ঢাকা ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪

চট্টগ্রামে জশনে জুলুস সোমবার, ৬০ লাখ জনসমাগমের আশা

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৫ পিএম
আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৬ পিএম
চট্টগ্রামে জশনে জুলুস সোমবার, ৬০ লাখ জনসমাগমের আশা
জশসে জুলুস (ফাইল ছবি)

ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে প্রতিবছরের মতো এবারও ব্যাপক আয়োজনের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম নগরীতে জশসে জুলুস বের করা হবে। এবারের জশনে জুলুসে ৬০ লাখের বেশি ধর্মপ্রাণ মুসলমানের সমাগম ঘটবে বলে আশা আয়োজকদের। 

আগামীকাল সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় নগরের ষোলশহরের আলমগীর খানকা-এ কাদেরিয়া সৈয়্যদিয়া তৈয়্যবিয়া থেকে জুলুসটি বের করা হবে। নগরের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে বিবিরহাটের জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসাসংলগ্ন জুলুস মাঠে জমায়েত ও জোহরের নামাজের পর দোয়ার মধ্য দিয়ে বেলা ২টায় শেষ হবে। 

আনজুমান এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, হুজুর কেবলাগণ ইতোমধ্যেই ১৪ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশ বিমানের মাধ্যমে শুভাগমন করেছেন। জুলুসে উপস্থিত থাকবেন আনজুমান ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মহসিন, সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, অ্যাডিশনাল সেক্রেটারি মুহাম্মদ সামশুদ্দিন, জয়েন্ট মোহাম্মদ সিরাজুল হক, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি এস এম গিয়াস উদ্দিন শাকের, গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান পেয়ার মোহাম্মদসহ আনজুমান ট্রাস্টের কার্যকরী সদস্যরা ও গাউসিয়া কমিটির সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী। 

ট্রাস্টের সেক্রেটারি জেনারেল আনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, দরবারে আলিয়া কাদেরিয়া সিরিকোট শরিফের (পাকিস্তান) তৎকালীন সাজ্জাদদানশীন, হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ৩৯তম বংশধর, আধ্যাত্মিক সাধক সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহের পরামর্শক্রমে ১৯৭৪ সাল থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামে জশনে জুলুস উদযাপিত হয়ে আসছে। এটি আয়োজন করে আসছে আনজুমান এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট। প্রতিবছর এই জুলুসে লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমানের মিলনমেলা ঘটে আসছে। এবারের জুলুসে নেতৃত্ব দেবেন আওলাদে রাসুল সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবের শাহ (ম.জি.আ.) ও সৈয়্যদ মুহাম্মদ কাশেম শাহ (ম.জি.আ.)।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ থেকে এক নির্দেশনায় জানানো হয়েছে, জুলুস চলার সময় নগরের পাঁচলাইশ থানার জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসার মাঠ থেকে বিবিরহাট হয়ে মুরাদপুর, মুরাদপুর ট্রাফিক পুলিশ বক্স থেকে ডান দিকে মোড় নিয়ে ষোলশহর ২ নম্বর গেট, ষোলশহর ২ নম্বর গেট এলাকা থেকে জিইসি মোড়, লর্ডস ইন হোটেল থেকে ২ নম্বর গেট, মুরাদপুর বামে মোড় নিয়ে বিবিরহাট থেকে জামেয়া আহম্মদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণের অভিমুখে চলাচলের কারণে অভিমুখ সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

কিশোরগঞ্জে দুই ডিমের আড়তে অভিযান, জরিমানা

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:২৩ পিএম
কিশোরগঞ্জে দুই ডিমের আড়তে অভিযান, জরিমানা
ডিমের আড়তে অভিযান চালিয়ে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। ছবি : খবরের কাগজ

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে ডিম বিক্রি করায় কিশোরগঞ্জে দুই ডিমের আড়তকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

