ঢাকা ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫
English
মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

টেকনাফে পানিবন্দি কয়েক হাজার পরিবার

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৯ পিএম
টেকনাফে পানিবন্দি কয়েক হাজার পরিবার
ছবি : খবরের কাগজ

কক্সবাজারের টেকনাফে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বিভিন্ন ইউনিয়নে কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পৌরসভাসহ হ্নীলা, সাবরাং, হোয়াইক্যং, বাহারছড়া, সেন্টমার্টিন দ্বীপের সব নিচু এলাকা প্লাবিত রয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার (১৪ সেস্টেম্বর) পর্যন্ত টানা তিন দিন ভারী বৃষ্টিপাত চলমান রয়েছে। 

উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক হাজার পানিবন্দি পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে চলমান থাকবে।

সরেজমিনে দেখা যায়, টেকনাফ-কক্সবাজার মহাসড়কের উন্নয়ন কাজ চলমান থাকায় বৃষ্টির পানি যেতে দেরি হচ্ছে। ফলে অনেক এলাকা পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি সীমান্ত সড়কের কাজ চলমান থাকায় নাফ নদীর পানি গ্রামে ঢুকে ফসলি জমিসহ মাছের খামার পানিতে তলিয়ে গেছে।

হ্নীলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী জানান, হ্নীলা ইউনিয়নে প্রায় হাজারের বেশি পরিবার পানিবন্দি। এসব পানিবন্দি এলাকাগুলো হলো-গজালিয়া পাড়া, সাইট পাড়া, ফুলের ডেইল, আলী আকবর পাড়া, রঙ্গিখালী লামার পাড়া, আলীখালি, চৌধুরী পাড়া, পূর্ব পানখালী, মৌলভীবাজার লামার পাড়া, ওয়াব্রাং, সুলিশ পাড়া, পূর্ব সিকদার পাড়া। 

এসব গ্রামে চলাচলের রাস্তা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। পানিবন্দিদের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হয়েছে।

হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারি জানান, হোয়াইক্যং ইউনিয়নের লম্বা বিল, উলুবনিয়া, আমতলী, মিনা বাজার, উনচিপ্রাং, কাঞ্চনপাড়া, কুতুবদিয়া পাড়া, রইক্ষ্যংসহ আরও কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে কয়েকশ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকন জানান, আমাদের ইউনিয়নে কয়েকটি ওয়ার্ড পানিবন্দি রয়েছে। আশা করছি, বৃষ্টি কমলে পানি নেমে যাবে। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী খবরের কাগজকে বলেন, টেকনাফ সদর হোয়াইক্যং, হ্নীলা এলাকায়  শুকনো খাবার বিতরণের ব্যবস্থা হয়েছে। আরও খাবার বিতরণের জন্য প্রস্তুতি চলমান। জেলা প্রশাসনের কাছে বন্যাদুর্গতদের জন্য চাল চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ভূমিধসের আশঙ্কায় পাহাড়ি এলাকায় বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার জন্য মাইকিং করছে।

মো. শাহীন/জোবাইদা/অমিয়/

টানা ১০ দিন হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৫:৩৩ পিএম
আপডেট: ০৩ জুন ২০২৫, ০৫:৩৭ পিএম
টানা ১০ দিন হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
ছবি: খবরের কাগজ

ঈদুল আজহা উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত বাংলাদেশের মধ্য টানা ১০ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে বলে জানান আমদানিকারকরা। এদিকে আমদানি রপ্তানি বন্ধ থাকলেও ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে।

হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানি গ্রুপের লিখিত পত্রের মাধমে জানান বৃহস্পতিবার (৫ জুন) থেকে শনিবার (১৪ জুন) পর্যন্ত আমদানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানি গ্রুপ।

আমদানি রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন শিল্পী বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে টানা ১০ দিন দুই দেশের মাঝে সকল প্রকারের আমদানি রপ্তানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিকে ১৫ জুন রবিবার সকাল থেকে আবারও আমদানি শুরু হবে।

