ঢাকা ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫
English
শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ফাঁকা গুলি ছুড়ে, নারী কর্মকর্তাদের কুপিয়ে ব্যাংকের টাকা ছিনতাই

প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩৪ পিএম
আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৪৭ পিএম
ফাঁকা গুলি ছুড়ে, নারী কর্মকর্তাদের কুপিয়ে ব্যাংকের টাকা ছিনতাই
আনসার সদস্যসহ দুই নারী কর্মকর্তাকে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। ছবি : খবরের কাগজ

গাজীপুরে ফাঁকা গুলি ছুড়ে ও আনসার সদস্যসহ দুই নারী কর্মকর্তাকে কুপিয়ে সোনালী ব্যাংকের ৭ লাখ ৮৪ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। 

রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে গাজীপুর স্টেডিয়ামসংলগ্ন রথখোলা এলাকায় ছিনতাইয়ের এ ঘটনা ঘটে।

গাজীপুর সোনালী ব্যাংকের কোর্ট বিল্ডিং শাখার এজিএম শহিদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি বলেন, ‘শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সোনালী ব্যাংকের একটি উপশাখা রয়েছে। সেখানে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টসহ অন্যান্য লেনদেন করা হয়। আজ সারা দিন লেনদেন শেষে বিকেলে অটোরিকশাযোগে আনসার ও দুজন কর্মকর্তা টাকা নিয়ে মূল শাখায় ফিরছিলেন। পথে স্টেডিয়ামের সামনে রাজবাড়ী সড়কের ডিভাইডারে মোটরসাইকেল আরোহী ১০-১২ জন যুবক ফাঁকা গুলি ছুড়ে তাদের গতিরোধ করে। পরে দুই কর্মকর্তা ও আনসারদের কুপিয়ে ৭ লাখ ৮ হাজার ৩৭৪ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘উপশাখার ইনচার্জ প্রিন্সিপাল অফিসার আতিকা পারভীন, অফিসার ক্যাশ ফারজানা নাজনীন, আনসার সদস্য রাজু ও আল-আমিন আহত হয়েছেন। তাদের গাজীপুর শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।’ 

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাহেদুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার পরপরই পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বিভিন্ন সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ চলছে। ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি।’

প্রাণের টানে ছুটছেন দক্ষিণবঙ্গের মানুষ

প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২৫, ১০:২৫ এএম
প্রাণের টানে ছুটছেন দক্ষিণবঙ্গের মানুষ
ছবি: খবরের কাগজ

ঈদযাত্রায় দক্ষিণবঙ্গের প্রবেশপথ ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে আজও নিজ গন্তব্যে ছুটছেন দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার মানুষ। পদ্মা সেতুর কল্যাণে এই পথে এবারের ঈদযাত্রাও বিড়ম্বনাহীন ও নিবিঘ্ন।

শুক্রবার (৬ জুন) ভোর থেকে ওই এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সীগঞ্জ প্রান্তে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে যানবাহনের অধিক চাপ অব্যাহত রয়েছে। 

যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ থাকায় পদ্মা সেতুর টোলপ্লাজায় যানবাহনগুলোকে টোল পরিশোধ করতে কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।

মাওয়া প্রান্তের টোলপ্লাজায় কিছুটা বিলম্ব হলেও টোল পরিশোধ করে নিবিঘ্নে যানবাহনগুলো পদ্মা সেতু পারি দিতে পারছে।

দূরপাল্লার যানবাহনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়ির আধিক্যও দেখা গেছে। মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসে নিজ গন্তব্যে ছুটছেন দক্ষিণবঙ্গের মানুষ। এ যেন এক অন্য অনুভূতি।

অমিয়/

সাতক্ষীরায় ২০ গ্রামে ঈদুল আজহা উদযাপন

প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২৫, ১০:১৪ এএম
সাতক্ষীরায় ২০ গ্রামে ঈদুল আজহা উদযাপন
ছবি: খবরের কাগজ

