আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান বলেছেন, সারা দেশের বিভিন্ন থানা থেকে যেসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট হয়েছে, সেগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে উদ্ধার করতে হবে। তা না হলে লুট হওয়া এসব অস্ত্র জামায়াত-শিবির ও জঙ্গিরা আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের হত্যার কাজে ব্যবহার করবে।
সোমবার (১২ আগস্ট) সকালে গোপালগঞ্জে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতে চলে যান। এরপর রাজধানী ঢাকার অর্ধশত থানায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও অস্ত্র লুটপাট করা হয়। দেশের বিভিন্ন স্থানে থানায় থানায় একই ধরনের আক্রমণ চালানো হয়।
এদিকে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে আবার প্রধানমন্ত্রী করার দাবিতে গোপালগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করছে জেলা আওয়ামী লীগ।
এই প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে মাহবুব আলী বলেন, ‘সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের কাছে জেলা আওয়ামী লীগ নেতারা আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।’ ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, তার জন্য নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে জোর করে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তে বাধ্য করে বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘গোপালগঞ্জের সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের বাসাসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের বাসায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগামী ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি অন্যান্য বছরের মতোই পালন করা হবে।’
সভাপতি মাহাবুব আলী খান বলেন, ‘এটা এখন স্পষ্ট যে ড. মুহাম্মদ ইউনূস (অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ নজরুল (আইন উপদেষ্টা) আমেরিকার সহায়তায় দেশে ছাত্র-জনতার নৈরাজ্য চালিয়েছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জি এম সাহাব উদ্দিন আজম, সহসভাপতি আতিয়ার রহমান মুন্সী, শেখ লুৎফর রহমান বাচ্চু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোত্তাহিদুর রহমান শিরু, প্রচার সম্পাদক এস এম নজরুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক ইলিয়াস হক, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিউটন বিশ্বাস, সহ-সভাপতি শেখ ইমরান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।