ঢাকা ৩০ ভাদ্র ১৪৩১, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

চট্টগ্রামে ১৬ থানার দায়িত্ব নিল পুলিশ, সড়কে ট্রাফিক

প্রকাশ: ১২ আগস্ট ২০২৪, ০৭:২৩ পিএম
চট্টগ্রামে ১৬ থানার দায়িত্ব নিল পুলিশ, সড়কে ট্রাফিক
ছবি: খবরের কাগজ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরকারের পতনের একসপ্তাহ পর দেশের অন্যান্য স্থানের মতো চট্টগ্রাম মহানগরের ১৬ থানায় পুলিশিং কাজ শুরু হয়েছে। সোমবার (১২ আগস্ট) সকাল থেকে থানায় সাধারণ ডায়েরিসহ অভিযোগ গ্রহণ করা শুরু হয়েছে। 

নগরের জিইসি মোড়, ওয়াসা মোড়, লালখান বাজার, আগ্রাবাদ বন্দর এলাকায় সড়কের যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করছে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। এতে পূর্বের শৃঙ্খলা ফিরে আসে সড়কে। তবে সকালের দিকে সড়কে যানবাহন সংখ্যা কম দেখা গেলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানবাহনের সংখ্যা বাড়তে দেখা গেছে।

জিইসি মোড় এলাকায় দায়িত্ব পালনকালে ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তা (টিআই) নাদিবুর রহমান খবরের কাগজকে বলেন, আমাদের উপর হামলা হয়েছিল, থানায় ও পুলিশ বক্সে হামলা হয়েছিল, আমাদের অনেক সদস্যের বাড়িঘরে পর্যন্ত হামলা হয়েছিল। আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলাম। আমরা সড়কে আসতে ভয় পাচ্ছিলাম। তবে সোমবার সকাল থেকে কাজ শুরু করেছি। এতে ছাত্ররাও আমাদের সহযোগিতা করছেন। 

এদিকে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ, চান্দগাঁও, চকবাজার, বায়েজিদ, খুলশি, পাহাড়তলী, আকবরশাহ, ডবলমুরিং, বাকলিয়া, কোতোয়ালি, সদরঘাট, হালিশহর, বন্দর, ইপিজেট, পতেঙ্গা, কর্ণফুলী থানায় কার্যক্রম শুরু করেছে পুলিশ। 

সকালে নগরের পাঁচলাইশ থানায় গিয়ে দেখা যায়, কসমোপলিটন এলাকা থেকে সাধরণ ডায়েরি করতে থানায় এসেছেন সৈয়দ মিয়া নামের এক ব্যক্তি। মোবাইলে হুমকী দেওয়ার ঘটনায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন থানায়। কয়েকদিন আগে হুমকি দিলেও থানা বন্ধ থাকায় জিডি করতে পারেন নি। 

সকালে পুলিশের পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধি ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন শিক্ষার্থীও দায়িত্ব পালন করছেন থানায়। পুলিশের মনোবল ফিরে আসার জন্য পুলিশের পাশাপাশি থানায় সাধারণ শিক্ষার্থীরাও কাজ করছে। একই সঙ্গে নগরের মেট্রোপলিটন পুলিশের ১৬টি থানায় কার্যক্রম চলছে।  

পাঁচলাইশ থানা অফিসার ইনচার্জ সন্তোষ কুমার চাকমা খবরের কাগজকে বলেন, থানার কার্যক্রম শুরু করেছি। অনেক পুলিশ এখনও থানায় এসে পৌঁছতে পারেন নি। তবে সবার সঙ্গে যোগযোগ রক্ষা হয়েছে সবাই থানায় যোগ দিবেন। এতদিন কার্যক্রম না চলায় অনেক কাজ জমে গেছে। তা এক সঙ্গে চাপ সৃষ্টি হয়েছে। 

গত ৫ আগস্ট রাতে অগ্নিসংযোগ হামলা থেকে বাঁচতে পুলিশ শূন্য হয়ে যায় মহানগরের সব থানা। অনেক থানায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়, লুটপাট হয় থানার অস্ত্র ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট। 

