ঢাকা ২০ আশ্বিন ১৪৩১, শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪

পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস ‘উড়াল গ্যাসের গ্রামে’ অগ্নিঝুঁকি

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:২৯ এএম
আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৩৩ পিএম
‘উড়াল গ্যাসের গ্রামে’ অগ্নিঝুঁকি
তিতাস নদী থেকে উদগিরণ হওয়া গ্যাস ড্রামে সংরক্ষণ করে প্লাস্টিক পাইপের মাধ্যমে বাসাবাড়ি ও শিল্প প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করা হচ্ছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের বাকাইল গ্রাম থেকে তোলা/ খবরের কাগজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিতাস নদীতে উদগিরণ হওয়া গ্যাস প্লাস্টিক পাইপের মাধ্যমে ঝুঁকি নিয়ে বাসা-বাড়ি ও বাণিজ্যিক কারখানায় ব্যবহার করা হচ্ছে। চাপ নিয়ন্ত্রণ না করে এসব গ্যাস ব্যবহারের ফলে অগ্নিঝুঁকি বাড়ছে। স্থানীয়রা বলছেন, প্রভাবশালী একটি চক্র বছরের পর বছর এভাবেই গ্যাস সংযোগ দিয়ে আসছে। এর মাধ্যমে তারা হাতিয়ে নিচ্ছে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা। তারা চান, যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে তাদেরকে গ্যাস সরবরাহ করা হোক। যদিও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখানে ব্যবহার হওয়া গ্যাসের উৎপত্তিস্থলের প্রেসার অনেক কম। যা দিয়ে স্বাভাবিক প্রক্রিয়া মেনে গ্যাস সরবরাহ সম্ভব নয়। শিগগিরই ঝুঁকিপূর্ণ গ্যাস ব্যবহার বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের মজলিশপুর ইউনিয়নের বাকাইল গ্রামে গেলে দেখা যাবে, রাস্তার দুপাশে গাছের ওপর প্লাস্টিকের পাইপ ঝুলছে। এই পাইপগুলো সরাসরি তিতাস নদী থেকে টানা হয়েছে। নদী থেকে উদগিরণ হওয়া গ্যাস এই পাইপগুলোর মাধ্যমে বাসা-বাড়ি ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে ব্যবহার করা হয়। গ্যাসের এই পাইপের কারণে গ্রামটিকে স্থানীয়রা ‘উড়াল গ্যাসের গ্রাম’ হিসেবে চেনেন।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, দেড় দশকের বেশি সময় আগে বাকাইল গ্রামসংলগ্ন তিতাস নদীর কয়েকটি জায়গায় গ্যাসের উদগিরণ শুরু হয়। তিতাস গ্যাস ফিল্ডের ৩নং কূপ খননের সময় লিকেজের কারণেই এই গ্যাসের উদগিরণ হয় বলে জানা গেছে। কূপের গ্যাস মাটির ওপরের স্তরে চলে আসে এবং মাটির ফাঁকফোকর দিয়ে নলকূপ, নদীর পাড়, জমির আইল এবং বাড়ির আঙিনা দিয়ে উদগিরণ হতে থাকে। গ্যাসের এই উদগিরণ বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়ে ২০০৭ সালে ৩নং কূপটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড (বিজিএফসিএল)। এরপর থেকে গ্যাসের উদগিরণও কমে আসে।

বাকাইল গ্রামের বাসিন্দারা এই গ্যাস যথাযথ প্রক্রিয়ায় তাদের দেওয়ার দাবি জানালেও নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস প্রবাহ না থাকায় বিজিএফসিএল এ গ্যাস সংরক্ষণ বা উত্তোলনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারছে না। বিজিএফসিএল সূত্রে জানা গেছে, উদগিরণ হওয়া এই গ্যাস মূলত কূপের গভীরের লিকেজ হওয়া ‘পকেট গ্যাস’। এগুলো এক সময় শেষ হয়ে যাবে। বাণিজ্যিকভাবে এগুলো ব্যবহার বৈধ নয়। বাকাইল গ্রামে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস প্রবাহ নেই। এখানে যেগুলো পাওয়া যায় সেগুলো নলকূপের গভীরতার সমান। তবে বাসা-বাড়িতে বিজিএফসিএলর উৎপাদিত যে গ্যাস সরবরাহ করা হয় তা অনেক গভীর এবং প্রেসারের।

