ঢাকা ২৫ ভাদ্র ১৪৩১, সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সিলেটে থানা থেকে লুট হওয়া ৭৭টি অস্ত্র উদ্ধার

প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২৪, ০৮:৪২ পিএম
সিলেটে থানা থেকে লুট হওয়া ৭৭টি অস্ত্র উদ্ধার

৫ আগস্ট গণঅভুথ্যানের পর সারা দেশের ন্যায় সিলেটেও অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এসময় সিলেটর বিভিন্ন থানায় হামলা ও লুটপাট হয়। এ হামলা ও লুটপাটের সময় বিভিন্ন থানা ও পুলিশের ফাঁড়ি থেকে বেশ কিছু অস্ত্র ও গোলা-বারুদ লুট করা হয়েছে। সেনাবাহিনী ও পুলিশ লুট হওয়া কিছু অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করেছে।

সোমবার (১২ আগস্ট) পর্যন্ত ৭৭টি বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র এবং ১২৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয় বলে জানায় সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, সিলেট মহানগর পুলিশের বিভিন্ন থানা, ফাঁড়ি ও পুলিশ সদস্যদের কাছ থেকে লুন্ঠিত অস্ত্রগুলির মধ্যে এ পর্যন্ত ৭৭টি বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র এবং ১২৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। তন্মধ্যে সেনাবাহিনীর সহায়তায় ৬০টি অস্ত্র এবং পুলিশ কর্তৃক ১৭টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

উদ্ধার হ‌ওয়া অস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে এস‌এমজি, চায়না রাইফেল, পিস্তল, শটগান এবং গ্যাস গান। সিলেট মহানগর এলাকার থানা, ফাঁড়ি বা পুলিশ সদস্যদের কাছ থেকে লুন্ঠিত হ‌ওয়া অস্ত্রগুলো নিকটস্থ থানা বা সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।

শাকিলা ববি/এমএ/

ভুক্তোভোগী ৬ শতাধিক ৮ মাস বেতনহীন শিক্ষক-কর্মকর্তারা

প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:০৭ এএম
৮ মাস বেতনহীন শিক্ষক-কর্মকর্তারা
আউট অব স্কুল চিলড্রেন শিক্ষা কর্মসূচির মাধ্যমে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। পটুয়াখালী সদরের একটি শিখনকেন্দ্র থেকে সম্প্রতি তোলা/ খবরের কাগজ

ঝরে পড়া বা কখনই স্কুলে ভর্তি হয়নি এমন শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতে পটুয়াখালীতে কাজ করছে পিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (পিডিও) নামে একটি সংগঠন। উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর আওতায় ‘আউট অব স্কুল চিলড্রেন’ শিক্ষা কর্মসূচির মাধ্যমে সংগঠনটি তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে। এই কর্মসূচির আওতায় জেলায় ১৬ হাজার ৮০০ শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। কিন্তু তাদের শিক্ষায় নিয়োজিত ৬ শতাধিক শিক্ষক-কর্মকর্তা-সুপারভাইজার গত ৮ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না! ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের পর থেকে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো থেকে এ প্রোগ্রামের জন্য কোনো অর্থ ছাড় দেওয়া হয়নি। এতে তাদেরকে পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে। তাদের মধ্যে অনেকে মানসিক ও আর্থিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। যদিও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অর্থছাড় হলে এ সংকট কেটে যাবে।

পিডিও কার্যালয়ের কর্মকর্তারা জানান, পটুয়াখালী জেলার আট উপজেলায় এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে জরিপের ভিত্তিতে এ জেলায় ৫৬০টি শিখনকেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে ১৬ হাজার ৮০০ শিক্ষার্থীকে উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তারা চতুর্থ শ্রেণিতে লেখাপড়া করছে। চলমান কর্মসূচিতে ৫৬০ জন শিক্ষক, ৪০ জন প্রোগ্রাম সুপারভাইজার, ৮ জন উপজেলা প্রোগ্রাম ম্যানেজার, ৪ জন জেলা কর্মকর্তা ও ১জন অফিস সহায়ক কর্মরত আছেন। 

