ঢাকা ৩০ ভাদ্র ১৪৩১, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শেখ হাসিনাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে: মামুনুল হক

প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২৪, ১০:৪৮ পিএম
আপডেট: ১৫ আগস্ট ২০২৪, ০৮:৫১ এএম
শেখ হাসিনাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে: মামুনুল হক
ছবি: খবরের কাগজ

হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক বলেছেন, শেখ হাসিনাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। 

বুধবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর মুক্তমঞ্চে হেফাজত ইসলাম আয়োজিত গণসমাবেশের বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

হেফাজতের এই নেতা আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনা প্রতিশোধের রাজনীতি করেছেন। প্রতিশোধ নিয়েছেন। তিনি খুনের নেশায় মাতাল।’ তিনি আরও বলেন, ‘১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের ছুটি বাতিল করে যে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে, এ জন্য অন্তর্বর্তী সরকাকে ধন্যবাদ জানাই।’ 

মামুনুল হক বলেন, ‘ইতোমধ্যে আপনারা বিভিন্ন যোগাযোগমাধ্যমে দেখেছেন, ‘শেখ হাসিনা ১৫ আগস্টকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য মানুষকে উসকানি দিচ্ছেন। মনে রাখবেন, এখন বাংলাদেশ আর ১৬ বছরের সেই ফ্যাসিবাদী বাংলাদেশ নয়। এই বাংলাদেশ স্বাধীন বাংলাদেশ। ছাত্র-জনতার এক সাগর রক্তে অর্জিত এই বাংলাদেশে যদি ১৫ আগস্টকে কেন্দ্র করে কোনো নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করা হয়, তা হলে সারা বাংলাদেশে তাদের প্রতিরোধ করা হবে।’

হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মুফতি মোবারকুল্লাহর সভাপতিত্বে গণসমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন মহাসচিব শায়খ সাজিদুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, মাওলানা শাখাওয়াত হোসেন রাজি, মাওলানা আজিজুল ইসলাম ইসলামাবাদী, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ূবী প্রমুখ। 

গণসমাবেশে বিভিন্ন সময়ে হত্যাকাণ্ডের বিচার ও সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ ৮ দফা প্রস্তাব দেওয়া হয়।

মো. জুয়েল রহমান/এমএ/

টেকসই বেড়িবাঁধ চান স্থানীয়রা

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৮ এএম
টেকসই বেড়িবাঁধ চান স্থানীয়রা
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার পানপট্টি ইউনিয়নের লঞ্চঘাট এলাকায় নদীভাঙনের চিত্র। খবরের কাগজ

উপকূলের মানুষের কাছে আতঙ্কের নাম নদীভাঙন। প্রতিবছর বর্ষায় পটুয়াখালীর গলাচিপায় নদীভাঙনে রাস্তাঘাট, হাট-বাজার, স্কুল-কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নদীতে বিলীন হয় যাচ্ছে। এ ছাড়া উপজেলায় ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে হাজার হাজার পরিবার। ভাঙন রোধে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেবে অন্তবর্তী সরকার, এমনটাই দাবি স্থানীয়দের।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিবছর বর্ষায় নদীভাঙনের কারণে জেলার গলাচিপার পানপট্টি এলাকার রাস্তাঘাট, হাট-বাজার নদীতে বিলীন হচ্ছে। ভাঙনের কারণে কৃষিজমি ও বসতভিটা হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে শত শত পরিবার। ধনীরা অন্য জায়গায় জমি কিনে ভিটা ছাড়লেও নিম্নবিত্তরা সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ছেন। ভাঙনের কারণে এলাকায় মানচিত্র থেকে প্রতিদিনই কমছে গ্রামের সীমানা।

গলাচিপা উপজেলার পানপট্টি ইউনিয়নের বাসিন্দা রফিক সরদার বলেন, ‘আমরা সব সময় আতঙ্কে থাকি। বর্তমান সরকারের কাছে দাবি জানাই, দ্রুত ব্লক দিয়ে শক্তপোক্তভাবে এখানে একটি বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হোক।’

পানপট্টি লঞ্চঘাট এলাকার চায়ের দোকানি নুরুল হাসান বলেন, ‘প্রতিবছর ঝড়-বন্যা হলে এখানে নদীভাঙন শুরু হয়। ভাঙন থেকে দোকানঘর বাঁচাতে গত পাঁচ বছর ধরে সেটি ভেঙে সরিয়ে আবার নতুন করে গড়তে হচ্ছে। এ রকম চলতে থাকলে ব্যবসা করে পরিবার নিয়ে কী খেয়ে বাঁচব?’

