ঢাকা ২০ কার্তিক ১৪৩১, মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪

কাপ্তাই হ্রদে পানি বেশি, মাছ ধরা পড়ছে কম

প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৪২ এএম
আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৩ এএম
কাপ্তাই হ্রদে পানি বেশি, মাছ ধরা পড়ছে কম
খবরের কাগজের ফাইল ছবি

দীর্ঘ ১২৭ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে গত শনিবার মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা শুরু হয়েছে। তবে জেলেদের জালে প্রত্যাশার চেয়ে কম মাছ ধরা পড়ছে। জেলার চারটি মৎস্য অবতরণ ঘাটে গত রবিবার প্রথম দিনে ৭৪ টন মাছ থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছে ১৫ লাখ টাকা। অথচ গেল মৌসুমের প্রথম দিনে ১২৬ টন মাছ থেকে রাজস্ব আদায় হয় ২৬ লাখ টাকা। অর্থাৎ রাজস্ব কম ১১ লাখ টাকা। জেলে ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, হ্রদে পানি বেশি থাকায় জালে মাছ কম ধরা পড়ছে। 

এর আগে গত ২৫ এপ্রিল থেকে ৩১ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত চলা নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় রবিবার রাঙামাটি সদর, কাপ্তাই, মারিশ্যা ও মহালছড়ি- এই চারটি মৎস্য অবতরণ ঘাটে ভোরের আলো ফুটতেই আসতে শুরু করেন জেলেরা। কিন্তু স্বাভাবিকের চেয়ে কাপ্তাই হ্রদে পানির পরিমাণ বেশি থাকায় প্রথম দিনের প্রত্যাশামতো জালে মাছ ধরা পড়েনি। হ্রদে ৭৬ প্রজাতির দেশি মাছ থাকলেও অবতরণ ঘাটগুলোতে আনা মাছের প্রায় ৯৫ শতাংশই চাপিলা আর কাচকি মাছ। পানি কিছুটা কমে এলে কার্পজাতীয় বড় মাছের জোগানও বাড়বে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

কাপ্তাই হ্রদ বৃহত্তর মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর শুক্কুর বলেন, ‘এবার হ্রদে পানি বেশি। এ কারণে জেলেদের জালে মাছ কম ধরা পড়ছে। যতটা প্রত্যাশা ছিল, সেটা পূরণ হয়নি।’

গেল মৌসুমে চারটি মৎস্য অবতরণ ঘাট থেকে ৭ হাজার ৬২৬ টন মাছ থেকে ১৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকার বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। এবার ৮ হাজার টন মাছ থেকে সাড়ে ১৬ কোটি টাকা শুল্ক বাবদ রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের রাঙামাটি অফিস।

রাঙামাটি মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের মার্কেটিং অফিসার আইয়ুব আফনান জানিয়েছেন, চলতি মৌসুমের প্রথম দিনে রবিবার জেলার চারটি মৎস্য অবতরণ ঘাটে ৭৪ টন মাছের শুল্কায়ন হয়েছে। সেখান থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছে ১৫ লাখ টাকা।

সিরিয়াল পদ্ধতিতে পণ্য পরিবহন করবে লাইটার জাহাজ

প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১৪ পিএম
আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১৫ পিএম
সিরিয়াল পদ্ধতিতে পণ্য পরিবহন করবে লাইটার জাহাজ
ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সিরিয়াল পদ্ধতিতে লাইটারেজ জাহাজ পণ্য পরিবহন করবে, এতে আমদানি-রপ্তানি ও ব্যবসা-বাণিজ্য স্বাভাবিক ও নিরাপদ থাকার মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন গতিশীলতা পাবে বলে জানিয়েছেন নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম।

সোমবার (৪ নভেম্বর) চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে বার্থিং মিটিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি। 

নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘দেশের অন্যান্য পরিবহন সেক্টরের মতোই নৌ-পরিবহন সেক্টরকে নিরাপদ, সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল করার জন্য সিরিয়াল পদ্ধতিতে লাইটারেজ জাহাজগুলো চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য পরিবহন করবে। এ জন্য সব স্টেকহোল্ডারের সহযোগিতা প্রয়োজন।’ 

