ঢাকা ২২ আশ্বিন ১৪৩১, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪

খুলনায় ভৈরব ব্রিজ নির্মাণ দুদফা মেয়াদে কাজের অগ্রগতি ১৪ শতাংশ

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২৮ এএম
আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:০১ এএম
দুদফা মেয়াদে কাজের অগ্রগতি ১৪ শতাংশ
জমি অধিগ্রহণ না হওয়ার অজুহাতে খুলনার ভৈরব ব্রিজের নির্মাণকাজ থমকে গেছে। নগরীর রেলিগেট এলাকায় নির্মাণসামগ্রী এলমেল পড়ে আছে। খবরের কাগজ

দ্বিতীয় দফায় মেয়াদ বৃদ্ধির পর ২০২৪ সালের ৩০ জুনের মধ্যে খুলনার ভৈরব ব্রিজের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এ পর্যন্ত নির্মাণকাজের অগ্রগতি মাত্র সাড়ে ১৪ শতাংশ! জমি অধিগ্রহণের জটিলতায় আটকে গেছে ৬১৭ কোটি টাকার এ প্রকল্প। ফলে তৃতীয় দফায় ২০২৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। তবে ওই সময়ের মধ্যেও ব্রিজের নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দাবি, সময়মতো জমি না পাওয়ায় প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু করতেই দেরি হয়েছে। নির্মাণকাজ শুরুর প্রায় চার বছর পরও ব্রিজের শহরাংশে রেলওয়ের জমি অধিগ্রহণ করা যায়নি। 

আর সড়ক বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, যতটুকু জমি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটিকে দেওয়া হয়েছে সেখানেও তারা কাজ করছে না। সর্বশেষ গত ৪ সেপ্টেম্বর সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে ব্রিজের নির্মাণকাজের ধীরগতি নিয়ে ঠিকাদারকে চূড়ান্ত নোটিশ ও প্রয়োজনে চুক্তি বাতিল করে নতুন ঠিকাদার নিয়োগের বিষয়ে আলোচনা হয়। 

অন্যদিকে নির্মাণকাজ শুরুর তিন বছর পর ব্রিজের নকশায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। ব্রিজের ওপর ধীরগতির যানবাহনের চলাচলে সুবিধায় ব্রিজের প্রশস্ততা ২৪ ফুট থেকে ৩৪ ফুট করার প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। এতে আরও বাড়তি ১০০ কোটি টাকার প্রয়োজন হবে। তবে চলমান পরিস্থিতিতে সেই টাকা অনুমোদন না হওয়ার সম্ভাবনার কথা বলছেন সড়ক বিভাগেরই কর্মকর্তারা। ফলে নকশায় পরিবর্তন নিয়েও জটিলতা রয়েছে।

জানা গেছে, খুলনা শহরের সঙ্গে দিঘলিয়া উপজেলার সড়কপথে সংযোগ তৈরি করতে ২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর ভৈরব ব্রিজের প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন হয়। ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় ওয়াহিদ কনস্ট্রাকশন লিমিটেড ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নির্মাণকাজ দেওয়ার অনুমোদন হয়। ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর জমি অধিগ্রহণ ছাড়াই ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়।

ঠিকাদারি কাজের প্রজেক্ট ম্যানেজার প্রকৌশলী এস এম নাজমুল বলেন, সময়মতো সড়ক বিভাগ জায়গা বুঝিয়ে না দেওয়ায় ব্রিজের নির্মাণকাজে ধীরগতি দেখা দেয়। সরেজমিন দেখা যায়, ব্রিজের শহরাংশে রেলিগেট সংলগ্ন এলাকায় ধীরগতিতে পিলারের পাইলিং ও ক্যাপ ঢালাই কাজ চলছে। এই অংশে রেলের জায়গার অধিগ্রহণের এখনো কোনো সুরাহা হয়নি। কবে নাগাদ জমি পাওয়া যাবে জানেন না কর্মকর্তারাও। ব্রিজের ৫৮টি পিলার কলামের মধ্যে ২০-২২টির মতো কাজ শেষ হয়েছে। ২৮টি পিয়ার ক্যাপের মধ্যে কাজ শেষ হয়েছে ৮-১০টির। তবে দিঘলিয়া প্রান্তে জমি অধিগ্রহণ নিয়ে সমস্যা না থাকলেও সেখানে ব্রিজের অ্যাপ্রোচ রোড, সার্ভিস রোড, আরসিসি বক্স কালভার্ট, ড্রেন, কংক্রিটের ঢাল নির্মাণের কাজ শুরুই হয়নি। 