হিলি ইমিগ্রেশন ইনর্চাজ আরিফুল ইসলাম বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের আমদানি রপ্তানি বন্ধ থাকলেও ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে দুই দেশের মাঝে পাসপোর্টযাত্রী পাড়াপার অন্যদিনের মতো স্বাভাবিক থাকবে।

কুদ্দুস আলী খান/মাহফুজ

 

পঞ্চগড় সীমান্ত দিয়ে আরও ২৬ বাংলাদেশিকে পুশইন

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৫:২৫ পিএম
পঞ্চগড় সীমান্ত দিয়ে আরও ২৬ বাংলাদেশিকে পুশইন
ছবি: সংগৃহীত

পঞ্চগড় সীমান্ত দিয়ে আরও ২৬ বাংলাদেশি নাগরিককে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফ।

মঙ্গলবার (৩ জুন) ভোরে সদর উপজেলার হাড়িভাষা ও চাকলাহাট ইউনিয়নের দুটি সীমান্ত পয়েন্ট বড়বাড়ী ও খুনিয়াপাড়া দিয়ে তাদের পুশইন করা হয়।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সূত্রে জানা গেছে, এই ২৬ জনের মধ্যে ৯ জন নারী, আটজন পুরুষ এবং ৯টি শিশু রয়েছে। তাদের সবার বাড়ি কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী ও ফুলবাড়ী উপজেলায়। তারা ১০ থেকে ১৫ বছর ধরে ভারতে অবস্থান করছিলেন।

আটকদের থেকে জানা যায়, গত ২৮ মে ভারতের পুলিশ তাদের আটক করে কলকাতায় নিয়ে যায়। সেখান থেকে উড়োজাহাজে বাগডোগরায় পাঠানো হয়। পরে তাদের বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করা হয়। মঙ্গলবার ভোরে বিএসএফ তাদের পঞ্চগড় সীমান্তে এনে বাংলাদেশে পুশইন করে।

হাড়িভাষা ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ প্রথমে ৯ জনকে সীমান্তে দেখে আটক করে উপজেলা প্রশাসনকে জানায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় বিজিবি আরও ১৭ জনকে সীমান্ত এলাকা থেকে হেফাজতে নেয়।

নীলফামারী-৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মোহাম্মদ বদরুদোজা বলেন, “ঘটনার পর আমরা বিএসএফের সঙ্গে কোম্পানি পর্যায়ে পতাকা বৈঠক করেছি। আটকদের বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে তাদের পঞ্চগড় সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।”

পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ হিল জামান জানান, “রত্নীবাড়ী বিওপি থেকে ১৭ জন এবং ঘাগড়া বিওপি থেকে ৯ জনসহ মোট ২৬ জনকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে বিজিবি। তাদের জন্য আপাতত নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পাশাপাশি, তারা প্রকৃত বাংলাদেশি কিনা তা যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এর আগে গত ২১ মে ২১ জন বাংলাদেশিকে পুশইন করে বিএসএফ।

রনি মিয়াজী/অমিয়/

সীমান্তের শূন্যরেখায় দাঁড়িয়ে মৃত মায়ের মুখ দেখলেন ২ মেয়ে

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৪:৩৯ পিএম
আপডেট: ০৩ জুন ২০২৫, ০৫:০১ পিএম
সীমান্তের শূন্যরেখায় দাঁড়িয়ে মৃত মায়ের মুখ দেখলেন ২ মেয়ে
ছবি: খবরের কাগজ

বাংলাদেশের চুয়াডাঙ্গা ও ভারতের নদীয়া সীমান্তবাসী এক হৃদয়ছোঁয়া ঘটনার সাক্ষী হলেন। শূন্যরেখায় দাঁড়িয়ে মৃত মায়ের মুখ শেষবারের মতো দেখার সুযোগ পেলেন বাংলাদেশে বসবাসরত দুই মেয়ে। বিজিবি ও বিএসএফের মানবিক উদ্যোগের ফলে এটি সম্ভব হলো।

পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার চাপড়া থানার গোংরা গ্রামের বাসিন্দা লোজিনা বেগম (৮০) বার্ধক্যজনিত কারণে গত ২ জুন রাত ৯টার দিকে মৃত্যুবরণ করেন। তার চার ছেলে ও চার মেয়ে। দুই মেয়ে দীর্ঘদিন ধরে দামুড়হুদা উপজেলার জয়পুর গ্রামে স্বামী-সন্তানসহ স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন।

মঙ্গলবার (৩ জুন) মায়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে দুই মেয়ে চুয়াডাঙ্গা ৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কাছে আবেদন করেন, যেন তারা সীমান্তে দাঁড়িয়ে শেষবারের মতো মায়ের মুখ দেখতে পারেন। বিষয়টি জানার পর ৬ বিজিবির জগন্নাথপুর বিওপি ও ভারতের ১৬১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের গোংরা ক্যাম্প সহমর্মিতা দেখিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়।

পরে সকাল ৯টা ১০ মিনিট থেকে ৯টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত সীমান্তের মেইন পিলার ৯৬/৮-এস এর শূন্যরেখায় দুই দেশের স্বজনদের উপস্থিতিতে মরদেহ দেখার কার্যক্রম শেষ হয়।

এ সময় দুই মেয়ে শেষবারের মতো মায়ের মুখ দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। এতে দুই দেশের সীমান্তবাসী ও উপস্থিতরা বিজিবি-বিএসএফে এই মানবিক সহযোগিতায় মুগ্ধ হন।

চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজমুল হাসান বলেন, “সীমান্তে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার পাশাপাশি মানবিক বিষয়েও বিজিবি সর্বদা আন্তরিক। এ ধরনের কার্যক্রম পারস্পরিক আস্থা, ভ্রাতৃত্ববোধ ও আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে ভূমিকা রাখবে।”

তিনি আরও বলেন, “সীমান্তের নিরাপত্তা রক্ষার পাশাপাশি বিজিবি মানবিক ও সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেও কাজ করে যাচ্ছে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।”

বিজিবি জানায়, সীমান্ত এলাকায় বসবাসরতদের মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও আস্থা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এমন মানবিক কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত রাখা হবে। সীমান্তে অপরাধ রোধ ও আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে এটি এক মাইলফলক হয়ে থাকবে বলেও আশা করা হচ্ছে।

মিজানুর রহমান/অমিয়/

পঞ্চগড়ে জুলাই অভ্যুত্থানে আহত-নিহতদের পরিবারকে ঈদ উপহার ও অনুদান

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৪:৩৩ পিএম
আপডেট: ০৩ জুন ২০২৫, ০৪:৪৭ পিএম
পঞ্চগড়ে জুলাই অভ্যুত্থানে আহত-নিহতদের পরিবারকে ঈদ উপহার ও অনুদান
ছবি: খবরের কাগজ

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের ৩৬ পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে আর্থিক অনুদান ও ঈদ সামগ্রী দিয়েছে জেলা সমাজকল্যাণ কমিটি ও 'ওয়ারিয়র্স অব জুলাই, পঞ্চগড়'।

মঙ্গলবার (৩ মে) পঞ্চগড় জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ সহায়তা করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক সাবেত আলী, প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সামসি আরা জামান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক অনিরুদ্ধ কুমার রায়, জামায়াতের আমির ইকবাল হোসাইন, যুবদলের সদস্য সচিব নুরুজ্জামান বাবু, ওয়ারিয়র্স অব জুলাই, পঞ্চগড়ের আহ্বায়ক মো. আব্দুল্লাহ আল মাসুদ রানা ও সদস্যসচিব এ.কে.এম সাজ্জাদুর রহমান আকাশ। 

