ঢাকা ১০ আষাঢ় ১৪৩২, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫
English

সাতক্ষীরায় হাতুড়ির আঘাতে প্রতিবন্ধী তরুণীর মৃত্যু

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:১৬ পিএম
আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৪ পিএম
সাতক্ষীরায় হাতুড়ির আঘাতে প্রতিবন্ধী তরুণীর মৃত্যু
হাতুড়িপেটায় এক প্রতিবন্ধী কিশোরীর মৃত্যু। ছবি: খবরের কাগজ

সাতক্ষীরায় যুবকের হাতুড়ির আঘাতে এক প্রতিবন্ধী তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। 

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে সদর উপজেলার থানাঘাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত রোজিনা আক্তার চুমকি (২০) ওই এলাকার রেজাউল ইসলামের মেয়ে ও সুইড খাতিমুন্নেসা হানিফ লস্কর বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী।

এ ঘটনার পর স্থানীয়রা ঘাতক ইলিয়াস হোসেনকে গণপিটুনি দিলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

নিহতের বাবা রেজাউল ইসলাম খবরের কাগজকে বলেন, ‘থানাঘাটা এলাকার ইকবাল হোসেনের ছেলে ইলিয়াস দীর্ঘদিন যাবৎ চুমকিকে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এতে সে রাজি হয়নি। এ ঘটনায় ইলিয়াসকে সতর্ক করা হয়। একপর্যায়ে শনিবার সকালে তার মেয়ে বাড়ির বাইরে বের হলে ইলিয়াস হাতুড়ি দিয়ে চুমকির মাথায় আঘাত করে। এতে সে গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে খবরের কাগজকে বলেন, ‘মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘাতক ইলিয়াসকে পুলিশ পাহারায় সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

নাজমুল শাহাদাৎ/ইসরাত চৈতী/অমিয়/

কুষ্টিয়ায় জমি নিয়ে বিরোধে বৃদ্ধকে হত্যা

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ০৪:১৬ পিএম
কুষ্টিয়ায় জমি নিয়ে বিরোধে বৃদ্ধকে হত্যা
ছকিব: খবরের কাগজ

কুষ্টিয়ার খোকসায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মোহাম্মদ আলী (৭০) নামে এক ব্যাক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। 

মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। 

মোহাম্মদ আলী খোকসা উপজেলা সাতপাকিয়া গ্রামের মৃত আকমত প্রমানিকের ছেলে। 

নিহতের স্বজনদের বরাত দিয়ে খোকসা থানার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মঈনুল ইসলাম খবেরর কাগজকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী সোনাই শেখের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে সোমবার (২৩ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সোনাই শেখের নেতৃত্বে কয়েকজন মিলে আলীর বাড়ীতে হামলা করে তাকে পিটিয়ে এবং কুপিয়ে জখম করে ফেলে রেখে যায়। খবর পেয়ে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে মঙ্গলবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক হোসেন ইমাম বলেন, 'আলী নামে একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তার অন্ডকোষে ও ঘাড়ের পাশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।'

ওসি শেখ মঈনুল ইসলাম বলেন, 'নিহতের মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে দায়ীদের বিরুদ্ধে মামলাসহ তাদের গ্রেপ্তারের জন্য কাজ করছে পুলিশ।'

মিলন/রিফাত/

ঘিওরে ব্যবসায়ীকে দাঁড়ি ধরে মারধরের ভিডিও ভাইরাল

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ০৩:৩৭ পিএম
আপডেট: ২৪ জুন ২০২৫, ০৩:৩৯ পিএম
ঘিওরে ব্যবসায়ীকে দাঁড়ি ধরে মারধরের ভিডিও ভাইরাল
ছবি: ভিডিও থেকে

মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় আলী আজম মানিক (৩৩) নামে এক ব্যবসায়ীকে দোকানে ঢুকে দাঁড়ি ধরে মারধরের অভিযোগ উঠেছে নাসিম ভূঁইয়া (৪৫) নামে একজনের বিরুদ্ধে।  এ ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যা স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।