সোমবার (৭ অক্টোবর) জেলা সদর ও কটিয়াদি উপজেলায় এসব অভিযান পরিচালনা করেন অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হৃদয় রঞ্জন বণিক। 

এ সময় জেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা এ কে এম সিয়াম হোসেন উপস্থিত ছিলেন। অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা করেন জেলা আনসার ব্যাটালিয়নের একটি টিম।

হৃদয় রঞ্জন বণিক জানান, পাইকারি পর্যায়ে বেশি দামে ডিম বিক্রি ও ব্যবসায়ীরা মূল্যতালিকা প্রদর্শন করছেন না। এসব অপরাধে সদর উপজেলার বিন্নাটি বাজারে আল-মদিনা এন্টারপ্রাইজকে ২০ হাজার টাকা এবং কটিয়াদি উপজেলার আচমিতা বাজারের মায়ের দোয়া ডিমের আড়তকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জনস্বার্থে এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। 

তাসলিমা আক্তার/সালমান/ 

সীমান্তে বেড়েছে অনুপ্রবেশ, সক্রিয় মানবপাচার

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৫৫ পিএম
সীমান্তে বেড়েছে অনুপ্রবেশ, সক্রিয় মানবপাচার
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

হবিগঞ্জের মাধবপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশকারীদের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। সেই সঙ্গে সক্রিয় হয়ে উঠেছে মানবপাচারকারী চক্র। সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু মানুষ এই সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় বিজিবির হাতে আটক হয়েছেন। মাধবপুর সীমান্ত হয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের প্রবণতা এখন সীমান্তরক্ষাকারী বাহিনীর জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে। স্থানীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুধু সাধারণ মানুষ নয়, সম্প্রতি সীমান্ত এলাকায় রাজনৈতিক ব্যক্তি ও প্রভাবশালীদের আনাগোনাও বেড়েছে।

বিষয়টি স্বীকার করে নিয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বলছে, অনুপ্রবেশ বেড়ে যাওয়ায় সীমান্তে জনবল দ্বিগুণ করা হয়েছে। নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া মানবপাচারকারীদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হবিগঞ্জ জেলার সঙ্গে ভারতের প্রায় ৬০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। চুনারুঘাট, মাধবপুর ও বাহুবল উপজেলার এই সীমান্ত এলাকাটি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সঙ্গে যুক্ত। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশিদের জন্য শিক্ষা ও জরুরি চিকিৎসা ছাড়া সব ধরনের ভিসা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত রেখেছে ভারত। এ সিদ্ধান্ত হওয়ার পর থেকেই হবিগঞ্জের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের মাত্রা বেড়েছে। এর মধ্যে সহজ পথ হিসেবে ভারতে গমনেচ্ছুরা মাধবপুর সীমান্ত এলাকাকে বেছে নিচ্ছেন। 

মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর, আন্দিউরা ও তেলিয়াপাড়া সীমান্ত ঘুরে ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পর থেকেই ওই এলাকায় অপরিচিত মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন নেতা-কর্মী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদেরও প্রায় সময় ওই এলাকায় দেখা যাচ্ছে।

মাধবপুর সীমান্তের নিরাপত্তা ও টহল কার্যক্রম পরিচালনা করে সরাইল বিজিবি ব্যাটালিয়ন। তাদের তথ্য অনুযায়ী, গত এক মাসে অনুপ্রবেশের সময় ২৫ জনের বেশি ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে। তেলিয়াপাড়া সীমান্ত এলাকার এক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘ইদানীং সীমান্ত এলাকায় অপরিচিত মানুষের আনাগোনা দেখা যাচ্ছে। তারা অল্প সময়ের মধ্যে এখান থেকে অদৃশ্য হয়ে যান।’