আন্দলনে চোখে গুলিবিদ্ধ হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় থাকা রবিউল ইসলাম বলেন, 'আমার এক চোখের আলো অনেকটাই নিভে গেছে, কিন্তু এখনো আশায় বাঁচি। আজকের এ সহানুভূতি আমাদের বাঁচার সাহস জোগায়।'

একই কথা বলেন আব্দুর রশিদ, যিনি পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছিলেন, তিনি বলেন, 'ভুলে যাওয়া সহজ, কিন্তু মনে রাখা অনেক কঠিন। আজকের এ আয়োজন আমাদের জানান দেয়, কেউ একজন এখনো মনে রেখেছে।'

আব্দুল হামিদ নামে এক নিহতের বাবা বলেন, 'ছেলেকে তো আর ফিরে পাব না। কিন্তু এমন দিনে কেউ পাশে এসে দাঁড়ালে মনে হয়, সে শুধু আমার ছেলে নয়, জাতির সন্তান ছিল।'

জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সামসি আরা জামান বলেন, 'এরা শুধু সংখ্যায় কিছু পরিবার নয় এরা আমাদের বিবেকের স্মারক। আমরা চাই, কেউ যেন ভুলে না যায় কাদের রক্তে লেখা হয়েছে পঞ্চগড়ের ইতিহাস।'

জেলা প্রশাসক মো. সাবেত আলী  বলেন, 'জুলাই আগষ্টে যারা শহিদ হয়েছেন তাদের ত্যাগ আমাদের গর্ব ও অনুপ্রেরণার উৎস। পঞ্চগড় জেলা প্রশাসন সবসময় এ পরিবারগুলোর পাশে থাকবে মানবিক দায়িত্ব থেকে, দেশের প্রতি ভালোবাসা থেকে। এ আয়োজনের মাধ্যমে আমরা তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছি এবং সেই শ্রদ্ধা সবসময় থাকবে। যারা আহত হয়েছেন তাদের পাশেও আমরা রয়েছি ৷'

তিনি আরও বলেন, এ আয়োজন শুধু অনুদান বিতরণ নয়, ছিল একান্ত মানবিক দায়বদ্ধতার প্রকাশ। পঞ্চগড়ের মাটি ও মানুষের প্রতি ভালোবাসা থেকে গড়ে ওঠা এই উদ্যোগ প্রমাণ করে, শোকের মধ্যেও সম্মান থাকতে পারে, বেদনার মধ্যেও দায়িত্ববোধ জাগ্রত থাকতে পারে।

রনি /রিফাত/মেহেদী/

নাটোরে এক পিকআপের পেছনে আরেকটির ধাক্কা, নিহত ২

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৪:১৭ পিএম
নাটোরে এক পিকআপের পেছনে আরেকটির ধাক্কা, নিহত ২
নাটোর সদর থানা

নাটোরে ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে একটি পিকআপের পাংচার হওয়া চাকা পরিবর্তনের সময় আরেকটি পিকআপের চাপায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (২ জুন) রাতে সদর উপজেলার স্টেশন গুড়পট্টি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন পাবনা জেলার বেড়ার আম ব্যবসায়ী আব্দুল মজিদ (৭০) ও পিকআপচালক রনি (৩৫)।

নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানান, সোমবার রাতে চাপাইনবাবগঞ্জের কানসাট থেকে পিকআপে আম নিয়ে পাবনা যাচ্ছিলেন মজিদ। রাত ১১টার দিকে নাটোর শহরের চকবৈদ্যনাথ (চামড়াপট্টি) এলাকায় গাড়ির টায়ার পাংচার হয়। পরে পিকআপের চালক রনি ও মজিদ পাংচার হওয়া চাকা খুলছিলেন। ওই সময় বিদ্যুৎ চলে গেলে হঠাৎ পেছন থেকে আসা একটি পিকআপ তাদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়। 

ওসি বলেন, আইনি প্রকৃয়া শেষে মঙ্গলবার দুপুরে দুটি মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

কামাল মৃধা/অমিয়/