ঢাকা ২৬ আষাঢ় ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২

রাজশাহীতে নার্সিং শিক্ষার্থীদের ‘প্রতীকী বিষপান’ কর্মসূচিতে অসুস্থ ১৫

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:১৪ পিএম
রাজশাহীতে নার্সিং শিক্ষার্থীদের ‘প্রতীকী বিষপান’ কর্মসূচিতে অসুস্থ ১৫
হাসপাতালে অসুস্থ শিক্ষার্থীরা। ছবি : খবরের কাগজ

ভয়াবহ সেশনজটের কবলে পড়ে ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনায় দ্রুত পরীক্ষা গ্রহণ ও ফলাফলের দাবিতে এবার সড়কে বসেই ‘প্রতীকী পরীক্ষা’ এবং ‘প্রতীকী বিষপান’ কর্মসূচি পালন করেছেন নার্সিং অনুষদের শিক্ষার্থীরা। 

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজশাহী নগরীর সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় হিট স্ট্রোক করে অন্তত ১৫ জন শিক্ষার্থী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

কর্মসূচিতে রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (রামেবি) অধিভুক্ত রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, লালমনিরহাট সরকারি নার্সিং কলেজ এবং বগুড়া, সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন বেসরকারি নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘শনিবার ২০১৯-২০ সেশনের বিএসসি-ইন-নার্সিং কোর্সের চূড়ান্ত পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমরা এরই মধ্যে ৯ মাস পিছিয়ে গেছি। কবে আমাদের পরীক্ষা হওয়ার কোনো নিশ্চয়তা পাচ্ছি না। সংশ্লিষ্টদের গাফিলতির কারণে ২৩টি কলেজের প্রায় ৩ হাজার নার্সিং শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ চরম অনিশ্চয়তায় মধ্যে পড়েছে। ফলে অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনায় দ্রুত পরীক্ষা গ্রহণ ও ফলাফলের দাবিতে রাস্তায় বসে বিএসসি চতুর্থ বর্ষের রিসার্চ-ইন-নার্সিংয়ের প্রতীকী পরীক্ষা দেন শিক্ষার্থীরা। কর্মসূচি পালনকালে শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকেই চারজনকে উপাচার্য, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও পরীক্ষা কক্ষ পরিদর্শক (এক্সটারনাল ও ইন্টারনাল) করা হয়। এ সময় হঠাৎ পরীক্ষা বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর আন্দোলনকারী বেশির ভাগ পরীক্ষার্থীকে অকৃতকার্য দেখিয়ে ফলাফল প্রকাশ করা হয়। হতাশ হয়ে প্রতীকী বিষপান করেন শিক্ষার্থীরা।’ 

এদিকে এসব কর্মসূচি পালনকালে প্রচণ্ড রোদ ও গরমে হিট স্ট্রোক করে অন্তত ১৫ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের রামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাদের মধ্যে চারজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাসায় পাঠানো হয়। বাকি ১১ জন শিক্ষার্থীকে মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ২ জন রাজশাহী নার্সিং কলেজের, একজন উদয়ন নার্সিং কলেজের ও বাকিরা রংপুর এবং লালমনিরহাট নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থী।
প্রতীকী পরীক্ষা দেওয়া শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, আন্দোলনে দাবি আদায় হলেও ফলাফলে প্রভাব বিস্তারের শঙ্কায় তারা আতঙ্কিত। কেননা, প্রতীকীভাবে দেখানো হলেও ঠিক এভাবেই ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের ফেল করানো হয়।

তারা আরও বলেন, অসুস্থ হওয়ায় অনেককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ায় আলটিমেটাম দিয়ে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। তবে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন নার্সিং শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক রায়হান আলী বলেন, ‘যে সময় পড়ার টেবিলে বই-খাতা নিয়ে থাকতাম, হাসপাতালে ইন্টার্নশিপে গিয়ে রোগীদের সেবা করতাম, সেই সময় রোদ-বৃষ্টি ও অসংখ্য বাধা মোকাবিলা করে আন্দোলন করতে হচ্ছে আমাদের। দেয়ালে আমাদের পিঠ ঠেকে যাওয়ায় রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, লালমনিরহাট, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ থেকে এসে দিনের পর দিন রাস্তায় পড়ে আছি। বেশ কয়েকজন অসুস্থ। দাবি না মানলে মৃত্যু ছাড়া কোনো পথ নেই।’

রামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ ডা. শংকর কে বিশ্বাস বলেন, যৌক্তিক দাবি আদায়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন। তবে কর্মসূচি পালনকালে অসুস্থ হওয়ায় ১১ জনকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের চিকিৎসা চলছে। বাকি চারজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরেছেন। আশা করছি, বাকিরাও দ্রুত সুস্থ হবেন।’

উল্লেখ্য, গত বুধবার থেকে রাজশাহী নগরীতে আন্দোলন করছেন নার্সিং শিক্ষার্থীরা। গত বৃহস্পতিবার গলায় রশি ঝুলিয়ে প্রতীকী ফাঁস দিয়ে বিভাগীয় কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি দেন তারা। প্রথমে পরীক্ষা গ্রহণে এক দফা দাবি থাকলেও বর্তমানে ৭ দাবিতে চলছে তাদের এ আন্দোলন।

দাবিগুলো হলো স্থগিত হওয়া ২০১৯-২০ সেশনের বিএসসি-ইন-নার্সিং কোর্সের পরীক্ষা সম্পন্ন করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে যেকোনো কর্মকর্তাকে পরীক্ষা পরিচালনার জন্য নির্বাহী দায়িত্ব প্রদান, পরীক্ষা কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থায় পরীক্ষা গ্রহণ ও ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই ফল প্রকাশ, আগামী ১ অক্টোবর থেকে শিক্ষার্থীদের হাসপাতালে ইন্টার্নশিপ শুরু নিশ্চিত করা, বেসরকারি কলেজগুলোতে পরীক্ষার ফরম পূরণের অতিরিক্ত টাকা গ্রহণ বন্ধ করা, রামেবিতে পরীক্ষার ফলাফল চ্যালেঞ্জের ফি প্রতি বিষয়ে ৫ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ১ হাজার টাকা করা এবং রাজশাহী বেসরকারি নার্সিং কলেজের বিএসসি শিক্ষার্থীদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্নশিপের ব্যবস্থা করা।

সারা দেশে পাথর উত্তোলন করা গেলে সিলেটে কেন নয়: বিভাগীয় কমিশনার

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৫, ১০:৩৯ এএম
সারা দেশে পাথর উত্তোলন করা গেলে সিলেটে কেন নয়: বিভাগীয় কমিশনার
ছবি: খবরের কাগজ

সিলেটের পাথরমহাল খুলে দেওয়া, জেলা প্রশাসকের অপসারণসহ ছয় দাবিতে গত মঙ্গলবার (৯ জুন) সকাল ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করে সড়ক পরিবহন ও মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। একটানা প্রায় ৯ ঘণ্টা গণপরিবহন বন্ধ রাখার পর সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার বৈঠক আহ্বান করায় সংগঠনটির পক্ষ থেকে ধর্মঘট স্থগিত করার ঘোষণা দেওয়া হয়। 

পরে বেলা ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে বৈঠকে অংশ নেন সিলেটের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, মহানগর জামায়াতের আমির মো. ফখরুল ইসলামসহ প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তা, পাথরমহাল সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের নেতা এবং পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতারা। 

