিনটি টিয়ারশেল, চার সেট হ্যান্ডকাপ এবং সোনাইমুড়ী থানার একটি রাইফেল, পাইপগান, দুটি পিস্তল, গ্যাস গান, ১১ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, ৬৩৬ রাউন্ড রাইফেলের গুলি, ৬৭টি রাবার কার্তুজ, ১২টি সীসা কার্তুজ, তিন সেট হ্যান্ডকাফ, সাতটি টিয়ারশেল ও চারটি সাউন্ড গ্রেনেড রয়েছে।

এ ছাড়া পুলিশের একটি মোটরসাইকেল, দুটি ল্যাপটপ, একটি কিবোর্ড, একটি মাউস, একটি হ্যান্ডমাইক, একটি ওয়্যারলেস, দুটি ওয়্যালেস ব্যাটারি ও একটি ট্রাফিক সিগনাল লাইটও উদ্ধার করা হয়েছে।

রোকসানা বেগম বলেন, ‘দুর্যোগ মূহুর্তে নোয়াখালীর সবগুলো থানা, ট্রাফিকসহ বিভিন্নস্থানে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। গত কয়েকদিনে আমাদের সদস্যদের উদ্ধার করা এসব অস্ত্র-গুলি আমরা আজ (সোমবার) সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেছি।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে যতদিন প্রয়োজন হয় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা তাদের দায়িত্ব পালন করে যাবেন। আমাদের সদস্যদেরকে সার্বিক সহযোগিতা করার আহ্বান জানাচ্ছি।’

অস্ত্র-গুলি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে নোয়াখালী সেনা ক্যাম্প এবং জেলা আনসার ও প্রতিরক্ষা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

গত সোমবার (৫ আগস্ট) সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবরে নোয়াখালীর চাটখিল ও সোনাইমুড়ী থানায় হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগ ও অস্ত্র-গুলি লুট করে দুর্বৃত্তরা। 

এ সময় সোনাইমুড়ী থানার তিন পুলিশসহ আটজন নিহত হন।

মজনু/পপি/

১৮ বছর ধরে চলছে কার্যক্রম বিনামূল্যে সাঁতার শেখান ফরিদুল

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৫০ এএম
বিনামূল্যে সাঁতার শেখান ফরিদুল
ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের ধরে ধরে সাঁতার শেখাচ্ছেন ফরিদুল হক। মাগুরার হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের পুকুর থেকে তোলা। খবরের কাগজ

বন্ধুর মেয়ে কলেজে পড়া অবস্থায় পানিতে ডুবে মারা যায়। বিষয়টি খুব পীড়া দেয় শিক্ষক ফরিদুল হককে। সেই থেকে চিন্তা করেন সাঁতার না জানা মানুষকে কীভাবে সাঁতার শেখানো যায়। তখন থেকে আজ প্রায় ১৮ বছর ধরে বাচ্চাদের সাঁতার শেখাচ্ছেন মাগুরার হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের ক্রীড়া শিক্ষক ফরিদুল হক। এখন পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার ছেলেমেয়েকে সাঁতার শিখিয়েছেন এই শিক্ষক। তবে তার এই সাঁতার শেখানোর জন্য কারও কাছ থেকে টাকা নেন না। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৬ থেকে ৭ পর্যন্ত তার কাছে সাঁতার শেখানোর জন্য অভিভাবকরা তাদের ছেলেমেয়েদের নিয়ে আসেন। 

তার কাছে সাঁতার শিখতে আসা ছেলেমেয়েরা ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যেই সাঁতার শিখে যায়। শুধু শীতের মৌসুমে সাঁতার শেখানো বন্ধ রাখেন তিনি। তবে সাঁতার শেখাতে গিয়ে পুকুরসংকটের কারণে নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হয় তাকে। জেলা শহরে পর্যাপ্ত পুকুর ও সুইমিংপুল না থাকায় মাগুরা হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের পুকুরটি তার একমাত্র সাঁতার শেখানোর স্থান। তবে সম্প্রতি এই পুকুরটি কচুরিপানা ও ময়লা আবর্জনায় নিমজ্জিত হওয়ায় সেখানে সাঁতার শেখাতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন এই শিক্ষক। পুকুরের পানি দুর্গন্ধ থাকায় অনেক অভিভাবকই তাদের বাচ্চাদের নিয়ে আসতে চাচ্ছেন না সেখানে। 

