সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে অজ্ঞাত রোগে এক খামারির পাঁচ হাজার সোনালি জাতের মুরগি মারা গেছে। গত মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার এই তিন দিনে এসব মুরগি মারা যায়। ভুক্তভোগী খামারি আবদুর রাজ্জাক কামারখন্দ উপজেলার রায়দৌলতপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের বাসিন্দা। ২০২২ সালে তিনি বিদেশ থেকে ফিরে খামার ব্যবসা শুরু করেছিলেন। ভুক্তভোগী খামারির ধারণা, ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মুরগিগুলো মারা গেছে।
এ বিষয়ে খামারি আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘দেশে এসে ২০২২ সালে নিজের জমানো পুঁজি নিয়ে প্রায় ১৫ লাখ টাকা দিয়ে এই খামারটি গড়ে তুলি। এখন পর্যন্ত চারবার মুরগি তুলে বিক্রি করেছি। অল্প টাকা লাভ হয়েছিল। সম্প্রতি রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের জামতৈল শাখা থেকে ১১ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলাম। সর্বশেষ আমার খামারে ৭ হাজার ৫০০ মুরগি ছিল। দীর্ঘ ৪ মাস লালন-পালন করার পর এক একটা মুরগির ওজন হয়েছিল প্রায় এক থেকে দেড় কেজি। কিন্তু বিক্রির আগমুহূর্তে হঠাৎ অজানা রোগে আমার ৫ হাজার মুরগি মারা গেছে। এতে প্রায় ১৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়ে গেল। আমি এখন কীভাবে ব্যাংকের ঋণ শোধ করব জানি না। হঠাৎ এতগুলো মুরগি মারা যাওয়ায় আমার মধ্যে চরম হতাশা কাজ করছে।’
উপজেলা প্রাণিসম্পদের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. ফরহাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘উপজেলার অনেক খামারি আছেন, যারা ডিলারদের কথামতো খামার করেন, আমাদের সঙ্গে তেমন যোগাযোগ করেন না। খামারে মুরগি অসুস্থ হলে উনারা ডিলারদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওষুধ খাওয়ান। এ বিষয়ে খামারিরা আমাদের এখনো অবগত করেননি।’
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে পাঁচ হাজার মুরগি মারা যাওয়ার বিষয়ে ভুক্তভোগী খামারি আমাদের কিছুই জানাননি। তবে আজ জানতে পেরে সেখানে লোক পাঠিয়েছি। এতগুলো মুরগি মারা যাওয়ার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’