সড়ক বিভাগ খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ আসলাম আলী বলেন, এই মুহূর্তে প্রধান জটিলতা-ঠিকাদারের কাজের ধীরগতি ও নতুন করে নকশা প্রণয়ন। ঠিকাদারকে যেটুকু জায়গা দেওয়া হয়েছে সেখানেও তারা ঠিকমতো কাজ করছে না। নদীর মধ্যে অনেক ফাউন্ডেশনের কাজ আছে, তার কিছু শুরুই করেনি। তারা রেলের জায়গা পাওয়া যায়নি বলে অজুহাত দিচ্ছে। কিন্তু রেলে সঙ্গে জায়গা অধিগ্রহণের বিষয়ে কথা হয়েছে। তাদের ৮ কোটি ৭৮ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। আন্ত মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। কিন্তু আমাদের কাছে মনে হয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে এই কাজ শেষ করার মতো সক্ষমতা নেই। ফলে গত ৪ সেপ্টেম্বর মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে তাদের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। 

তিনি বলেন, নকশা অনুমোদন হলে ব্রিজটির প্রশস্ততা ২৪ ফিট থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৩৪ ফিট হবে। এর জন্য বাড়তি ১০০ কোটি টাকা লাগবে। কিন্তু বর্তমান সরকারের ব্যয় সংকোচন নীতিমালায় সেটি হয়তো সম্ভব হবে না। 

জানা গেছে, ব্রিজের নির্মাণকাজ শুরুর প্রায় তিন বছর পর নকশায় এই পরিবর্তন আনা হয়। নতুন নকশায় মূল সেতু কংক্রিটের পরিবর্তে আর্চ স্টিলের কথা বলা হয়। সংশোধিত নকশা চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রস্তাবনা তৈরি করা হচ্ছে। ব্রিজের প্রশস্ততা বাড়ায় ১৭, ১৮ ও ১৯ নং পিলারের নকশায়ও সংশোধন আনা হচ্ছে। বর্তমানে প্রকল্প ব্যয় ৬১৭ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে সেতু নির্মাণের ব্যয় ৩০২ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।

নাগরিক সংগঠন খুলনা নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব বাবুল হাওলাদার বলেন, জমি অধিগ্রহণের আগেই ব্রিজের কাজটি শুরু হয়। এখন ধীরগতির কাজ নিয়ে সড়ক বিভাগ ও ঠিকাদার পরস্পরের দিকে অভিযোগ তুলছে। ব্রিজটি সময়মতো নির্মাণ না হওয়ায় হতাশা রয়েছে এ অঞ্চলের মানুষের। 

মাগুরায় সড়ক থেকে অজ্ঞাত নারীর দেহাংশ উদ্ধার

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:০৭ পিএম
মাগুরায় সড়ক থেকে অজ্ঞাত নারীর দেহাংশ উদ্ধার
ছবি : খবরের কাগজ

মাগুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও গাড়ির চাকায় একাধিকবার পিষ্ট অজ্ঞাত এক নারীর (৪০) দেহাংশ উদ্ধার করেছে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস।

সোমবার (৭ অক্টোবর) ভোরে যশোর-মাগুরা রোড়ের ভায়না টেক্সটাইল মিলের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় মুদি ব্যবসায়ী শাহীন শেখ বলেন, গত কয়েকদিন ধরে এই এলাকায় মানসিক ভারসাম্যহীন এই নারী চলাফেরা করছিলেন। সকালে দোকানে এসে দেখি রাস্তার মাঝখানে ওই নারীর লাশ পড়ে আছে। এ সময় রাস্তা দিয়ে চলাচল করা একাধিক গাড়ি তাকে পিষে দেয়। 

মাগুরা রামনগর হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক গৌতম চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, একাধিক গাড়ির চাপায় লাশ রাস্তায় মিশে গেছে। আমরা ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় লাশের অংশবিশেষ উদ্ধার করি। তার পরিচয় সনাক্তের চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে অপমৃত্যুর মামলা প্রক্রিয়াধীন।

কাশেমুর শ্রাবণ/জোবাইদা/অমিয়/

টেকনাফে পুঁতে রাখা রোহিঙ্গা নারীর লাশ উদ্ধার

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:০৪ পিএম
টেকনাফে পুঁতে রাখা রোহিঙ্গা নারীর লাশ উদ্ধার
ছবি : খবরের কাগজ

