ঢাকা ২২ আশ্বিন ১৪৩১, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪

৪০ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে হার মানলেন সাব্বির

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩৭ পিএম
৪০ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে হার মানলেন সাব্বির
সাব্বির হোসেন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ কুমিল্লার সাব্বির হোসেন (১৯) গত ৪০ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে অবশেষে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। 

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে জেলার দেবিদ্বার উপজেলার ভিংলাবাড়ী এলাকায় নিজ নানার বাড়িতে মৃত্যু হয় তার। 

নিহত সাব্বির হোসেনের বাড়ি জেলার মুরাদনগর উপজেলার কাজিয়াতল এলাকায়। তবে ছোটবেলা থেকেই নানাবাড়ি দেবিদ্বারের ভিংলাবাড়ীতে মায়ের সঙ্গে থাকতেন তিনি। মরিচাকান্দা জিয়া স্মৃতি আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় থেকে এবার সাব্বিরের এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। লেখাপড়ার পাশাপাশি সংসারের হাল ধরতে অটোরিকশা চালাতেন তিনি। 

সাব্বিরের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেবিদ্বার থানা-পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শাহিনুল ইসলাম।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের চূড়ান্ত বিজয়ের দিন শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার খবরে বিজয় মিছিল বের করে ছাত্র-জনতা। ওই দিন বিকেলে মিছিল করতে দেবিদ্বার থানার দিকে যান মিছিলকারীরা। এ সময় পুলিশ থানার ছাদে উঠে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করতে থাকলে ১৫-১৬ জন মিছিলকারী গুলিবিদ্ধ হন। তাদের মধ্যে সাব্বিরের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে গুলি লাগে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে কিছুদিন চিকিৎসার পর অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তার মাথার ভেতরে গুলি থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হন। পরে অস্ত্রোপচার করে সাব্বিরের মাথা থেকে গুলি বের করা হয়। পরে ধীরে ধীরে সুস্থ হতে থাকেন সাব্বির। কিছুদিন পর ঢাকা মেডিকেল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হলে দেবিদ্বার ভিংলাবাড়ী মাসহ ফিরে আসেন তিনি। শনিবার সকালে হঠাৎ খারাপ লাগছে বলে মাকে জানান সাব্বির। পরে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সাব্বিরের নানা অসিউল মিয়া বলেন, ‘সাব্বিরের তিন ভাইবোনের মধ্যে সে সবার বড়। দুই বছর আগে তার বাবা মারা গেছে। এরপর সাব্বির সংসারের হাল ধরতে অটোরিকশা চালানো শুরু করে। তার মৃত্যুতে আমরা এখন নিঃস্ব হয়ে পড়েছি।’

সাব্বিরের মামা নাজমুল হক বলেন, ‘সাব্বিরকে নিষেধ করছিলাম আন্দোলনে না যেতে। কিন্তু সে শোনেনি। ৫ আগস্ট সকালে নিউ মার্কেট চত্বরে গেলে গোলাগুলি শুরু হলে সাব্বিরের মাথায় গুলি লাগে। পরে আমরা তাকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় কুমিল্লা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা ঢাকায় পাঠান। গত তিন দিন আগে তাকে বাড়িতে আনা হয়। আজ সকালে আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর সে মার যায়। এ ঘটনায় আমি বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলা করেছি। আমি সরকারের কাছে সুষ্ঠু বিচার চাই।’ 

দেবিদ্বার থানার পুলিশ পরিদর্শক শাহিনুল ইসলাম বলেন, ‘সাব্বিরের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর আমরা তার নানার বাড়িতে যাই। সেখানে গিয়ে তার লাশের ময়নাতদন্তের জন্য অনুরোধ করি। কিন্তু স্থানীয় লোকজন আমাদের বাধা দিয়ে জানান, তারা ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করবেন। পরে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে সাব্বিরের লাশ দাফনের অনুমতি দিয়ে থানায় ফিরে আসি।’

চীবর দান না করার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবে ভিক্ষু সংঘ: জেলা প্রশাসক

