ভারী বর্ষণে পর্যটননগরী কক্সবাজারে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। সৈকত সড়কসহ অন্তত ১৮টি উপসড়ক পানিতে ডুবে গেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন পর্যটক ও স্থানীয়রা। এ ছাড়া জেলায় পৃথক ঘটনায় একদিনে ৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে অব্যাহত বৃষ্টিতে শহরের পর্যটন জোন কলাতলীর হোটেল-মোটেল এলাকা, সৈকতের লাবণী পয়েন্ট থেকে সুগন্ধা পয়েন্ট, বাজারঘাটা, গোলদিঘীর পাড়, বৌদ্ধ মন্দির সড়ক, পাহাড়তলী, পেশকারপাড়া, সমিতিপাড়া, কুতুবদিয়াপাড়া পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া জেলার টেকনাফ, উখিয়া, পেকুয়া, চকরিয়ার ও রামু উপজেলার প্রায় তিন শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
সরেজমিনে হোটেল-মোটেল জোনে গিয়ে দেখা যায়, জলাবদ্ধতার কারণে কলাতলী হোটেল-মোটেল জোনের ১৮টি সড়ক ডুবে গেছে। ৫১৬ হোটেল-মোটেলের কয়েক হাজার পর্যটক পড়েছেন চরম বিপাকে।
এদিকে জেলায় পৃথক ঘটনায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে পৃথক পাহাড়ধসের ঘটনায় ৬ জন, ট্রলার ডুবে দুই জেলে এবং বন্যার পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো. মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ভোররাতে পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটে। এতে দুই পরিবারের ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নে একই পরিবারের তিনজন এবং উখিয়ায় রোহিঙ্গা শিবিরের ১৪ নম্বর ক্যাম্পে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
নিহতরা হলেন- সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ ডিককুল গ্রামের মিজানুর রহমানের স্ত্রী আঁখি আকতার (২৫), দুই শিশুকন্যা মিহা জান্নাত নাঈমা ওরফে ময়না (৭) ও লতিফা ইসলাম ওরফে মায়া (২) এবং উখিয়ার হাকিমপাড়া ১৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-২ ব্লকের কবির আহমেদের ছেলে আব্দুর রহিম (৩০), আব্দুল হাফেজ (১০) ও আব্দুল ওয়াহেদ (৮)।
এ ছাড়া ট্রলারডুবিতে মোহাম্মদ জামাল (৩৭) ও নুরুল আমিন (৪০) নামে দুই জেলের মৃত্যু হয়েছে।
রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) ইমন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
টেকনাফে বন্যার পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বাড়ির পাশের ডোবায় পড়ে তার মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী।
মুহিববুল্লাহ মুহিব/সালমান/