৭ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর চট্টগ্রাম দক্ষিণাঞ্চলের ২০ রুটে বাস চলাচল শুরু হয়েছে।
রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে এসব রুটে বাস চলাচল বন্ধ ছিল। বিকেল ৩টা থেকে বাস চলাচল শুরু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন আরাকান সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের প্রচার সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক।
তিনি বলেন, ‘আমাদের একজন চালককে মারধরের প্রতিবাদে রবিবার সকাল থেকে চট্টগ্রাম দক্ষিণাঞ্চলে বাস চলাচল বন্ধ থাকে। বিকেল থেকে বাসমালিক-শ্রমিকদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত মতে বাস চলাচল আবার শুরু হয়।’
এদিকে নগরীর শাহ আমানত সেতু এলাকায় বাস শ্রমিকদের মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে এ কর্মবিরতি পালন করা হয় বলে জানিয়েছেন বাস মালিক ও শ্রমিকনেতারা।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম দক্ষিণাঞ্চল, কক্সবাজার, বান্দরবান জেলার সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ কর্মবিরতি পালন করে। এর ফলে ওই এলাকার ২০ রুটে বাস না চলায় দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা।
সকালে নগরীর বিভিন্ন স্টেশন থেকে দক্ষিণমুখী বাস-মিনিবাস না ছাড়ায় যাত্রীরা সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন যানে বাড়তি ভাড়া দিয়ে শাহ আমানত সেতু এলাকায় যান। সেখান থেকেও কক্সবাজার, বান্দরবান ও চট্টগ্রামের দক্ষিণের আটটি উপজেলায় কোনো বাস-মিনিবাস ছেড়ে না যাওয়ায় তারা দুর্ভোগে পড়েন।
শুধু আমানত সেতু এলাকা নয়, সেতুর দক্ষিণে মইজ্জারটেক, শান্তিরহাট, পটিয়া, চন্দনাইশ, সাতকানিয়ার কেরানীহাটসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন সড়কে বাস-মিনিবাস না পেয়ে দুর্ভোগ ও ভোগান্তির শিকার হন যাত্রীরা। অন্যদিকে ধর্মঘটকে পুঁজি করে অটোরিকশা, টমটমসহ বিভিন্ন হাল্কা ও কমগতির যানবাহনগুলো বাড়তি ভাড়া নেয় বলে অভিযোগ করেন যাত্রীরা।
চট্টগ্রাম দক্ষিণাঞ্চল কক্সবাজার, বান্দরবান জেলা সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মুছা খবরের কাগজকে বলেন, ‘শ্রমিকদের মারধর করার কারণে এ পরিস্তিতি সৃষ্টি হয়েছে। এতে ১৮টি মালিক সমিতি এবং ছয়টি শ্রমিক সংগঠন বাস চলাচল বন্ধ রেখেছিল।’
সালমান/