ঢাকা ২৯ ভাদ্র ১৪৩১, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

জামালপুর পৌর শহর গাড়ি-দোকানের দখলে ফুটপাত

প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২৪, ১০:১৭ এএম
জামালপুর পৌর শহর গাড়ি-দোকানের দখলে ফুটপাত
জামালপুর পৌর শহরে ফুটপাত দখল করে মোটরসাইকেল পার্কিং করা হয়েছে। শহরের মেডিকেল রোড থেকে তোলা/ খবরের কাগজ

জামালপুর পৌর শহরে প্রচুর বহুতল ভবন থাকলেও সেগুলোতে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা নেই। ব্যক্তিগত ও দাপ্তরিক কাজে আসা পৌরবাসীকে মানুষের চলার পথের ওপরেই গাড়ি, মোটরসাইকেল রাখতে হয়। এ ছাড়া ফুটপাত দখল করে তার ওপর বসানো হয় ভ্রাম্যমাণ দোকান। বাধ্য হয়ে সবাইকে রাস্তার ওপর দিয়ে হাঁটতে হয়। এমনিতেই অপ্রশস্ত সড়ক তার ওপর গাড়ি পার্কিং আর ভ্রাম্যমাণ দোকানের কারণে রাস্তা আরও সরু হয়ে যায়। এর সঙ্গে যুক্ত হয় মানুষের হাঁটাচলা। সব মিলিয়ে পুরো শহর তখন যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে ওঠে। সৃষ্টি হয় যানজট। ঘটে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। 

অধিকারকর্মীসহ স্থানীয়দের দাবি, বিকল্প স্থানে হকারদের পুনর্বাসন, গাড়ি পার্কিং নির্মাণ আর ফুটপাট দখলমুক্ত হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে। যদিও প্রশস্ত সড়ক ও ফুটপাত নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ এবং হকার্স মার্কেট স্থাপনের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান পৌর মেয়র। 

দেড় শ বছরের পুরোনো জামালপুর পৌর শহর। সময়ের সঙ্গে শহরের পরিধি বাড়লেও গ্রহণ করা হয়নি আধুনিক নগর পরিকল্পনা। শহরের প্রধান সড়কের দুই পাশে রয়েছে বেশির ভাগ ব্যবসা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। পাশাপাশি রয়েছে ব্যাংক, রেস্টুরেন্ট, একাধিক বাজার, বিভিন্ন বিপণি বিতান ও অন্যান্য দোকানপাট। তাই এখানে স্বাভাবিকভাবেই মানুষ ও যানবাহনের চাপ অনেক বেশি। যানজটের কারণে দুর্ভোগের সঙ্গে সময়ের অপচয় হয়। বকুলতলা, ঢাকাইপট্টি, সকাল বাজার, তমালতলা, মেডিকেল রোড, দয়াময়ী মোড়, গেটপাড়, পাঁচরাস্তাসহ জামালপুর শহরের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে একই চিত্র পাওয়া যায়। 

কয়েকজন পথচারীর সঙ্গে কথা হয় খবরের কাগজের প্রতিবেদকের। তাদের একজন ফুয়াদ। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘বাধ্য হয়ে আমাদের রাস্তার ওপর দিয়ে হাঁটতে হয়। হকারদের উচ্ছেদ করার পাশাপাশি গাড়ি পার্কিংয়ের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকলে ফুটপাত দিয়ে নির্বিঘ্নে চলাচল করা যেত।’ একই কথা বলেন আজাদ ও মিলি আক্তার নামে দুই পথচারী।
চাকরিজীবী ফয়সাল বলেন, ‘ব্যাংকে কিছু কাজ ছিল। পার্কিং না থাকায় নিজের গাড়ি ফুটপাতের ওপর রাখি। ফুটপাত বা সড়কের ওপর গাড়ি রাখা বেআইনি হলেও বাধ্য হয়ে পার্কিং করেছি। তবে এভাবে গাড়ি রাখাও নিরাপদ নয়। এতে গাড়ি চুরির পাশাপাশি দুর্ঘটনার শঙ্কা থাকে।’ 

