ঢাকা ৩০ ভাদ্র ১৪৩১, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সিসিক মেয়রসহ দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কাউন্সিলরকে পদত্যাগের আলটিমেটাম

প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২৪, ০৮:৫৪ পিএম
সিসিক মেয়রসহ দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কাউন্সিলরকে পদত্যাগের আলটিমেটাম
সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সিলেটের সমন্বয়করা। ছবি: মামুন হোসেন

সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রধান প্রকৌশলীসহ সকল দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কাউন্সিলরকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করার জন্য আলটিমেটাম দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সিলেটের শিক্ষার্থীরা। এই সময়ের মধ্যে পদত্যাগ না করলে নগরভবন ঘেরাও করা হবে বলে জানিয়েছেন তারা।

বুধবার (১৪ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টায় সিলেট মহানগরের পূর্ব জিন্দাবাজারের একটি রেস্টুরেন্টে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এই আলটিমেটাম দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সিলেটের সমন্বয়করা।

মতবিনিময় সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সিলেটের সমন্বয়করা বলেন, আমরা এক মাসেরও অধিক সময় বিপ্লব করে দীর্ঘ ১৫ বছরে স্বৈরাচার সরকার পতন ঘটিয়েছে। এখন প্রতিটি সেক্টরকে দুর্নীতিমুক্ত করার আন্দোলন চালাচ্ছি। তাই স্বৈরাচারের অধীনে যত প্রহসনমূলক নির্বাচন হয়েছে এবং এসব নির্বাচনে যারা বিজয়ী রূপে বিভিন্ন চেয়ারে বসেছে তাদের আমরা আর চেয়ারে দেখতে চাই না। এরই ধারাবাহিকতায় সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রধান প্রকৌশলীসহ সকল দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কাউন্সিলরকে ২৪ ঘণ্টা সময় বেধে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যে তারা পদত্যাগ না করলে পরে আমরা নগরভবন ঘেরাও করবো। এরপর জনতা আপনাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে।

প্রেসের স্বাধীনতা নিশ্চিত করবে উল্লেখ করে সমন্বয়করা বলেন, এতদিন সরকার সাংবাদিকদের গলা চেপে ধরেছিল। তাদের কুকর্ম প্রকাশ না করার জন্য। কিন্তু আমরা এমনটা চাই না। আমরা চাই সাংবাদিকের কলম চলবে দুর্বার গতিতে। আমরা নতুন, তাই বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের ভুল ত্রুটি হতে পারে। আপনারা আমাদের ভুল ধরিয়ে দেন এটাই আমরা চাই। এই সরকারের ভাল, মন্দ সব দিক তুলে ধরবেন আপনাদের খবরে এটাই আমরা চাই।

এই আন্দোলনে নিহত সাংবাদিক এটিএম তুরাব ও শিক্ষার্থী রোদ্র সেনকে স্মরণ করে সমন্বয়করা বলেন, স্বৈরাচার সরকার পতন হওয়ার পর এখন হিন্দু সম্প্রদায়কে ব্যবহার করে বিশৃঙ্খলা, অরাজকতা ও নাশকতা করার পায়তারা করছে। আমরা আপনাদেরকে বলে দিতে চাই, এদেশের ছাত্র সমাজ সবাইকে সঙ্গে নিয়ে তাদের সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে প্রস্তুত। আমরা সম্প্রীতির বাংলাদেশ চাই। এদেশে কোনো মেজরিটি মাইনরিটি নেই। আমরা সবাই বাংলাদেশি। বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলা করতে আসলে আমরা কাউকে ছাড় দেব না। সবাইকে জানাতে চাই এটা ১৪ জনের সরকার না। এটা ১৮ কোটি মানুষের সরকার। এই সরকার দেশের যে সংস্কার করবে এর সুফল সবাই ভোগ করবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, শাবিপ্রবি ও সিলেটের সমন্বয়ক মো. গোলাম মর্তুজা সেলিমের পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্নয়ক আসাদ উল্লাহ আল গালিব, শাবিপ্রবি সমন্নয়ক দেলোয়ার হোসেন শিশির, কেন্দ্রীয় কমিটির সহসমন্নয়ক ফয়সল হোসেন, শাবিপ্রবি সমন্নয়ক হাফিজুর রহমান, শাবিপ্রবি সমন্নয়ক জহিরুল ইসলাম। এসময় তারা সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