কক্সবাজারের টেকনাফের নোয়াখালীপাড়ায় মাটিতে পুঁতে রাখা এক রোহিঙ্গা নারীর (৮০) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার (৭ অক্টোবর) রাতে মেরিনড্রাইভের পাশে গর্ত থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয়রা বলেন, মেরিনড্রাইভ সড়ক-সংলগ্ন বিভিন্ন মাছ ধরার নৌকা দিয়ে নোয়াখালীপাড়া এলাকার কিছু মানবপাচারকারী মায়ানমার থেকে টাকার বিনিময়ে সাগরপথে রোহিঙ্গাদের নিয়ে আসেন। এর পর তারা রোহিঙ্গাদের জিম্মি করে সঙ্গে থাকা টাকা, স্বর্ণলংঙ্কারসহ যা পায় সব লুটপাট করে নিয়ে নেয়। ধারণা করা হচ্ছে তখন ওই নারীর মৃত্যুর হয়। পরে মানবপাচারকারীরা লাশটি গর্ত করে পুঁতে রাখে।

বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আব্দুর গফুর বলেন, অস্ত্রধারী চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা পাহাড়ে অবস্থান করে এবং মায়ানমারকেন্দ্রিক দালালচক্রের মাধ্যমে যোগাযোগ করে। পরে অর্থের বিনিময়ে তারা রোহিঙ্গাদের মাছ ধরার নৌকা বা ট্রলার করে বাংলাদেশে প্রবেশ করায়।

তিনি বলেন, গত শুক্রবার মাছ ধরার নৌকায় মায়ানমার থেকে একদল রোহিঙ্গাকে এনে সৈকত দিয়ে প্রবেশ করায়। তখন ওই বৃদ্ধা রোহিঙ্গা নারী মারা যায় বলে শুনেছি। এ সময় রোহিঙ্গাদের কাছে থাকা স্বর্ণ ও টাকা লুটের খবর পাওয়া গেছে। ওই ঘটনায় কে বা কারা জড়িত তার সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন ঘটনার তথ্য নিশ্চিত করে জানান, লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। কয়েজন স্থানীয় মানবপাচারকারীর নাম পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মো. শাহীন/জোবাইদা/অমিয়/

নারায়ণগঞ্জের কালিরবাজারের মসলাপট্টিতে আগুন

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৩২ পিএম
নারায়ণগঞ্জের কালিরবাজারের মসলাপট্টিতে আগুন
গতকাল রাত সাড়ে দশটায় নারায়ণগঞ্জের কালিরবাজারের পাইকারী মসলাপট্টিতে আগুন লেগে ১২টি দোকান পুড়ে যায়। ছবি: খবরের কাগজ

নারায়ণগঞ্জের কালিরবাজারের পাইকারী মসলাপট্টিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এতে ওই বাজারের পাইকারী মসলা, মুদি দোকানসহ অন্তত ১২টি দোকান পুড়ে গেছে। আহত হয়েছে এক দমকলকর্মীসহ পাঁচজন।

রবিবার (৬ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। 

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের কালিরবাজার এলাকায় পাইকারী মসলা পট্টিতে একটি প্লাস্টিকের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মুহুর্তের মধ্যে আগুন পাশের মুদি, মসলা ও ডিমের দোকানসহ, প্লাস্টিকের দোকান ও হার্ডওয়্যারের দোকান মিলিয়ে অনন্ত ১২ টি দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

 এ সময় ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের ভবনের বাসিন্দারাসহ এলাকার শত শত মানুষ রাস্তায় বের হয়ে আসেন। তারা আগুন নেভানোর চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে খবর দেয় ফায়ার সার্ভিসে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্ড নারায়ণগঞ্জ অফিসের উপ-সহকারী পরিচালক ফখরু উদ্দিন আহমেদ জানান, আগুনের খবর পেয়ে শহরের মন্ডলপাড়া ও হাজীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি স্টেশন দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে পুড়ে গেছে ওই মার্কেটের পাইকারী মসলার দোকান, মুদি দোকান, প্লাস্টিকের দোকানসহ বিভিন্ন ১২টি পাইকারী দোকান। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মীসহ ৫ জন আহত হয়েছেন। তাদেরকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে আগুনের সূত্রপাত কোথা থেকে তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তা পরবর্তীতে খতিয়ে দেখা হবে।