ফুটপাতের ওপর তৈজসপত্র, কাপড়, জুতাসহ বিভিন্ন পণ্যের অস্থায়ী দোকান করে অনেকে ব্যবসা করেন। তাদের একজন মো. শাহজাহান বলেন, ‘মাঝেমধ্যে ফুটপাতের অস্থায়ী দোকানগুলো উচ্ছেদ করা হয়। তখন সংসার চালাতে হিমশিম খাই। আমরা স্বল্প পুঁজি নিয়ে ব্যবসা করি। দোকান নিয়ে ব্যবসা করার মতো সামর্থ্য আমাদের নেই। জীবন-জীবিকার তাগিদে ফুটপাতে ব্যবসা করি। সরকার যদি হকারদের জন্য মার্কেট করে দেয় তাহলে আমরা আর ফুটপাতে বসব না।’ 

‘মুক্ত হাঁটার পথ আন্দোলন’র আহ্বায়ক ইয়াসীন ইবনে মাসুদ বলেন, ‘যানজট এড়ানোর জন্য ফুটপাত জরুরি। কিন্তু পণ্য সাজিয়ে রাখা, হকারদের দোকান স্থাপন, গাড়ি পার্কিং করাসহ বিভিন্ন কারণে ফুটপাত দখল হয়ে থাকে। চাইলেও এর ওপর দিয়ে হাঁটা যায় না। পৌর কর্তৃপক্ষের উচিত সঠিক ব্যবস্থাপনার আওতায় এনে ফুটপাতগুলোকে মুক্ত রাখা। এ ছাড়া যেখানে ফুটপাত নেই সেখানে নতুন ফুটপাত তৈরি করা।’ 

জামালপুর পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন জানান, শহরের গেটপাড় এলাকায় রেলওয়ের ওভার পাস নির্মাণকাজ একেবারে শেষের দিকে। অন্যদিকে শহরের বুড়ির দোকান মোড় পর্যন্ত প্রধান সড়ক প্রশস্ত করার কাজও চলমান রয়েছে। এরপর সেখান থেকে ফৌজাদারী মোড় হয়ে পাথালিয়া পর্যন্ত বাকি সড়কটুকু প্রশস্ত করার জন্য ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের এই কাজটি শেষ হওয়ার পর ড্রেনের ওপর আধুনিক মানের ফুটপাত নির্মাণ করা হবে। হকারদের জন্য শহরের শত বছরের পুরোনো রানীগঞ্জ বাজারে হকার্স মার্কেট স্থাপনের কাজও চলমান রয়েছে।

পৌর মেয়র আরও বলেন, জামালপুর শহরে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় অর্থনৈতিক উন্নয়ন হলেও আমাদের মানসিকতার উন্নয়ন হয়নি। প্রতিটি ভবনে গাড়ি পার্কিংয়ের নির্দিষ্ট জায়গা রাখার জন্য ভবন মালিকদেরও মানসিকতার উন্নয়নের পরামর্শ দেন পৌর মেয়র।

পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, জামালপুর পৌর এলাকায় পাকা সড়ক রয়েছে ৯০ কিলোমিটার, আর ড্রেন আছে ৪৪ কিলোমিটার। ড্রেনের ওপরেই মূলত ফুটপাত নির্মাণ করা হয়। এরই মধ্যে ড্রেনের ওপর সর্বনিম্ন তিন ফুট চওড়ার ৩০ কিলোমিটার ফুটপাত নির্মিত হয়েছে। এ ছাড়া ড্রেন ছাড়া সর্বনিম্ন ৫ ফুট চওড়ার ফুটপাত রয়েছে মাত্র ৮ কিলোমিটার।

হাসপাতাল থেকে কারাগারে সাবেক বিচারপতি মানিক

প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:২৭ পিএম
হাসপাতাল থেকে কারাগারে সাবেক বিচারপতি মানিক
সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক

শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে ছাড়পত্র দিয়েছে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। 

ছাড়পত্র পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টায় তাকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়। এর আগে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দুপুরে তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।

মেডিকেল বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক শিশির চক্রবর্তী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক এখন সুস্থ। তিনি এখন অনেকটা স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারেন। সে জন্য তার সার্বিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। আজ বিকেলে তাকে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

অধ্যাপক শিশির চক্রবর্তী আরও জানান, শামসুদ্দিন মানিকের হার্টে সমস্যা রয়েছে। ১০ বছর আগে বাইপাস সার্জারি করেছিলেন। এ ছাড়া ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ আছে।