সরেজমিনে দেখা গেছে, পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলা সড়কপথ বিচ্ছিন্ন একটি উপজেলা। রাঙ্গাবালী উপজেলা থেকে গলাচিপার পানপট্টি হয়ে জেলা শহরে যেতে হয়। যাতায়াতে ব্যবহৃত হয় লঞ্চ, ট্রলার বা স্পিডবোট।

রাঙ্গাবালী থেকে ট্রলারে আসা যাত্রী সিদ্দিক মাঝি বলেন, ‘নদীভাঙনের কারণে পানপট্টি লঞ্চঘাটের অবস্থা বেহাল হয়ে আছে। আমরা রাঙ্গাবালী থেকে এসে পানপট্টি লঞ্চঘাট নামলেও, এই ঘাট দিয়ে সড়কে উঠতে খুব কষ্ট হয়।’

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফ হোসেন বলেন, ‘ভাঙনকবলিত এলাকা ইতোমধ্যে পরিদর্শন করেছি। ওখানে আমাদের প্রাথমিক জরিপ সম্পন্ন হয়েছে। এ বিষয়ে একটি প্রকল্পও অনুমোদন হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে কাজ শুরু হবে।

এদিকে নদীভাঙনে শুধু পানপট্টি নয়, এর মতো উপজেলার বদনাতলী, ডাকুয়া ও আমখোলা ইউনিয়নে রাস্তাঘাট, হাট-বাজার, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নদীতে বিলীন হচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা।

বাঁশখালীতে ভারি বর্ষণে জনজীবন স্থবির, নেই বিদ্যুৎ

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২৫ এএম
বাঁশখালীতে ভারি বর্ষণে জনজীবন স্থবির, নেই বিদ্যুৎ
টানা বৃষ্টিতে উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত। ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার টানা ভারি বর্ষণে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। চলছে ধমকা হাওয়াও। বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ।

বৃহস্পতিবার (১২ সেমেপ্টম্বর) থেকে টানা বৃষ্টিতে উপজেলার নিম্নাঞ্চল ছাড়াও উপজেলা সদরের রাস্তঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি উঠেছে দোকান পাট ও বাসা বাড়িতে।

বিদ্যুৎ না থাকায় বিভিন্ন ভবন ও বাসা বাড়িতে বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে। মোবাইলে চার্জ দিতে না পেরে অনেকের যোগাযোগ ব্যবস্থাও বন্ধ হয়ে গেছে।

পল্লী বিদ্যুতের বাঁশখালী অফিসের ডিজিএম রিশু কুমার ঘোষ খবরের কাগজকে বলেন, এমনিতেই কয়কদিন ধরে বিদ্যুতের করুণ অবস্থা চলছে। লোডশেডিং হচ্ছে। এরমধ্যে ভারি বর্ষণ আর ধমকা হাওয়া ও প্রচন্ড বজ্রপাতে দোহাজারী গ্রীডের মেইন তার ছিড়ে গেছে। ৩৩ কেভি মেইন লাইনেও বিদ্যুৎ নেই। শাহমীরপুর গ্রীড থেকেও ৩৩কেভি লাইনটিও ফল্ট হয়েছে। কোনভাবেই বিদ্যুৎ লাইন চালু করা যাচ্ছে না। বিদ্যুৎ কর্মীরা কাজ করছেন। লাইন চালু হতে সময় লাগবে। 

বাঁশখালীর বাহারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম চৌধুরী ইউনুস বলেন, ভারি বর্ষণে উপকূলীয় বাহারছড়া ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। মানুষ ভোগান্তিতে সময় পার করছেন।

পুইছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান তারেকুর রহমান জানান, ভারি বর্ষণে পুঁইছড়ির বিভিন্ন এলাকায় পানি উঠেছে। পাহাড়ি এলাকায় পাহাড় ধসের সম্ভাবনা রয়েছে।

ইসরাত চৈতী/

চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজছাত্র নিহত

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:০১ এএম
চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজছাত্র নিহত
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত

চুয়াডাঙ্গায় রাস্তা পারাপারের সময় মোটরসাইকেল চাপায় বাদশা নামের (২০) এক মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পথচারীসহ মোটরসাইকেলে থাকা আরও দুই আরোহী আহত হয়েছেন। 

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর কাঠালতলা নামকস্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহত বাদশা চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া গ্রামের চকপাড়ার সাইফুল ইসলামের ছেলে। তিনি আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজের এইচএসসি শিক্ষার্থী ছিলেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের থানা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আরাফাত ইসলাম খবরের কাগজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, জয়রামপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় বাদশা নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়। এছাড়া আহতের মধ্যে একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য বিল্লাল হোসেন খবরের কাগজকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আল ইমরান জুয়েল বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই বাদশার মৃত্যু হয়েছে।

আফজাল/ইসরাত চৈতী/

সৈকতে নারীকে কান ধরিয়ে উল্লাস করা যুবক ডিবি হেফাজতে

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৮ এএম
সৈকতে নারীকে কান ধরিয়ে উল্লাস করা যুবক ডিবি হেফাজতে
ডিবি হেফাজতে নেওয়া অভিযুক্ত ফারুকুল ইসলাম