জানা গেছে, নতুন সিরিয়াল পদ্ধতির কার্যক্রমে ইতোমধ্যে ২৮০টি জাহাজ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এবং ক্রমান্বয়ে এ সংখ্যা আরও বাড়বে বলে জানানো হয় সভায়।

আবদুস সাত্তার/সুমন/অমিয়/

পুকুরে পাওয়া গেল মোটরসাইকেল, অস্ত্র পাহাড়ে

প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৭ পিএম
পুকুরে পাওয়া গেল মোটরসাইকেল, অস্ত্র পাহাড়ে
অস্ত্রের সন্ধানে পুকুরে তল্লাসি। ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রাম মহানগরীতে মো. মাহবুবুর রহমান নামে এক আসামির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুকুরে অস্ত্র উদ্ধারে গিয়ে সেখানে দুটি মোটরসাইকেল পেয়েছে পুলিশ। পরবর্তী সময়ে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে পাহাড় থেকে।

সোমবার (৪ নভেম্বর) মহানগরীর পাহাড়তলীর সাগরিকা এলাকার একটি পুকুর এবং ইস্পাহানি পাহাড় থেকে এসব উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তার আসামি মাহবুবুর রহমান গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার মুসলিম আলীর ছেলে। তার দেওয়া তথ্যে পুলিশ নোয়াখালীর মাইজদী এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে মো. নুরুন্নবীকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা দুজনই গার্মেন্টসকর্মী।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (পাবলিক রিলেশনস) কাজী তারেক আজীজ খবরের কাগজকে বলেন, ইস্পাহানি পাহাড় থেকে একটি নাইন এমএম পিস্তল ও বিটাক এলাকার একটি পুকুর থেকে দুটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রথমে পুকুরে অভিযান চালানো হয়েছিল। কারণ আসামি প্রথমে বলেছিল পুকুরে অস্ত্র আছে। এ জন্য সেখানে অভিযান চালানো হয়। পরে পাহাড়ে অভিযান চালানো হয়।

তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্ট এসব জিনিসপত্র লুট হয়েছিল। তাদের থেকে এসব ছাড়াও পুলিশের ইউনিফর্ম, ক্যাপ, দুটি হাতঘড়ি, পাঁচটি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোবাইল সেট, পুলিশের ব্যবহৃত এক জোড়া কেডস ও এক জোড়া সু, পুলিশের লোগোসংবলিত একটি ছাতা, ট্রাউজার, ইলেক্ট্রিক কেটলি, ট্রিমার, চশমা ও পুলিশের ব্যবহৃত রেইনকোট উদ্ধার করা হয়েছে।’

মনির/সুমন/অমিয়/

শ্রীপুরে স্ত্রীর প্রেমিককে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৯ এএম
শ্রীপুরে স্ত্রীর প্রেমিককে কুপিয়ে হত্যা
ছবি: খবরের কাগজ

গাজীপুরের শ্রীপুরে স্ত্রীর প্রেমিককে বঁটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছেন আজিজুল হক (৩০) নামের এক যুবক। এ সময় বঁটির কোপে গুরুতর জখম হন তার স্ত্রী তাসলিমা খাতুন (২৮)। 

সোমবার (৪ নভেম্বর)  সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া চন্নাপাড়া গ্রামের এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পর আজিজুল পলাতক রয়েছেন।

নিহত আশরাফুল ইসলাম (৩০) দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার পলিবটতলী গ্রামের আব্দুল ওয়াহাবের ছেলে। তিনি চন্নাপাড়া গ্রামে এসএস ফ্যাশন নামের একটি কারখানার পরিচালক ছিলেন। তাসলিমা খাতুন ওই কারখানার শ্রমিকের কাজ করতেন। 
আজিজুল ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বালিপাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। তিনি পেশায় নির্মাণশ্রমিক। আজিজুল শ্রীপুর পৌরসভার চন্নাপাড়ার নিজ বাড়িতে স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন। 