এদিকে গত ১ সেপ্টেম্বর মাধবপুরের সুরমা সীমান্ত এলাকা থেকে একটি বিলাসবহুল গাড়িসহ দুজনকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরে জানা যায়, গাড়িটি কুমিল্লার সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাহসিন বাহার সূচনার দেবর রুবেল মিয়ায়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রুবেল মিয়া কুমিল্লার মানুষ হলেও মাধবপুরে তার বাড়ি রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয়দের মধ্যে রুবেল মিয়ার এ পথ দিয়ে ভারতে চলে যাওয়ায় আলোচনা রয়েছে।

সক্রিয় মানবপাচার চক্র

ভারতে অনুপ্রবেশে মানুষের আগ্রহকে পুঁজি করে সীমান্ত এলাকায় বেশ কয়েকটি মানবপাচারকারী চক্র সক্রিয় হয়েছে। চক্রগুলো সীমান্ত পাড়ি দিতে ইচ্ছুক মানুষদের চুক্তির ভিত্তিতে সীমান্ত পাড় করে দেয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে চক্রের এক সদস্য জানান, সীমান্ত পাড় করা হয় বিভিন্ন চুক্তির মাধ্যমে। ভারতে যাওয়ার কারণ এবং আর্থিক সামর্থ্যের ওপর এটি নির্ভর করে। যেমন কেউ যদি কাজের জন্য যায় তা হলে এক রেট, ঘুরতে গেলে এক রেট, আবার পরিবার-পরিজন নিয়ে স্থায়ীভাবে যেতে চাইলে এক রেট। সেটি জনপ্রতি তিন থেকে আট হাজার টাকা পর্যন্ত ওঠানামা করে।

মানবপাচারের হাতিয়ার শিশু

সরাইল ২৫ বিজিবি ব্যাটালিনের অধিনায়ক লে. কর্নেল ফারাহ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ বলেন, ‘পাচারকারীরা পাচারের ধরন পাল্টেছে। বিশেষ করে তারা এখন শিশুদের ব্যবহার করছে। তারা মনে করে শিশু সঙ্গে থাকলে আটক করা হবে না। তাই যাদের পাচার করা হয় তাদের সঙ্গে এক বা একাধিক শিশু রাখার চেষ্টা করে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা মাধবপুর সীমান্ত থেকে যাদের আটক করেছি তাদের মাধবপুর থানায় হস্তান্তর করেছি। পরে দেখা যায় থানায় কিছু লোক গিয়ে বলেন, শিশুদের অপরাধ কী। ওদের ছেড়ে দেন। বিভিন্ন কথা বলে আটকদের ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।’

টহল জোরদার-তালিকা তৈরি

মাধবপুরের ধর্মঘর, তেলিয়াপাড়া, আন্দিউড়া ও হরষপুর সীমান্তে টহল জোরদার করেছে ২৫ বিজিবি ব্যাটালিয়ন (সরাইল)। একই সঙ্গে ওই এলাকায় সক্রিয় থাকা পাচারকারী চক্রের একটি তালিকাও তারা তৈরি করেছে।

২৫ বিজিবি ব্যাটালিনের অধিনায়ক লে. কর্নেল ফারাহ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ বলেন, ‘বিজিবিতে জনবলসংকট রয়েছে। তবু যেহেতু অবৈধ অনুপ্রবেশ বেড়েছে তাই সীমান্তে আগের চেয়ে দ্বিগুণ জনবল বাড়ানো হয়েছে। তারা সব সময় সীমান্তে কড়া নজর রাখছেন।’

নরসিংদী ও গাজীপুরের মানুষ মাধবপুর সীমান্তকে ব্যবহার করে ভারতে অনুপ্রবেশ করতে চায় জানিয়ে বিজিবির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘এরই মধ্যে মানবপাচারে সক্রিয় দালালদের একটি তালিকা আমরা তৈরি করেছি। এই তালিকাতে মাধবপুরের ৯ জন আছেন। তাদের মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছি। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান আছে।’

চীবর দান না করার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবে ভিক্ষু সংঘ: জেলা প্রশাসক

