কাপ্তাই হ্রদে পানি বাড়ায় আবারও রাঙামাটির কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়েছে। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি কাপ্তাই হৃদ থেকে কর্ণফুলী নদীতে নিষ্কাশন হচ্ছে।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের স্পিলওয়ের জলকপাটগুলো খুলে দেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এটিএম আব্দুজ্জাহের বলেন, ‘কাপ্তাই লেকের পানি আবারও বেড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সন্ধ্যা ৬টায় ৬ ইঞ্চি করে স্পিলওয়ের ১৬টি জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে।’
কাপ্তাই হ্রদে পানি ধারণক্ষমতা ১০৯ ফুট অর্থাৎ সি লেভেল। আর ১০৮ দশমিক ৫০ হলেই বিপৎসীমা হিসেবে ধরা হয়। শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কাপ্তাই লেকের পানির লেভেল ১০৮ দশমিক ৫৫ ফুট অর্থাৎ সি লেভেল।
এর আগে অতি বর্ষণ ও উজানের ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করায় গত ২৫ আগস্ট ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়েছিল। এ সময় বাঁধের উজান ও ভাটি অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি এড়াতে জরুরি সতর্কবার্তা দিয়ে নোটিশ জারি করা হয়েছিল।
সর্বশেষ গত ৩ সেপ্টেম্বর হ্রদে পানির লেভেল ১০৮ দশমিক ৬৫ ফুটে (অর্থাৎ সি লেভেল) পৌঁছে। এতে বাঁধের উজানে জেলা সদরের পৌর এলাকাসহ বাঘাইছড়ি, লংগদু, নানিয়ারচর, বিলাইছড়ি, জুরাছড়ি ও বরকলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দেয়। কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন। কয়েক হাজার মানুষ আশ্রয় নেন বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে।
এই পরিস্থিতিতে হ্রদে পানির লেভেল স্বাভাবিক অবস্থায় ধরে রাখতে পরবর্তী সময়ে এটি কয়েক দফায় বাড়িয়ে ৫ ফুট পর্যন্ত খুলে দেওয়া হয়েছিল। একটানা ১৫ দিন পানি ছাড়ার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসলে গত ৯ সেপ্টেম্বর বন্ধ করে দেওয়া হয় দেশের একমাত্র কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের স্পিলওয়ের ১৬টি জলকপাট।
তবে এর মধ্যেই আবারও বৃষ্টিপাত শুরু হলে উজানের ঢলে বাড়তে শুরু করে হ্রদের পানি। ফলে বন্ধের পাঁচ দিনের মাথায় আবারও পানি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয় বাঁধ কর্তৃপক্ষ।
জিয়াউর রহমান/সালমান/