ঢাকা ২১ কার্তিক ১৪৩১, বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪

কুষ্টিয়ার পদ্মা নদী কমছে পানি, বাড়ছে ভাঙন

প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৫৬ এএম
আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১০:০০ এএম
কমছে পানি, বাড়ছে ভাঙন
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীর পানি কমতে থাকায় উদয়নগর বিজিবি ক্যাম্পের কাছে ভাঙন দেখা দিয়েছে। খবরের কাগজ

উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কিছুদিন আগে পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি পায়। এতে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার চার ইউনিয়নের অন্তত ৩৭টি গ্রাম প্লাবিত হয়। গত এক সপ্তাহ আগেও তিন দিনের ব্যবধানে পদ্মার পানি ৩৭ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বাড়ে। তলিয়ে যায় ফসলের খেত, ভেঙে পড়ে যোগাযোগব্যবস্থা। সম্প্রতি ওই পানি কমতে শুরু করেছে। পানি কমার কারণে অনেকের মাঝে স্বস্তি এলেও পদ্মা পাড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন আতঙ্কে অনেকেই ঘরবাড়ি সড়িয়ে নিচ্ছেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভাঙনরোধে তারা কাজ করছেন। ওই এলাকায় একটি স্থায়ী বাঁধ বানানোর জন্য শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের সীমান্তঘেঁষা গ্রাম উদয়নগর বেশ কয়েক বছর ধরে ভাঙনের কবলে পড়েছে। হারিয়েছে আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার, শত শত একর আবাদি জমি ও ঘরবাড়ি। ভেঙেছে সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা। এখন ভাঙন থেকে মাত্র ২৫-৩০ মিটার দূরে আছে একটি বিজিবি ক্যাম্প। এরই মধ্যে ভাঙনের কবলে পড়েছে উদয়নগর বিজিবি ক্যাম্পের পাশে থাকা আতারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ ছাড়া রয়েছে দোকানপাট, হাটবাজার, মসজিদসহ নানা স্থাপনা। 

সরেজমিনে দেখা গেছে, আর ৫০ মিটারের মতো নদী ভাঙলে বাংলাদেশ অংশে থাকা আরও দুটি আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার নদীগর্ভে হারিয়ে যাবে। এ ছাড়া ভাঙন দেখা দিয়েছে ইউনিয়নটির মানিকের চরের পশ্চিম পাশে। 

কথা হয় স্থানীয় বাসিন্দা হারুনুর রশীদের সঙ্গে। জানান, এখন পর্যন্ত তিনি পাঁচবার নদীভাঙনের কবলে পড়েছেন। এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিতে থাকা বিজিবি ক্যাম্পটিও হুমকির মুখে পড়েছে বলে দুঃখ প্রকাশ করেন। বলেন, ‘আমরা যেখানে দাঁড়িয়ে আছি, এটা একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ভাঙনের কারণে আজ সেটিও হারাতে বসেছি।’ 

খারিজাথাক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী বৈশাখী খাতুন। কাছাকাছি থাকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো ভেঙে যাওয়ায় তাকে দূরের স্কুলে যেতে হয়। যাতায়াতব্যবস্থা বলতে কেবলই নৌকা। খরচ বেশি হওয়ায় নিয়মিত স্কুলেও যেতে পারে না। তার পুরো গ্রাম পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় দূরের এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে বৈশাখী। 

তসলিমা খাতুন নামে ওই এলাকার এক গৃহবধূ বলেন, ‘তিন মেয়ে নিয়ে থাকি। পানিবন্দি হয়ে পড়ায় সাপ ও কীটপতঙ্গের ভয়ে সন্তানদের বাড়িতে রাখি না। গবাদিপশু দেখাশোনা করার জন্য বাড়িতে একাই থাকি।’
 
চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান বলেন, ‘নদীর পানি কিছুটা কমেছে। উদয়নগর ও মানিকের চরে ভাঙন দেখা দিয়েছে। পানি কমার সঙ্গে এর তীব্রতা আরও বাড়তে পারে।’

