ঢাকা ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, রোববার, ০৮ জুন ২০২৫
English

‘ফেরেশতা রূপে এসেছিলেন শিক্ষার্থীরা’

প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৩৩ এএম
আপডেট: ২৬ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৩৬ এএম
‘ফেরেশতা রূপে এসেছিলেন শিক্ষার্থীরা’
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আশ্রয় নেওয়া অন্তঃসত্ত্বা নারী সন্তান জন্ম দেওয়ায় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আঁখিনূর জাহান নীলা (মাঝে) তাকে দেখতে আসেন। ইনসেটে নবজাতককে কোলে নিয়ে মা নারগিস আক্তার। ছবি: খবরের কাগজ

নোয়াখালী সদরের ধর্মপুরের বাসিন্দা আবদুর রহমান। বন্যার কারণে বাড়িতে পানি উঠে যাওয়ায় সন্তানসম্ভবা স্ত্রী নারগিস আক্তারসহ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গত শুক্রবার নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) আশ্রয় নেন। শনিবার (২৪ আগস্ট) নারগিসের প্রসব বেদনা ওঠে। খবর পেয়ে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বাচ্চা প্রসবের ব্যবস্থা করেন। ডেকে আনেন ক্যাম্পাসে থাকা এক শিক্ষকের গাইনি চিকিৎসক স্ত্রীকে। তিনি এসে ব্যর্থ হন।

জানান, হাসপাতালে নিতে হবে। স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষার্থীরা তখন নারগিসকে নোয়াখালীর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তিনি ফুটফুটে একটি ছেলের জন্ম দেন। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সন্তানসহ মাকে আবারও আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হয়। তারা দুজনই এখন সুস্থ। শিক্ষার্থীরা নবজাতকের নাম দিয়েছেন আজমাইন রহমান প্লাবন।

এদিকে আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা নারীর সন্তান প্রসবের খবর পেয়ে গতকাল রবিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আঁখিনুর জাহান নীলা নতুন পোশাক ও খাবার নিয়ে তাকে দেখতে যান। প্রতিকূল পরিবেশে নির্বিঘ্নে সন্তান প্রসব করতে পেরে খুশি নারগিস। তিনিসহ তার স্বামী স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষার্থীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। আর পুরো ঘটনার সাক্ষী হতে পেরে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা।

নবজাতকের বাবা আবদুর রহমান বলেন, ‘আমার স্ত্রীর কঠিন সময়ে শিক্ষার্থীরা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এ স্মৃতি কখনোই ভুলবার নয়। তাদের (শিক্ষার্থী) সঙ্গে আমাদের আত্মার সম্পর্ক তৈরি হলো। আবারও প্রমাণিত হলো, মানুষ মানুষের জন্য। আমার স্ত্রী ও ছেলে ভালো আছে। তাদের জন্য দোয়া করবেন। ইউএনও ম্যাডামও আমার ছেলেকে দেখতে এসেছেন। আমি তার কাছেও কৃতজ্ঞ।’

প্লাবনের মা নারগিস আক্তার বলেন, ‘আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েরা হলে থাকার সুযোগ করে দিয়েছেন। আমাকে আর আমার বাচ্চাকে আদর-যত্ন করে আগলে রেখেছেন। বন্যার সময় শরীর খারাপ হওয়ায় দুশ্চিন্তায় ছিলাম। শিক্ষার্থীদেরকে আল্লাহ যেন ফেরেশতা হিসেবে আমার কাছে পাঠিয়েছেন। তাদের অবদান আমি কখনো ভুলব না।’

শিক্ষার্থী জোবাইদা খানম মারিয়া বলেন, ‘আমরা আশ্রয়কেন্দ্রে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সময় নারগিস আক্তারের প্রসব বেদনার খবর পাই। আমাদের বন্ধু নাহিদ ও শাহীনুরের মাধ্যমে তাকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে তিনি ছেলে শিশুর জন্ম দেন।’

তামান্না ফেরদৌস তাম্মী নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, আজকে মা ও নবজাতককে আমাদের হলে নিয়ে এসেছি। বাবুটার একটা নাম আমরা নিজেদের ইচ্ছামতো দিতে পেরেছি। আমাদের অনেক ভালো লাগছে। প্লাবনের পরিবারের সঙ্গে আমাদের সবসময় যোগাযোগ থাকবে, ইনশাআল্লাহ।’

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আঁখিনূর জাহান নীলা বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রে প্লাবনসহ দুটি শিশু ছিল। খবর পেয়ে আমি তাদেরকে দেখতে গিয়েছি। শিক্ষার্থীরা খুবই ভালো কাজ করেছেন। তারা প্রশংসার দাবিদার। আমরা যে বাংলাদেশ এতদিন চেয়েছিলাম, শিক্ষার্থীরা মনে হয় আমাদেরকে সেদিকেই নিয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, সদর উপজেলায় বিশ্ববিদ্যালয়েরসহ দুই শতাধিক আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ১৫ হাজার বন্যা দুর্গত মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। সবাই আমাদের মেহমান। আমরা সবার খোঁজ খবর নেওয়ার যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।

