চট্টগ্রাম-৪ সীতাকুণ্ড আসনের দুই সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ ৬৫ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও ১০০-১৫০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে।
সোমবার (৭ অক্টোবর) রাতে মামলাটি দায়ের করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব লায়ন আসলাম চৌধুরী পরিবারের গাড়িচালক মোহাম্মদ মেহেদী হাসান তারেক।
থানায় মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর বেলা ১১-১২ টার সময় বিএনপি মনোনীত প্রার্থী, লায়ন আসলাম চৌধুরীর বড় ভাই ইছহাক কাদের চৌধুরীকে ফৌজদারহাটের জলিল বাজারস্থ নিজ বাড়ী ও রেলগেইটে হত্যার উদ্দেশ্য জখম, চুরি, রেলওয়ের সরকারি সম্পত্তির ক্ষতিসাধনসহ ককটেল বিস্ফোরণ এবং জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করার অপরাধ করা হয়েছে।
এ মামলায় সীতাকুণ্ডের সাবেক সংসদ সদস্য দিদারুল আলমকে ১ নম্বর আসামি, সাবেক এমপি এস এম আল মামুনকে ২ নম্বর ও তার ছোট ভাই এস এম নোমানকে ৩ নম্বর আসামি এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল বাকের ভূঁইয়াকে ৪ নম্বর আসামি করা হয়েছে।
এ ছাড়া কুমিরা ইউপি চেয়ারম্যান মোরশেদ চৌধুরী, আসলাম (পিএস আসলাম), ইউপি চেয়ারম্যান মনির আহমেদ, সাদাকাত উল্লাহ মিয়াজী, রেহান উদ্দিন, তাজুল ইসলাম নিজামী চেয়ারম্যান, জেলা পরিষদ সদস্য আ.ম.ম দিলসাদ, নাজিম উদ্দিন চেয়ারম্যান, গোলাম মহিউদ্দিন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আরিফুল আলম চৌধুরী রাজু, সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক মো. শায়েস্তা খান প্র. সাজু, মো.নাজিম উদ্দিন, মোঃ আসলাম, মাসুদ, রিমন, মোরশেদ, শিবলু, সাবের, মোঃ আমানত, মোঃ হাজী মহসিন রেজা, সৈয়দ আব্দুল মতিন, মোঃ আলা উদ্দিন, দেলোয়ার হোসেন স্টার, মোঃ মহিউদ্দিন মনি, খোকন, চট্টগ্রাম উত্তরজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজাহান, সীতাকুণ্ড উপজেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম জসিম, দিদারুল আলম অ্যাপোলো, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম রিয়াদ জিলানী, মো.নাছির, এসএম নজরুল ইসলাম, গোলাম মাসুদ পারভেজ, মোঃ ইসমাইল, তৌহিদুজ্জামান মেজবা, সাব্বির আহমেদ, শাহাদাত হোসেন, ইকবাল হোসেন টিটু, আমজাদ হোসেন, সাইদুর রহমান মারুফ ( পিএস মারুফ), আব্বাস, মাহবুব আলম, আশরাফ উদ-দৌলা, মো.রিদুয়ান সাইমন, মোজাম্মেল, ইকবাল সরওয়ার, পারভেজ, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শিহাব উদ্দিন, ফাহিম মোস্তফা, দিদারুল আলম, রফিক উল ইসলাম, মহসিন, মোহাম্মদ আলী, অহিদুল আলম, আবুল কালাম আজাদ প্র. বাবু, মো. ফরিদ, সিরাজুল আজম চৌধুরী প্র. রেজা, জসিম উদ্দিন, ইব্রাহীম হাসান।
এদিকে সীতাকুণ্ড থানায় হওয়া দুই মামলায় তিন আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তারা হলেন, আব্দুল হান্নান, সাইফুল ইসলাম ও মো. নিজাম উদ্দিন। এদের মধ্যে হান্নান (৪৭) উপজেলার কুমিরা ইউনিয়নের নিউ রাজাপুর ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে ও কুমিরা ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। আর মো. সাইফুল ইসলাম (৩৫) মুরাদপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নুরুল ইসলাম ছেলে এবং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি। অপরজন মো. নিজাম উদ্দিন (৩৫) একই এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে এবং ওয়ার্ড কৃষক লীগের সভাপতি।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান খবরের কাগজকে বলেন, থানায় রুজু হওয়া দুটি বিস্ফোরক মামলায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।