এদিকে পুলিশ ব্যুরো অব ইভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রামের পরিদর্শক মোহাম্মদ মুনির হোসেন খবরের কাগজকে বলেন, আমি বিভিন্ন কলেজে গিয়ে শিক্ষার্থীদের বোঝানো চেষ্টা করেছি। আমি বলেছি পুলিশ শিক্ষার্থীদের শস্ত্রু নয়, উধ্বতন কর্তৃপক্ষ যে অর্ডার দিয়েছে আমরা সে অর্ডার পালন করেছি। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমাদের কোন শত্রুতা নেই। আমরা কেন শিক্ষার্থীদের প্রতিপক্ষ ভাববো। শিক্ষার্থীরা আমাদের ভাই, প্রতিবেশি আত্মীয়স্বজন। আমাদের উর্ধ্বতনরা হুকুমের মাধ্যমে পুলিশ ছাত্র যুদ্ধ লাগিয়ে দিয়েছে। আমরা এ দেশটা সুন্দরভাবে গড়তে চাই। দেশকে নতুনভাবে এগিয়ে নিতে চাই।

পুলিশ সদস্যরা বলেন, পুলিশ জনগণের বন্ধু। আগামীতে জনগণের পক্ষের হয়ে কাজ করতে চায় পুলিশ। কোন নেতা, এমপি মন্ত্রীর গোলাম হয়ে পুলিশ কাজ করতে চায় না। আমরা কোন রাজনৈতিন দলের হয়ে কাজ করতে চাই না। 

দেশের বর্তমান সার্বিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষত অধঃস্তন কর্মকর্তা-কর্মচারীর সার্বিক সামাজিক এবং অর্থনৈতিক নিরাপত্তা চায় পুলিশ সদস্যরা। 

মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার সাইফুল ইসলাম বলেন, এতো দিন শিক্ষার্থীরা খুবই সুন্দরভাবে ট্রাফিক সেবা দিয়েছে কিন্তু থানার কার্যক্রম চালাতে পারিনি। সোমবার সকাল থেকে থানা কার্যক্রম চালু হয়েছে, ট্রাফিক পুলিশও তাদের দায়িত্বে ফিরেছে। এতে সহযোগিতা করছে শিক্ষার্থীরা। 

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান খবরের কাগজকে বলেন, ছাত্র সমন্বয়কদের নিয়ে চট্টগ্রামের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার কাজে নেমেছি। এখন আইনশৃঙ্খলা আরও উন্নতি হয়েছে। 

আবদুস সাত্তার/এমএ/

চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজছাত্র নিহত

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:০১ এএম
চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজছাত্র নিহত
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত

চুয়াডাঙ্গায় রাস্তা পারাপারের সময় মোটরসাইকেল চাপায় বাদশা নামের (২০) এক মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পথচারীসহ মোটরসাইকেলে থাকা আরও দুই আরোহী আহত হয়েছেন। 

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর কাঠালতলা নামকস্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহত বাদশা চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া গ্রামের চকপাড়ার সাইফুল ইসলামের ছেলে। তিনি আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজের এইচএসসি শিক্ষার্থী ছিলেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের থানা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আরাফাত ইসলাম খবরের কাগজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, জয়রামপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় বাদশা নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়। এছাড়া আহতের মধ্যে একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য বিল্লাল হোসেন খবরের কাগজকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আল ইমরান জুয়েল বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই বাদশার মৃত্যু হয়েছে।

আফজাল/ইসরাত চৈতী/

পানির নিচে কক্সবাজার শহর, একদিনে ৯ মৃত্যু

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:২৩ এএম
পানির নিচে কক্সবাজার শহর, একদিনে ৯ মৃত্যু
ভারী বর্ষণে সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন পর্যটক ও স্থানীয়রা। ছবি : খবরের কাগজ

ভারী বর্ষণে পর্যটননগরী কক্সবাজারে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। সৈকত সড়কসহ অন্তত ১৮টি উপসড়ক পানিতে ডুবে গেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন পর্যটক ও স্থানীয়রা। এ ছাড়া জেলায় পৃথক ঘটনায় একদিনে ৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে অব্যাহত বৃষ্টিতে শহরের পর্যটন জোন কলাতলীর হোটেল-মোটেল এলাকা, সৈকতের লাবণী পয়েন্ট থেকে সুগন্ধা পয়েন্ট, বাজারঘাটা, গোলদিঘীর পাড়, বৌদ্ধ মন্দির সড়ক, পাহাড়তলী, পেশকারপাড়া, সমিতিপাড়া, কুতুবদিয়াপাড়া পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া জেলার টেকনাফ, উখিয়া, পেকুয়া, চকরিয়ার ও রামু উপজেলার প্রায় তিন শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