মৌলভীবাজারে প্রাইভেটকার-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে ২ ভাই নিহত

প্রকাশ: ০৮ জুন ২০২৫, ০১:২৯ এএম
মৌলভীবাজারে প্রাইভেটকার-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে ২ ভাই নিহত
সাহেদ হোসেন সুমন ও রুমন আহমদ। ছবি: সংগৃহীত

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে সাহেদ হোসেন সুমন (২৬) ও রুমন আহমদ (২৪) নামে দুইভাই নিহত হয়েছেন।

শনিবার (৭ জুন) বিকেলে বড়লেখা-কুলাউড়া আঞ্চলিক সড়কের কাঠালতলী কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- বড়লেখা পৌরসভার মহুবন্দ গ্রামের বাসিন্দা আলাউদ্দিনের ছেলে। 

নিহতদের মধ্যে সুমন ছিলেন সৌদি প্রবাসী। কয়েকমাস আগেই দেশে ফিরে বিয়ে করেছিলেন তিনি।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার বিকেলে কোরবানির গরুর মাংস শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছে দিতে ছোট ভাই রুমনকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে দক্ষিণভাগের দিকে যান সুমন। পথে কাঠালতলী কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামনে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি প্রাইভেটকারের সঙ্গে তাদের মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

এতে ঘটনাস্থলেই সুমন মারা যান এবং ছোট ভাই রুমন গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা রুমনকে উদ্ধার করে প্রথমে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। তবে রাত সাড়ে ৯টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রুমনের মৃত্যু হয়।

বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম সরকার খবরের কাগজকে বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর প্রাইভেটকারটির চালক পালিয়ে গেছেন। তবে গাড়িটি জব্দ করা হয়েছে।’

পুলক/পপি/

ঈদের দিন প্ল্যাকার্ড নিয়ে সুমনা‌ ‘হত্যার’ বিচার দাবি

প্রকাশ: ০৭ জুন ২০২৫, ০৪:৩৬ পিএম
ঈদের দিন প্ল্যাকার্ড নিয়ে সুমনা‌ ‘হত্যার’ বিচার দাবি
ছবি: সংগৃহীত

যশোরে ঈদের নামাজ শেষে প্ল্যাকার্ড হাতে সুমনা‌ ‘হত্যার’ বিচার ও দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের আহ্বায়ক রাশেদ খান। এ সময় তার কোলে ছিল সুমনার ১১ মাস বয়সী মেয়ে জান্নাতুল মাওয়া।
 
শনিবার (৭ জুন) যশোর কেন্দ্রীয় ঈদগাহে নামাজ শেষে তিনি এই প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে দাঁড়ান।

যৌতুকের জন্য সুমনাকে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন ৷ প্রতিনিয়ত মারধর আর মানসিক নির্যাতনে দিশেহারা অবস্থা হয় সুমনার। গত ২৯ মে সুমনাকে ব্যাপক মারপিট করে বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন স্বামী। পরদিন সুমনার বাবা-মা যৌতুকের টাকা ছাড়াই তাকে আবার শ্বশুরবাড়ি ফেরত পাঠায়। ৩০ মে বিকেলে ঝুলন্ত অবস্থায় সুমনার লাশ উদ্ধার করা হয়।

রাশেদ খান বলেন, আমার কোলে শিশুটি হচ্ছে সুমনার মেয়ে। ১১ মাস বয়স। যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের বড় গোপালপুর গ্রামে হৃদয় হাসানের সঙ্গে সুমনার বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পর থেকেই স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন ক্রমাগত চাপ দিতে থাকে। চাপ সহ্য করতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করেন। আমরা এটিকে হত্যাকাণ্ড মনে করি।
 
তিনি আরও বলেন, সুমনার শ্বশুরবাড়ির লোকজন এই হত্যাকাণ্ডকে ধামাচাপা দিতে শহরের প্রভাবশালী মহলের দ্বারস্ত হয়েছেন ৷ যা ন্যায় বিচারকে প্রভাবিত করছে ৷ অবাক করার বিষয় হলো, প্রায় এক সপ্তাহ পার হলেও এখন পর্যন্ত এই মামলায় কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। 

রাশেদ খান আত্মহত্যায় প্ররোচণাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

এ বিষয়ে যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত জানান, সুমনার ভাই সুমন হোসেন আত্মহত্যার প্ররোচণার অভিযোগে হৃদয় হাসান, তার বাবা হারেজ আলী, মা শম্পা বেগম ও চাচা টুকু আলীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এইচ আর তুহিন/অমিয়/

