মামলা করার হুঁশিয়ারি দিলেও বরিশাল শহরের ব্রাউন কম্পাউন্ড এলাকার পুকুরে ফেলা বালু অপসারণ শুরু হয়নি। এর আগে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট বিলকিস আক্তার জাহান শিরিনের বিরুদ্ধে বালু ফেলে অবৈধভাবে পুকুরটি দখলের অভিযোগ উঠে। এ ঘটনায় শিরিনের দলীয় পদ স্থগিত করা হয়েছে।
বরিশাল পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. ইকবাল হোসেন ইতোমধ্যে ২৫ শতাংশের আয়তনের পুকুরটি অবৈধভাবে ভরাটের চেষ্টায় শিরিন ও তার ছোট ভাই শহিদুল ইসলাম শামিমসহ ৭ জনকে নোটিশ পাঠান। সাত দিনের মধ্যে ফেলানো বালু অপসারণ করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য বলা হয়েছে। তা না হলে তাদের বিরুদ্ধে পরিবেশ আদালতের মামলা করা হবে।
জানা গেছে, ২৫ শতাংশ জায়গা জুড়ে থাকা পুকুরটি গত বছরের মে মাসে শিরিন ও তার পরিবারের সদস্যরা ভরাট শুরু করেন। সেই সময়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) ও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের হস্তক্ষেপে বালু ফেলা বন্ধ হয়। পরে সেখানে পরিবেশ অধিদপ্তর ও সিটি করপোরেশন পুকুর ভরাটের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে একটি সাইনবোর্ড টাঙায়। একই সঙ্গে বিলকিস জাহান শিরিন ও তার পরিবারের সাত সদস্যকে সতর্কীকরণ নোটিশ দেয় পরিবেশ অধিদপ্তর। পাশাপাশি পুকুরে যে বালু ফেলা হয়েছে, তা অপসারণ ও দখলমুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার হবে বলে জানায় পরিবেশ অধিদপ্তর। তখন বালু ভরাট ও দখল বন্ধ হলেও অপসারণ করা হয়নি পুকুরে ফেলা বালু। এ বিষয়ে বিলকিস জাহান শিরিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
নগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ডর ব্রাউন কম্পাউন্ড এলাকায় বসবাস করতেন পর্তুগিজের নাগরিক এমটি ব্রাউন। তৎকালীন সময়ে তিনি বিশাল একটি এলাকা কেনেন। কালক্রমে ওই এলাকার নাম হয় ব্রাউন কম্পাউন্ড। ১৯২২ সালে সেখানে থাকা তিনটি পুকুর জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত ঘোষণা ও দলিল করে দেন তার স্ত্রী মিসেস ব্রাউন। এরপর থেকেই পুকুরগুলো ব্যবহার করে আসছেন ব্রাউন কম্পাউন্ড এলাকার বাসিন্দারা।