বরগুনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কারী দাবি করা দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৪ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। গত বুধবার মধ্যরাতে সদর উপজেলা পরিষদসংলগ্ন এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগ উঠেছে, সমন্বয়কারী দাবি করা রেজাউল সমর্থকদের ওপর মীর নিলয় সমর্থকরা হামলা করেছেন। এ ঘটনায় আহতরা হলেন মহিবুল্লাহ, আরিফ, আশিক ও মো. আবু হানিফ। এদের মধ্যে আরিফের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের বরগুনায় আসা উপলক্ষে ঘোষিত কর্মসূচি সফল করতে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের একটি সভার আয়োজন করা হয়। ওই সভায় বরগুনার সমন্বয়কারী দাবি করা ওই দুই পক্ষের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের বরগুনায় আসা কর্মসূচি বাতিল করা হলে উভয় পক্ষ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে বেরিয়ে সদর রোডে সংঘর্ষে জড়ান।
বরগুনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কারী দাবি করা মো. রেজাউল বলেন, ‘কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের আসা উপলক্ষে আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে একটি সভায় যোগ দিই। এ সময় বরগুনায় ৪ আগস্টের কর্মসূচি বন্ধের বিষয় নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা হলে মীর নিলয়ের নাম উঠে আসে। একপর্যায়ে সে ক্ষিপ্ত হয়। পরে আমরা বের হয়ে সদর রোডে গেলে তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়।’
অপরদিকে সমন্বয়কারী দাবি করা মীর নিলয় বলেন, ‘ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই আমাদের ভূমিকা ছিল। বরগুনা শহরে ব্যবসায়ীদের একটি সমস্যা আমাদের মাধ্যমে সমাধান হয়েছে। কিন্তু রেজাউল সমর্থকরা বলে বেড়ায় আমরা নাকি বাজার থেকে অনেক টাকা নিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বরগুনায় দুটি গ্রুপ আছে। এর একটি গ্রুপ ৫ আগস্টের পর থেকে আমাকে নিয়ে অপপ্রচারে লিপ্ত। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের আসা উপলক্ষে গত ৪ সেপ্টেম্বর তাদের সমন্বয়ে আরেকটি গ্রুপ খোলা হয়। তবে গত রাতে তাদের সঙ্গে আমরা একত্রে ছিলাম। এ সময় রেজাউলরা উসকানিমূলক কথাসহ তর্কবিতর্কসহ আমাকে ধাক্কা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়।’
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে ঘটনা ঘটেছে, এতে রেজাউল একটি অভিযোগ দেবেন বলেছেন। তবে এখনো কেউ কোনো অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’