রেকর্ড ভারী বর্ষণে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। ইতোমধ্যে সৈকত সড়কসহ অন্তত ৩৫টি উপসড়ক বৃষ্টির পানিতে ডুবে কয়েক শ দোকানপাটের মালামাল নষ্ট হয়েছে। হাজারো ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে মানুষ।
জলাবদ্ধতার কারণে সৈকতে হোটেল-মোটেল জোনের ১৮টি সড়ক ডুবে গেছে। পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেলের কয়েক হাজার পর্যটক পড়ছেন চরম বিপাকে।
এছাড়া জেলার টেকনাফ, উখিয়া, পেকুয়া, চকরিয়ার ও রামু উপজেলার প্রায় তিন শতাধিক গ্রাম।
গত ২৪ ঘন্টায় (বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত) মোট বৃষ্টিপাতের পরিমান ৪৫৩ মিমি রেকর্ড করা হয়ছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুল হান্নান।
তিনি জানান, চলমান মৌসুমে এটি একদিনে সর্বোচ্চ বৃষ্টির রেকর্ড।
অন্যদিকে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
এদিকে, টানা বৃষ্টিতে কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন সড়ক ও অলিগলি পানিতে সয়লাব। শুক্রবার সকাল থেকে অব্যাহত বৃষ্টিতে শহরের পর্যটন জোন, সৈকতের লাবণী পয়েন্ট থেকে সুগন্ধা পয়েন্ট, বাজারঘাটা, গোলদিঘীর পাড়, বৌদ্ধ মন্দির সড়ক, পাহাড়তলী, পেশকারপাড়া, সমিতিপাড়া, কুতুবদিয়াপাড়া পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
কক্সবাজারের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক বিভীষণ কান্তি দাশ বলেন, বৃষ্টিতে শহরের অনেক এলাকা পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। টেকনাফ, উখিয়া, পেকুয়া, চকরিয়ার ও রামু উপজেলার কিছু এলাকা প্লাবিতের খবর পাওয়া গেছে।
এ ছাড়া পাহাড় ধসের আশঙ্কায় মাইকিং করে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
মুহিববুল্লাহ মুহিব/অমিয়/