ঢাকা ৩০ আশ্বিন ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪

‘এক কাপড়ে জান নিয়ে বের হয়েছি’

প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৭ এএম
‘এক কাপড়ে জান নিয়ে বের হয়েছি’
বন্যায় মিরসরাইয়ে জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের নন্দনপুর গ্রামে বাসিন্দা জীবন চন্দ্র দে ও তাপস চন্দ্র দের বাড়িতে পানি উঠে যায়। তাদের বসতঘরটি মাটির হওয়ায় পানির তোড়ে সেটি ভেঙে পড়েছে          খবরের কাগজ

‘আমার জীবনে এমন ভয়াবহ বন্যা আর কখনো দেখেনি। আমার বাপ-দাদারাও দেখেছে বলে মনে হয় না। এক বন্যা আমার সবকিছু কেড়ে নিয়েছে। আমার মাটির ঘরটি বন্যায় একেবারে মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। পরিবার নিয়ে কী খাব, কোথায় ঘুমাব কিছু বুঝতেছি না। শুধু পরনের কাপড় নিয়ে কোনোভাবে জান নিয়ে বের হয়েছি।’ আহাজারি করে এসব কথা বলছিলেন চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের জীবন চন্দ্র দে।

উপজেলার জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের নন্দনপুর গ্রামের বাসিন্দা জীবন চন্দ্র দে ও তাপস চন্দ্র। সম্পর্কে দুই ভাই একই ঘরে বাস করতেন। সম্প্রতি বন্যায় বসতঘরে থাকা কোনো কিছুই রক্ষা করতে পারেনি তারা। কোনোভাবে জীবন নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছিলেন জীবন, তাপস এবং তাদের পরিবার। তবে বন্যার পানি কমার পর বাড়ি ফিরে দেখতে পান নিজেদের ঘরটি মাটির সঙ্গে একেবারে মিশে গেছে। স্বাভাবিক জীবনে যেখানে নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা, সেখানে সব হারিয়ে তারা এখন নিঃস্ব। 

জীবন ও তাপসের মতো এমন অনেকেই এখন সহায়-সম্বল হারিয়ে দিশেহারা। বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় অনেকেই ঘরে ফিরছেন। কিন্তু বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে বসতঘর। ঘরবাড়ি হারানোর পাশাপাশি হারিয়েছেন সহায়-সম্বলও। ঘরের কোনো মূল্যবান জিনিসপত্র বের করার সুযোগ হয়নি তাদের। 

আর্তনাদ করে জীবন চন্দ্র দে বলেন, ‘জীবনে কখনো কল্পনা করিনি নিজের বসতঘর ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে হবে। পরনের কাপড় ছাড়া কোনো কিছু নিয়ে যেতে পারিনি। ঘরবাড়ি, চাষাবাদের জমি- সব বন্যায় তলিয়ে যাওয়ায় কাজকর্ম করার মতো কিছু নেই। কখন স্বাভাবিক জীবনে ফিরব, কীভাবে আবার নিজের বসতঘরে উঠব, কিছুই বুঝতেছি না। সরকার আমাদের সহায়তা না করলে আমরা আর বেঁচে থাকতে পারব না।’

জীবনের বড় ভাই তাপস বলেন, ‘আমরা দুই ভাই একসঙ্গে থাকি। মাটির ঘর হওয়ায় বন্যার পানিতে আমাদের বাড়িঘর ভেঙে গেছে। আমরা দিনমজুর। দুই ভাই কোনোভাবে চাষাবাদ করে দিন কাটাতাম। বন্যায় মাথা গোঁজার শেষ সম্বলটুকু হারিয়ে এখন পথে বসার মতো অবস্থা।’
 
কী খাবেন, কী পরবেন আর কোথায় থাকবেন, সেই প্রশ্নের উত্তর অজানা। তাদের মতো এমন অনেকেই ঘরবাড়ি হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে গেছেন। তাদের আকুতি, সরকার যেন তাদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দেয়। 

মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা প্রশাসক মাহফুজা জেরিন বলেন, ‘আমরা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্তদের তথ্য সংগ্রহ করছি। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে তাদের পুনর্বাসনের জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠাব।’

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় মদপানে ২ জনের মৃত্যু, অসুস্থ ৩

প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১০:১০ এএম
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় মদপানে ২ জনের মৃত্যু, অসুস্থ ৩

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার চর-ভাঙ্গুড়া গ্রামে অতিরিক্ত মদপানে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। আরও তিনজন অসুস্থ হয়ে ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, শারদীয় দুর্গাপূজার উৎসব পরবর্তী আনন্দে বন্ধুদের সঙ্গে অতিরিক্ত মদপান করে অসুস্থ হয়ে পড়েন উপজেলার চর-ভাঙ্গুড়া গ্রামের ঘোষ পাড়ার পাঁচ যুবক।