এ ব্যাপারে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. সাখাওয়াত হোসেন খবরের কাগজকে বলেন, ‘সাবেক বিচারপতি মানিককে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়ার পর বিকেল ৪টায় কারাগারে নিয়ে আসা হয়। ডাক্তাররা বলেছেন, তিনি আগের চেয়ে সুস্থ আছেন। পরবর্তী সময়ে কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন হলে আবার নিয়ে যেতে হবে।’

প্রসঙ্গত, সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার দনা সীমান্ত দিয়ে গত ২৩ আগস্ট রাত ১১টার দিকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার পাশের একটি জঙ্গল থেকে স্থানীয় কয়েকজন যুবকের সহায়তায় আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সেখানে বিজিবির কাছে আটকের আগে স্থানীয়রা তাকে মারধর করেন। পরদিন ২৪ আগস্ট সকালে তাকে কানাইঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়। ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ওই দিন বিকেলে আদালতে হাজির করলে সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ আলমগীর হোসাইন তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আদালতে প্রবেশের সময় আদালত প্রাঙ্গণে থাকা মানুষজন শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে বেধড়ক কিল-ঘুষি মারেন, ডিম ছোড়েন, জুতা নিক্ষেপ করেন ও কটূক্তিমূলক স্লোগানসহ লাঞ্ছিত করেন। সেখান থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার পর সন্ধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

চাঁদাবাজি মামলার আসামি আ.লীগ নেতাকে পিটিয়ে পুলিশে সোপর্দ

প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:১২ পিএম
চাঁদাবাজি মামলার আসামি আ.লীগ নেতাকে পিটিয়ে পুলিশে সোপর্দ
ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতিকে পিটিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয়রা। ছবি : খবরের কাগজ

চুয়াডাঙ্গায় চাঁদাবাজি মামলার আসামি ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বিশ্বজিৎ সাহাকে পিটিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বেলগাছি রেলগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিশ্বজিৎ সাহা চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নবগঠিত মাখালডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।

পুলিশ জানায়, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নবগঠিত মাখালডাঙ্গা ইউপি নির্বাচনে আফজাল হোসেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য অংশ নেন। ওই সময় বিশ্বজিৎ সাহা ও আরশাদ আলী চন্দনসহ আরও ৪-৫ জন আফজালের দোকানে গিয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। পরে আফজালকে তুলে নিয়ে গিয়ে নগদ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। এ সময় ৫০ হাজার টাকা দিলেও তারা পরবর্তী দুই দিনের মধ্যে ৭০ হাজার টাকা দেওয়ার জন্য স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে নেন। এ সময় আফজাল হোসেনকে মারধরও করা হয়। 

এই ঘটনায় গত ২৭ আগস্ট আফজাল হোসেন বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় বিশ্বজিৎ সাহাসহ ছয়জনের নামে একটি চাঁদাবাজির মামলা করেন। ওই মামলার প্রধান আসামি হিসেবে বিশ্বজিৎকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বাসে তল্লাশি চালিয়ে ২৫ স্বর্ণের বার জব্দ

প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৩১ পিএম
বাসে তল্লাশি চালিয়ে ২৫ স্বর্ণের বার জব্দ
জব্দ করা স্বর্ণের বার। ছবি : খবরের কাগজ

মেহেরপুরের আমঝুপি এলাকায় ঢাকা থেকে মেহেরপুরগামী একটি যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশি চালিয়ে ২৫টি স্বর্ণের বার জব্দ করেছে বিজিবি। এ সময় দুজনকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন আলাল হোসেন (৪৮) ও রাজিব হোসেন (২৯)। 

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিজিবির সদর দপ্তরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

বিজিবি জানায়, আজ ভোর সাড়ে ৫টার দিকে মেহেরপুরের আমঝুপিতে মহাসড়কের ‘জেআর পরিবহন’-এর একটি বাসে বিজিবি টহল দল তল্লাশি চালায়। এ সময় ২.৬১৮.৬৮ কেজি ওজনের ২৫টি স্বর্ণের বার ও নগদ ৫ হাজার ৮০৪ টাকাসহ দুজনকে আটক করা হয়। জব্দকৃত স্বর্ণের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় আড়াই কোটি টাকা।

জানা গেছে, আটককৃতরা ঢাকার ধামরাই উপজেলার চৌহাট চকপাড়া গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে আলাল হোসেন এবং টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ভাওড়া গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে রাজিব হোসেন। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। 

