দীর্ঘ ১২৭ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে গত শনিবার মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা শুরু হয়েছে। তবে জেলেদের জালে প্রত্যাশার চেয়ে কম মাছ ধরা পড়ছে। জেলার চারটি মৎস্য অবতরণ ঘাটে গত রবিবার প্রথম দিনে ৭৪ টন মাছ থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছে ১৫ লাখ টাকা। অথচ গেল মৌসুমের প্রথম দিনে ১২৬ টন মাছ থেকে রাজস্ব আদায় হয় ২৬ লাখ টাকা। অর্থাৎ রাজস্ব কম ১১ লাখ টাকা। জেলে ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, হ্রদে পানি বেশি থাকায় জালে মাছ কম ধরা পড়ছে।
এর আগে গত ২৫ এপ্রিল থেকে ৩১ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত চলা নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় রবিবার রাঙামাটি সদর, কাপ্তাই, মারিশ্যা ও মহালছড়ি- এই চারটি মৎস্য অবতরণ ঘাটে ভোরের আলো ফুটতেই আসতে শুরু করেন জেলেরা। কিন্তু স্বাভাবিকের চেয়ে কাপ্তাই হ্রদে পানির পরিমাণ বেশি থাকায় প্রথম দিনের প্রত্যাশামতো জালে মাছ ধরা পড়েনি। হ্রদে ৭৬ প্রজাতির দেশি মাছ থাকলেও অবতরণ ঘাটগুলোতে আনা মাছের প্রায় ৯৫ শতাংশই চাপিলা আর কাচকি মাছ। পানি কিছুটা কমে এলে কার্পজাতীয় বড় মাছের জোগানও বাড়বে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
কাপ্তাই হ্রদ বৃহত্তর মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর শুক্কুর বলেন, ‘এবার হ্রদে পানি বেশি। এ কারণে জেলেদের জালে মাছ কম ধরা পড়ছে। যতটা প্রত্যাশা ছিল, সেটা পূরণ হয়নি।’
গেল মৌসুমে চারটি মৎস্য অবতরণ ঘাট থেকে ৭ হাজার ৬২৬ টন মাছ থেকে ১৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকার বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। এবার ৮ হাজার টন মাছ থেকে সাড়ে ১৬ কোটি টাকা শুল্ক বাবদ রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের রাঙামাটি অফিস।
রাঙামাটি মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের মার্কেটিং অফিসার আইয়ুব আফনান জানিয়েছেন, চলতি মৌসুমের প্রথম দিনে রবিবার জেলার চারটি মৎস্য অবতরণ ঘাটে ৭৪ টন মাছের শুল্কায়ন হয়েছে। সেখান থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছে ১৫ লাখ টাকা।