শাকিলা ববি/এমএ/

 

টেকসই বেড়িবাঁধ চান স্থানীয়রা

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৮ এএম
টেকসই বেড়িবাঁধ চান স্থানীয়রা
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার পানপট্টি ইউনিয়নের লঞ্চঘাট এলাকায় নদীভাঙনের চিত্র। খবরের কাগজ

উপকূলের মানুষের কাছে আতঙ্কের নাম নদীভাঙন। প্রতিবছর বর্ষায় পটুয়াখালীর গলাচিপায় নদীভাঙনে রাস্তাঘাট, হাট-বাজার, স্কুল-কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নদীতে বিলীন হয় যাচ্ছে। এ ছাড়া উপজেলায় ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে হাজার হাজার পরিবার। ভাঙন রোধে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেবে অন্তবর্তী সরকার, এমনটাই দাবি স্থানীয়দের।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিবছর বর্ষায় নদীভাঙনের কারণে জেলার গলাচিপার পানপট্টি এলাকার রাস্তাঘাট, হাট-বাজার নদীতে বিলীন হচ্ছে। ভাঙনের কারণে কৃষিজমি ও বসতভিটা হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে শত শত পরিবার। ধনীরা অন্য জায়গায় জমি কিনে ভিটা ছাড়লেও নিম্নবিত্তরা সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ছেন। ভাঙনের কারণে এলাকায় মানচিত্র থেকে প্রতিদিনই কমছে গ্রামের সীমানা।

গলাচিপা উপজেলার পানপট্টি ইউনিয়নের বাসিন্দা রফিক সরদার বলেন, ‘আমরা সব সময় আতঙ্কে থাকি। বর্তমান সরকারের কাছে দাবি জানাই, দ্রুত ব্লক দিয়ে শক্তপোক্তভাবে এখানে একটি বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হোক।’

পানপট্টি লঞ্চঘাট এলাকার চায়ের দোকানি নুরুল হাসান বলেন, ‘প্রতিবছর ঝড়-বন্যা হলে এখানে নদীভাঙন শুরু হয়। ভাঙন থেকে দোকানঘর বাঁচাতে গত পাঁচ বছর ধরে সেটি ভেঙে সরিয়ে আবার নতুন করে গড়তে হচ্ছে। এ রকম চলতে থাকলে ব্যবসা করে পরিবার নিয়ে কী খেয়ে বাঁচব?’

সরেজমিনে দেখা গেছে, পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলা সড়কপথ বিচ্ছিন্ন একটি উপজেলা। রাঙ্গাবালী উপজেলা থেকে গলাচিপার পানপট্টি হয়ে জেলা শহরে যেতে হয়। যাতায়াতে ব্যবহৃত হয় লঞ্চ, ট্রলার বা স্পিডবোট।

রাঙ্গাবালী থেকে ট্রলারে আসা যাত্রী সিদ্দিক মাঝি বলেন, ‘নদীভাঙনের কারণে পানপট্টি লঞ্চঘাটের অবস্থা বেহাল হয়ে আছে। আমরা রাঙ্গাবালী থেকে এসে পানপট্টি লঞ্চঘাট নামলেও, এই ঘাট দিয়ে সড়কে উঠতে খুব কষ্ট হয়।’

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফ হোসেন বলেন, ‘ভাঙনকবলিত এলাকা ইতোমধ্যে পরিদর্শন করেছি। ওখানে আমাদের প্রাথমিক জরিপ সম্পন্ন হয়েছে। এ বিষয়ে একটি প্রকল্পও অনুমোদন হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে কাজ শুরু হবে।

এদিকে নদীভাঙনে শুধু পানপট্টি নয়, এর মতো উপজেলার বদনাতলী, ডাকুয়া ও আমখোলা ইউনিয়নে রাস্তাঘাট, হাট-বাজার, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নদীতে বিলীন হচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা।