সম্প্রতি সরেজমিনে সোহরাওয়ার্দী কলেজের পুকুরে সকাল সাড়ে ৬টায় গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ২০ জন ছোট ছোট ছেলেমেয়েকে ধরে ধরে সাঁতার শেখাচ্ছেন। দুর্গন্ধের জন্য অভিভাবকরা নাকে রুমাল দিয়ে রেখেছেন।

অভিভাবক দীপ্তি রানি কর বলেন, ‘শহরের বাচ্চারা সাঁতার জানে কম। তাই আমার বাচ্চাকে সাঁতার শেখার জন্য নিয়ে এসেছি। তবে এখানে পুকুরের পরিবেশ খুবই খারাপ। পানি অত্যন্ত নোংরা। সেখান থেকে পচা দুর্গন্ধ আসছে। আর এই পচা পানিতে সাঁতার শিখতে গিয়ে বাচ্চার গায়ে চুলকানিসহ নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। অনেক বাচ্চা পচা পানি খেয়ে ফেলার কারণে পেটেও সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এটি যদি সংস্কার করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়, তা হলে বাচ্চাদের সাঁতার শেখতে সুবিধা হয়।’

সাঁতার শিখতে আসা শেলী সুলতানা রাইসা বলেন, ‘পুকুরের পানি অনেক নোংরা থাকায় আমাদের সাঁতার কাটতে অনেক অসুবিধা হচ্ছে। ময়লাগুলো সরিয়ে পুকুর পরিষ্কার করে দিলে আমাদের সাঁতার কাটতে সুবিধা হয়।’ অপর শিক্ষার্থী জাকোয়ান কবির বলেন, ‘পুকুরটি অনেক বড় হলোও পদ্মপাতা ও কচুরিপানায় ভরে গিয়েছে। ফলে এই পাতাগুলো পচে পুকুরের পানি দূষিত হয়ে গিয়েছে। সেটা আমাদের শরীরে লেগে চুলকানিসহ নানা সমস্যা হচ্ছে।’

সাঁতার প্রশিক্ষক শিক্ষক ফরিদুল হক বলেন, ‘সাঁতার না জানার কারণে ২০ বছর আগে আমার বন্ধুর মেয়ে কলেজে পড়া অবস্থায় পুকুরের পানিতে ডুবে মারা যায়। বন্ধুর মেয়ের মৃত্যুর বিষয়টি আমাকে তখন খুব কষ্ট দিয়েছিল। এ ছাড়া একটা হিসাবে আমি দেখেছি, আমাদের দেশে প্রতিবছর গড়ে ১৩ থেকে ১৪ হাজার মানুষ পানিতে পড়ে মারা যায়। তখন আমি চিন্তা করি কীভাবে সবাইকে সাঁতার শেখানো যায়। সেই থেকে আজ প্রায় ১৮ বছর ছেলেমেয়েদের বিনামূল্যে সাঁতার শেখাচ্ছি। এখন পর্যন্ত আমার কাছ থেকে প্রায় ১ হাজারের ওপরে ছেলেমেয়ে সাঁতার শিখেছে।’

টেকসই বেড়িবাঁধ চান স্থানীয়রা

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৮ এএম
টেকসই বেড়িবাঁধ চান স্থানীয়রা
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার পানপট্টি ইউনিয়নের লঞ্চঘাট এলাকায় নদীভাঙনের চিত্র। খবরের কাগজ

