ঢাকা ৩০ ভাদ্র ১৪৩১, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কুমিল্লায় থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র-গুলি উদ্ধার

প্রকাশ: ১২ আগস্ট ২০২৪, ০৪:১৪ পিএম
আপডেট: ১২ আগস্ট ২০২৪, ০৪:২১ পিএম
কুমিল্লায় থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র-গুলি উদ্ধার
উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র। ছবি : খবরের কাগজ

কুমিল্লার বিভিন্ন থানা থেকে লুট হওয়া ২৮ অস্ত্র ও ৬৬৭ গুলি উদ্ধার করেছে আনসার-ভিডিপি। দেশব্যাপী উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জেলার বিভিন্ন থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্রগুলো জনসচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আনসার-ভিডিপি কুমিল্লা জেলা কমান্ড্যান্ট রাশেদুজ্জামান। 

সোমবার (১২ আগস্ট) এ কথা বলেন তিনি। উদ্ধার হওয়া অস্ত্রগুলো সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে কুমিল্লা পুলিশ লাইনসে জমা দেওয়া হবে বলেও জানান রাশেদুজ্জামান। 

আনসার জেলা অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট জেলার বিভিন্ন থানা ও পুলিশ লাইনস থেকে অস্ত্র লুট হয়। পরে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক আনসার-ভিডিপি সদস্যরা এসব অস্ত্র উদ্ধারে কাজ শুরু করে। জেলা অফিসের তত্ত্বাবধানে ২৮ আগ্নেয়াস্ত্র, ৬৬৭ রাউন্ড গুলি, ১১টি খালি ম্যাগাজিন, হ্যান্ডকাফ ও চাবি উদ্ধার করা হয়েছে। 

জেলা কমান্ড্যান্ট জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে পরিত্যক্ত অবস্থায় ড্রেনের ভেতর, বন-জঙ্গলে খোঁজাখুঁজি করে এবং এলাকার মসজিদের মাইকে জানান দিয়ে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। 

আনসার-ভিডিপি কুমিল্লা রেঞ্জ পরিচালক আশীষ কুমার ভট্টাচার্য জানান, শুধু কুমিল্লায় নয়, নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং চাঁদপুরেও বিভিন্ন থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার, থানা পাহারা এবং ট্রাফিকিংয়ের কাজে আনসার-ভিডিপি সদস্যরা সচেষ্ট রয়েছে।

জহির শান্ত/সালমান/

চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজছাত্র নিহত

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:০১ এএম
চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজছাত্র নিহত
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত

চুয়াডাঙ্গায় রাস্তা পারাপারের সময় মোটরসাইকেল চাপায় বাদশা নামের (২০) এক মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পথচারীসহ মোটরসাইকেলে থাকা আরও দুই আরোহী আহত হয়েছেন। 

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর কাঠালতলা নামকস্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহত বাদশা চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া গ্রামের চকপাড়ার সাইফুল ইসলামের ছেলে। তিনি আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজের এইচএসসি শিক্ষার্থী ছিলেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের থানা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আরাফাত ইসলাম খবরের কাগজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, জয়রামপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় বাদশা নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়। এছাড়া আহতের মধ্যে একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য বিল্লাল হোসেন খবরের কাগজকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আল ইমরান জুয়েল বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই বাদশার মৃত্যু হয়েছে।

আফজাল/ইসরাত চৈতী/

সৈকতে নারীকে কান ধরিয়ে উল্লাস করা যুবক ডিবি হেফাজতে

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৮ এএম
সৈকতে নারীকে কান ধরিয়ে উল্লাস করা যুবক ডিবি হেফাজতে
ডিবি হেফাজতে নেওয়া অভিযুক্ত ফারুকুল ইসলাম

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক নারীকে মারধরের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, রাতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে এক নারীকে কান ধরিয়ে উঠবস করাচ্ছে একদল অতিউৎসাহী জনতা। তাদের তোপের মুখে পড়া ওই ভুক্তভোগী নারী কানে হাত দিয়ে উঠবস করতে অপারগতা প্রকাশ করছেন। কিন্তু সেখানে উপস্থিত এক যুবক লাঠি দিয়ে ওই নারীকে একাধিকবার আঘাত করেন। সেই লাঠির আঘাত থেকে রক্ষা পেতে ভুক্তভোগী নারী কান ধরে উঠবস করছেন।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টার দিকে অভিযুক্ত ফারুকুল ইসলামকে আটক করে হেফাজতে নিয়েছে কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। 

বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ডিবির ওসি জাবেদ মাহমুদ।  

ভিডিওতে মারধর করা যুবকটির নাম ফারুকুল ইসলাম। তার বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া এলাকায়।

ডিবির ওসি জাবেদ মাহমুদ খবরের কাগজকে বলেন, ‘সমাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। শুরু হয় নিন্দার ঝড়। একজন মানুষ যত অপরাধই করুক না কেন তার জন্য আইন আছে। তবে একজন নারীকে পেটানোটা ঠিক হয়নি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মুহিববুল্লাহ মুহিব/ইসরাত চৈতী/

পানির নিচে কক্সবাজার শহর, একদিনে ৯ মৃত্যু

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:২৩ এএম
পানির নিচে কক্সবাজার শহর, একদিনে ৯ মৃত্যু
ভারী বর্ষণে সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন পর্যটক ও স্থানীয়রা। ছবি : খবরের কাগজ

ভারী বর্ষণে পর্যটননগরী কক্সবাজারে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। সৈকত সড়কসহ অন্তত ১৮টি উপসড়ক পানিতে ডুবে গেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন পর্যটক ও স্থানীয়রা। এ ছাড়া জেলায় পৃথক ঘটনায় একদিনে ৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে অব্যাহত বৃষ্টিতে শহরের পর্যটন জোন কলাতলীর হোটেল-মোটেল এলাকা, সৈকতের লাবণী পয়েন্ট থেকে সুগন্ধা পয়েন্ট, বাজারঘাটা, গোলদিঘীর পাড়, বৌদ্ধ মন্দির সড়ক, পাহাড়তলী, পেশকারপাড়া, সমিতিপাড়া, কুতুবদিয়াপাড়া পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া জেলার টেকনাফ, উখিয়া, পেকুয়া, চকরিয়ার ও রামু উপজেলার প্রায় তিন শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

সরেজমিনে হোটেল-মোটেল জোনে গিয়ে দেখা যায়, জলাবদ্ধতার কারণে কলাতলী হোটেল-মোটেল জোনের ১৮টি সড়ক ডুবে গেছে। ৫১৬ হোটেল-মোটেলের কয়েক হাজার পর্যটক পড়েছেন চরম বিপাকে। 

এদিকে জেলায় পৃথক ঘটনায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে পৃথক পাহাড়ধসের ঘটনায় ৬ জন, ট্রলার ডুবে দুই জেলে এবং বন্যার পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। 

জেলা প্রশাসক মো. মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ভোররাতে পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটে। এতে দুই পরিবারের ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নে একই পরিবারের তিনজন এবং উখিয়ায় রোহিঙ্গা শিবিরের ১৪ নম্বর ক্যাম্পে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। 

নিহতরা হলেন- সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ ডিককুল গ্রামের মিজানুর রহমানের স্ত্রী আঁখি আকতার (২৫), দুই শিশুকন্যা মিহা জান্নাত নাঈমা ওরফে ময়না (৭) ও লতিফা ইসলাম ওরফে মায়া (২) এবং উখিয়ার হাকিমপাড়া ১৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-২ ব্লকের কবির আহমেদের ছেলে আব্দুর রহিম (৩০), আব্দুল হাফেজ (১০) ও আব্দুল ওয়াহেদ (৮)। 

এ ছাড়া ট্রলারডুবিতে মোহাম্মদ জামাল (৩৭) ও নুরুল আমিন (৪০) নামে দুই জেলের মৃত্যু হয়েছে।

রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) ইমন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

টেকনাফে বন্যার পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বাড়ির পাশের ডোবায় পড়ে তার মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী। 

মুহিববুল্লাহ মুহিব/সালমান/

বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবিতে দুইজনের মৃত্যু, নিখোঁজ ৩ শতাধিক জেলে

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:২০ পিএম
আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:২২ এএম
বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবিতে দুইজনের মৃত্যু, নিখোঁজ ৩ শতাধিক জেলে
বৈরী আবহাওয়ার কারণে উপকূলে ফিরতে পারেননি ১৩টি মাছধরা ট্রলারের ৩ শতাধিক মাঝিমাল্লা। ছবি : খবরের কাগজ

বৈরী আবহাওয়ার কারণে কক্সবাজারের লাবণী চ্যানেলে ‘এফবি রশিদা’ নামে একটি ফিশিং ট্রলারডুবির ঘটনায় দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া উপকূলে ফিরতে পারেনি কক্সবাজারের ১৩টি মাছধরা ট্রলার। এসব ট্রলারে ৩ শতাধিক মাঝিমাল্লা রয়েছে। যাদের সঙ্গে গেল বুধবার থেকে ৪৮ ঘণ্টা ধরে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। 