সরেজমিনে হোটেল-মোটেল জোনে গিয়ে দেখা যায়, জলাবদ্ধতার কারণে কলাতলী হোটেল-মোটেল জোনের ১৮টি সড়ক ডুবে গেছে। ৫১৬ হোটেল-মোটেলের কয়েক হাজার পর্যটক পড়েছেন চরম বিপাকে। 

এদিকে জেলায় পৃথক ঘটনায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে পৃথক পাহাড়ধসের ঘটনায় ৬ জন, ট্রলার ডুবে দুই জেলে এবং বন্যার পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। 

জেলা প্রশাসক মো. মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ভোররাতে পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটে। এতে দুই পরিবারের ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নে একই পরিবারের তিনজন এবং উখিয়ায় রোহিঙ্গা শিবিরের ১৪ নম্বর ক্যাম্পে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। 

নিহতরা হলেন- সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ ডিককুল গ্রামের মিজানুর রহমানের স্ত্রী আঁখি আকতার (২৫), দুই শিশুকন্যা মিহা জান্নাত নাঈমা ওরফে ময়না (৭) ও লতিফা ইসলাম ওরফে মায়া (২) এবং উখিয়ার হাকিমপাড়া ১৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-২ ব্লকের কবির আহমেদের ছেলে আব্দুর রহিম (৩০), আব্দুল হাফেজ (১০) ও আব্দুল ওয়াহেদ (৮)। 

এ ছাড়া ট্রলারডুবিতে মোহাম্মদ জামাল (৩৭) ও নুরুল আমিন (৪০) নামে দুই জেলের মৃত্যু হয়েছে।

রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) ইমন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

টেকনাফে বন্যার পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বাড়ির পাশের ডোবায় পড়ে তার মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী। 

মুহিববুল্লাহ মুহিব/সালমান/

বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবিতে দুইজনের মৃত্যু, নিখোঁজ ৩ শতাধিক জেলে

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:২০ পিএম
আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:২২ এএম
বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবিতে দুইজনের মৃত্যু, নিখোঁজ ৩ শতাধিক জেলে
বৈরী আবহাওয়ার কারণে উপকূলে ফিরতে পারেননি ১৩টি মাছধরা ট্রলারের ৩ শতাধিক মাঝিমাল্লা। ছবি : খবরের কাগজ

বৈরী আবহাওয়ার কারণে কক্সবাজারের লাবণী চ্যানেলে ‘এফবি রশিদা’ নামে একটি ফিশিং ট্রলারডুবির ঘটনায় দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া উপকূলে ফিরতে পারেনি কক্সবাজারের ১৩টি মাছধরা ট্রলার। এসব ট্রলারে ৩ শতাধিক মাঝিমাল্লা রয়েছে। যাদের সঙ্গে গেল বুধবার থেকে ৪৮ ঘণ্টা ধরে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। 

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার ফিশিংবোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

বঙ্গোপসাগরে নিখোঁজ ট্রলারগুলো হলো এফবি হাসান, এফবি আবছার, এফবি সাবিত, এফবি মায়ের দোয়া, এফবি কায়সার, এফবি আব্দুল মালেক এক দুই, এফবি আঁখি, এফবি তাহসিন, এফবি বাবুল, এফবি নাছির, এফবি সেলিম, এফবি নজির ও এফবি জনি।

ফিশিংবোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন জানান, গত বুধবার থেকে টানা বর্ষণ হচ্ছে কক্সবাজার উপকূলে। গেল ৪৮ ঘণ্টা ধরে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টিপাতের ফলে উপকূলে ফিরছিলেন জেলেরা। কিন্তু পথে অনেক ট্রলার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সমুদ্রে ভেসে গেছে। তার মধ্যে ৮টি ট্রলার কলাতলী ও উখিয়ার ইনানীর পাটোয়ারটেক পয়েন্টে ভেসে এসেছে। সেখান থেকে তিন শতাধিক জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। 

দেলোয়ার হোসেন আরও জানান, বুধবার থেকে কোনো ধরনের যোগাযোগ নেই ১৩ ফিশিং ট্রলারের সঙ্গে। এসব ট্রলারে থাকা ৩ শতাধিক জেলের ফোন বা কোনোভাবে তাদের সঙ্গে সংযোগ নেই। সে হিসেবে তারাও এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। 