পিডিও সূত্রে জানা গেছে, কর্মসূচি বাস্তবায়নের কৌশল অনুযায়ী, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো থেকে পাওয়া বরাদ্দ পিডিওর মাধ্যমে ‘আউট অব স্কুল চিলড্রেন’ শিক্ষা কর্মসূচির শিক্ষকদের বেতন, শিখন কেন্দ্রের ভাড়া, প্রোগ্রাম সুপারভাইজার ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন দেওয়া হয়। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সবার বেতন চলমান ছিল। কিন্তু এরপর থেকে আর অর্থছাড় পাওয়া যায়নি। এতে সংশ্লিস্টরা পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তবে এসব শিখন কেন্দ্রগুলোতে শিক্ষার্থীদের জন্য সরকারের দেওয়া বিনামূল্যের বই, পেনসিল, খাতা, চক, ডাস্টার, স্কুল ব্যাগ, ড্রেস ইত্যাদি সরবরাহ করে পাঠদান অব্যাহত রয়েছে। শিক্ষার্থীরা গ্রেড পরিবর্তন পরীক্ষার মাধ্যমে পরবর্তী শ্রেণিতে উন্নীত হচ্ছে।

পিডিওর জেলা কর্মকর্তা (ডেপুটি ম্যানেজার-মনিটরিং) তাইজুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বাড়ি যশোর। চাকরি সূত্রে পটুয়াখালী থাকি। দীর্ঘ আট মাস ধরে বেতন বন্ধ থাকায় খুব বিপদে আছি। চরম অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছি। বাইরের জেলার বাসিন্দা হওয়ায় দোকানিরা বাকিও দিচ্ছেন না। থাকা-খাওয়ার খরচ মেটানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে। পরিবারের জন্য বাড়িতে টাকা পাঠাতে পারছি না।

পটুয়াখালী সদর উপজেলা শিখন কেন্দ্রের শিক্ষক রাহিমা আক্তার হতাশা প্রকাশ করে জানান, আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে ধার নিয়ে দোকান বাকি করে কোনোমতে জীবন কাটাচ্ছেন। সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। নিজের অসহায়ত্বের কথা জানিয়ে সংস্থাটির দুমকি উপজেলা প্রোগ্রাম ম্যানেজার মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘৮ মাস ধরে বেতন বন্ধ। সংসার চালাতে পারছি না। সব শিক্ষক-সুপারভাইজারদের অবস্থা আমার মতোই করুন। দ্রুত সময়ের মধ্যে বেতনের টাকা না পেলে আমরা বড় সংকটের মধ্যে পড়ব।’

মির্জাগঞ্জের শিক্ষক রুবিনা আক্তার বলেন, ‘আমি মানসিকভাবে একেবারেই ভেঙে পড়েছি। পিডিওর কাছে জানতে চেয়েছিলাম কবে নাগাদ বেতন পাব- তার একটা নির্দিষ্ট টাইমলাইন দিতে। আমরা তো চাকরি করি। অনেক সময় চক্ষুলজ্জার কারণে অনেক কিছু বলতে পারি না। উপজেলা সুপারভাইজারদের সঙ্গে আলোচনা করে যাচ্ছি।’

কলাপাড়া উপজেলার প্রোগ্রাম সুপারভাইজার তানিয়া আক্তার বলেন, ‘আমার দায়িত্বে ১৪টি শিখনকেন্দ্র রয়েছে। ওই কেন্দ্রগুলোর সব শিক্ষকের একই অবস্থা। তারা নিয়মিত ক্লাস নেন, কিন্তু বেতন পান না। সবাই মানবেতর জীবন যাপন করছেন।’

পিডিওর নির্বাহী পরিচালক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রাথমিকে শতভাগ শিশুকে শিক্ষার আওতায় আনতে হলে আমাদের এই কর্মসূচির শতভাগ বাস্তবায়নের কোনো বিকল্প নেই। এ ছাড়া দ্রুত সময়ের মধ্যে অর্থছাড় করতে হবে। ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনতে হলে এই প্রকল্প ২০২৫ সাল পর্যন্ত অব্যাহত রাখতে হবে।’
পটুয়াখালী জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহকারী পরিচালক (অঃ দাঃ) মফিজুল ইসলাম বলেন, অর্থ প্রাপ্তিতে দেরি হচ্ছে, ঘটনা সত্য। তবে নির্দেশিকা অনুযায়ী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। অর্থছাড় হলে মাঠপর্যায়ের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে মনে করেন তিনি।