বিল্লাল হোসাইন/সাদিয়া নাহার/

শাশুড়িকে শ্বাসরোধে হত্যা, সিন্দুকে মিলল মরদেহ

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৫২ এএম
আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৩৪ পিএম
শাশুড়িকে শ্বাসরোধে হত্যা, সিন্দুকে মিলল মরদেহ
সিন্দুকের ভেতরে হায়াতুন নেছার মরদেহ

মানিকগঞ্জের সিংগাইরে শাশুড়িকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ছেলের বউ রুনা বেগমের (২৫) বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় রুনা ও তার মাকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয়রা।

রবিবার (৬ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৭টার দিকে সিংগাইরের নয়াডাঙ্গী এলাকায় নিহতের শোয়ার ঘরের সিন্দুক থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত হায়াতুন নেছা নয়াডাঙ্গির মাহামুদ কাজীর স্ত্রী। 
 
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রবাসী আব্দুল খালেকের মা ও স্ত্রী একই সঙ্গে নয়াডাঙ্গীতে থাকতেন। রুনা প্রায়ই তার শাশুড়িকে না জানিয়ে ঘুরতে যেতেন। এ নিয়ে শনিবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে রুনা তার শাশুড়িকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মরদেহ সিন্দুকের ভেতরে লুকিয়ে রাখেন। পরে রবিবার সকালে রুনা তার শ্বশুরবাড়ি থেকে নানীর বাড়ি চলে যায়। পরে বাড়িতে কোনো সাড়া না পেয়ে স্বজনরা হায়াতুন নেছাকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন।

এদিকে সন্ধ্যায় রুনা তার মাকে নিয়ে আবার শ্বশুরবাড়িতে গেলে স্বজনদের জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে হত্যা করে মরদেহ সিন্দুকে লুকিয়ে রাখার বিষয়টি স্বীকার করেন। পরে এলাকাবাসীর খবরে সিন্দুকের ভেতর থেকে হায়াতুনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।  

সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুল ইসলাম খবরের কাগজকে বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছেলের বউ রুনা ও তার মাকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শ্বাসরোধ করে হায়াতুন নেছাকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

আসাদ/পপি/অমিয়/

শারদীয় দুর্গাপূজায় আখাউড়া স্থলবন্দরে ৭ দিনের ছুটি

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৩৫ এএম
আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৩৫ এএম
শারদীয় দুর্গাপূজায় আখাউড়া স্থলবন্দরে ৭ দিনের ছুটি
শারদীয় দুর্গাপূজা ও লক্ষ্মীপূজা উপলক্ষে সাতদিন বন্ধ থাকবে আখাউড়া স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি। তবে স্বাভাবিক থাকবে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত। ছবি: খবরের কাগজ

সনাতন হিন্দু ধর্মালম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজা ও লক্ষ্মীপূজা উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর সাতদিন বন্ধ থাকবে। এ সময় বন্দরে আমদানি-রপ্তানিসহ সবধরনের বাণিজ্য কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে বন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট দিয়ে দুই দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রীদের পারাপার থাকবে স্বাভাবিক।

সোমবার (৭ অক্টোবর) আখাউড়া স্থলবন্দরের মাছ রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফারুক মিয়া খবরের কাগজকে বন্দর বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পরে চিঠির মাধ্যমে ছুটির বিষয়টি বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের তারা জানিয়েছেন।

তিনি আরও জানান, দুর্গাপূজা উপলক্ষে আগামী ১০ অক্টোবর থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত বন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এরপর লক্ষ্মীপূজা উপলক্ষে ১৬ ও ১৭ অক্টোবর আরও দুইদিন বন্দরে বাণিজ্য কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। পরের দিন ১৮ অক্টোবর শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি। ১৯ অক্টোবর শনিবার থেকে বন্দরে পুনরায় বাণিজ্য কার্যক্রম শুরু হবে। 

আখাউড়া চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন ইনচার্জ মো. খায়রুল আলম খবরের কাগজকে বলেন, ‘শারদীয় দুর্গাপূজা ও লক্ষ্মীপূজা উপলক্ষে বন্দরে বাণিজ্য কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও পাসপোর্টধারী বৈধ যাত্রীদের পারাপার থাকবে আগের মতোই স্বাভাবিক।’

জুটন বনিক/সাদিয়া নাহার/