নোয়াখালীর চাটখিল ও সোনাইমুড়ী থানা থেকে লুট হওয়া ৯০১ অস্ত্র, গুলি ও টিয়ারশেল উদ্ধার করেছে জেলা আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী (ভিডিপি)। এ ছাড়া পুলিশের ব্যবহৃত কিছু সরঞ্জামও উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (১২ আগস্ট) দুপুরে আনসারের জেলা কমান্ড্যান্ট কার্যালয়ের সামনে অস্ত্রগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে সেনাবাহিনীর নোয়াখালী ক্যাম্পের উপ-অধিনায়ক মেজর রিফাত আনোয়ারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আনসার ও ভিডিপির পরিচালক (জেলা কমান্ড্যান্ট) রোকসানা বেগম বিষয়টি খবরের কাগজকে নিশ্চিত করেছেন।
উদ্ধার হওয়া অস্ত্রগুলোর মধ্যে চাটখিল থানার ১২০ রাউন্ড রাইফেলের বুলেট, একটি এসএমজি, সাউন্ড গ্রেনেড, ম্যাগজিন, পাঁচটি শর্টগান, ২০টি সীসা কার্তুজ, তিনটি টিয়ারশেল, চার সেট হ্যান্ডকাপ এবং সোনাইমুড়ী থানার একটি রাইফেল, পাইপগান, দুটি পিস্তল, গ্যাস গান, ১১ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, ৬৩৬ রাউন্ড রাইফেলের গুলি, ৬৭টি রাবার কার্তুজ, ১২টি সীসা কার্তুজ, তিন সেট হ্যান্ডকাফ, সাতটি টিয়ারশেল ও চারটি সাউন্ড গ্রেনেড রয়েছে।
এ ছাড়া পুলিশের একটি মোটরসাইকেল, দুটি ল্যাপটপ, একটি কিবোর্ড, একটি মাউস, একটি হ্যান্ডমাইক, একটি ওয়্যারলেস, দুটি ওয়্যালেস ব্যাটারি ও একটি ট্রাফিক সিগনাল লাইটও উদ্ধার করা হয়েছে।
রোকসানা বেগম বলেন, ‘দুর্যোগ মূহুর্তে নোয়াখালীর সবগুলো থানা, ট্রাফিকসহ বিভিন্নস্থানে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। গত কয়েকদিনে আমাদের সদস্যদের উদ্ধার করা এসব অস্ত্র-গুলি আমরা আজ (সোমবার) সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেছি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে যতদিন প্রয়োজন হয় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা তাদের দায়িত্ব পালন করে যাবেন। আমাদের সদস্যদেরকে সার্বিক সহযোগিতা করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
অস্ত্র-গুলি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে নোয়াখালী সেনা ক্যাম্প এবং জেলা আনসার ও প্রতিরক্ষা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গত সোমবার (৫ আগস্ট) সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবরে নোয়াখালীর চাটখিল ও সোনাইমুড়ী থানায় হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগ ও অস্ত্র-গুলি লুট করে দুর্বৃত্তরা।
এ সময় সোনাইমুড়ী থানার তিন পুলিশসহ আটজন নিহত হন।
মজনু/পপি/