হাতুড়িপেটা করে পদত্যাগে সই সেই অধ্যক্ষকে ফুল দিয়ে কলেজে ফেরাল শিক্ষার্থীরা

প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:০৩ এএম
সেই অধ্যক্ষকে ফুল দিয়ে কলেজে ফেরাল শিক্ষার্থীরা
ছবি : খবরের কাগজ

হাতুড়িপেটা করে পদত্যাগে বাধ্য করানো ফরিদপুরের সালথা উপজেলার যদুনন্দী নবকাম পল্লী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সেই অধ্যক্ষ মো. ওবায়দুর রহমানকে ফুল দিয়ে বরণ করে কলেজে নিয়ে এসেছে শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে থাকা কোয়াটারের বাসা থেকে তার গলায় ফুলের মালা পরিয়ে তাকে কলেজে নিয়ে আসে শতাধিক শিক্ষার্থী। বাসা থেকে হেঁটে তাকে নিয়ে আসার সময় হামলাকারীদের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দিতে থাকে শিক্ষার্থীরা। পরে অধ্যক্ষকে তার কলেজের নিজ কার্যালয়ের চেয়ারে বসিয়ে দেয় তারা। এ সময় কলেজের শিক্ষকরাও তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

নবকাম পল্লী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষার্থী মো. হাসিব শেখ, তারিকুল মুন্সী ও নাইমা আক্তার বলেন, ‘আমাদের অধ্যক্ষ স্যার একজন ভালো মানুষ। মিথ্যা অভিযোগ তুলে কিছুদিন আগে অধ্যক্ষ স্যারকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে জোর করে তার কাছ থেকে পদত্যাগপত্রে সই নেয় এলাকার একটি সন্ত্রাসী বাহিনী ও কিছু দুষ্কৃতকারী শিক্ষার্থী। এরপর থেকে স্যার অসুস্থ হয়ে বাসায় অবস্থান করছিলেন। রবিবার সকালে আমরা সবাই মিলে স্যারকে তার বাসা থেকে সম্মানের সঙ্গে নিয়ে এসেছি।’

এ সময় তারা আরও বলেন, ‘আমরা অধ্যক্ষ স্যারকে কলেজে দেখতে চাই। তার এ পদত্যাগ মানি না। অন্যায়ভাবে যারা স্যারকে পিটিয়ে পদত্যাগে সই করাতে বাধ্য করেছেন, আমরা তাদের বিচার চাই। আমরা ২৪ ঘণ্টার সময় দিয়েছি। এর মধ্যে যদি হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনা না হয়, তা হলে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব।’

শিক্ষার্থীরা কলেজে নিয়ে আসার পর অধ্যক্ষ মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘আমার প্রাণপ্রিয় শিক্ষার্থীদের শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে। তাই আমাকে তারা সম্মান দিয়ে বাসা থেকে কলেজে নিয়ে এসেছে। আমি আমার শিক্ষার্থীদের কাছে কৃতজ্ঞ। পাশাপাশি আমার ওপর হামলা ও জোর করে পদত্যাগপত্রে সই করানোর খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। এর ফলে সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সেই সঙ্গে আমার পাশে দাঁড়ানোর জন্য ইউএনও, সেনাবাহিনী ও পুলিশের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’

গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে নবকাম পল্লী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ মো. ওবায়দুর রহমানকে হাতুড়িপেটা করে পদত্যাগপত্রে সই নেন স্থানীয় প্রভাবশালী কাইয়ুম মোল্যা ও কামরুল গাজীর সমর্থকরা।

হিরো আলমকে বগুড়ায় আদালত চত্বরে মারধর

প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৪১ এএম
হিরো আলমকে বগুড়ায় আদালত চত্বরে মারধর
ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ায় আদালত চত্বরে মারধরের শিকার হ‌য়ে‌ছেন আলোচিত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।

রবিবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ এনে কয়েকজন যুবক তাকে মারধর করেন।
 
