ঢাকা ১৯ আশ্বিন ১৪৩১, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪

কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া ৫০০ বন্দি পলাতক: কারা মহাপরিদর্শক

প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১০:০১ পিএম
কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া ৫০০ বন্দি পলাতক: কারা মহাপরিদর্শক
জামালপুর জেলা কারাগার পরিদর্শনকালে কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মোতাহের হোসেন। ছবি: খবরের কাগজ

জামালপুরে কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মোতাহের হোসেন বলেছেন, গত ৫ আগষ্ট সরকার পরিবর্তনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া বন্দিদের অনেকেই তাদের ভুল বুঝতে পেরে ফিরে এসেছে, একটি বড় অংশকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, এখনো পাঁচশ’র মতো বন্দি পলাতক রয়েছে। 

কারাগার থেকে লুট হওয়া অনেক অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে, যেগুলো উদ্ধার হয়নি সেসব অস্ত্র উদ্ধারে আইন-শৃঙ্খলা রাক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কারাগারে অন্যান্য সময়ের তুলনায় এ মুহুর্তে বন্দিদের সংখ্যা কম, তবে সম্প্রসারণ কার্যক্রম শেষ হলে কারাগারের ধারণক্ষমতা বাড়বে। তিনি আরও বলেন, কারাগারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও কারারক্ষীদের মনোবল বাড়াতে এ সফর।

বুধবার (২ অক্টোবর) বিকেলে জামালপুর জেলা কারাগার পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। 

তিনি আরও বলেন, আমাদের কোন ঠিকাদার যদি কাজ করতে অপারগ হয়, নিয়ম মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বা তাদের চুক্তি বাতিল করা হবে। প্রয়োজনে নতুন ঠিকাদার নিয়োগ করে কাজ করা হবে। বন্দিদের খাবারে আমিষের পরিমাণ বৃদ্ধির জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে, অনুমোদন পেলে বাস্তবায়ন করা হবে।  

কারা মহাপরিদর্শক জামালপুর জেলা কারাগারে পৌঁছালে কারারক্ষীদের সু-সজ্জিত একটি দল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। পরে তিনি কারাগার পরিদর্শন করেন। এ সময় ময়মনসিংহ কারাগারের উপ মহাপরিদর্শক মোছা. জাহানারা বেগম, সহকারি কারা মহাপরিদর্শক জান্নাত-উল-ফরহাদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইফতেখার ইউনুস, জেলার শাহ আলম, জামালপুর জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ইউসুফ আলীসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। 

আসমাউল আসিফ/এমএ/

 

যশোরে বিজ্ঞান উৎসব রেলে অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু রোধের কৌশল দেখাল শিক্ষার্থীরা

প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৫৩ এএম
আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৫৩ এএম
রেলে অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু রোধের কৌশল দেখাল শিক্ষার্থীরা
যশোর জিলা স্কুলে বিজ্ঞান উৎসব। ছবি: খবরের কাগজ

যশোর জিলা স্কুলে ‘জ্যোতির্বিজ্ঞানী রাধা গোবিন্দ চন্দ্র স্মারক বিজ্ঞান উৎসব’-এ মেতে ওঠে খুদে বিজ্ঞানপ্রেমীরা। তারা ডিজিটাল সিটি, রেললাইনে অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু রোধ, ফায়ার ফাইটিং রোবটসহ ১৫টি প্রজেক্ট উপস্থাপন করে।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের সহযোগিতায় দিনব্যাপী এ উৎসবের আয়োজন করে জেসিবি বিজ্ঞান ক্লাব।

এতে যশোর কালেক্টরেট স্কুলের একদল শিক্ষার্থী প্রদর্শন করে, রেললাইনে অসাবধানতায় কাটা পড়ে মৃত্যু ও অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনায় প্রাণহানি রোধের কৌশল। তারা লেজার ও সেন্সর প্রযুক্তি ব্যবহার করে দর্শনার্থীদের দেখিয়েছে, কীভাবে রেললাইনে অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু রোধ করা যায়।

এর আগে মেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে বিজ্ঞান উৎসবের উদ্বোধন করেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সাবেক ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস। বিজ্ঞান উৎসবে জেলার ১৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী প্রজেক্ট প্রদর্শন করে। এ ছাড়া  উৎসবে দেয়াল পত্রিকা, অলিম্পিয়াড, আইকিউ টেস্ট, বিজ্ঞানভিত্তিক কুইজ ও বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নেয় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী।  