সাতক্ষীরার ২০টিরও বেশি গ্রামে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করা হচ্ছে।

শুক্রবার (৬ জুন) সকালে জেলার বিভিন্ন মসজিদে ঈদুল আজাহার নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
 
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভাড়ুখালী আহলে সুন্নাত আল জামায়াত জামে মসজিদে সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। 

নামাজে ইমামতি করেন মাওলানা মাহবুবুর রহমান। একই সময়ে বাওখোলা পূর্বপাড়া জামে মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে ইমামতি করেন মাওলানা মো. মোহাব্বত আলী।

ইসলামকাটি, গোয়ালচত্বর, ভাদড়া, ঘোনা, মিরগিডাঙ্গাসহ আশপাশের অন্তত ২০টি গ্রামের মুসল্লিরা এসব জামাতে অংশ নেন।

পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও ঈদের জামাতে শরিক হন।
 
স্থানীয় মুসল্লি রবিউল ইসলাম জানান, সাতক্ষীরা জেলায় ২০টির অধিক গ্রামে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদের নামাজ আদায় করা হচ্ছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে এই নিয়ম অনুসরণ করে আসছেন এবং আগামীতেও তা অব্যাহত থাকবে।

স্থানীয় মুসল্লিদের মতে, বিগত এক যুগ ধরে তারা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করে আসছেন। সেই ধারাবাহিকতায় এবারও সৌদি আরবের নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ি শুক্রবার ঈদ উদযাপন করছেন তারা।

নামাজ শেষে মুসল্লিরা একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করেন এবং মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে পশু কোরবানি দেন।

নাজমুল শাহাদাৎ/অমিয়/

বিছনাকান্দি সীমান্তে পাথর উত্তোলন ঠেকাতে বিএসএফের সাউন্ড গ্রেনেড ও গুলি

প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২৫, ১০:০১ এএম
বিছনাকান্দি সীমান্তে পাথর উত্তোলন ঠেকাতে বিএসএফের সাউন্ড গ্রেনেড ও গুলি
খবরের কাগজ (ফাইল ফটো)

সিলেটের গোয়াইনঘাটের বিছনাকান্দি সীমান্ত এলাকায় জিরো পয়েন্টে পাথর উত্তোলনকারী শ্রমিকদের লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেড ও ফাঁকা গুলি ছুড়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এ সময় ভয়ে পালাতে গিয়ে পাথরের আঘাতে সাতজন বাংলাদেশি পাথরশ্রমিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার (৫ জুন) রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিছনাকান্দি নদীর পূর্বপাড়ে সীমান্ত এলাকার জিরো পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে।

স্থানীয় লোকজন ও বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, বিছনাকান্দি পর্যটনকেন্দ্রের ওপাশের জিরো পয়েন্টে রাতে পাথর উত্তোলন করেন শ্রমিকরা। বুধবার রাতে ১৫ থেকে ২০ জন শ্রমিক বাংলাদেশ ভারত সীমান্তের জিরো পয়েন্টে বারকি নৌকা নিয়ে পাথর তুলতে যান। এ সময় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বিছনাকান্দি সীমান্ত ফাঁড়ির টহলরত সদস্যরা বাঁশি বাজিয়ে পাথরশ্রমিকদের ধাওয়া দেন। বিজিবির বাঁশি শুনে বিএসএফও শ্রমিকদের লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেড ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে। শ্রমিকরা ভয়ে পালাতে গিয়ে পাথরের আঘাতে কয়েকজন আহত হন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিছনাকান্দির স্থানীয় এক বারকি শ্রমিক জানান, বিজিবির বাঁশি ও বিএসএফ ফাঁকা গুলির শব্দে আক্কাস মিয়া অজ্ঞান হয়ে পড়েন। সঙ্গে থাকা শ্রমিকেরা তাকে উদ্ধার করে আনলে ঘণ্টা দুয়েক পর প্রাথমিক চিকিৎসায় তার জ্ঞান ফিরে। এ সময় পালাতে গিয়ে পাথরের আঘাতে আরও অন্তত পাঁচ-ছয়জনের হাত-পা কেটে যায়।