হিরো আলম ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে প্রচারের সময় মারধর এবং ২০২৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি একই আসনে উপনির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে গতকাল দুপুরে বগুড়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন।

মামলায় সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বগুড়া-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রেজাউল করিম তানসেন ও সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালকে আসামি করা হয়। 

হিরো আলম দুপুর ১২টার দিকে আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মামলার বিষয়ে কথা বলছিলেন। এ সময় তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগ এনে ৫ থেকে ৭ জন যুবক হিরো আলমের ওপর চড়াও হন। তাকে বেধড়ক মারধর করে আদালত চত্বরের বাইরে সড়কে নিয়ে গিয়ে কান ধরে ওঠবস করান।

এ বিষয়ে হিরো আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘এক স্বৈরাচারের পতনের পর আরেক দল নিজেদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ শুরু করেছে। এইটা কি স্বাধীনতা? প্রকাশ্যে আমাকে হত্যার চেষ্টা করা হলো। আমি কখনো তারেক জিয়াকে নিয়ে কটূক্তি করিনি।’

তাকে মারধরের নেপথ্যের কারণ ইঙ্গিত করে হিরো আলম বলেন, ‘ডিবি হারুন আমার পরিবারকে জিম্মি করে রিজভী সাহেবের বিরুদ্ধে মামলা করিয়েছিলেন। এই কথা আগেও বলেছি। এরপরও আমাকে আদালতের মতো জায়গায় আপনাদের সামনে পেটানো হলো। যারা এই হামলা করেছে, তাদের সবার ফুটেজ আছে। শনাক্ত করে এদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

চট্টগ্রামের প্রধান সড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিষিদ্ধ

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:০২ পিএম
চট্টগ্রামের প্রধান সড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিষিদ্ধ
চট্টগ্রাম মহানগরের প্রধান সড়কগুলোতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও অটো যানবাহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ছবি : সংগৃহীত

চট্টগ্রাম মহানগরের প্রধান সড়কগুলোসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও অটো যানবাহন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। 

রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নগর পুলিশের মুখপাত্র কাজী তারেক আজিজ।

তিনি বলেন, ‘আগামীকাল ৯ সেপ্টেম্বর থেকে এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ হবে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে অবৈধ যানবাহন আটকসহ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে সিএমপি ট্রাফিক বিভাগকে সহায়তা করার জন্য নাগরিকদের অনুরোধ করা যাচ্ছে।’

সালমান/

গাজী টায়ার্স কারখানার পোড়া মালামাল লুটের অভিযোগে কারাগারে ৭

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:২০ পিএম
গাজী টায়ার্স কারখানার পোড়া মালামাল লুটের অভিযোগে কারাগারে ৭
আগুনে পুড়ে যায় গাজী টায়ার্স কারখানা। ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গাজী টায়ার্স কারখানায় পুড়ে যাওয়া মালপত্র লুট করায় ৭ জনকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরে উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের প্রত্যেককে ৭ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। 

রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রূপগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওবাইদুর রহমান সালেহ এ দণ্ড দেন। 

তিনি জানান, রবিবার সকালে গাজী টায়ার্স কারখানায় লুটপাটকারীদের ধরতে অভিযান চালায় পুলিশ ও সেনাবাহিনী। এ সময় দণ্ডপ্রাপ্তদের হাতেনাতে ধরা হয়।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, রূপগঞ্জের পাড়াগাঁও এলাকার আব্দুস সাত্তার (২২), খাদুন এলাকার খোরশেদ আলম (২১), ইব্রাহিম (২৫) ও মাহবুব হোসেন (৩৫), তারাব এলাকার সিরাজ (৩২), মোগড়াকুল এলাকার মোতালিব (৪৮) ও সুমন (৩০)।

লুটপাট ঠেকাতে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক। 

তিনি জানান, গত ২৫ আগস্ট গাজী টায়ার্স কারখানায় লুটপাটের পর আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে দুর্বৃত্তরা প্রায় কারখানার ভেতর ঢুকে পোড়া মালামাল লুট করার চেষ্টা করছে। রবিবার লুটপাটকারীদের ধরতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান পরিচালনা করে।