সভায় বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী বলেন, ‘সিলেট কোনো বিচ্ছিন্ন জায়গা নয়, দেশের একটা অংশ। সারা দেশে পাথর উত্তোলন করা গেলে সিলেটে যাবে না কেন? এর সঙ্গে মানুষের জীবন ও জীবিকা জড়িত। সনাতন পদ্ধতিতে সিলেট থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধ হলো কেন? এটাও একটা বড় প্রশ্ন। যদি আইন মেনে বালু বা পাথর উত্তোলন করা হয়, তাহলে সমস্যা কোথায়? নিশ্চয়ই কোনো না কোনো সমস্যা ছিল বলে বেলা (বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি) রিট করেছে এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এমন সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। পুরো বিষয়টি আরও ভালোভাবে বুঝতে হবে এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানতে হবে। যেখান থেকে যে সিদ্ধান্ত দেওয়া হোক না কেন, রিভিউ করার সুযোগ আছে। নিম্ন আদালত থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত উচ্চ আদালতে গিয়ে যদি রিভিউ করার সুযোগ থাকে, তাহলে প্রশাসনিক আদেশেরও রিভিউ হতে হবে। আমরা এ বিষয়গুলো রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাব। অন্তর্বর্তী সময়ে আমরা কী করব আর করব না, সেটা আপনাদের জানাব।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কখনো জনগণের প্রতিপক্ষ ছিলাম না। জুলাই-আগস্টেও আমরা জনগণের পক্ষে ছিলাম। সব সময় জনগণের পক্ষে থাকব। আজকের বৈঠকের সব বিষয় একত্র করে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় এমনকি প্রধান উপদেষ্টার কাছেও পৌঁছানো হবে। কারণ উপদেষ্টারা যদি বিচ্ছিন্নভাবে সিদ্ধান্ত দেন, তাহলে আমরা সর্বোচ্চ জায়গায় চলে যাব। সবাইকে নিয়ে বসে একটা সিদ্ধান্তে আসা হবে। রাষ্ট্র হলো জনগণের স্বার্থে। জনগণ না বাঁচলে রাষ্ট্রের কোনো অস্তিত্বই থাকবে না। জনগণ সবার ওপরে।’

মদ পান করে... ডোবায় পড়ে মৃত্যু!

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৫, ১০:১৬ এএম
আপডেট: ১০ জুলাই ২০২৫, ১০:২৩ এএম
মদ পান করে... ডোবায় পড়ে মৃত্যু!
ছবি: খবরের কাগজ

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে বিলের পানি নিষ্কাশনের ডোবা থেকে ঢেনা মুর্মু (৫০) নামে এক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি অতিরিক্ত মদ পান করে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে ডুবে মারা গেছেন তিনি।

বুধবার (৯ জুলাই) রাতে নাচোল উপজেলার ঝিকরা এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

ঢেনা মুর্মু একই উপজেলার পীরপুর সাহানাপাড়ার বদ্ধাই মুর্মুর ছেলে।

নাচোল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, সন্ধ্যায় ডোবায় মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ডোবা থেকে ঢেনার মরদেহ উদ্ধার করে। ঢেনা গত ৭ জুলাই তার ভাগ্নির মেয়ের বিয়ে অনুষ্ঠান শেষে  নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে বের হন। এর পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে বিয়ের অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত মদ পান করেন ঢেনা। পরে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ডোবায় গিয়ে ডুবে মারা যান। এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

আসাদুল্লাহ/মেহেদী/

নীলফামারীর স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে ওষুধ-জনবলের অভাবে সেবা ব্যাহত

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৫, ১০:১২ এএম
আপডেট: ১০ জুলাই ২০২৫, ১০:৪১ এএম
নীলফামারীর স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে ওষুধ-জনবলের অভাবে সেবা ব্যাহত
নীলফামারী সদরের একটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র। ছবি: খবরের কাগজ