জয়পুরহাটে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা

প্রকাশ: ০৭ জুন ২০২৫, ০১:১২ পিএম
জয়পুরহাটে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা
ছবি: খবরের কাগজ

জয়পুরহাটে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন হচ্ছে। 

জেলার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় শনিবার (৭ জুন) সকাল ৭টায় শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে।

এই জামাতে ইমামতি করেন জয়পুরহাট কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব হাফেজ ইউসুফ আলী।

এতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সবুর আলী, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলজার হোসেন, জজকোর্টের জিপি অ্যাডভোকেট সালামত আলী, পিপি শাহানুর রহমান শাহিন, শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু রায়হান উজ্জ্বলসহ বেসরকারি বিভিন্ন কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক দলের নেতাসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ নামাজ আদায় করেন।

এ ছাড়াও জয়পুরহাট চিনিকল জামে মসজিদ, জয়পুরহাট সরকারি কলেজ মাঠ, তেঘর উচ্চ বিদ্যালয়, কালেক্টরেট ঈদগাহ, কাশিয়াবাড়ী ঈদগাহ, তালীমূল ইসলাম একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠ, পুলিশ লাইনস মাঠ, খনজনপুর খানকা শরীফ মসজিদ মাঠ, রামদেও বাজলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় আহলে হাদিস মসজিদ মাঠ, তেঁতুলতলী, হাতিল বুলুপাড়া ও করিমনগর লালবাজার ঈদগাহসহ জেলার পাঁচ উপজেলাতে মোট ৪৫০টি মসজিদ ও ঈদগাহে এবার ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

নামাজ শেষে আল্লাহর রহমত, দেশ ও জাতির শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

সাগর কুমার/অমিয়/

পাঁচবিবি সীমান্তে স্বর্ণের ৩ বার জব্দ

প্রকাশ: ০৭ জুন ২০২৫, ১২:৪২ পিএম
আপডেট: ০৭ জুন ২০২৫, ১২:৪৪ পিএম
পাঁচবিবি সীমান্তে স্বর্ণের ৩ বার জব্দ
ছবি: সংগৃহীত

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার পূর্ব উচনা ঘোনাপাড়া সীমান্ত এলাকা থেকে তিনটি স্বর্ণের বার জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। তিনটি বারের মোট ওজন ৫৭ ভরি ১১ আনা। এর বাজারমূল্য আনুমানিক ৯৪ লাখ ৮৯ হাজার ৩২০  টাকা। 

শুক্রবার (৬ জুন) রাত ১০টার দিকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানায় জয়পুরহাট-২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ উদ দৌলা।

তিনি জানান, পাঁচবিবি উপজেলার হাটখোলা বিওপির একটি বিশেষ টহল দল সীমান্ত পিলার ২৮১/৩১ থেকে ১০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পূর্ব উচনা ঘোনাপাড়া এলাকায় শুক্রবার বিকেলে টহল দেওয়ার সময় সন্দেহজন এক নারীকে ঘোরাফেরা করতে দেখে। এ সময় ওই নারী বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে কাপড়ে মোড়ানো একটি প্যাকেট ঝোপের মধ্যে ফেলে পালিয়ে যান। পরে টহলদল এই প্যাকেট থেকে ৫৭ ভরি ১১ আনা  ওজনের ৩টি স্বর্ণের বার জব্দ করে।

সাগর কুমার/অমিয়/

শাজাহানপুরে ঈদের নামাজে যাওয়ার পথে বাবা-ছেলে নিহত

প্রকাশ: ০৭ জুন ২০২৫, ১২:৩৩ পিএম
আপডেট: ০৭ জুন ২০২৫, ১২:৫৮ পিএম
শাজাহানপুরে ঈদের নামাজে যাওয়ার পথে বাবা-ছেলে নিহত
চাঁন মিয়া ও তার চার বছরের ছেলে আব্দুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় ঈদুল আজহার নামাজ পড়তে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা ও ছেলে নিহত হয়েছেন।

শনিবার (৭ জুন) সকালে উপজেলার নয়মাইল এলাকায় ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- উপজেলার বামুনিয়া মন্ডলপাড়ার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে চাঁন মিয়া ও তার চার বছরের ছেলে আব্দুল্লাহ।

শেরপুর হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক আজিজুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ঈদের নামাজ পড়ার জন্য চাঁন মিয়া ও তার ছেলে আব্দুল্লাহ বাড়ি থেকে বের হন। এ সময় তারা দুজনেই নয়মাইল এলাকায় ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের ডিভাইডারের উপর দিয়ে লাফিয়ে পার হচ্ছিলেন। মহাসড়ক পার হওয়ার সময় অজ্ঞাত একটি পরিবহণ তাদের চাপা দিয়ে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হন।

মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি।

অমিয়/