উপকূলের মানুষের কাছে আতঙ্কের নাম নদীভাঙন। প্রতিবছর বর্ষায় পটুয়াখালীর গলাচিপায় নদীভাঙনে রাস্তাঘাট, হাট-বাজার, স্কুল-কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নদীতে বিলীন হয় যাচ্ছে। এ ছাড়া উপজেলায় ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে হাজার হাজার পরিবার। ভাঙন রোধে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেবে অন্তবর্তী সরকার, এমনটাই দাবি স্থানীয়দের।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিবছর বর্ষায় নদীভাঙনের কারণে জেলার গলাচিপার পানপট্টি এলাকার রাস্তাঘাট, হাট-বাজার নদীতে বিলীন হচ্ছে। ভাঙনের কারণে কৃষিজমি ও বসতভিটা হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে শত শত পরিবার। ধনীরা অন্য জায়গায় জমি কিনে ভিটা ছাড়লেও নিম্নবিত্তরা সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ছেন। ভাঙনের কারণে এলাকায় মানচিত্র থেকে প্রতিদিনই কমছে গ্রামের সীমানা।

গলাচিপা উপজেলার পানপট্টি ইউনিয়নের বাসিন্দা রফিক সরদার বলেন, ‘আমরা সব সময় আতঙ্কে থাকি। বর্তমান সরকারের কাছে দাবি জানাই, দ্রুত ব্লক দিয়ে শক্তপোক্তভাবে এখানে একটি বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হোক।’

পানপট্টি লঞ্চঘাট এলাকার চায়ের দোকানি নুরুল হাসান বলেন, ‘প্রতিবছর ঝড়-বন্যা হলে এখানে নদীভাঙন শুরু হয়। ভাঙন থেকে দোকানঘর বাঁচাতে গত পাঁচ বছর ধরে সেটি ভেঙে সরিয়ে আবার নতুন করে গড়তে হচ্ছে। এ রকম চলতে থাকলে ব্যবসা করে পরিবার নিয়ে কী খেয়ে বাঁচব?’

সরেজমিনে দেখা গেছে, পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলা সড়কপথ বিচ্ছিন্ন একটি উপজেলা। রাঙ্গাবালী উপজেলা থেকে গলাচিপার পানপট্টি হয়ে জেলা শহরে যেতে হয়। যাতায়াতে ব্যবহৃত হয় লঞ্চ, ট্রলার বা স্পিডবোট।

রাঙ্গাবালী থেকে ট্রলারে আসা যাত্রী সিদ্দিক মাঝি বলেন, ‘নদীভাঙনের কারণে পানপট্টি লঞ্চঘাটের অবস্থা বেহাল হয়ে আছে। আমরা রাঙ্গাবালী থেকে এসে পানপট্টি লঞ্চঘাট নামলেও, এই ঘাট দিয়ে সড়কে উঠতে খুব কষ্ট হয়।’

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফ হোসেন বলেন, ‘ভাঙনকবলিত এলাকা ইতোমধ্যে পরিদর্শন করেছি। ওখানে আমাদের প্রাথমিক জরিপ সম্পন্ন হয়েছে। এ বিষয়ে একটি প্রকল্পও অনুমোদন হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে কাজ শুরু হবে।

এদিকে নদীভাঙনে শুধু পানপট্টি নয়, এর মতো উপজেলার বদনাতলী, ডাকুয়া ও আমখোলা ইউনিয়নে রাস্তাঘাট, হাট-বাজার, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নদীতে বিলীন হচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা।

বাঁশখালীতে ভারি বর্ষণে জনজীবন স্থবির, নেই বিদ্যুৎ

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২৫ এএম
বাঁশখালীতে ভারি বর্ষণে জনজীবন স্থবির, নেই বিদ্যুৎ
টানা বৃষ্টিতে উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত। ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার টানা ভারি বর্ষণে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। চলছে ধমকা হাওয়াও। বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ।

বৃহস্পতিবার (১২ সেমেপ্টম্বর) থেকে টানা বৃষ্টিতে উপজেলার নিম্নাঞ্চল ছাড়াও উপজেলা সদরের রাস্তঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি উঠেছে দোকান পাট ও বাসা বাড়িতে।

বিদ্যুৎ না থাকায় বিভিন্ন ভবন ও বাসা বাড়িতে বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে। মোবাইলে চার্জ দিতে না পেরে অনেকের যোগাযোগ ব্যবস্থাও বন্ধ হয়ে গেছে।