গরিব-দুস্থদের জন্য চালু করা নীলফামারীর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রগুলো এখন লোক দেখানো কাঠামোয় পরিণত হয়েছে। দীর্ঘ আট মাস ধরে এসব কেন্দ্রে ওষুধ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। জনবল সংকটের কারণে সেবাপ্রত্যাশীরা পর্যাপ্ত চিকিৎসাও পাচ্ছেন না। এতে পাঁচ উপজেলার ১৬৯টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র এবং পাঁচটি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসা নারীরা খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন। এ ছাড়া ওষুধ না থাকায় সেবাপ্রত্যাশীদের সংখ্যাও দিনদিন কমে যাচ্ছে। আগে ওষুধের পাশাপাশি সেবা মিললেও এখন স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে মিলছে শুধুই পরামর্শ। এতে হাজারো শিশু এবং অন্তঃসত্ত্বা নারী প্রসবপূর্ব ও পরবর্তী সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অধিকাংশ কেন্দ্রে জনবল নেই। রুমগুলো তালাবদ্ধ। নেই পানির সুব্যবস্থা। রয়েছে নিরাপত্তা বেষ্টনীর অভাব। অনেক কেন্দ্রে পরিদর্শিকা বা সহকারীদের দেখা মাঝেমধ্যে মিললেও সেবাগ্রহীতাদের সংখ্যা একেবারেই নগণ্য। কিছু কিছু কেন্দ্রে কর্মরত একজন স্টাফ দিয়েই চালানো হচ্ছে পুরো কার্যক্রম। ফলে ন্যূনতম চিকিৎসা সুবিধাও মিলছে না। 

স্বাস্থ্যসেবা নাগরিক অধিকার হলেও, নীলফামারীর প্রান্তিক মানুষের কাছে তা এখন রূপ নিয়েছে অপূর্ণ প্রত্যাশায়। দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠবে- এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

জেলা পরিবার পরিকল্পনা দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ৭৫১ জন জনবলের বিপরীতে বর্তমানে কর্মরত আছেন মাত্র ৪৯৮ জন। উল্লেখযোগ্য শূন্য পদগুলোর মধ্যে রয়েছে- পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা ৩০ জন, পরিবার কল্যাণ সহকারী ৯৩ জন, উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ৩৭ জন এবং উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চারজন। ফলে কয়েক লাখ নিম্ন আয়ের মানুষ স্বাস্থ্যসেবা ও ওষুধ থেকে বঞ্চিত হয়ে আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

কথা হয় সদর উপজেলার সংগলশী ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসা জেসমিন আরার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এখানে এলে শুধু ব্লাড প্রেসার মাপা হয়। আগে এখানে ওষুধ পাওয়া যেত। এখন ওষুধ নেই।’ 

সৈয়দপুর উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নের ময়দানপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সেবাপ্রত্যাশী নাসরিন বেগম বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। বাড়ির কাছাকাছি হওয়ায় এখানে চিকিৎসা নিতে আসি। আগে জ্বর, কাশির ওষুধ দিলেও আট মাস ধরে সেগুলো দেওয়া বন্ধ। বাধ্য হয়ে বাইরে থেকে কিনে খেতে হচ্ছে।’

এদিকে চিকিৎসক সংকটের কারণে অনেকে সঠিক পরামর্শও পান না। জান্নাতুল মাওয়া নামে এক নারী এসেছেন সৈয়দপুর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে। সেখানে গাইনি চিকিৎসক না থাকায় তিনি সেবা না নিয়ে ফিরে যান। ক্যালসিয়াম ও আয়রনের ট্যাবলেট না পাওয়ার অভিযোগও ফুটে ওঠে তার কণ্ঠে।

নীলফামারী সদর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের পরিদর্শিকা শামীম আরা বলেন, ‘কেন্দ্রগুলোতে আগে প্রতি মাসে নরমাল ডেলিভারি হতো। কিন্তু এখন আর হয় না। বর্তমানে ওষুধ না থাকায় রোগীর সংখ্যা দিনদিন কমে যাচ্ছে। ২৭ ধরনের ওষুধের মধ্যে একটিরও সরবরাহ নেই। বাধ্য হয়ে আমরা শুধু মৌখিক পরামর্শ দিচ্ছি। এ ছাড়া জনবল সংকটের কারণে দুজনের কাজ একজনকে করতে হচ্ছে।’ 

কামারপুকুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের পরিদর্শিকা রোজিনা আকতার বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন সময় স্যাটেলাইট ক্লিনিক করে উঠান বৈঠকের মাধ্যমে প্রান্তিক রোগীদের সেবা-পরামর্শ এবং ওষুধ দিয়ে থাকি। কিন্তু ওষুধের সরবরাহ না থাকায় সেবাপ্রার্থীরা আর স্যাটেলাইট ক্লিনিকে আসেন না। তা ছাড়া জনবল সংকটের কারণে আমরা প্রত্যাশিত সেবাও দিতে পারছি না।’

নীলফামারী জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপপরিচালক মোজাম্মেল হক জনবল সংকট এবং ওষুধ না থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। বলেছেন, ‘জনবল সংকট ও ওষুধের অভাবে সেবা ব্যাহত হচ্ছে। তবে সরকার ইতোমধ্যে দুই বছরমেয়াদি একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ওই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে পরিস্থিতির উন্নয়ন হবে।’

সোনারগাঁয় স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, টাকার বিনিময়ে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা!

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৫, ১০:০০ এএম
আপডেট: ১০ জুলাই ২০২৫, ১০:০৪ এএম
সোনারগাঁয় স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, টাকার বিনিময়ে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা!
প্রতীকী ছবি

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের জামপুর ইউনিয়নের হাতুড়া পাড়া এলাকায় অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এদিকে টাকার বিনিময়ে এ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।

অভিযুক্তরা হলেন- জামপুর ইউনিয়নের হাতুরাপাড়া এলাকার আব্দুল্লাহ, লাল চান মিয়া এবং ফয়েজ ভূঁইয়া।

গত সোমবার (৭ জুলাই) ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ করেছেন। তিনি স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় রান্নার কাজ করেন।

জানা গেছে, সাদিপুর ইউনিয়নের একটি বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী স্কুল ছুটির পর বাড়ি ফিরছিল। পথে অভিযুক্ত আব্দুলাহ কাঁঠাল খাওয়ানোর কথা বলে তার বাসায় নিয়ে যায়। পরে আব্দুল্লাহ ওই শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক তার ঘরে নিয়ে আটকে ফেলেন। একপর্যায়ে অন্য আরও দুই সহযোগীকে ফোনে ডেকে নিয়ে তিনজন মিলে ভূক্তভোগীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের পর ভুক্তভোগীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে আইনের আশ্রয় নিলে তার পরিবারের সব সদস্যকে প্রাণ নাশের হুমকি দেন।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষণের ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ভুক্তভোগীর মাকে (বাদী) ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে স্থানীয় প্রভাবশালী সাত্তার ও আক্কাস আলীর নেতৃত্বে একটি দল। তারা ভুক্তভোগী পরিবারকে এক লাখ টাকা দিয়ে ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। 

ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর বোনের স্বামী বলেন, 'আমার স্ত্রীর ছোট বোনকে তিনদিন আগে স্কুল থেকে ফেরার পথে অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ তার পথ আটকে নিজের বাসায় নিয়ে যায়। ওইসময় আব্দুল্লাহ বলেছিল যে আব্দুল্লাহর স্ত্রী তার জন্য কাঁঠাল রেখেছে। এ কথা মতো ওই ছাত্রী আব্দুল্লাহর সঙ্গে তার বাসায় যায়। সে সময় তার স্ত্রী বাসায় ছিলো না। আব্দুল্লাহর স্ত্রীর কথা জানতে চাইলে আব্দুল্লাহ কোন উত্তর না দিয়ে মুখ ও হাত-পা বেঁধে তার দুই সহযোগীকে ফোন দিয়ে বাসায় নিয়ে যায়। পরে তারা তিনজন মিলে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে আমার শাশুড়ি এ ঘটনা শুনে তালতলা ফাঁড়িতে অভিযোগ করেন। অভিযোগের তিনদিন হলেও কোনো সমাধান পাইনি'। 

ঘটনাটিকে টাকার বিনিময়ে মীমাংসার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, 'তিনি শ্বশুর বাড়িতেই বসবাস করেন। এমন কিছু হলে অবশ্যই তিনি জানতেন। এটা অপপ্রচার।'