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৩১ পিএম
চীবর দান না করার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবে ভিক্ষু সংঘ: জেলা প্রশাসক
রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্মিলিত ভিক্ষু সংঘের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন জেলা প্রশাসক

পার্বত্য তিন জেলায় বিদ্যমান পরিস্থিতি ও নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগে এবার কঠিন চীবর দান উদযাপন না করার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য সময় নিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্মিলিত ভিক্ষু সংঘ। রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান এ তথ্য জানিয়েছেন। 

সোমবার (৭ অক্টেবর) দুপুরে রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্মিলিত ভিক্ষু সংঘের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন জেলা প্রশাসক।

সভায় পার্বত্য ভিক্ষু সংঘের সভাপতি ভদন্ত শ্রদ্ধালংকার মহাথের উপস্থিত ছিলেন। 

ঘন্টাব্যাপী বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জেলা কর্মকর্তারাও অংশ নেন।

এর আগে রবিবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে রাঙামাটি বনরূপা মৈত্রী বিহারে সংবাদ সম্মেলনে পার্বত্য চট্টগ্রামে বিদ্যমান পরিস্থিতি ও নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ তুলে তিন পার্বত্য জেলায় এবার কঠিন চীবর দান উদযাপন না করার সিদ্ধান্তের কথা জানায় পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্মিলিত ভিক্ষু সংঘ।

পরে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত শুভ কঠিন চীবর দান উদযাপনের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা হয়। এতে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান সভাপতিত্ব করেন। সভায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানোর তাগিদ দেন উপস্থিত সুধীজন।

সভায় রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন- পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর মধ্যে নিরাপত্তা ও আস্থা ফিরিয়ে আনতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এবারের কঠিন চীবর দান উৎসবে আধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া রাঙামাটিতে পাহাড়ি-বাঙালি সহিংসতার জেরে তৈরি হওয়া নিরাপত্তাহীনতা ও আস্থাহীনতা দূর করতে কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন। 

সভায় বক্তব্য রাখেন এএসইউ পদাতিক ডিভিশনের কমান্ডার লে. কর্নেল মোহাম্মদ আল মামুন সুমন, পুলিশ সুপার এসএম ফরহাদ হোসেন ও সেনা জোনের প্রতিনিধি। 

এছাড়া সভায় বক্তব্য রাখেন রাজবন বিহার পরিচালনা কমিটির সহসভাপতি নিরূপা দেওয়ান, বনরূপা মৈত্রী বিহারের সাধারণ সম্পাদক পূর্ণ চন্দ্র দেওয়ান, জেলা বিএনপির সভাপতি দীপন তালুকদার দিপু, জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি আব্দুল আলীম, জাতীয় পার্টির সভাপতি হারুন মাতবর, নির্মল বড়ুয়া, ইসলামী আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক নুর হোসেন প্রমূখ। 

সভায় পুলিশ সুপার এসএম ফরহাদ হোসেন বলেন, প্রতিবছর যেভাবে আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা নেওয়া হয়, এবার আরও শক্তিশালী ও আধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাঙামাটিতে নিরাপত্তাহীনতার সমস্যা নেই। প্রয়োজনে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব মোতায়েন করার ব্যবস্থা করা হবে। তবে খাগড়াছড়ির বিষয়টিকে রাঙামাটিতে টেনে আনার দরকার নেই। 

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন- নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ তুলে পার্বত্য তিন জেলায় এবারের কঠিন চীবর দান উৎসব না করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা দিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্মিলিত ভিক্ষু সংঘ। আমরা ভিক্ষু সংঘের ধর্মীয় গুরুদের সঙ্গে এই বিষয়ে বৈঠক করেছি। তারা সময় নিয়েছেন বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য।