এদিকে শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বঙ্গোপসাগরের লাবণী চ্যানেলে ‘এফবি রশিদা’ নামে একটি ফিশিং ট্রলারডুবির ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। ট্রলারে থাকা ২৩ মাঝিমাল্লার মধ্যে ১৯ জন কূলে উঠতে পারলেও বাকি ৩ জন নিখোঁজ রয়েছেন। এদের মধ্যে তীরে ফেরা জেলেদের মধ্যে মোহাম্মদ জামাল (৩৭) নামে একজনের অবস্থা গুরুতর হলে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। জামালের বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চরম্বা এলাকায়। 

এ ছাড়া রাত ৮টার দিকে রামু উপজেলার প্যাঁচার দ্বীপ পয়েন্টে নুরুল আমিন (৪০) নামে আরেক জেলের লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার শেখেরখিল এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (পর্যটন সেল) তানভীর হোসেন।

নোয়াখালীতে এখনো সাড়ে ১১ লাখ মানুষ পানিবন্দি

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:১৮ পিএম
নোয়াখালীতে এখনো সাড়ে ১১ লাখ মানুষ পানিবন্দি
নোয়াখালীতে সাড়ে ১১ লাখ মানুষ এখনো পানিবন্দি অবস্থায় আছেন। ছবি : খবরের কাগজ

নোয়াখালীর চাটখিল, বেগমগঞ্জ, সোনাইমুড়ী ও সেনবাগ উপজেলার ২ লাখ ২৬ হাজার পরিবারের সাড়ে ১১ লাখ মানুষ এখনো পানিবন্দি অবস্থায় আছেন। এসব এলাকায় ৩৪৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে আছেন সাড়ে ৩৫ হাজার মানুষ।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) জেলা প্রশাসন সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. জাহিদ হাসান খান বলেন, ‘জেলার আটটি উপজেলার সাত পৌরসভার ও ৮৭টি ইউনিয়ন বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। বর্তমানে চার উপজেলার ৪৮টি ইউনিয়নের ২ লাখ ২৬ হাজার ১৫ পরিবারের ১১ লাখ ৫৫ হাজার ৩০০ মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

এর মধ্যে চাটখিলের ১০ ইউনিয়নের দুই লাখ, বেগমগঞ্জের ১৭ ইউনিয়নের ৪ লাখ ৭০ হাজার ৩০০, সোনাইমুড়ীর ১১ ইউনিয়নের ১ লাখ ৭০ হাজার ও সেনবাগের ১০ ইউনিয়নের ৩ লাখ ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি আছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘চার উপজেলার ৩৪৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন ৩৫ হাজার ৪৪১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১১ হাজার ২২০ জন, নারী ১২ হাজার ৮৭৫, শিশু ১০ হাজার ৯৫০, প্রতিবন্ধী ৩৯৬ জন রয়েছেন। 

জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, ‘আমাদের কাছে নগদ ২৯ লাখ ৫১ হাজার ২৫০ টাকা, সাড়ে ৫১ টন চাল, ১০ লাখ টাকার শিশুখাদ্য ও ১০ লাখ টাকার গোখাদ্য মজুত আছে।’

আরশেদ পাগলার মাজারে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৭ পিএম
আরশেদ পাগলার মাজারে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ
আরশেদ পাগলার মাজারে ভাঙচুর চালিয়ে ভেতরে আগুন ধরিয়ে দেন তৌহিদী জনতা। ছবি : খবরের কাগজ

শরীয়তপুরের জাজিরাতে আরশেদ পাগলার মাজারে ভাঙচুর চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করেছে স্থানীয় তৌহিদী জনতা। 

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার বিলাশপুর ইউনিয়নের সফি কাজির মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ভাঙচুরকারীদের দাবি, মাজারটি ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ড ও মাদক সেবনের আখড়ায় পরিণত হওয়ায় তারা এটি ধ্বংস করেছেন। আরশেদ পাগলা সাধারণ একজন মানুষ ছিলেন। তিনি কোনো আধ্যাত্মিক সাধক ছিলেন না।

তবে মাজারপন্থীদের দাবি, মাজারে শরিয়াহবিরোধী কাজকর্ম হতো না। মাজারে মাদক নিষিদ্ধ ছিল। মাজারে হামলার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।

জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান জানান, জুমার নামাজ শেষে তৌহিদী জনতা লাঠিসোঁটা নিয়ে মাজারটিতে হামলা চালায়। এ সময় তারা মাজারের ভেতরে ঢুকে আসবাবপত্র ভেঙে বাইরে ছুড়ে ফেলেন। পরে মাজারের ভেতরে অগ্নিসংযোগ করেন।

রাজিব হোসেন/সালমান/