তালতলা তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, 'এ ঘটনায় বাদী অভিযোগ করলেও মামলার বিষয়ে তাদের কোনো আগ্রহ নেই। তিনি সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বাদি ও তার পরিবারের কাউকে তিনি পাননি।'

টাকার বিনিময়ে মীমাংসার বিষয়ে তিনি বলেন, তার এ সম্পর্কে জানা নেই। তবে পরিদর্শন করেছেন।

এ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার বিষয়ে অভিযুক্ত আক্কাস আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অস্বীকার করে এ ঘটনার বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান। 

তালতলা তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক (ইনচার্জ) আব্দুল হক জানান, ঘটনা সম্পর্কে তিনি জানেন না। এসআইয়ের সঙ্গে কথা বলে জেনে বিস্তারিত বলতে পারবেন।

সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইসমাইল হোসেন জানান, ঘটনাটি সম্পর্কে তিনি জেনেছেন। তিনি নতুন যোগদান করেছেন। এ ঘটনায় একটি অভিযোগ হয়েছে। তদন্তের দায়িত্বে থাকা এসআইকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ইমরান/মেহেদী/

ফেনীতে ফের বন্যা, ২০টি স্থানে বাঁধ ভেঙে ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৯:৫৬ পিএম
ফেনীতে ফের বন্যা, ২০টি স্থানে বাঁধ ভেঙে ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি
বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। ছবি: খবরের কাগজ

বুধবার বিকাল থেকেই ঘরের পাশের বন্যা রক্ষা বাঁধের উপর দিয়ে গড়িয়ে পড়ছিল মুহুরী নদীর পানি। এলাকার সবাই মিলে নদীরক্ষা বাঁধের উপর বিভিন্ন ধরনের বস্তা দিয়ে পানি গড়ানো বন্ধ করার চেষ্টা করছিলাম। পুরো বিকাল ভাঙন রোধে যুদ্ধের পর সন্ধ্যায় হঠাৎ দেখি আমার ঘরের পাশেই বেড়িবাঁধ ভেঙে হু হু করে গ্রামে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। অবস্থা বেগতিক দেখে মা, স্ত্রী, সন্তানসহ পরিবারের সদস্যদের পাশের একটি বাড়িতে আশ্রয়ে রেখে আসি। সন্ধ্যার মাঝেই বাঁধভাঙা পানির তীব্র চাপে ঘরের একটি অংশ ভেঙে তলিয়ে যায়। একে একে ঘরের দেয়াল, পিলারসহ ঘরের বিভিন্ন আসবাবপত্র চোখের সামনে ভেসে যেতে দেখেছি। স্বপ্নের ঘর পানির তোড়ে ভেসে যেতে থাকলেও দেখে দেখে কান্নাকাটি করা ছাড়া কিছুই করার ছিল না আমার। 

বুধবার (৯ জুলাই) বিকেলে এসব কথা বলছিলেন ফেনীর ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর শ্রীপুর পূর্বপাড়া গ্রামের খন্দকার বাড়ির আলী আশরাফ। মুহুরী নদীর পানির চাপে তার নব নির্মিত আধাপাকা ঘরটি পানির তোড়ে বিলীন হয়েছে।