এদিকে বিজ্ঞান উৎসবে যশোর জিলা স্কুলের সম্মিলিত প্রজেক্ট ছিল ‘ডিজিটাল সিটি’। দলের সদস্যরা জানায়, ‘সিটি থাকবে সিসিটিভির আওতায়, আগুন লাগলে সংকেত দেবে ‘ফায়ার এলার্ম’। থাকবে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও লাইব্রেরি। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় থাকবে ডিসপ্লে বোর্ড। সেখানে খেলা, খবরসহ যেকোনো তথ্য সহজেই দেখা যাবে। 

যশোর জিলা স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাবরিক রহমান বলে, ‘আমাদের ক্লাসের কয়েক বন্ধু মিলে উদ্ভাবন করেছি ‘ফায়ার ফাইটিং রোবট’। যেসব জায়গায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পৌঁছাতে পারেন না, সেখানে এ রোবট দ্রুত এবং নিরাপদে অগ্নিকাণ্ড স্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ করবে।’

অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ড. মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস বলেন, ‘তরুণ সমাজের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে অপার সম্ভাবনা। আমাদের ছেলেমেয়েরা মেধা ও দক্ষতায় অন্য জাতির চেয়ে কোনো অংশেই পিছিয়ে নেই। সঠিক দিক-নির্দেশনা ও পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারলে বিজ্ঞান চিন্তায় উজ্জীবিত এই প্রজন্ম দেশকে নিয়ে যাবে অনন্য উচ্চতায়। ভবিষ্যতে এই খুদে বিজ্ঞানীদের মধ্য থেকেই উদ্ভাবক বেরিয়ে আসবে।’ 

তিনি ক্ষোভের সঙ্গে আরও বলেন, ‘জ্যোতির্বিজ্ঞানী রাধা গোবিন্দ চন্দ্র যশোরের মানুষ। কিন্তু এই প্রজন্মের কেউই তাকে চিনে না। এমনকি তার বাড়িটাও দখল হয়ে আছে। বাড়িটি দখলমুক্ত করে সেখানে বিজ্ঞান জাদুঘর করার দাবি জানাচ্ছি।’ 

জেসিবি ক্লাবের সভাপতি সাজিন আহম্মেদ জয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন যবিপ্রবির পেট্টোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. আমিনুর রহমান, যশোর জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক শোয়াইব হোসেনসহ আরও অনেকে।

বাঁশের সাঁকোয় মৃত্যুঝুঁকি

প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০:২৭ এএম
আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০:২৭ এএম
বাঁশের সাঁকোয় মৃত্যুঝুঁকি
ডুবে যাওয়া সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে যাচ্ছে ডাকাতিয়া প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। যশোর সদরের বোলপুর থেকে তোলা। ছবি: খবরের কাগজ

নদের ওপর থাকা একটি বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন শতাধিক শিক্ষার্থীকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয়। ঝুঁকিপূর্ণ এই সাঁকো পার হতে গিয়ে প্রায়ই অনেকে পা পিছলে নদে পড়ে যায়। সম্প্রতি অতিবৃষ্টির কারণে নদের পানি বেড়ে যাওয়ায় সাঁকোটি ডুবে গেছে। এ ছাড়া সাঁকোর ওপরে থাকা দুপাশের হাতলও ভেঙে গেছে। ঝুঁকিপূর্ণ এ সাঁকো যারা ব্যবহার করেন না, তাদের আট কিলোমিটার পথ ঘুরে যাতায়াত করতে হয়। বলছি যশোর সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের ডাকাতিয়া ও নওয়াপাড়া ইউনিয়নের বোলপুর গ্রামের কথা। গ্রাম দুটির মাঝখান দিয়ে বয়ে গেছে বুড়ী ভৈরব নদ। এখানেই বেহাল সাঁকোটির অবস্থান।

স্থানীয়রা জানান, ডাকাতিয়া প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ২০০৮ সালে স্কুল ফান্ডের টাকায় সাঁকোটি নির্মাণ করে। এরপর তারা কয়েক দফা সাঁকোটি সংস্কার করে। বিগত ১৬ বছর ধরে এলাকাবাসী এখানে একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। ফলে ছাত্র-ছাত্রীসহ এলাকাবাসীর সীমাহীন দুর্ভোগ কাটছে না। অভিযোগ আছে, সাবেক এক সংসদ সদস্য সাঁকো নির্মাণের জন্য ৪০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু তার ঘনিষ্ঠজনরা সেই টাকার সঠিক ব্যবহার করেননি। উপজেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে, দুর্ভোগের বিষয়টি লিখিতভাবে জানালে সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