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার ফিশিংবোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

বঙ্গোপসাগরে নিখোঁজ ট্রলারগুলো হলো এফবি হাসান, এফবি আবছার, এফবি সাবিত, এফবি মায়ের দোয়া, এফবি কায়সার, এফবি আব্দুল মালেক এক দুই, এফবি আঁখি, এফবি তাহসিন, এফবি বাবুল, এফবি নাছির, এফবি সেলিম, এফবি নজির ও এফবি জনি।

ফিশিংবোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন জানান, গত বুধবার থেকে টানা বর্ষণ হচ্ছে কক্সবাজার উপকূলে। গেল ৪৮ ঘণ্টা ধরে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টিপাতের ফলে উপকূলে ফিরছিলেন জেলেরা। কিন্তু পথে অনেক ট্রলার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সমুদ্রে ভেসে গেছে। তার মধ্যে ৮টি ট্রলার কলাতলী ও উখিয়ার ইনানীর পাটোয়ারটেক পয়েন্টে ভেসে এসেছে। সেখান থেকে তিন শতাধিক জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। 

দেলোয়ার হোসেন আরও জানান, বুধবার থেকে কোনো ধরনের যোগাযোগ নেই ১৩ ফিশিং ট্রলারের সঙ্গে। এসব ট্রলারে থাকা ৩ শতাধিক জেলের ফোন বা কোনোভাবে তাদের সঙ্গে সংযোগ নেই। সে হিসেবে তারাও এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। 

এদিকে শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বঙ্গোপসাগরের লাবণী চ্যানেলে ‘এফবি রশিদা’ নামে একটি ফিশিং ট্রলারডুবির ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। ট্রলারে থাকা ২৩ মাঝিমাল্লার মধ্যে ১৯ জন কূলে উঠতে পারলেও বাকি ৩ জন নিখোঁজ রয়েছেন। এদের মধ্যে তীরে ফেরা জেলেদের মধ্যে মোহাম্মদ জামাল (৩৭) নামে একজনের অবস্থা গুরুতর হলে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। জামালের বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চরম্বা এলাকায়। 

এ ছাড়া রাত ৮টার দিকে রামু উপজেলার প্যাঁচার দ্বীপ পয়েন্টে নুরুল আমিন (৪০) নামে আরেক জেলের লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার শেখেরখিল এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (পর্যটন সেল) তানভীর হোসেন।

নোয়াখালীতে এখনো সাড়ে ১১ লাখ মানুষ পানিবন্দি

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:১৮ পিএম
নোয়াখালীতে এখনো সাড়ে ১১ লাখ মানুষ পানিবন্দি
নোয়াখালীতে সাড়ে ১১ লাখ মানুষ এখনো পানিবন্দি অবস্থায় আছেন। ছবি : খবরের কাগজ

নোয়াখালীর চাটখিল, বেগমগঞ্জ, সোনাইমুড়ী ও সেনবাগ উপজেলার ২ লাখ ২৬ হাজার পরিবারের সাড়ে ১১ লাখ মানুষ এখনো পানিবন্দি অবস্থায় আছেন। এসব এলাকায় ৩৪৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে আছেন সাড়ে ৩৫ হাজার মানুষ।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) জেলা প্রশাসন সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. জাহিদ হাসান খান বলেন, ‘জেলার আটটি উপজেলার সাত পৌরসভার ও ৮৭টি ইউনিয়ন বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। বর্তমানে চার উপজেলার ৪৮টি ইউনিয়নের ২ লাখ ২৬ হাজার ১৫ পরিবারের ১১ লাখ ৫৫ হাজার ৩০০ মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

এর মধ্যে চাটখিলের ১০ ইউনিয়নের দুই লাখ, বেগমগঞ্জের ১৭ ইউনিয়নের ৪ লাখ ৭০ হাজার ৩০০, সোনাইমুড়ীর ১১ ইউনিয়নের ১ লাখ ৭০ হাজার ও সেনবাগের ১০ ইউনিয়নের ৩ লাখ ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি আছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘চার উপজেলার ৩৪৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন ৩৫ হাজার ৪৪১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১১ হাজার ২২০ জন, নারী ১২ হাজার ৮৭৫, শিশু ১০ হাজার ৯৫০, প্রতিবন্ধী ৩৯৬ জন রয়েছেন। 

জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, ‘আমাদের কাছে নগদ ২৯ লাখ ৫১ হাজার ২৫০ টাকা, সাড়ে ৫১ টন চাল, ১০ লাখ টাকার শিশুখাদ্য ও ১০ লাখ টাকার গোখাদ্য মজুত আছে।’