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৩১ পিএম
চীবর দান না করার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবে ভিক্ষু সংঘ: জেলা প্রশাসক
রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্মিলিত ভিক্ষু সংঘের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন জেলা প্রশাসক

পার্বত্য তিন জেলায় বিদ্যমান পরিস্থিতি ও নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগে এবার কঠিন চীবর দান উদযাপন না করার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য সময় নিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্মিলিত ভিক্ষু সংঘ। রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান এ তথ্য জানিয়েছেন। 

সোমবার (৭ অক্টেবর) দুপুরে রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্মিলিত ভিক্ষু সংঘের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন জেলা প্রশাসক।

সভায় পার্বত্য ভিক্ষু সংঘের সভাপতি ভদন্ত শ্রদ্ধালংকার মহাথের উপস্থিত ছিলেন। 

ঘন্টাব্যাপী বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জেলা কর্মকর্তারাও অংশ নেন।

এর আগে রবিবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে রাঙামাটি বনরূপা মৈত্রী বিহারে সংবাদ সম্মেলনে পার্বত্য চট্টগ্রামে বিদ্যমান পরিস্থিতি ও নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ তুলে তিন পার্বত্য জেলায় এবার কঠিন চীবর দান উদযাপন না করার সিদ্ধান্তের কথা জানায় পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্মিলিত ভিক্ষু সংঘ।

পরে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত শুভ কঠিন চীবর দান উদযাপনের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা হয়। এতে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান সভাপতিত্ব করেন। সভায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানোর তাগিদ দেন উপস্থিত সুধীজন।

সভায় রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন- পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর মধ্যে নিরাপত্তা ও আস্থা ফিরিয়ে আনতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এবারের কঠিন চীবর দান উৎসবে আধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া রাঙামাটিতে পাহাড়ি-বাঙালি সহিংসতার জেরে তৈরি হওয়া নিরাপত্তাহীনতা ও আস্থাহীনতা দূর করতে কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন। 

সভায় বক্তব্য রাখেন এএসইউ পদাতিক ডিভিশনের কমান্ডার লে. কর্নেল মোহাম্মদ আল মামুন সুমন, পুলিশ সুপার এসএম ফরহাদ হোসেন ও সেনা জোনের প্রতিনিধি। 

এছাড়া সভায় বক্তব্য রাখেন রাজবন বিহার পরিচালনা কমিটির সহসভাপতি নিরূপা দেওয়ান, বনরূপা মৈত্রী বিহারের সাধারণ সম্পাদক পূর্ণ চন্দ্র দেওয়ান, জেলা বিএনপির সভাপতি দীপন তালুকদার দিপু, জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি আব্দুল আলীম, জাতীয় পার্টির সভাপতি হারুন মাতবর, নির্মল বড়ুয়া, ইসলামী আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক নুর হোসেন প্রমূখ। 

সভায় পুলিশ সুপার এসএম ফরহাদ হোসেন বলেন, প্রতিবছর যেভাবে আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা নেওয়া হয়, এবার আরও শক্তিশালী ও আধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাঙামাটিতে নিরাপত্তাহীনতার সমস্যা নেই। প্রয়োজনে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব মোতায়েন করার ব্যবস্থা করা হবে। তবে খাগড়াছড়ির বিষয়টিকে রাঙামাটিতে টেনে আনার দরকার নেই। 

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন- নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ তুলে পার্বত্য তিন জেলায় এবারের কঠিন চীবর দান উৎসব না করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা দিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্মিলিত ভিক্ষু সংঘ। আমরা ভিক্ষু সংঘের ধর্মীয় গুরুদের সঙ্গে এই বিষয়ে বৈঠক করেছি। তারা সময় নিয়েছেন বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য।

জিয়াউর রহমান/অমিয়/

মাগুরায় সড়ক থেকে অজ্ঞাত নারীর দেহাংশ উদ্ধার

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:০৭ পিএম
মাগুরায় সড়ক থেকে অজ্ঞাত নারীর দেহাংশ উদ্ধার
ছবি : খবরের কাগজ

মাগুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও গাড়ির চাকায় একাধিকবার পিষ্ট অজ্ঞাত এক নারীর (৪০) দেহাংশ উদ্ধার করেছে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস।

সোমবার (৭ অক্টোবর) ভোরে যশোর-মাগুরা রোড়ের ভায়না টেক্সটাইল মিলের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় মুদি ব্যবসায়ী শাহীন শেখ বলেন, গত কয়েকদিন ধরে এই এলাকায় মানসিক ভারসাম্যহীন এই নারী চলাফেরা করছিলেন। সকালে দোকানে এসে দেখি রাস্তার মাঝখানে ওই নারীর লাশ পড়ে আছে। এ সময় রাস্তা দিয়ে চলাচল করা একাধিক গাড়ি তাকে পিষে দেয়। 

মাগুরা রামনগর হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক গৌতম চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, একাধিক গাড়ির চাপায় লাশ রাস্তায় মিশে গেছে। আমরা ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় লাশের অংশবিশেষ উদ্ধার করি। তার পরিচয় সনাক্তের চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে অপমৃত্যুর মামলা প্রক্রিয়াধীন।

কাশেমুর শ্রাবণ/জোবাইদা/অমিয়/

টেকনাফে পুঁতে রাখা রোহিঙ্গা নারীর লাশ উদ্ধার

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:০৪ পিএম
টেকনাফে পুঁতে রাখা রোহিঙ্গা নারীর লাশ উদ্ধার
ছবি : খবরের কাগজ

কক্সবাজারের টেকনাফের নোয়াখালীপাড়ায় মাটিতে পুঁতে রাখা এক রোহিঙ্গা নারীর (৮০) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার (৭ অক্টোবর) রাতে মেরিনড্রাইভের পাশে গর্ত থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয়রা বলেন, মেরিনড্রাইভ সড়ক-সংলগ্ন বিভিন্ন মাছ ধরার নৌকা দিয়ে নোয়াখালীপাড়া এলাকার কিছু মানবপাচারকারী মায়ানমার থেকে টাকার বিনিময়ে সাগরপথে রোহিঙ্গাদের নিয়ে আসেন। এর পর তারা রোহিঙ্গাদের জিম্মি করে সঙ্গে থাকা টাকা, স্বর্ণলংঙ্কারসহ যা পায় সব লুটপাট করে নিয়ে নেয়। ধারণা করা হচ্ছে তখন ওই নারীর মৃত্যুর হয়। পরে মানবপাচারকারীরা লাশটি গর্ত করে পুঁতে রাখে।

বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আব্দুর গফুর বলেন, অস্ত্রধারী চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা পাহাড়ে অবস্থান করে এবং মায়ানমারকেন্দ্রিক দালালচক্রের মাধ্যমে যোগাযোগ করে। পরে অর্থের বিনিময়ে তারা রোহিঙ্গাদের মাছ ধরার নৌকা বা ট্রলার করে বাংলাদেশে প্রবেশ করায়।

তিনি বলেন, গত শুক্রবার মাছ ধরার নৌকায় মায়ানমার থেকে একদল রোহিঙ্গাকে এনে সৈকত দিয়ে প্রবেশ করায়। তখন ওই বৃদ্ধা রোহিঙ্গা নারী মারা যায় বলে শুনেছি। এ সময় রোহিঙ্গাদের কাছে থাকা স্বর্ণ ও টাকা লুটের খবর পাওয়া গেছে। ওই ঘটনায় কে বা কারা জড়িত তার সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন ঘটনার তথ্য নিশ্চিত করে জানান, লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। কয়েজন স্থানীয় মানবপাচারকারীর নাম পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মো. শাহীন/জোবাইদা/অমিয়/

নারায়ণগঞ্জের কালিরবাজারের মসলাপট্টিতে আগুন

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৩২ পিএম
নারায়ণগঞ্জের কালিরবাজারের মসলাপট্টিতে আগুন
গতকাল রাত সাড়ে দশটায় নারায়ণগঞ্জের কালিরবাজারের পাইকারী মসলাপট্টিতে আগুন লেগে ১২টি দোকান পুড়ে যায়। ছবি: খবরের কাগজ