বাকাইল গ্রামে দেখা গেছে, তিতাস নদীর যেসব স্থানে গ্যাস উদগিরণ হচ্ছে সেখানে অপরিকল্পিতভাবে ড্রামে করে পানিসহ গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে। এরপর একটি পাইপ দিয়ে পানি বের করে আরেকটি পাইপ দিয়ে উত্তোলন করা গ্যাস কয়েক শ ঘর-বাড়িতে সরবরাহ করা হচ্ছে। কয়েকটি চুন ও চুড়ির কারখানাও চলে বিজিএফসিএলর এই পকেট গ্যাস দিয়ে। যদিও এই গ্যাসের প্রেসার ওঠানামা করে। 

স্থানীয় বাসিন্দা সালাউদ্দিন মিয়া বলেন, ‘আমরা চাই আমাদের গ্যাস আমরা বৈধভাবে ব্যবহার করি। ২০০৭ সালের আগে গ্যাস লিকেজ হয়েছে। গ্যাস ফিল্ডের কর্মকর্তারা উড়াল গ্যাস বন্ধ করতে পারছেন না। যার কারণে ঝুঁকি আছে জেনেও আমরা উড়াল গ্যাস পাইপের মাধ্যমে এনে ব্যবহার করি।’ খসরু মিয়া নামে গ্রামের আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘আমাদের চোখের সামনে দিয়ে গ্যাস উড়ে চলে যাচ্ছে। তাই আমরা কারও না কারও মাধ্যমে গ্যাস ব্যবহার করে থাকি।’ 

এ বিষয়ে নদী সুরক্ষাভিত্তিক সংগঠন ‘তরী বাংলাদেশ’র আহ্বায়ক শামীম আহমেদ বলেছেন, ‘রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় ঝুঁকিপূর্ণ গ্যাস সংযোগ দিয়ে অবৈধ বাণিজ্য চলছে। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’ 

উড়াল গ্যাসের বিষয়ে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের উপ-মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. শাহ আলম বলেন, ‘বাখরাবাদের উদ্যোগে এখানে অভিযান চালানোর সুযোগ খুবই সীমিত। জেলা প্রশাসন জনগণের স্বার্থে এখানে একটা উদ্যোগ নিতে পারে। আর যেহেতু গ্যাসফিল্ডের কোনো গ্যাসকূপ থেকেই এই গ্যাস আসছে, তাই তাদেরকেই এটা মনিটরিং করতে হবে।’

আইনি পদক্ষেপ প্রসঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন সুলতানা বলেন, বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে শিগগিরই উদগিরিত গ্যাসের ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবহার বন্ধে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস গ্যাস ফিল্ডের ২৪টি কূপ থেকে প্রতিদিন অন্তত ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে। ১৯৬২ সালে দেশের প্রাচীন এই গ্যাস ফিল্ড আবিষ্কার করে পাকিস্তান শেল ওয়েল কোম্পানি।

চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৩৬ পিএম
চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন
ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (৫ অক্টোবর) বেলা ১২টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে আনিসুজ্জামান রনির দায়ের করা মিথ্যা মামলা বাতিলের দাবি জানানো হয়। এতে বক্তারা সাংবাদিক গোলাম সরওয়ার অপহরণের বিচার ও পুনঃতদন্ত দাবি করে এর সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। ভুক্তভোগী সাংবাদিক গোলাম সরওয়ার ও তার স্ত্রী তাদের দুর্দশার কথা তুলে ধরেন।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশি জার্নালিস্ট ইন ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া—বিজেআইএমের কনভেনর স্যাম জাহান, দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিনের সম্পাদক হোসাইন তৌফিক ইফতিখার, বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান শামসুদ্দিন ইলিয়াস ও সিনিয়র রিপোর্টার ওমর ফারুক, প্রতিদিনের বাংলাদেশের সিনিয়র রিপোর্টার সুবল বড়ুয়া, পূর্বদেশের স্টাফ রিপোর্টার এমএ হোসাইন প্রমুখ।