বাঁশখালীতে ভারি বর্ষণে জনজীবন স্থবির, নেই বিদ্যুৎ

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২৫ এএম
বাঁশখালীতে ভারি বর্ষণে জনজীবন স্থবির, নেই বিদ্যুৎ
টানা বৃষ্টিতে উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত। ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার টানা ভারি বর্ষণে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। চলছে ধমকা হাওয়াও। বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ।

বৃহস্পতিবার (১২ সেমেপ্টম্বর) থেকে টানা বৃষ্টিতে উপজেলার নিম্নাঞ্চল ছাড়াও উপজেলা সদরের রাস্তঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি উঠেছে দোকান পাট ও বাসা বাড়িতে।

বিদ্যুৎ না থাকায় বিভিন্ন ভবন ও বাসা বাড়িতে বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে। মোবাইলে চার্জ দিতে না পেরে অনেকের যোগাযোগ ব্যবস্থাও বন্ধ হয়ে গেছে।

পল্লী বিদ্যুতের বাঁশখালী অফিসের ডিজিএম রিশু কুমার ঘোষ খবরের কাগজকে বলেন, এমনিতেই কয়কদিন ধরে বিদ্যুতের করুণ অবস্থা চলছে। লোডশেডিং হচ্ছে। এরমধ্যে ভারি বর্ষণ আর ধমকা হাওয়া ও প্রচন্ড বজ্রপাতে দোহাজারী গ্রীডের মেইন তার ছিড়ে গেছে। ৩৩ কেভি মেইন লাইনেও বিদ্যুৎ নেই। শাহমীরপুর গ্রীড থেকেও ৩৩কেভি লাইনটিও ফল্ট হয়েছে। কোনভাবেই বিদ্যুৎ লাইন চালু করা যাচ্ছে না। বিদ্যুৎ কর্মীরা কাজ করছেন। লাইন চালু হতে সময় লাগবে। 

বাঁশখালীর বাহারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম চৌধুরী ইউনুস বলেন, ভারি বর্ষণে উপকূলীয় বাহারছড়া ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। মানুষ ভোগান্তিতে সময় পার করছেন।

পুইছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান তারেকুর রহমান জানান, ভারি বর্ষণে পুঁইছড়ির বিভিন্ন এলাকায় পানি উঠেছে। পাহাড়ি এলাকায় পাহাড় ধসের সম্ভাবনা রয়েছে।

ইসরাত চৈতী/

চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজছাত্র নিহত

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:০১ এএম
চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজছাত্র নিহত
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত

চুয়াডাঙ্গায় রাস্তা পারাপারের সময় মোটরসাইকেল চাপায় বাদশা নামের (২০) এক মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পথচারীসহ মোটরসাইকেলে থাকা আরও দুই আরোহী আহত হয়েছেন। 

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর কাঠালতলা নামকস্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহত বাদশা চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া গ্রামের চকপাড়ার সাইফুল ইসলামের ছেলে। তিনি আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজের এইচএসসি শিক্ষার্থী ছিলেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের থানা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আরাফাত ইসলাম খবরের কাগজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, জয়রামপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় বাদশা নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়। এছাড়া আহতের মধ্যে একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য বিল্লাল হোসেন খবরের কাগজকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আল ইমরান জুয়েল বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই বাদশার মৃত্যু হয়েছে।

আফজাল/ইসরাত চৈতী/

সৈকতে নারীকে কান ধরিয়ে উল্লাস করা যুবক ডিবি হেফাজতে

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৮ এএম
সৈকতে নারীকে কান ধরিয়ে উল্লাস করা যুবক ডিবি হেফাজতে
ডিবি হেফাজতে নেওয়া অভিযুক্ত ফারুকুল ইসলাম