নারায়ণগঞ্জের কালিরবাজারের পাইকারী মসলাপট্টিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এতে ওই বাজারের পাইকারী মসলা, মুদি দোকানসহ অন্তত ১২টি দোকান পুড়ে গেছে। আহত হয়েছে এক দমকলকর্মীসহ পাঁচজন।

রবিবার (৬ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। 

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের কালিরবাজার এলাকায় পাইকারী মসলা পট্টিতে একটি প্লাস্টিকের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মুহুর্তের মধ্যে আগুন পাশের মুদি, মসলা ও ডিমের দোকানসহ, প্লাস্টিকের দোকান ও হার্ডওয়্যারের দোকান মিলিয়ে অনন্ত ১২ টি দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

 এ সময় ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের ভবনের বাসিন্দারাসহ এলাকার শত শত মানুষ রাস্তায় বের হয়ে আসেন। তারা আগুন নেভানোর চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে খবর দেয় ফায়ার সার্ভিসে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্ড নারায়ণগঞ্জ অফিসের উপ-সহকারী পরিচালক ফখরু উদ্দিন আহমেদ জানান, আগুনের খবর পেয়ে শহরের মন্ডলপাড়া ও হাজীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি স্টেশন দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে পুড়ে গেছে ওই মার্কেটের পাইকারী মসলার দোকান, মুদি দোকান, প্লাস্টিকের দোকানসহ বিভিন্ন ১২টি পাইকারী দোকান। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মীসহ ৫ জন আহত হয়েছেন। তাদেরকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে আগুনের সূত্রপাত কোথা থেকে তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তা পরবর্তীতে খতিয়ে দেখা হবে।

বিল্লাল হোসাইন/সাদিয়া নাহার/

শাশুড়িকে শ্বাসরোধে হত্যা, সিন্দুকে মিলল মরদেহ

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৫২ এএম
আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৩৪ পিএম
শাশুড়িকে শ্বাসরোধে হত্যা, সিন্দুকে মিলল মরদেহ
সিন্দুকের ভেতরে হায়াতুন নেছার মরদেহ

মানিকগঞ্জের সিংগাইরে শাশুড়িকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ছেলের বউ রুনা বেগমের (২৫) বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় রুনা ও তার মাকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয়রা।

রবিবার (৬ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৭টার দিকে সিংগাইরের নয়াডাঙ্গী এলাকায় নিহতের শোয়ার ঘরের সিন্দুক থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত হায়াতুন নেছা নয়াডাঙ্গির মাহামুদ কাজীর স্ত্রী। 
 
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রবাসী আব্দুল খালেকের মা ও স্ত্রী একই সঙ্গে নয়াডাঙ্গীতে থাকতেন। রুনা প্রায়ই তার শাশুড়িকে না জানিয়ে ঘুরতে যেতেন। এ নিয়ে শনিবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে রুনা তার শাশুড়িকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মরদেহ সিন্দুকের ভেতরে লুকিয়ে রাখেন। পরে রবিবার সকালে রুনা তার শ্বশুরবাড়ি থেকে নানীর বাড়ি চলে যায়। পরে বাড়িতে কোনো সাড়া না পেয়ে স্বজনরা হায়াতুন নেছাকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন।

এদিকে সন্ধ্যায় রুনা তার মাকে নিয়ে আবার শ্বশুরবাড়িতে গেলে স্বজনদের জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে হত্যা করে মরদেহ সিন্দুকে লুকিয়ে রাখার বিষয়টি স্বীকার করেন। পরে এলাকাবাসীর খবরে সিন্দুকের ভেতর থেকে হায়াতুনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।  

সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুল ইসলাম খবরের কাগজকে বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছেলের বউ রুনা ও তার মাকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শ্বাসরোধ করে হায়াতুন নেছাকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

আসাদ/পপি/অমিয়/