সোমবার (২৩ জুন) রাত ৯ টার দিকে ঘিওর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আলী আজম মানিক ‘মানিক কম্পিউটার’ নামে একটি দোকান পরিচালনা করেন। ঘটনার পর তিনি ঘিওর থানায় নাসিম ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ পত্রে আলী আজম মানিক উল্লেখ করেন, ‘নাসিম ভূঁইয়া প্রায়ই আমার দোকানে কাজ করাতে এসে বিল না দিয়ে চলে যেতেন। টাকা চাইলে দোকান বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিতেন এবং একাধিকবার টাকা দাবি করতেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, তাকে টাকা না দিলে ঘিওর বাজারে ব্যবসা করতে দেবেন না।’

তিনি আরো বলেন, ‘২৩ জুন রাত ৯টার দিকে তিনি আবার দোকানে এসে জরুরি কাজ করানোর কথা বলেন। আমি তখন অন্য এক কাস্টমারের কাজে ব্যস্ত ছিলাম, তাই কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে বলি। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমার দাড়ি ধরে টানাহেঁচড়া শুরু করেন, অকথ্য গালিগালাজ করেন এবং এরপর এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও থাপ্পড় মারেন। এতে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয় এবং দাড়িতে প্রচণ্ড ব্যথা পাই।’ আমার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ও কাস্টমাররা এগিয়ে এলে তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, ‘এখানে আমাকে ব্যবসা করতে দেবেন না এবং হাত-পা ভেঙে দেবেন। হামলার সময় তিনি একটি মনিটর ভেঙে ফেলেন যার দাম প্রায় ১৫ হাজার টাকা। পরে স্থানীয়রা আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।’

এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ, মানিকগঞ্জ জেলা শাখার নেতা মাওলানা মুহাম্মদ রমজান মাহমুদ বলেন, ‘সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্ট দেখা গেছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি উত্তেজিতভাবে দোকানে প্রবেশ করে আলী আজম মানিকের দাড়ি ধরে তাকে আঘাত করছেন। এটি একটি ঘৃণ্য ও অন্যায় আচরণ। নবিজি (সা.)-এর সুন্নত দাড়ি ধরে টান দেওয়ার কোনো অধিকার কারো নেই। এটি শুধু ব্যক্তি মানিকের নয়, বরং পুরো ধর্মপ্রাণ সমাজের আত্মমর্যাদায় আঘাত।’ আমরা দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের দুঃসাহস দেখানোর সাহস না পায়। যদি দ্রুত তাকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা না হয়, তাহলে আলেম সমাজ কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দিতে বাধ্য হবে।

ভিডিও লিংক

এ বিষয়ে অভিযুক্ত নাসিম ভূঁইয়ার ফোন নম্বরটি বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) কোহিনুর মিয়া বলেন, ‘আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আসাদ/মেহেদী/

জৈন্তাপুর ও ছাতক সীমান্ত দিয়ে ৩৯ জনকে পুশইন

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ০৩:০১ পিএম
আপডেট: ২৪ জুন ২০২৫, ০৩:২০ পিএম
জৈন্তাপুর ও ছাতক সীমান্ত দিয়ে ৩৯ জনকে পুশইন
ছবি: সংগৃহীত

সিলেটের জৈন্তাপুর ও সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলা সীমান্ত দিয়ে ৩৯ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। 