স্থানীয়রা জানান, আজিজুল চন্নাপাড়া গ্রামে জমি কিনে বাড়ি নির্মাণ করে দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। আর চাকরির সুবাদে আশরাফুলের সঙ্গে তাসলিমা খাতুনের ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ কারণে তাসলিমার বাড়িতে আশরাফুল ইসলাম আসা-যাওয়া করতেন। বিষয়টি তাসলিমার স্বামীর মনে সন্দেহ তৈরি করে। গতকাল সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আজিজুল কাজে চলে যান। ঘণ্টাখানেক পর তিনি ফিরে আসেন। দরজা খোলার পর আশরাফুল ও তাসলিমাকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখেন আজিজুল। এতে উত্তেজিত হয়ে তিনি বঁটি দিয়ে আশরাফুল ও তাসলিমাকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। একপর্যায়ে আশরাফুল ঘটনাস্থলেই মারা যান। স্থানীয়রা তার স্ত্রীকে গুরুতর আহতাবস্থায় শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

শ্রীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাসলিমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আজিজুল পলাতক রয়েছেন। ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ কাজ করছে। 

বসতঘরে ঢুকে তরুণীকে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৭ এএম
আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৮ এএম
বসতঘরে ঢুকে তরুণীকে কুপিয়ে হত্যা
নরসিংদীর মনোহরদীতে বসতঘরে জখম অবস্থায় পড়ে আছে আনিকার (১৫) লাশ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পাপিয়া নিহতের খালা। ছবি : খবরের কাগজ

নরসিংদীর মনোহরদীতে বসতঘরে ঢুকে এক তরুণীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় এক গৃহবধূ গুরুতর আহত হয়েছেন।

সোমবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে মনোহরদী পৌর শহরের চন্দনবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুয়েল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহত তরুণীর নাম আনিকা (১৫)। সে নরসিংদীর বেলাব উপজেলার পশ্চিম পোড়াদিয়া এলাকার শাহাজাদা নূরে আলমের মেয়ে। আহত পাপিয়া ওই বাড়ির মৃত সাত্তার মাস্টারের স্ত্রী ও নিহতের খালা।

হতাহতের স্বজনদের বরাতে ওসি জুয়েল জানান, দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী আনিকা তার খালা পাপিয়ার বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করত। গতকাল বিকেলে দুর্বৃত্তরা বাড়িটিতে ঢুকে পাপিয়া ও আনিকাকে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই আনিকার মৃত্যু হয়। এ সময় পাপিয়ার চিৎকার শুনে এলাকাবাসী এসে তাকে উদ্ধার করে মনোহরদী হাসপাতালে নেয়। পরে সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। 

ওসি জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে থানা পুলিশ। সেখান থেকে রক্তমাখা চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কী কারণে, কে বা কারা এ হতাহতের ঘটনা ঘটিয়েছে, তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সন্ধ্যায় নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বিরামপুরে ট্রাকচাপায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২৬ এএম
বিরামপুরে ট্রাকচাপায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
প্রতিকী ছবি: সংগৃহীত

দিনাজপুরের বিরামপুরে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই কিশোর নিহত হয়েছে। 

সোমবার (৪ নভেম্বর) বিকেল চারটার দিকে উপজেলার জোয়াল কামরা মোড়ে বিরামপুর-গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- উপজেলার সারমপুর গ্রামের জিয়ারুল হকের ছেলে রিফাত (১৭) ও পৌর এলাকার ইসলামপাড়ার ইউনুস আলীর ছেলে বাদশা (১৬)।

বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক জানান, রিফাত ও বাদশা মোটরসাইকেলে যাওয়ার সময় মহাসড়কের জোয়ালকামড়ায় একটি ট্রাক মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজনের মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে পৃথক দুটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান ওসি।


সুলতান মাহমুদ/মেহেদী/অমিয়/