কুষ্টিয়া ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহবুব মুর্শেদ রহমান বলেন, ‘উদয়নগর বিওপির ২৫ থেকে ৩০ মিটার দূরে নদীর অবস্থান। এরই মধ্যে স্থানীয় প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহায়তায় ২৫ হাজার জিও ব্যাগ ফেলেছি। চেষ্টা করছি সরকারি এই স্থাপনাসহ এখানে বসবাস করা দুই থেকে তিন হাজার মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করার।

কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল হামিদ বলেন, ‘ভাঙনরোধে আমরা কাজ করছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে উদয়নগর ও মরিচার হাটখোলাপাড়া এলাকায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য মন্ত্রণালয়ে কাগজপত্র পাঠাব।’

নদীর পানি কমার বিষয়ে পাবনা পাউবোর ওয়াটার হাইড্রোলজি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল করিম বলেন, ‘শুক্রবার থেকে নদীতে পানি কমতে শুরু করেছে। গত বৃহস্পতিবার পদ্মার হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে সর্বোচ্চ পানির প্রবাহ ছিল ১২ দশমিক ৩৮ সেন্টিমিটার। সোমবার বেলা ৩টার সময় তা কমে হয়েছে ১২ দশমিক ০৭ সেন্টিমিটার। এখন পানি কমতে থাকবে।’

শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে অটোরিকশা উল্টে ২ শিক্ষার্থী নিহত

প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৪ পিএম
শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে অটোরিকশা উল্টে ২ শিক্ষার্থী নিহত
ছবি: খবরের কাগজ

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গিয়ে দুই কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এ সময় এক শিশু ও অটোরিকশায় থাকা আরও দুই শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

বুধবার (৬ নভেম্বর) সকালে কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়কের বটতলা এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটেছে।

নিহত দুই শিক্ষার্থী হলেন-শ্রীমঙ্গলের কালাপুর ইউনিয়নের মাইজদিহি এলাকার কাশেম মিয়ার ছেলে আব্দুল্লাহ আল সায়েম (১৭) ও ভাগলপুর এলাকার রবি সূত্রধরের ছেলে অমিত সূত্রধর (১৮)। তারা কমলগঞ্জ সরকারি গণ মহাবিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।

আহতরা হলেন-শ্রীমঙ্গলের কালাপুর ইউনিয়নের মাইজদিহি এলাকার ময়না মিয়ার ছেলে শাহীন মিয়া (১৮), গীরু দেবের ছেলে সৈকত দেব (১৮) ও শিশু জান্নাতুল (১১)।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকালে শ্রীমঙ্গল থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় কমলগঞ্জ কলেজে পরীক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয় শিক্ষার্থীরা। এ সময় গাড়িটি কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়কের বটেরতলা এলাকায় আসলে এক শিশুকে রক্ষা করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অটোরিকশাটি উল্টে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলেই শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল সায়েমের মৃত্যু হয়। এ সময় অটোরিকশায় থাকা আরো দুই শিক্ষার্থীসহ ৩ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে আহত অমিত ও শিশু জান্নাতুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৌলভীবাজার হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখান থেকে আহত অমিতকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

কমলগঞ্জ থানার ওসি সৈয়দ ইফতেখার হোসেন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

পুলক পুরকায়স্থ/মাহফুজ/এমএ/

 