মঙ্গলবার (২৪ জুন) ভোররাত ও সকালে এসব ঘটনা ঘটে।

সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি) সূত্র জানায়, মঙ্গলবার ভোর ৫টায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী জৈন্তাপুর সীমান্ত দিয়ে ১৯ জন নারী, পুরুষ ও শিশুকে পুশইন করে। তাদের সবার বাড়ি বাংলাদেশের কুড়িগ্রামে। এ সময় বিজিবি সদস্যরা তাদের আটক করেন। একইভাবে, সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার নোয়াকোট সীমান্ত দিয়ে ২০ জনকে পুশইন করা হয়। তাদের মধ্যে তিনটি পরিবারের নারী, পুরুষ ও শিশু রয়েছেন। তাদেরকেও আটক করেন বিজিবির সদস্যরা। এই ২০ জনের মধ্যে ১৯ জনের বাড়ি কুড়িগ্রাম ও একজনের বাড়ি পাবনায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিজিবির সিলেট ব্যাটালিয়নের (৪৮ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নাজমুল হক খবরের কাগজকে জানান, আটকরা বিভিন্ন সময়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করে বিভিন্ন স্থানে বসবাস করছিলেন। তাদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

রিফাত/

ফরিদপুরে তেলের লড়িচাপায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ০২:৫৯ পিএম
ফরিদপুরে তেলের লড়িচাপায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
প্রতীকী ছবি

ফরিদপুরে তেলের লড়িচাপায় শ্রীবাস মজুমদার (৩১) ও রাশেদ মোল্লা (২৬) নামে দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।

সোমবার (২৩ জুন) রাতে সদরের মুন্সী বাজার বাইপাস সড়কের বরকতের মার্কেটের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

শ্রীবাস ফরিদপুর সদরের কৈজুরী ইউনিয়নের সাচিয়া গ্রামের ক্ষিতীশ মজুমদারের ছেলে এবং রাশেদ একই এলাকার জালাল মোল্লার ছেলে।
  
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে বরকতের মার্কেটের সামনে তেলের লড়িটি একটি মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এ সময় মোটরসাইকেল আরোহী শ্রীবাস ঘটনাস্থলেই নিহত হন। গুরুতর আহত হন রাসেদ। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করান এবং সেখানে রাতেই তার মৃত্যু হয়। 

ফরিদপুরের করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন চৌধুরী খবরের কাগজকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি বলেন, ‘খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তেলের লড়িটি আটক করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’

সঞ্জিব/পপি/

ঠাকুরগাঁওয়ে বাসচাপায় প্রাণ গেল বাবা-মেয়ের

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ০২:৪৫ পিএম
ঠাকুরগাঁওয়ে বাসচাপায় প্রাণ গেল বাবা-মেয়ের
ছবি: খবরের কাগজ

ঠাকুরগাঁওয়ে বাসচাপায় তিন চাকার ‘পাগলু’ গাড়িতে থাকা আশরাফুল ইসলাম (৫২) এবং তার মেয়ে রুবাইয়া খাতুন (১৫) নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকালে ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড় মহাসড়কের খোশবাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

রুবাইয়া বোদা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

পুলিশ জানায়, ঢাকা থেকে পঞ্চগড়গামী ভিআইপি এন্টারপ্রাইজের একটি বাস খোশবাজার মাদ্রাসা পোস্ট অফিসের কাছে পৌঁছালে সামনে থাকা তিন চাকার পাগলু গাড়িতে ধাক্কা দেয়। এতে গাড়িতে থাকা আশরাফুল ঘটনাস্থলেই নিহত হন এবং গুরুতর আহত অবস্থায় রুবাইয়াকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়। 

দুর্ঘটনার পর বাসটি আটক করা হয়েছে। তবে চালক ও সহকারী পালিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছেন ভুল্লী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। 

তিনি জানান, তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে এবং বোদা হাইওয়ে পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছে।

এই ঘটনায় খোশবাজার এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। 

স্থানীয় বাসিন্দা সাইদুর রহমান বলেন, ‘বাবা-মেয়ের এমন মৃত্যু খুব কষ্টদায়ক। মেয়েটা খুব মেধাবী ছিল।’ 

আরেক বাসিন্দা সাফিয়া বেগম কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘দুটি প্রাণ চলে গেল, এলাকায় শোক আর কান্না ছাড়া আর কিছু নেই। এমন মৃত্যু আর দেখতে চাই না আমরা।’

নবীন/পপি/