শিক্ষার্থীরা জানান, বর্তমানে পানির নিচে ডুবে থাকা ভাঙাচোরা সাঁকোটি দিয়ে তাদের ডাকাতিয়া প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসা করতে হয়। আসা-যাওয়ার পথে তাদের জুতা হাতে নিয়ে ও প্যান্ট-পাজামা গোটাতে হয়। প্রায় প্রতিদিনই কেউ না কেউ পা পিছলে নদে পড়ে যায়। এ সময় পোশাক আর বইখাতা ভিজে যায়। ফলে স্কুলে যাওয়ার পথে এমন ঘটনা ঘটলে সে দিন আর ক্লাসে যাওয়া হয় না। অবশ্য দু-একজন ভেজা অবস্থায় বিদ্যালয়ে হাজির হয়। এতে তাদের অসুস্থ হওয়ার শঙ্কা থাকে।

ডাকাতিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুলতানা আক্তার রুমি বলে, ‘সাঁকোটি একেবারেই চলাচলের অনুপযোগী। এ কারণে বিদ্যালয়ে নিয়মিত ক্লাস করতে পারি না। এ রকম অবস্থা আমার মতো অনেক ছাত্র-ছাত্রীর। এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ হলে আমরা এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতাম।’

ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী সাজিম ও তৌফিক জানায়, অনেক সময় স্কুলে আসা-যাওয়ার সময় পানিতে পড়ে গিয়ে জামা-কাপড় ও বই-খাতা ভিজে যায়। শামুকে পা কাটে। এভাবে চলাচল করতে চরম অসুবিধা হয়। এখন সাঁকোর অবস্থা আরও খারাপ।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল মান্নান জানান, আমরা ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে বিদ্যালয়ের ফান্ডের টাকায় সাঁকোটি নির্মাণ করি। কিন্তু এ বছর প্রবল বৃষ্টিতে পানির স্রোতে ও কচুরিপানার চাপে সাঁকোটি ভেঙে যায়, ডুবে যায়। ফলে বোলপুর গ্রাম থেকে আসা শিক্ষার্থীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছে।

বিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষক কামরুল আহসান বলেন, ‘দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে দাবি করা হলেও সরকারি অর্থায়নে এখানে কোনো সেতু নির্মাণ করা হয়নি। এতে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে ঝুঁকি কমছে না। কেউ সাঁকো পার হতে না চাইলে তাকে ৭-৮ কিলোমিটার ঘুরে স্কুলে আসতে হয়। যা খুবই কষ্টকর। সাঁকো পার হয়ে আসার সময় প্রতিদিনই দুর্ঘটনা ঘটে।’

এদিকে নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক গ্রামের একাধিক ব্যক্তি জানান, যশোর সদরের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ ২০১৮ সালে এ সাঁকো নির্মাণের জন্য ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেন। কিন্তু এমপির পিএস আবু মোসা মধু ও কাশিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইনতাজ আলী এবং আওয়ামী লীগ নেতা বজলুর রহমান বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে ওই অর্থ হস্তান্তর না করে নিজেদের মতো দায়সারা সাঁকো মেরামত করেন। যা কোনো কাজে আসেনি। অভিযুক্তরা আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে আত্মগোপনে রয়েছেন।

যশোর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি। বিষয়টি আমাকে এখনো কেউ জানায়নি। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বা এলাকাবাসী লিখিত আবেদন দিলে সমাধানের ব্যবস্থা নেব।

৪ মাসের ঘুমন্ত শিশুকে জলাশয়ে ফেলে হত্যা

প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০:২১ এএম
৪ মাসের ঘুমন্ত শিশুকে জলাশয়ে ফেলে হত্যা

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে জলাশয় থেকে ৪ মাস বয়সী এক শিশুর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে শিশুটিকে তার ফুফু ঘুমন্ত অবস্থায় জলাশয়ে ফেলে হত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিহত শিশু মাহমুদা আক্তার মীম, চরগাঁও গ্রামের ওমান প্রবাসী আওলাদ হোসেন ও মিনারা বেগমের মেয়ে।

