সিলেটের বন্দরবাজারে ব্যবসায়ী এবং সিনএজিচালিত অটোরিকশা চালকদের সংঘর্ষের বিষয়ে কোনো সুরাহা হয়নি। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টায় সিলেট সার্কিট হাউসে এ নিয়ে বৈঠক হয়। বৈঠকে সার্বিক বিষয় আলোচনা করে ১৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাছাড়া আগামী বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) আবারো বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তবে এই সময়ের মধ্যে কোনো বিশৃঙ্খলা বা অপ্রীতিকর ঘটনা সৃষ্টি না করতে ব্যবসায়ী ও অটোচালকদের আহ্বান জানানো হয়েছে বৈঠক থেকে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা প্রশাসন, মহানগর পুলিশ, স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সুশীল সমাজ, ব্যবসায়ী এবং পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা।
বৈঠকে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান না হওয়ায় ১৫ জনের কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়। তারা সংঘর্ষের বিষয়ে সার্বিক খোঁজখবর নিয়ে বুধবারের বৈঠকে তথ্য উপস্থাপন করবেন এবং এর ভিত্তিতে বিষয়টির সমাধান করা হবে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মোবারক হোসেন, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) উপ-কমিশনার (অতিরিক্ত দায়িত্ব, ট্রাফিক) বি এম আশরাফ উল্যাহ তাহের, সিলেট কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ নুনু মিয়া, প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক, ব্যবসায়ী ও পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) উপ-কমিশনার (অতিরিক্ত দায়িত্ব- ট্রাফিক) বি এম আশরাফ উল্যাহ তাহের খবরের কাগজকে বলেন, রাতে বৈঠকে আলোচনা করে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করা হয়েছে। এবং আগামী বুধবার আবার বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে দুপক্ষ যে কোনো বিশৃঙ্খলা বা অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে তাদেরকে বলা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) মার্কেটের সামনে সিএনজিচালিত অটোরিকশা পার্কিংয়ের জেরে সিলেট নগরীর বন্দরবাজারের ব্যবসায়ী এবং সিনএজিচালিত অটোরিকশাচালকদের মাঝে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও দফায় দফায় সংঘর্ষের সময় সিটি মার্কেটের বেশ কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করেন অটোচালকরা। অপরদিকে ব্যবসায়ীরা ১০ থেকে ১৫টি অটোরিকশা ভাঙচুর করেন। এসময় উভয়পক্ষের ২০ থেকে ৩০ জন আহত হন।
শাকিলা ববি/অমিয়/