নির্যাতিত সাংবাদিক গোলাম সরওয়ার বলেন, ‘আমাকে অপহরণের বিচার পাইনি চার বছরেও। প্রভাবশালী মহলের ইঙ্গিতে এ ঘটনায় আমার দায়ের করা মামলা খারিজ করে দেওয়া হয়েছে মনগড়া তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে। বিচার পাওয়া তো দূরের কথা, নিজেই হয়ে গেলাম মামলার আসামি। আনিসুজ্জামান রনির দায়ের করা দুটি মিথ্যা মামলায় আসামি হয়ে আজ চার বছর ধরে আমিসহ তিনজন সাংবাদিক হয়রানির শিকার। বর্তমানে স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছি। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হওয়ায় নানা দুশ্চিন্তা ও হতাশায় জীবনযাপন করছি। আমি বাঁচতে চাই। সুন্দর একটি জীবন চাই।’

২০২০ সালের ৯ ডিসেম্বর অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ভাই ও ইউসিবি ব্যাংকের চেয়ারম্যান আনিসুজ্জামান চৌধুরী রনি দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিনের সম্পাদক হোসাইন তৌফিক ইফতিখারকে প্রধান আসামি করে মোট তিনজনের বিরুদ্ধে পৃথক চট্টগ্রাম আদালতে দুটি মানহানির অভিযোগ দায়ের করেন। প্রথম অভিযোগে (নম্বর ১৫/২০) মানহানির জন্য ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়। দ্বিতীয় ফৌজদারি মামলাটি (নম্বর ২১৭০/২০) মানহানি সংক্রান্ত। মানহানিকর বলে পরিচিত মুদ্রণের বিষয়, বা মানহানিকর বিষয় বিক্রয় সংক্রান্ত বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ধারা লঙ্ঘনের জন্য এই তিনজনকে অভিযুক্ত করা হয়। এই ধারাগুলির প্রত্যেকটি আইন অনুসারে দুই বছরের কারাদণ্ড এবং একটি অনির্দিষ্ট জরিমানা বহন করতে পারে।

অভিযোগ রয়েছে, ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে নিজ অনলাইন পোর্টালে সিটিনিউজবিডিতে প্রতিবেদন প্রকাশ করার জন্য সাবেক ভূমিমন্ত্রীর ভাই আনিসুজ্জামান চৌধুরী রনির নির্দেশে ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর স্থানীয় সাংবাদিক গোলাম সারওয়ারকে অপহরণ করে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়। দুদিন পর তাকে উদ্ধার করা হলেও সেই অপহরণের সংবাদ প্রকাশ করার অভিযোগে দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিনের সম্পাদক হোসাইন তৌফিক ইফতিখারসহ গোলাম সারওয়ারের বিরুদ্ধে একইসঙ্গে দুটি মামলা করেন সাবেক ভূমিমন্ত্রীর ভাই, যিনি ক্ষমতাচ্যূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। দেশজুড়ে আলোচিত এই ঘটনায় নির্যাতিত সাংবাদিক থানায় মামলা করলেও তদন্ত প্রতিবেদনে পুলিশ অপহরণের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলেই উল্লেখ করে। মামলাটি খারিজ হওয়ার পর সাংবাদিক গোলাম সরোয়ারকে প্রাণনাশের হুমকি দিতে থাকে তার লোকজন। পরে অব্যাহত হুমকির মুখে নির্যাতিত সাংবাদিক গোলাম সারওয়ার প্রাণ বাঁচাতে বিদেশে চলে যান।