আড়াইহাজার থানার লুট হওয়া পিস্তল-গুলি উদ্ধার

প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৩ পিএম
আড়াইহাজার থানার লুট হওয়া পিস্তল-গুলি উদ্ধার
উদ্ধার হওয়া অস্ত্র-গুলি। ছবি : খবরের কাগজ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানা থেকে লুট হওয়া পিস্তল, ম্যাগাজিন ও গুলি উদ্ধার করেছে র‌্যাব। এর মধ্যে রয়েছে ৮টি পিস্তল, ৯টি পিস্তলের ম্যাগাজিন, ১৬ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, ৩৯ রাউন্ড রাইফেলের গুলি। 

গতকাল বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে আড়াইহাজার পৌরসভা এলাকার একটি পুকুর হতে পরিত্যক্ত অবস্থায় এসব উদ্ধার করা হয়। 

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে র‌্যাব-১১-এর অধিনায়ক তানভীর মুহাম্মদ পাশা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

র‌্যাব জানায়, গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনে ছাত্র-জনতা যখন বিজয় উল্লাস করছিল। ওই সময় সুযোগ সন্ধানী দুষ্কৃতকারীরা আড়াইহাজার থানায় হামলা, লুটপাট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় থানায় থাকা গোলাবারুদসহ বিভিন্ন সরকারি সম্পদ লুটপাট করে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার পর থেকেই অস্ত্র ও মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এর ধারাবাহিকতায় গতকাল বুধবার রাতে আড়াইহাজার পৌরসভার একটি পুকুর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় এসব পিস্তল, গুলি উদ্ধার করা হয়। অভিযান অব্যাহত থাকবে।

শহিদ রফিক সেতুর টোলবক্সে ছাত্র-জনতার আগুন

প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:১৫ পিএম
শহিদ রফিক সেতুর টোলবক্সে ছাত্র-জনতার আগুন
মানিকগঞ্জের শহিদ রফিক সেতুর টোল প্লাজায় আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। ছবি : খবরের কাগজ

মানিকগঞ্জ-সিংগাইর-হেমায়েতপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের ধলেশ্বরী নদীর ওপর শহিদ রফিক সেতুর টোল প্লাজায় আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সিংগাইর ও সাভার উপজেলার বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা সেখানে আগুন ধরিয়ে দেয়।

এর আগে সিংগাইর সরকারি কলেজ, ধল্লা ইউনিয়ন উচ্চবিদ্যালয়, সাভারের তেঁতুলঝোড়া কলেজসহ স্থানীয় কয়েকটি কওমি মাদ্রাসার ছাত্র ও সায়েস্তা ইউনিয়নের বাসিন্দা ও শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে সেতুর টোল প্লাজায় গিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। 

বিক্ষুব্ধ স্থানীয়দের অভিযোগ, ‘মানিকগঞ্জের সিংগাইর ও ঢাকার সাভারের সংযোগস্থলে ধলেশ্বরী নদীর ওপর ৩০৭ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটি ১৯৯৬ সালে উদ্বোধনের পর ২০০০ সাল থেকে টোল সংগ্রহ করা শুরু হয়। এই সেতু দিয়ে সিংগাইর থেকে সবজিসহ কাঁচামাল ঢাকায় যায়, পরিবহনে বাড়তি খরচ গুনতে হয় কৃষকদের। আমরা দীর্ঘদিন ধরে এ সেতু টোলমুক্ত করার জন্য দাবি জানিয়ে আসছি।’

তারা আরও বলেন, ‘৫ আগস্ট সরকার পতনের পর সেতুটির ইজারাদার এলাকায় নেই বলে জানা গেছে। কিন্তু তার অনুপস্থিতিতে এই সেতুর টোল সংগ্রহ কে করছে, তা আমাদের প্রশ্ন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর কয়েক দিন টোল আদায় বন্ধ থাকলেও আবারও টোল আদায় করছে একটি মহল। ইজারাদাররা না, কারা টোল আদায় করছিল তাও জানা যাচ্ছে না। এ জন্য ছাত্র-জনতা এই টোল প্লাজায় আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।’

এ সময় মানিকগঞ্জ থেকে হেমায়েতপুরগামী এবং হেমায়েতপুর থেকে সিংগাইর-মানিকগঞ্জ সড়কের যান চলাচল এক ঘণ্টার মতো বন্ধ থাকে। পরে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী এসে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।