যোগাযোগ করলে সিলেট ব্যাটালিয়নের (৪৮ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. নাজমুল হক ঘটনাটি নিশ্চিত করেন।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, পাথরশ্রমিকরা রাতে পাথর উত্তোলন করতে গিয়ে জিরো পয়েন্ট অতিক্রম করে ভারতের অভ্যন্তরে চলে গিয়েছিল। বিজিবি খবর পেয়ে বাঁশি বাজিয়ে শ্রমিকদের ধাওয়া করে। একই সময় বিএসএফ শ্রমিকদের ভয় দেখাতে দুটি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে এবং একটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে।

অমিয়/

যমুনা সেতুতে একদিনে সর্বোচ্চ টোল আদায়, মিনিটে পারাপার হচ্ছে ৪৪ যানবাহন

প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২৫, ০৮:৩০ এএম
যমুনা সেতুতে একদিনে সর্বোচ্চ টোল আদায়, মিনিটে পারাপার হচ্ছে ৪৪ যানবাহন
ছবি: খবরের কাগজ

ঈদুল আজহা উপলক্ষে যমুনা সেতু দিয়ে যানবাহন পারাপার বেড়েছে। ঈদের শেষ মুহুর্তে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছেন মানুষ। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা সেতু দিয়ে ৬৪ হাজার ২৮৩টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। আর টোল আদায় হয়েছে চার কোটি ১০ লাখ ৮০ হাজার ৯৫০ টাকা।

শুক্রবার (৬ জুন ) সকালে যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, বুধবার রাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৬৪ হাজার ২৮৩টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গগামী ৪৩ হাজার তিনটি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এ থেকে টোল আদায় হয়েছে দুই কোটি ৪২ লাখ ৩০ হাজার ৭০০ টাকা।

অপরদিকে ঢাকাগামী ২১ হাজার ২৮০টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর বিপরীতে টোল আদায় হয়েছে এক কোটি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার ২৫০ টাকা। বৃহস্পতিবারের তুলনায় ১২ হাজার ৪৩৪টি বেশি যানবাহন পার হয়েছে।

এই হিসাবে সেতু দিয়ে প্রতি মিনিটে ৪৪টি যানবাহন পারাপার হয়েছে।

সেতু কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, গত চার দিনে সেতুর ওপর দিয়ে মোট এক লাখ ৭৯ হাজার ৮৬৩টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ১৩ কোটি ৩২ লাখ ৭৩ হাজার ২৫০ টাকা।

যমুনা সেতুর ম্যানেজার (টোল অপারেশন) প্রবীর কুমার ঘোষ বলেন, অতিরিক্ত গাড়ির চাপ ও সেতুর উপর গাড়ি বিকল হওয়াতে বেশ কয়েক দফায় টোল আদায় বন্ধ ছিল। ঈদযাত্রায় উভয় পাশেই ৯টি করে বুথ দিয়ে যানবাহন পারাপার হচ্ছে। এর মধ্যে মোটরসাইকেলের জন্য আলাদা দুটি বুথ। একদিনে যমুনা সেতু দিয়ে ৬৪ হাজার ২৮৩টি যানবাহন থেকে ৪ কোটি ১০ লাখ ৮০ হাজার ৯৫০ টাকা টোল আদায় হয়েছে।

জুয়েল রানা/অমিয়/

চট্টগ্রামে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় ২ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২৫, ০২:১৩ এএম
আপডেট: ০৬ জুন ২০২৫, ০৯:১৭ এএম
চট্টগ্রামে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় ২ জনের মৃত্যু
ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রামের কালুরঘাট ব্রিজে কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা পর্যটন এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা, একটি মাইক্রোবাসসহ বেশ কয়েকটি যানবাহন দুমড়ে মুচড়ে গেছে। এতে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক, একটি শিশু নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন।

যদিও প্রথমে অন্তত পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে বলে শোনা গিয়েছিল।