এদের মধ্যে সোমবার (১৩ অক্টোবর) রাত সাড়ে দশটার দিকে রামচন্দ্র ঘোষের ছেলে রবিন ঘোষ (২৫) মারা গেছেন। এর এক ঘন্টা আগে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে মানিক চৌধুরীর ছেলে হৃদয় চৌধুরী (১৭) মারা যান।

সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. উজ্জল হোসেন বলেন, গুরুতর অসুস্থ ঐ তিন ব্যক্তিকে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, 'পুলিশ ঘটনাস্থলে পোঁছে লাশের সুরতহাল প্রস্তুত করছে।'

পার্থ হাসান/জোবাইদা/

শাপলা তুলতে গিয়ে দুই শিশুশিক্ষার্থীর মৃত্যু

প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৫৪ এএম
শাপলা তুলতে গিয়ে দুই শিশুশিক্ষার্থীর মৃত্যু

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় ডোবায় শাপলা ফুল তুলতে গিয়ে পানিতে ডুবে দুই শিশুশিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার দীঘি ইউনিয়নের কায়রা গ্রামের রাস্তার পাশে ডোবায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

তারা হলো সদর উপজেলার দীঘি ইউনিয়নের কাগজিনগর গ্রামের বাবু কাজীর মেয়ে আনহা আক্তার (৭) ও একই ইউনিয়নের খরসাতাই গ্রামের রফিক সরদারের মেয়ে স্নেহা আক্তার (৭)। তারা দুজনেই স্থানীয় কয়রা মাদ্রাসাতুল ওহি আল ইসলামি মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গতকাল দুপুরে মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে কয়রা গ্রামের রাস্তার পাশে ডোবায় শাপলা ফুল তুলতে গিয়ে পানিতে ডুবে যায় স্নেহা ও আনহা। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। পরে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আমান উল্লাহ বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে নিহতদের পরিবার থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উদ্বোধনের আগেই বেহাল সড়ক

প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৩৮ এএম
আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১০:০২ এএম
উদ্বোধনের আগেই বেহাল সড়ক
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় খাগরিয়া ইউনিয়নের ভোর বাজারের বেহাল সড়ক। খবরের কাগজ

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় খাগরিয়া ইউনিয়নের ভোর বাজার সড়কটি উদ্বোধনের আগেই বেহাল হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন জায়গার কার্পেটিং উঠে ৩ কিলোমিটার সড়কজুড়ে তৈরি হয়েছে প্রায় শতাধিক ছোট-বড় গর্ত। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ, বিটুমিনের পরিমাণ কম ও নিম্নমানের পাথর ব্যবহার করায় অল্প সময়ের মধ্যেই সড়কের এমন অবস্থা হয়েছে। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বলছে ভিন্ন কথা। তাদের দাবি, বৃষ্টির কারণে সড়কের কিছু জায়গায় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কাজ বুঝিয়ে দেওয়ার আগে আবার সেগুলো সংস্কার করে দেওয়া হবে।

এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সড়কটির ৩ কিলোমিটার কার্পেটিংয়ের দরপত্র আহ্বান করা হয়। ওই সময় ২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ব্যয়ে কাজটি পান চট্টগ্রামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স তাওয়াককুল এন্টারপ্রাইজ। ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি কার্পেটিংয়ের কাজ শুরু করে। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে কাজটি শেষ করে বুঝিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও পরে আবার ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, চিবাতল এলাকার করাতকল থেকে ভোর বাজার পর্যন্ত সড়কের পিচ উঠে প্রায় শতাধিক ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতে সেখানে পানি জমে আছে। এসব গর্তে জমা বৃষ্টির পানি এড়িয়ে যানবাহন চলাচল করছে। আবার কয়েকটি জায়গায় একসঙ্গে অনেক গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। গর্তগুলোর ওপর দিয়েই গাড়ি চলাচল করতে দেখা যায়। এ ছাড়া দেখা যায়, কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টির পানি জমে কার্পেটিং উঠে যেতে শুরু করেছে। এতে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।

স্থানীয় বাসিন্দা আইয়ুব আলী অভিযোগ করে বলেন, ‘এখনো পর্যন্ত সড়কটি উদ্বোধন করা হয়নি। উদ্বোধনের আগেই সড়কের বিভিন্ন জায়গায় পিচ উঠে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ থেকেই বোঝা যাচ্ছে সড়কের কাজে নয়ছয় হয়েছে। এলজিইডি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগসাজশে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজে অনিয়ম করেছে।

গর্তগুলো মেরামত করা হলেও সড়কটি বেশি দিন চলাচলের উপযোগী থাকবে বলে মনে হয় না। তারপরও দ্রুত সড়কটি মেরামতের পাশাপাশি ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’

ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক আলী আজগর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সড়কে কার্পেটিং করেছে এখনো ৩ মাস পূর্ণ হয়নি। তার আগেই সড়কের বেশির ভাগ অংশজুড়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে ভালোভাবে গাড়ি চালানো যাচ্ছে না। প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।’

স্থানীয় মোহাম্মদ ইউনুচ বলেন, ‘ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বৃষ্টির মধ্যে সড়কে কার্পেটিং কাজ করেছে। তাই দুই-তিন মাস না যেতেই পিচ উঠে গর্ত তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া বিটুমিনের পরিমাণ কম ব্যবহার করায় পিচ উঠে যাচ্ছে। সড়ক দিয়ে নির্বিঘ্নে চলাচল করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতি ছিল বলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ধারণা করছি।’ 

সড়কের কাজে নিয়োজিত মেসার্স তাওয়াককুল এন্টারপ্রাইজের ঠিকাদার মো. হাসান বলেন, ‘অতি বৃষ্টির কারণে সড়কের বিভিন্ন জায়গায় পিচ উঠে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এখনো মাঝেমধ্যে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় আপাতত কাজ বন্ধ রেখেছি। এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে কাজ বুঝিয়ে দেওয়ার আগেই ক্ষতিগ্রস্ত অংশগুলো মেরামত করে দেওয়া হবে।’

এলজিইডির সার্ভেয়ার আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেশিনের মাধ্যমে উপকরণ সংমিশ্রণ করে সড়কে কার্পেটিং করেছে। মেশিনে অতিরিক্ত তাপ দেওয়ায় সড়ক সংস্কারে ব্যবহৃত উপকরণের গুণগত মান নষ্ট হয়েছে। তাই বৃষ্টিপাতের সঙ্গে সঙ্গে সড়কের পিচ উঠে যাচ্ছে। পরে সেটি বুঝতে পেরে আমরা সাতকানিয়া উপজেলায় চলমান প্রতিটি সড়ক কার্পেটিং কাজে উপকরণ সংমিশ্রণ মেশিন ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছি।’

এলজিইডির কর্মকর্তা সবুজ কুমার দে খবরের কাগজকে বলেন, ‘বৃষ্টির পানি জমে সড়কের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেগুলো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেরামত করে দেবে। ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৭৩ লাখ টাকা বিল এলজিইডি কর্তৃপক্ষের কাছে রয়েছে। তারা ঠিকঠাক মতো কাজ বুঝিয়ে দিতে না পারলে আর বিল পাবে না। এ ছাড়া কাজ বুঝিয়ে দেওয়ার পর আগামী ১ বছর পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সড়কটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকবে।’

ফরিদপুরে দুই বাসের সংঘর্ষে নিহত ৫, আহত ২৭

প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৫৫ এএম
আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৩৮ এএম
ফরিদপুরে দুই বাসের সংঘর্ষে নিহত ৫, আহত ২৭
ফরিদপুর সদর উপজেলার মল্লিকপুরে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ। ছবি : খবরের কাগজ

ফরিদপুর সদর উপজেলার মল্লিকপুরে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ২৭ জন।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ভোর ৫টার দিকে ফরিদপুর-খুলনা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

আহতদের মধ্যে ২৭ জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
 
করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করে খবরের কাগজকে জানান, ঢাকা থেকে ঝিনাইদহগামী গ্রিন এক্সপ্রেসের সঙ্গে বিপরীত দিকে সাতক্ষীরা থেকে ছেড়ে আসা খাগড়াছড়ি পরিবহনের বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

নিহতদের সবাই খাগড়াছড়ি পরিবহনের যাত্রী বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত করেন হাইওয়ে থানার ওসি।

আহত ২৭ জনকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হতাহতদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

সঞ্জিব দাস/অমিয়/

বিমানবন্দরে ফটিকছড়ির সাবেক পৌর মেয়র আটক

প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১১:১৪ পিএম
বিমানবন্দরে ফটিকছড়ির সাবেক পৌর মেয়র আটক
ইসমাইল হোসেন

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি পৌরসভার সদ্য সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা ইসমাইল হোসেনকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটক করা হয়েছে।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টার সময় তাকে আটক করে বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনের দায়িত্বে থাকা এপিবিএন পুলিশ। পরে রাত ৮টায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থানায় তাকে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বিষয়টি খবরের কাগজকে নিশ্চিত করেছেন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদ উল্লাহ।

তিনি বলেন, ‘ফটিকছড়ির সাবেক মেয়র ইসমাইলকে আটক করে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।’

 ইসমাইল হোসেন ২০১২ সালে ফটিকছড়ি পৌরসভার প্রথম মেয়র হিসেবে জয়লাভ করেন। পরে টানা জয়ে হ্যাটট্রিক করেন তিনি।

ইফতেখারুল/সালমান/