পল্লী বিদ্যুতের বাঁশখালী অফিসের ডিজিএম রিশু কুমার ঘোষ খবরের কাগজকে বলেন, এমনিতেই কয়কদিন ধরে বিদ্যুতের করুণ অবস্থা চলছে। লোডশেডিং হচ্ছে। এরমধ্যে ভারি বর্ষণ আর ধমকা হাওয়া ও প্রচন্ড বজ্রপাতে দোহাজারী গ্রীডের মেইন তার ছিড়ে গেছে। ৩৩ কেভি মেইন লাইনেও বিদ্যুৎ নেই। শাহমীরপুর গ্রীড থেকেও ৩৩কেভি লাইনটিও ফল্ট হয়েছে। কোনভাবেই বিদ্যুৎ লাইন চালু করা যাচ্ছে না। বিদ্যুৎ কর্মীরা কাজ করছেন। লাইন চালু হতে সময় লাগবে। 

বাঁশখালীর বাহারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম চৌধুরী ইউনুস বলেন, ভারি বর্ষণে উপকূলীয় বাহারছড়া ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। মানুষ ভোগান্তিতে সময় পার করছেন।

পুইছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান তারেকুর রহমান জানান, ভারি বর্ষণে পুঁইছড়ির বিভিন্ন এলাকায় পানি উঠেছে। পাহাড়ি এলাকায় পাহাড় ধসের সম্ভাবনা রয়েছে।

ইসরাত চৈতী/

চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজছাত্র নিহত

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:০১ এএম
চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজছাত্র নিহত
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত

চুয়াডাঙ্গায় রাস্তা পারাপারের সময় মোটরসাইকেল চাপায় বাদশা নামের (২০) এক মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পথচারীসহ মোটরসাইকেলে থাকা আরও দুই আরোহী আহত হয়েছেন। 

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর কাঠালতলা নামকস্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহত বাদশা চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া গ্রামের চকপাড়ার সাইফুল ইসলামের ছেলে। তিনি আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজের এইচএসসি শিক্ষার্থী ছিলেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের থানা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আরাফাত ইসলাম খবরের কাগজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, জয়রামপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় বাদশা নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়। এছাড়া আহতের মধ্যে একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য বিল্লাল হোসেন খবরের কাগজকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আল ইমরান জুয়েল বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই বাদশার মৃত্যু হয়েছে।

আফজাল/ইসরাত চৈতী/

সৈকতে নারীকে কান ধরিয়ে উল্লাস করা যুবক ডিবি হেফাজতে

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৮ এএম
সৈকতে নারীকে কান ধরিয়ে উল্লাস করা যুবক ডিবি হেফাজতে
ডিবি হেফাজতে নেওয়া অভিযুক্ত ফারুকুল ইসলাম

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক নারীকে মারধরের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, রাতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে এক নারীকে কান ধরিয়ে উঠবস করাচ্ছে একদল অতিউৎসাহী জনতা। তাদের তোপের মুখে পড়া ওই ভুক্তভোগী নারী কানে হাত দিয়ে উঠবস করতে অপারগতা প্রকাশ করছেন। কিন্তু সেখানে উপস্থিত এক যুবক লাঠি দিয়ে ওই নারীকে একাধিকবার আঘাত করেন। সেই লাঠির আঘাত থেকে রক্ষা পেতে ভুক্তভোগী নারী কান ধরে উঠবস করছেন।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টার দিকে অভিযুক্ত ফারুকুল ইসলামকে আটক করে হেফাজতে নিয়েছে কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। 

বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ডিবির ওসি জাবেদ মাহমুদ।  

ভিডিওতে মারধর করা যুবকটির নাম ফারুকুল ইসলাম। তার বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া এলাকায়।

ডিবির ওসি জাবেদ মাহমুদ খবরের কাগজকে বলেন, ‘সমাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। শুরু হয় নিন্দার ঝড়। একজন মানুষ যত অপরাধই করুক না কেন তার জন্য আইন আছে। তবে একজন নারীকে পেটানোটা ঠিক হয়নি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মুহিববুল্লাহ মুহিব/ইসরাত চৈতী/