কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নে টানা বর্ষণের ফলে পাহাড় ধসে দুই মেয়েসহ মায়ের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত তিনটার দিকে ঝিলংজা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ ডিক্কুল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য মিজানুল করিম সিকদার।
নিহতরা হলেন, ঝিলংজা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ ডিক্কুল এলাকার মিজানুর রহমানের স্ত্রী আঁখি মনি (২৫) এবং তার দুই সন্তান ময়না (৫) ও মায়া (২)।
প্রতিবেশী মোহাম্মদ রুস্তম জানান, টানা বর্ষণের ফলে রাত তিনটার দিকে পাহাড় ধসের ঘটনাটি ঘটে। এতে মা মেয়ে তিনজনই মাটি চাপা পড়ে। স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় মরদেহ উদ্ধার করে। পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস হওয়ায় এ দুর্ঘটনার শিকার হলো পরিবারটি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মিজানুল করিম সিকদার বলেন, ‘টানা বর্ষণের কারণে কক্সবাজার সদর উপজেলার অনেক এলাকা তলিয়ে গেছে। পাহাড় ধসের আশঙ্কা থাকায় এসব এলাকায় সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু তারা নিরাপদে সরে না যাওয়ায় দুর্ঘটনা ঘটেছে।’
এদিকে, টানা বৃষ্টিতে কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন সড়ক ও অলিগলি পানিতে সয়লাব হয়েছে। এ ছাড়া ভারী বর্ষণে প্লাবিত হয়েছে টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলার অন্তত অর্ধশত গ্রাম।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কক্সবাজারে ৯২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানান কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আব্দুল হান্নান।
বৃষ্টির সঙ্গে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে; এতে পাহাড় ধসের আশঙ্কার কথা জানিয়েছিল আবহাওয়া অফিস। সকাল থেকে টানা বৃষ্টিতে শহরের পর্যটন জোন কলাতলীর হোটেল মোটেল এলাকা, সৈকতের লাবণী পয়েন্ট থেকে সুগন্ধা পয়েন্ট, বাজারঘাটা, গোলদীঘির পাড়, বৌদ্ধমন্দির সড়ক, পাহাড়তলী, পেশকারপাড়া, সমিতিপাড়া, কুতুবদিয়াপাড়ার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
কক্সবাজারের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক বিভীষণ কান্তি দাশ বলেন, ‘বৃষ্টিতে শহরের অনেক এলাকার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। টেকনাফ ও উখিয়ার কিছু এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।’
এ ছাড়া পাহাড় ধসের আশঙ্কায় মাইকিং করে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
মুহিববুল্লাহ মুহিব/সাদিয়া নাহার/