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক নারীকে মারধরের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, রাতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে এক নারীকে কান ধরিয়ে উঠবস করাচ্ছে একদল অতিউৎসাহী জনতা। তাদের তোপের মুখে পড়া ওই ভুক্তভোগী নারী কানে হাত দিয়ে উঠবস করতে অপারগতা প্রকাশ করছেন। কিন্তু সেখানে উপস্থিত এক যুবক লাঠি দিয়ে ওই নারীকে একাধিকবার আঘাত করেন। সেই লাঠির আঘাত থেকে রক্ষা পেতে ভুক্তভোগী নারী কান ধরে উঠবস করছেন।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টার দিকে অভিযুক্ত ফারুকুল ইসলামকে আটক করে হেফাজতে নিয়েছে কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। 

বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ডিবির ওসি জাবেদ মাহমুদ।  

ভিডিওতে মারধর করা যুবকটির নাম ফারুকুল ইসলাম। তার বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া এলাকায়।

ডিবির ওসি জাবেদ মাহমুদ খবরের কাগজকে বলেন, ‘সমাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। শুরু হয় নিন্দার ঝড়। একজন মানুষ যত অপরাধই করুক না কেন তার জন্য আইন আছে। তবে একজন নারীকে পেটানোটা ঠিক হয়নি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মুহিববুল্লাহ মুহিব/ইসরাত চৈতী/

বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবিতে দুইজনের মৃত্যু, নিখোঁজ ৩ শতাধিক জেলে

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:২০ পিএম
আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:২২ এএম
বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবিতে দুইজনের মৃত্যু, নিখোঁজ ৩ শতাধিক জেলে
বৈরী আবহাওয়ার কারণে উপকূলে ফিরতে পারেননি ১৩টি মাছধরা ট্রলারের ৩ শতাধিক মাঝিমাল্লা। ছবি : খবরের কাগজ

বৈরী আবহাওয়ার কারণে কক্সবাজারের লাবণী চ্যানেলে ‘এফবি রশিদা’ নামে একটি ফিশিং ট্রলারডুবির ঘটনায় দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া উপকূলে ফিরতে পারেনি কক্সবাজারের ১৩টি মাছধরা ট্রলার। এসব ট্রলারে ৩ শতাধিক মাঝিমাল্লা রয়েছে। যাদের সঙ্গে গেল বুধবার থেকে ৪৮ ঘণ্টা ধরে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। 

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার ফিশিংবোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

বঙ্গোপসাগরে নিখোঁজ ট্রলারগুলো হলো এফবি হাসান, এফবি আবছার, এফবি সাবিত, এফবি মায়ের দোয়া, এফবি কায়সার, এফবি আব্দুল মালেক এক দুই, এফবি আঁখি, এফবি তাহসিন, এফবি বাবুল, এফবি নাছির, এফবি সেলিম, এফবি নজির ও এফবি জনি।

ফিশিংবোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন জানান, গত বুধবার থেকে টানা বর্ষণ হচ্ছে কক্সবাজার উপকূলে। গেল ৪৮ ঘণ্টা ধরে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টিপাতের ফলে উপকূলে ফিরছিলেন জেলেরা। কিন্তু পথে অনেক ট্রলার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সমুদ্রে ভেসে গেছে। তার মধ্যে ৮টি ট্রলার কলাতলী ও উখিয়ার ইনানীর পাটোয়ারটেক পয়েন্টে ভেসে এসেছে। সেখান থেকে তিন শতাধিক জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। 

দেলোয়ার হোসেন আরও জানান, বুধবার থেকে কোনো ধরনের যোগাযোগ নেই ১৩ ফিশিং ট্রলারের সঙ্গে। এসব ট্রলারে থাকা ৩ শতাধিক জেলের ফোন বা কোনোভাবে তাদের সঙ্গে সংযোগ নেই। সে হিসেবে তারাও এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। 

এদিকে শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বঙ্গোপসাগরের লাবণী চ্যানেলে ‘এফবি রশিদা’ নামে একটি ফিশিং ট্রলারডুবির ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। ট্রলারে থাকা ২৩ মাঝিমাল্লার মধ্যে ১৯ জন কূলে উঠতে পারলেও বাকি ৩ জন নিখোঁজ রয়েছেন। এদের মধ্যে তীরে ফেরা জেলেদের মধ্যে মোহাম্মদ জামাল (৩৭) নামে একজনের অবস্থা গুরুতর হলে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। জামালের বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চরম্বা এলাকায়। 

এ ছাড়া রাত ৮টার দিকে রামু উপজেলার প্যাঁচার দ্বীপ পয়েন্টে নুরুল আমিন (৪০) নামে আরেক জেলের লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার শেখেরখিল এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (পর্যটন সেল) তানভীর হোসেন।