ট্রেনটিতে প্রায় হাজার খানেক যাত্রী রয়েছেন। খবর পেয়ে রেলওয়ে ও ফায়ার সার্ভিস উদ্ধারকাজ করছে।

বৃহস্পতিবার (৫ জুন) রাত ১০টা ১৫ মিনিটের দিকে কালুরঘাট ব্রিজে মর্মান্তিক এ দূর্ঘটনা ঘটে। 

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, রাত ১০টা ১৫ মিনিটে পর্যটক এক্সপ্রেস কালুরঘাট ব্রিজ অতিক্রমের সময় একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা, একটি মাইক্রোবাসসহ কয়েকটি যানবাহনকে ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশাটি ট্রেনটির সামনে লেগে দুমড়ে মুচড়ে যায়। একইসঙ্গে একটি মাইক্রোবাস, একাধিক মোটরসাইকেলসহ আরও কয়েকটি যানবাহন দুমড়ে মুচড়ে গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি প্রথমে সিগন্যাল অমান্য করে রেলক্রসিংয়ে চলে আসে। এরপর আরও কয়েকটি যানবাহন রেলক্রসিংয়ে উঠে পড়ে।

ট্রেনটির এক যাত্রী রাত সাড়ে ১১টায় বলেন, আমরা এই মুহুর্তে ট্রেনে আটকে আছি। ট্রেনটির অর্ধেক রেলক্রসিংয়ে বাকি অর্ধেক কালুরঘাট ব্রিজের উপর। এজন্য কেউ ট্রেন থেকে নামার সুযোগ পাচ্ছেন না। সবাই এক ধরণের আতঙ্কে আছেন। সামনে কি হয়েছে তাও অনেকের অজানা। তবে দুর্ঘটনার আহাজারি, একাধিক মৃত্যু খবরে শিশু ও নারীরা উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। 

জানা যায়, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসে পর্যটক এক্সপ্রেস। এরপর রাত ১০টা ১৫ মিনিটের দিকে কালুরঘাট ব্রিজ অতিক্রমের সময় কালুরঘাট রেলক্রসিংয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মাইক্রোবাসসহ কয়েকটি যানবাহনকে ধাক্কা দেয় ট্রেনটি। তবে কেন কিংবা কার অবহেলায় এ দূর্ঘটনা ঘটেছে তা তাৎক্ষণিক জানা যায়নি। 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একাধিক ভিডিওতে দেখা যায়, পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনটি থেমে আছে। সামনে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ট্রেনের নিচে দুমড়ে মুচড়ে গেছে। পাশে আরও একটি মোটরসাইকেলও ট্রেনের নিচে। স্থানীয়রা সেখান থেকে আহত-নিহতদের উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন। একটি শিশুকে নিয়ে একজন পুরুষ এদিক ওদিক ছোটাছুটি করছেন। ভিডিওর পোস্টে লেখা হয়েছে, শিশুটির মৃত্যু হয়েছে কিন্তু তার মা ট্রেনের নিচে চাপা পড়েছেন। তবে তারা কোন যানবাহনের যাত্রী তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। 

কালুরঘাট ফায়ার স্টেশনের ফায়ার ফাইটার আমিনুল ইসলাম জানান, রাত পৌনে ১১টার দিকে তারা দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়েছেন। তাদের স্টেশন থেকে অ্যাম্বুলেন্সসহ দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। হতাহতদের উদ্ধার কাজ চলমান রয়েছে। তাৎক্ষণিক হতাহতের সংখ্যা জানা নেই।

চমেক পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক আলাউদ্দিন তালুকদার জানান, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে আহত পাঁচজনকে হাসপাতালের ক্যাজুয়ালিটি ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার মনিরুজ্জামানকে কল করা হলে তিনি এ বিষয়ে জানেন না বলে জানিয়ে দেন। পরে রেলওয়ে থানার ওসি শহিদুল ইসলামকে কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

মেহেদী/অমিয়/