জিয়াউর রহমান/অমিয়/

মাগুরায় সড়ক থেকে অজ্ঞাত নারীর দেহাংশ উদ্ধার

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:০৭ পিএম
মাগুরায় সড়ক থেকে অজ্ঞাত নারীর দেহাংশ উদ্ধার
ছবি : খবরের কাগজ

মাগুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও গাড়ির চাকায় একাধিকবার পিষ্ট অজ্ঞাত এক নারীর (৪০) দেহাংশ উদ্ধার করেছে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস।

সোমবার (৭ অক্টোবর) ভোরে যশোর-মাগুরা রোড়ের ভায়না টেক্সটাইল মিলের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় মুদি ব্যবসায়ী শাহীন শেখ বলেন, গত কয়েকদিন ধরে এই এলাকায় মানসিক ভারসাম্যহীন এই নারী চলাফেরা করছিলেন। সকালে দোকানে এসে দেখি রাস্তার মাঝখানে ওই নারীর লাশ পড়ে আছে। এ সময় রাস্তা দিয়ে চলাচল করা একাধিক গাড়ি তাকে পিষে দেয়। 

মাগুরা রামনগর হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক গৌতম চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, একাধিক গাড়ির চাপায় লাশ রাস্তায় মিশে গেছে। আমরা ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় লাশের অংশবিশেষ উদ্ধার করি। তার পরিচয় সনাক্তের চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে অপমৃত্যুর মামলা প্রক্রিয়াধীন।

কাশেমুর শ্রাবণ/জোবাইদা/অমিয়/

টেকনাফে পুঁতে রাখা রোহিঙ্গা নারীর লাশ উদ্ধার

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:০৪ পিএম
টেকনাফে পুঁতে রাখা রোহিঙ্গা নারীর লাশ উদ্ধার
ছবি : খবরের কাগজ

কক্সবাজারের টেকনাফের নোয়াখালীপাড়ায় মাটিতে পুঁতে রাখা এক রোহিঙ্গা নারীর (৮০) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার (৭ অক্টোবর) রাতে মেরিনড্রাইভের পাশে গর্ত থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয়রা বলেন, মেরিনড্রাইভ সড়ক-সংলগ্ন বিভিন্ন মাছ ধরার নৌকা দিয়ে নোয়াখালীপাড়া এলাকার কিছু মানবপাচারকারী মায়ানমার থেকে টাকার বিনিময়ে সাগরপথে রোহিঙ্গাদের নিয়ে আসেন। এর পর তারা রোহিঙ্গাদের জিম্মি করে সঙ্গে থাকা টাকা, স্বর্ণলংঙ্কারসহ যা পায় সব লুটপাট করে নিয়ে নেয়। ধারণা করা হচ্ছে তখন ওই নারীর মৃত্যুর হয়। পরে মানবপাচারকারীরা লাশটি গর্ত করে পুঁতে রাখে।

বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আব্দুর গফুর বলেন, অস্ত্রধারী চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা পাহাড়ে অবস্থান করে এবং মায়ানমারকেন্দ্রিক দালালচক্রের মাধ্যমে যোগাযোগ করে। পরে অর্থের বিনিময়ে তারা রোহিঙ্গাদের মাছ ধরার নৌকা বা ট্রলার করে বাংলাদেশে প্রবেশ করায়।

তিনি বলেন, গত শুক্রবার মাছ ধরার নৌকায় মায়ানমার থেকে একদল রোহিঙ্গাকে এনে সৈকত দিয়ে প্রবেশ করায়। তখন ওই বৃদ্ধা রোহিঙ্গা নারী মারা যায় বলে শুনেছি। এ সময় রোহিঙ্গাদের কাছে থাকা স্বর্ণ ও টাকা লুটের খবর পাওয়া গেছে। ওই ঘটনায় কে বা কারা জড়িত তার সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন ঘটনার তথ্য নিশ্চিত করে জানান, লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। কয়েজন স্থানীয় মানবপাচারকারীর নাম পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মো. শাহীন/জোবাইদা/অমিয়/