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক নারীকে মারধরের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, রাতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে এক নারীকে কান ধরিয়ে উঠবস করাচ্ছে একদল অতিউৎসাহী জনতা। তাদের তোপের মুখে পড়া ওই ভুক্তভোগী নারী কানে হাত দিয়ে উঠবস করতে অপারগতা প্রকাশ করছেন। কিন্তু সেখানে উপস্থিত এক যুবক লাঠি দিয়ে ওই নারীকে একাধিকবার আঘাত করেন। সেই লাঠির আঘাত থেকে রক্ষা পেতে ভুক্তভোগী নারী কান ধরে উঠবস করছেন।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টার দিকে অভিযুক্ত ফারুকুল ইসলামকে আটক করে হেফাজতে নিয়েছে কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। 

বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ডিবির ওসি জাবেদ মাহমুদ।  

ভিডিওতে মারধর করা যুবকটির নাম ফারুকুল ইসলাম। তার বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া এলাকায়।

ডিবির ওসি জাবেদ মাহমুদ খবরের কাগজকে বলেন, ‘সমাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। শুরু হয় নিন্দার ঝড়। একজন মানুষ যত অপরাধই করুক না কেন তার জন্য আইন আছে। তবে একজন নারীকে পেটানোটা ঠিক হয়নি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মুহিববুল্লাহ মুহিব/ইসরাত চৈতী/

পানির নিচে কক্সবাজার শহর, একদিনে ৯ মৃত্যু

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:২৩ এএম
পানির নিচে কক্সবাজার শহর, একদিনে ৯ মৃত্যু
ভারী বর্ষণে সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন পর্যটক ও স্থানীয়রা। ছবি : খবরের কাগজ

ভারী বর্ষণে পর্যটননগরী কক্সবাজারে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। সৈকত সড়কসহ অন্তত ১৮টি উপসড়ক পানিতে ডুবে গেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন পর্যটক ও স্থানীয়রা। এ ছাড়া জেলায় পৃথক ঘটনায় একদিনে ৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে অব্যাহত বৃষ্টিতে শহরের পর্যটন জোন কলাতলীর হোটেল-মোটেল এলাকা, সৈকতের লাবণী পয়েন্ট থেকে সুগন্ধা পয়েন্ট, বাজারঘাটা, গোলদিঘীর পাড়, বৌদ্ধ মন্দির সড়ক, পাহাড়তলী, পেশকারপাড়া, সমিতিপাড়া, কুতুবদিয়াপাড়া পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া জেলার টেকনাফ, উখিয়া, পেকুয়া, চকরিয়ার ও রামু উপজেলার প্রায় তিন শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

সরেজমিনে হোটেল-মোটেল জোনে গিয়ে দেখা যায়, জলাবদ্ধতার কারণে কলাতলী হোটেল-মোটেল জোনের ১৮টি সড়ক ডুবে গেছে। ৫১৬ হোটেল-মোটেলের কয়েক হাজার পর্যটক পড়েছেন চরম বিপাকে। 

এদিকে জেলায় পৃথক ঘটনায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে পৃথক পাহাড়ধসের ঘটনায় ৬ জন, ট্রলার ডুবে দুই জেলে এবং বন্যার পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। 

জেলা প্রশাসক মো. মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ভোররাতে পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটে। এতে দুই পরিবারের ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নে একই পরিবারের তিনজন এবং উখিয়ায় রোহিঙ্গা শিবিরের ১৪ নম্বর ক্যাম্পে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। 

নিহতরা হলেন- সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ ডিককুল গ্রামের মিজানুর রহমানের স্ত্রী আঁখি আকতার (২৫), দুই শিশুকন্যা মিহা জান্নাত নাঈমা ওরফে ময়না (৭) ও লতিফা ইসলাম ওরফে মায়া (২) এবং উখিয়ার হাকিমপাড়া ১৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-২ ব্লকের কবির আহমেদের ছেলে আব্দুর রহিম (৩০), আব্দুল হাফেজ (১০) ও আব্দুল ওয়াহেদ (৮)। 

এ ছাড়া ট্রলারডুবিতে মোহাম্মদ জামাল (৩৭) ও নুরুল আমিন (৪০) নামে দুই জেলের মৃত্যু হয়েছে।

রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) ইমন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

টেকনাফে বন্যার পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বাড়ির পাশের ডোবায় পড়ে তার মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী। 

মুহিববুল্লাহ মুহিব/সালমান/