গতকাল বৃহস্পতিবার নবীগঞ্জ থানার ওসি কামাল হোসেন জানান, বুধবার সন্ধ্যায় নিহত শিশুর ফুফু পপি বেগম ও দাদি মরিয়ম বিবিকে হবিগঞ্জ আদালতে সোপর্দ করা হলে মরিয়ম ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এর আগে মিনারা আক্তার এ দুজনের বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করলে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। 

জবানবন্দির বরাত দিয়ে ওসি জানান, মিনারা আক্তারের সঙ্গে তার শাশুড়ি মরিয়ম বিবি ও ননদ পপি বেগমের পারিবারিক কলহ চলছিল। এর জেরে গত মঙ্গলবার ভোরে পপি একা ঘুমিয়ে থাকা মিনারার ৪ মাস বয়সী মেয়ে মীমকে বিছানা থেকে তুলে নিয়ে জলাশয়ে ফেলে দেন। তখন মিনারা রান্নাঘরে ছিলেন। কাজ শেষে ঘরে ফিরে মেয়েকে না পেয়ে তিনি চিৎকার শুরু করেন। পরে বাড়ির পাশের জলাশয় থেকে শিশুটির ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়। মরিয়ম বিবি আদালতকে বলেন, ‘এই কাজ আমার মেয়েই করেছে।’

টাঙ্গাইলে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৪

প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০:০৮ এএম
আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৫১ এএম
টাঙ্গাইলে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৪
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। ছবি: খবরের কাগজ

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ছয়জন।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু সড়কের ময়মনসিংহ লিংক রোডে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

তাৎক্ষণিক নিহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। আহতদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতদের মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। 

এলেঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নান্নু খান খবরের কাগজকে বলেন, ‘রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ময়মনসিংহগামী একটি বাস ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ময়মনসিংহ লিংক রোডে পৌঁছালে কালিহাতী থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই চারজনের মৃত্যু হয়। আহত হয় ৬ জন। আহতদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। নিহতদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি।’

এদিকে বৃষ্টি এবং এ ঘটনার কারণে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে সল্লা পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

জুয়েল রানা/সাদিয়া নাহার/

পুকুর থেকে আটক ৫ মণ ওজনের কুমির!

প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩৩ পিএম
পুকুর থেকে আটক ৫ মণ ওজনের কুমির!
রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের পুকুর থেকে আটক কুমির। ছবি: খবরের কাগজ

লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুরের উত্তর চরবংশি এলাকার মেঘনা নদী সংলগ্ন চরের পুকুর থেকে একটি বড় কুমির আটক করেছে বন বিভাগের কর্মীরা। আটক কুমিরটির ওজন প্রায় ৫ মণ হবে বলে ধারণা করেছে স্থানীয়রা।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় বন বিভাগের কর্মীরা কুমিরটি আটক করতে সক্ষম হয়।

বন্যার শুরু থেকে ওই এলাকার জেলেরা নদী ও নদীর চরে জোয়ারের পানিতে একাধিক কুমির ভাসতে দেখেছিলেন বলে জানাগেছে। পানি কমে যাওয়ায় একটি কুমির পুকুরে এসে আশ্রয় নেয়। এ ঘটনায় ওই এলাকায় কুমির আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এর আগে বুধবার বিকেলে উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের মেঘনা নদী সংলগ্ন চরঘাসিয়া গ্রামের মজিবুল হক পাঠান বাড়ির পুকুরপাড়ে কুমিরটি স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে বন বিভাগকে খবর দেয়। উৎসুক জনতা কুমিরটিকে কাছ থেকে দেখার সময় কুমিরের অতর্কিত হামলায় মো. বাবুল (২৫) নামের এক জেলে আহত হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে।

উপজেলা বন বিভাগের রেঞ্জ সহকারি মতিয়ুর রহমান বলেন, ‘কুমিরটি বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের নিকট হস্তান্তর করা হবে। সম্প্রতিকালে বন্যায় দুই মাস ধরে কুমিরটি মেঘনা নদীর চান্দারখাল এলাকায় বিচরণ করছিল। নদীতে আরও কয়েকটি কুমির আছে বলে স্থানীয় জেলেরা দাবি করেছেন।’

রায়পুর উপজেলা বন কর্মকর্তা চন্দন ভৌমিক বলেন, ‘উদ্ধার করে কুমিরটি জেলার সহকারি বনসংরক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয়ে রাখা হয়েছে। রাতে এটিকে ঢাকায় পাঠানো হবো।’

রফিকুল ইসলাম/এমএ/