আবদুস সাত্তার/এমএ/

ভারতে অনুপ্রবেশের সময় দহগ্রাম সীমান্তে আটক ৬

প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৫৭ পিএম
আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:০২ পিএম
ভারতে অনুপ্রবেশের সময় দহগ্রাম সীমান্তে আটক ৬
ভারতে অনুপ্রবেশের সময় ছয়জনকে আটক করেছে বিজিবি

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় শিশুসহ ছয়জনকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। 

শনিবার (৫ অক্টোবর) সকালে পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) পিএম মামুনুর রশিদ খবরের কাগজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে আটকদের পাটগ্রাম থানায় হস্তান্তর করে পানবাড়ি কোম্পানি সদর বিজিবি।

আটকরা হলেন- সিরাজগঞ্জ সদরের বাসিন্দা শ্রী মানিক ঘোষ (৩৭), মানিক ঘোষের স্ত্রী পুজা সাহা (৩০), তাদের মেয়ে নমতা ঘোষ (১২) ও পুজাতা ঘোষ (৩), বাদল চন্দ্রের স্ত্রী কনিকা ঘোষ (৫০) ও দহগ্রামের (পাঙ্গেরটারী) বেলাল হোসেন।

বিজিবি সূত্র জানায়, শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অবৈধভাবে দহগ্রাম সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় দালালচক্রের সদস্য বেলালসহ ছয় জনকে আটক করা হয়। 

পিএম মামুনুর রশিদ বলেন, এ ঘটনায় বিজিবি একটি অভিযোগ করেছে। আটকদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

মিনহাজ/পপি/

রাঙামাটিতে পাহাড়ি-বাঙালি সহিংসতা ও হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ৪

প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:২৫ পিএম
রাঙামাটিতে পাহাড়ি-বাঙালি সহিংসতা ও হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ৪
ছবি : খবরের কাগজ

রাঙামাটিতে পাহাড়ি-বাঙালি সহিংসতার ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) ভোরে মো. রুবেলকে খাগড়াছড়ি জেলার মানকিছড়ি থেকে এবং বাকি তিনজনকে রাঙামাটি শহরের দোয়েল চত্বর ও রিজার্ভ বাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এদের মধ্যে রুবেল (২৩) আবরারকে (১৭) অনিক চাকমা হত্যা মামলায় আর রাকিব (২৭) ও আরিফুল (১৭) অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারদের মধ্যে দুইজনের বয়স ১৮ বছরের কম হওয়ায় আদালতের মাধ্যমে আরিফুল ও আবরারকে নিরাপদ হেফাজতে ও বাকি দুইজনকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চার আসামিকে শুক্রবার বিকেলে জেলা দায়রা জজ আদালতে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার পারভীন মিলির আদালতে তোলা হলে আদালত আসামিদের জবানবন্দি শেষে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এ প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার এসএম ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আমরা সাদা-কালো জাতি বর্ণ কিছুই দেখবো না। যে দোষী তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসব। যেন এ ধরনের ঘটনার পূর্ণাবৃত্তি না ঘটে। কাজ শুরু করেছি এতে সবার সহযোগিতা চাই। আর রাঙামাটি শহরকে শান্তিতে রাখতে চাই।’

তিনি বলেন, সম্প্রতি খাগড়াছড়ির দীঘিনালার পাহাড়ি-বাঙালি সংঘাত রাঙামাটিতে ছড়িয়ে পড়ে। যারা প্রকৃত দোষী তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।

কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাহেদ উদ্দিন বলেন, এই ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। একটি মামলার বাদী নিহত অনিকের বাবা আদর চাকমা। অপরটি ভাঙচুর মামলার বাদী হয়েছে পুলিশ।