ছবি: খবরের কাগজ

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (৮ জুলাই) থেকে শুরু হওয়া ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরামে বন্যা পরিস্থিতি বুধবার পর্যন্ত আরও অবনতি হয়েছে। ফেনী সদর, দাগনভূঞা ও ছাগলনাইয়া উপজেলায় নিম্নাঞ্চলে সৃষ্টি হওয়া জলাবদ্ধতা এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে। এছাড়াও ফেনী পৌরসভার শহিদ শহীদুল্লা কায়সার সড়ক এখন পর্যন্ত হাটু পরিমাণ পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে এবং শহরের বিভিন্ন পাড়ার সড়ক, অলিতে-গলিতেও জলাবদ্ধতা পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়নি। বুধবার বিকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে ফেনীর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিস। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বৃষ্টির পরিমাণ ও নদীতে পানির পরিমাণ কমলেও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধভাঙায় লোকালয়ে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলায় মুহুরী, কহুয়া ও ছিলোনিয়া নদী রক্ষা বাঁধের ২০টি স্থানে ভাঙনের সৃষ্টি হয়। এতে দুই উপজেলায় অন্তত ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে এবং আরও নতুন নতুন বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত হতে শুরু করেছে। বেড়িবাঁধের পরশুরামের ১৪টি স্থানে এবং ফুলগাজী উপজেলা ৬টি স্থানে ভাঙনের সৃষ্টি হয়। এছাড়াও দুই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বেড়িবাঁধের উপর দিয়ে পানি গড়িয়ে যেতে দেখা গেছে। প্লাবিত গ্রাম সমূহের মধ্যে পরশুরাম উপজেলায় ১৫ টি ও ফুলগাজী উপজেলায় ১২টি গ্রাম রয়েছে। প্লাবিত এসব গ্রামের পুকুরের মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। আমনের বীজতলা ও সবজি ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এদিকে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ফেনী-পরশুরাম অঞ্চলিক সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। প্লাবিত গ্রামগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ  ও মোবাইল নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

ছবি: খবরের কাগজ

পরশুরামের পশ্চিম অলকা গ্রামের আবুল হাসেম জানান, ২৪ এর বন্যায় আমাদের এলাকায় ব্যাপক ক্ষতির পর আমরা এখনো সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারিনি। এর মাঝেই আবার বন্যার কবলে পড়েছি। বাড়ির সামনের পুকুরের মাছ ভেসে গেছে, বীজতলা তলিয়ে গেছে। ঘরে পানি ঢুকে গেছে। বাড়িঘর ডুবে যাবার উপক্রম হয়েছে। সর্বস্ব হারাতে বসেছি। আমরা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের স্থায়ী সমাধান চাই।  

ফেনীর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আক্তার হোসেন মজুমদার বলেন, মুহুরী ও কহুয়া নদীর ২০টি স্থানে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে প্রায় ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এখনো নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর পানি ক্রমান্বয়ে কমতে শুরু করলেও বাঁধভাঙা পানির চাপে লোকালয়ে পানি বাড়তে শুরু করেছে।

ছবি: খবরের কাগজ

এদিকে ফেনীর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মুজিবুর রহমান বলেন, বুধবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ফেনীতে ১৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। জেলায় ভারী বৃষ্টি কমলেও বুধবার দিনভর গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হয়েছে। 

ফেনী জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, জেলার ফুলগাজী, পরশুরাম ও ফেনী সদর উপজেলার একাংশে ইতোমধ্যে প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিপন্দি হয়ে পড়েছে। তাদের মধ্যে দেড় হাজার জন বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছে। তাদের খাবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে। পরশুরাম উপজেলা ৯৯টি, ফুলগাজী উপজেলায় ৩২টি এবং ফেনী সদর উপজেলায় ২২টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলায় ২ হাজার ৫৩৭ জন প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক  সংগঠনের পক্ষ থেকেও স্বেচ্ছাসেবকরা মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন। জেলায় ইতোমধ্যে ত্রাণ কাজের জন্য সাড়ে ১৭ লাখ টাকা উপবরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও জেলা ১২০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর বাহিরে ফুলগাজী ও পরশুরামে ইতোমধ্যে ৪০০ প্যাকেট শুকনা খাবারের প্যাকেট সরবরাহ করা হয়েছে।

এর আগে, ২০২৪ সালের আগস্টের ভয়াবহ বন্যায় ফেনীতে ২৯ জনের প্রাণহানী-সহ হাজার হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার ফুলগাজী পরশুরামে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের কথা বলা হলেও এখন পর্যন্ত তার বাস্তবতা দৃশ্যমান হয়নি।

তোফায়েল আহমদ নিলয়/মাহফুজ