গত ১৯ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়িতে মোটরসাইকেল চোর সন্দেহে মামুন নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করে পাহাড়িরা। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দীঘিনালায় পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পরে তা খাগড়াছড়িতেও ছড়িয়ে পড়ে। এতে চারজন নিহত হয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২০ সেপ্টেম্বর রাঙামাটিতে ‘সংঘাত ও বৈষম্যবিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলন’ নামে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করতে গিয়ে পাহাড়ি বাঙালি সংঘাত সংঘর্ষ বাঁধে। এতে অগ্নিসংযোগ, অফিস, দোকানপাট ভাঙচুরসহ একজন নিহত হয়।

জিয়াউর জুয়েল/জোবাইদা/অমিয়/

লালমনিরহাটে গুদাম থেকে ২৫০ টন চাল গায়েব

প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:২২ পিএম
লালমনিরহাটে গুদাম থেকে ২৫০ টন চাল গায়েব
ছবি : খবরের কাগজ

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী খাদ্যগুদাম থেকে প্রায় ২৫০ মেট্রিক টন চাল গায়েব হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এর মধ্যে শুক্রবার (৪ অক্টোবর) ভোরে ৩০ মেট্রিক টন চাল উদ্ধার করা হয়েছে।

এই ঘটনার পর থেকে গোডাউনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) ফেরদৌস আলমের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

এ ঘটনায় চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার।

অভিযোগে উঠেছে, গোডাউনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফেরদৌস বৃহস্পতিবার রাতে ২৫টি ট্রাক্টর দিয়ে গুদাম থেকে চালের বস্তা সরিয়ে ফেলেন। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক অভিযানে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জহির ইমাম। এ সময় চালের হিসাবে গড়মিল ও গুদাম কর্মকর্তা লাপাত্তা থাকায় গুদাম সিলগালা করে দেওয়া হয়। গায়েব হওয়া চালের বাজারমুল্য প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা।

এরপর অভিযান শুরু করে প্রশাসন। পরে শুক্রবার দুপুরে উপজেলার শুকানদিঘি থেকে ৬০০ বস্তায় থাকা ৩০ মেট্রিক টন চাল উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে ওই এলাকার বিভিন্ন গোডাউনেও অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন। 

প্রশাসন সুত্র বলছে, চালগুলো উপজেলার ভোটমারী খাদ্যগুদামের। 

এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় এজাহার দিয়েছেন। পাশাপাশি জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ কবির বলেন, এজাহারটি আমরা দুদকের সমন্বিত কার্যালয় কুড়িগ্রামে পাঠাব। তারপর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইউএনও জহির ইমাম বলেন, ৬০০ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে খাদ্য নিয়ন্ত্রক মামলা করবেন। আমরা বাকি চাল উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছি।

এমআই বকুল/জোবাইদা/অমিয়/

পূজায় ৬ দিন বন্ধ থাকবে ভোমরা স্থলবন্দর

প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:১২ পিএম
আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:২৬ পিএম
পূজায় ৬ দিন বন্ধ থাকবে ভোমরা স্থলবন্দর
আগামী ৯ অক্টোবর থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর। ছবি: খবরের কাগজ

সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে টানা ছয়দিন বন্ধ থাকবে। আগামী ৯ অক্টোবর থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত বন্দরের আমদানি-রপ্তানি  বন্ধ থাকবে। তবে পাসপোর্টধারী যাত্রীরা যাতায়াত করতে পারবেন।

শনিবার (৫ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ অ্যাজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাকছুদ খান।

তিনি বলেন, ‘ভারতের ঘোজাডাঙ্গা স্থলবন্দর থেকে চিঠিতে জানানো হয়েছে, শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৯ থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত তাদের ছুটি চলবে। আর ১৫ অক্টোবর থেকে আমদানি-রপ্তানি কাজ পুনরায় শুরু হবে। তাই পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে ভোমরা স্থলবন্দরেও।’

নাজমুল শাহাদাৎ/সাদিয়া নাহার/