কিশোরগঞ্জে মাদ্রাসা শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় এক জনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:১৩ পিএম
কিশোরগঞ্জে মাদ্রাসা শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় এক জনের মৃত্যুদণ্ড
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো: নুরুল ইসলাম ওরফে নুরু মেম্বার। ছবি: সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া মাদ্রাসা শিক্ষার্থী আবুল হোসেন হত্যা মামলায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং অপর দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-৩ আদালতের বিচারক ফাতেমা জাহান স্বর্ণা বুধবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে এ রায় দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কিশোরগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. জালাল উদ্দিন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ফারুক পাকুন্দিয়া উপজেলার এগারসিন্দুর ইউনিয়নের বারাবর গ্রামের মো. আলাউদ্দিনের ছেলে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন মো. ফারুক। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, একই এলাকার আব্দুল হাকিমের ছেলে মো. নুরুল ইসলাম ওরফে নুরু মেম্বার এবং সিরাজুদ্দিনের ছেলে মো. রিয়াজ উদ্দিন। যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত দুই আসামিকে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আসামিদের মধ্যে মো. ফারুক ও রিয়াজউদ্দিন পলাতক রয়েছেন।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর বিকালে মোবাইল ফোন চার্জ করে দেয়ার কথা বলে পাকুন্দিয়া উপজেলার বারাবর গ্রামের সৌদি প্রবাসী মো. রেনু মিয়ার মাদ্রাসা পড়ুয়া ছেলে আবুল হোসেনকে (১৪) নিজের বাড়িতে নিয়ে যায় একই এলাকার আলাউদ্দিনের ছেলে মো. ফারুক। এরপর থেকে আবুল হোসেনের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। নিখোঁজের পর ৫ সেপ্টেম্বর আবুল হোসেনের মা পাকুন্দিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ২০০৮ সালের ১০ সেপ্টেম্বর বাড়ির পাশ্ববর্তী খামা শৈলমারী বিলের পানিতে বাঁশের খুঁটিতে গলা ও হাত-পা বাঁধা অবস্থায় আবুল হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় একই দিন আবুল হোসেনের মা নাছিমা খাতুন বাদী হয়ে পাকুন্দিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ তদন্ত শেষে ফারুকসহ তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মোবাইল ফোন আত্মসাৎ করার জন্যই আবুল হোসেনকে হত্যা করে লাশ গুম করা হয় বলে অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়।

তাসলিমা আক্তার মিতু/মাহফুজ/

সিলেটে ৫৩৫ বস্তা চোরাই চিনি জব্দ, গ্রেপ্তার ৩

প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:১১ পিএম
সিলেটে ৫৩৫ বস্তা চোরাই চিনি জব্দ, গ্রেপ্তার ৩
চোরাই চিনিসহ গ্রেপ্তার তিনজন। ছবি : খবরের কাগজ

সিলেটের শাহপরাণ থানা পুলিশের পৃথক দুটি অভিযানে ৩১ লাখ টাকা মূল্যের ৫৩৫ বস্তা চোরাই চিনি জব্দ এবং তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

বুধবার (৬ নভেম্বর) সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি) সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে। 

এসএমপির এডিসি (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম খবরের কাগজকে জানিয়েছেন, এ ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। আটক তিনজনকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত মঙ্গলবার শাহপরাণ থানা পুলিশের দিবাকালীন টহল দল মাজার গেটে অবস্থান নেয়। এ সময় সিলেট নগরীর দিকে যাওয়া দুটি ট্রাককে থামার সংকেত দিলে ট্রাক দুটি দ্রুতগতিতে চলতে থাকে। পুলিশ ধাওয়া করে ট্রাক দুটি আটক করে। ট্রাকে ত্রিপল দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় একটি ট্রাকে ২৮০ বস্তা ও আরেকটি ট্রাকে ১৫০ বস্তা চোরাই চিনি পাওয়া যায়। ট্রাক দুটি থেকে মোট ৪৩০ বস্তা চিনি জব্দ করা হয়। ট্রাকে থাকা হোসেন আহমদ (২৫), কাওছার আহমদ (৩৫) ও মো. নিজাম উদ্দিনকে (৪৫) আটক করা হয়। মামলায় তাদের চোরাকারবারি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

একই দিন শাহপরাণ থানা পুলিশের পৃথক আরেকটি দল সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে অবস্থানকালে একটি ট্রাক সড়কের পাশে পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকতে দেখে। সেটিতে তল্লাশি চালিয়ে ত্রিপল দিয়ে মোড়ানো ১০৫ বস্তা চিনিসহ ট্রাকটিও জব্দ করা হয়।

 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা রামেকের ১৫ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা

প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০৩ পিএম
রামেকের ১৫ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে শান্তি সমাবেশের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টির অভিযোগে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ১৫ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (৬ নভেম্বর) সকালে এ সিদ্ধান্ত নেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে মুচলেকা দিয়ে পার পেয়েছেন ছয় জন। রামেকের হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. শংকর কুমার বিশ্বাস এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ২৭ তম বিডিএস ব্যাচের ছাত্র ও রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হাসান অমিকে দুই বছর ছয় মাস ইন্টার্নশিপ স্থগিত ও হোস্টেল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়াও ২৯তম ব্যাচের শাহরিয়ার রহমান সিয়ামকে ছয় মাসের জন্য ইন্টার্নশিপ স্থগিত এবং হোস্টেল থেকে বহিস্কার, ৩০ তম ব্যাচের আশিক রেজাকে এক বছর ইন্টার্নশিপ স্থগিত এবং হোস্টেল থেকে বহিষ্কার, রাফিউর রহমান সিয়ামকে এক বছর ইন্টার্নশিপ স্থগিত এবং হোস্টেল থেকে বহিষ্কার, সাদমান সাকিব রক্তিমকে ছয় মাস ইন্টার্নশিপ স্থগিত এবং হোস্টেল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ৫৯ তম  ব্যাচের শুভ কুমার মন্ডলকে দুই বছর ইন্টার্নশিপ স্থগিত এবং হোস্টেল থেকে বহিষ্কার, জয়দেব কুমার সাহার দুই বছরের জন্যে তার বিএমডিসি রেজিষ্ট্রেশন স্থগিত, গৌরব কুমার সাহার বিএমডিসি রেজিষ্ট্রেশন স্থগিত, আসিফুজ্জামনের এক বছর ইন্টার্নশিপ স্থগিত এবং হোস্টেল থেকে বহিষ্কার ও আব্দুল্লাহ আল মামুন বর্ষণকে ছয় মাস ইন্টার্নশিপ স্থগিত করা হয়। ৬০ তম ব্যাচের নাহিদ হাসানকে দুই বছর ইন্টার্নশিপ স্থগিত এবং হোস্টেল থেকে বহিষ্কার, রাইদা রশিদ ত্বাহাকে দুই বছর ইন্টার্নশিপ স্থগিত এবং হোস্টেল থেকে বহিষ্কার, মাহদিন আহমেদ খানকে এক বছর ইন্টার্নশিপ স্থগিত এবং হোস্টেল থেকে বহিষ্কার, মিজানুর রহমানকে এক বছর ইন্টার্নশিপ স্থগিত এবং হোস্টেল থেকে বহিষ্কার, মুক্তার আলীকে ছয় মাস ইন্টার্নশিপ স্থগিত এবং হোস্টেল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।

এছাড়া ২৯তম ব্যাচের সাবিহা আফরিন ছন্দকে তিরস্কার করা হয়। তবে অভিভাবকের উপস্থিতিতে মুচলেকা দিয়ে পার পান তিনি। এছাড়াও ৫৯তম ব্যাচের ফরিদ উদ্দিন, মুস্তাফিজ আল আমিন, শরিফ হোসেন, সাব্বির হোসেন অভি ও শাহরিয়ার আহসান সাজিদকে মুচলেকা দিয়ে ক্ষমা করা হয়েছে।

রামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. শংকর কুমার বিশ্বাস বলেন, শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে মূলত তাদেরকে এই শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। এর আগে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি তাদের সিট বাণিজ্য, র‌্যাগিং, শিক্ষার্থী নির্যাতন ও জুলাইয়ের ছাত্র অভ্যুত্থানের বিরোধিতার অভিযোগ প্রমাণিত হয়। তাই তাদের বিরুদ্ধে এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

এনায়েত করিম/মাহফুজ/এমএ/

প্রাকৃতিক বনায়নে আর সামাজিক বনায়ন হবে না: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৮ পিএম
প্রাকৃতিক বনায়নে আর সামাজিক বনায়ন হবে না: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
টাঙ্গাইলে ‍‍‌বুরো বাংলাদেশ‍‍ মিলনাতনে আন্তর্জাতিক পরিবেশ সন্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। ছবি: খবরের কাগজ

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, প্রাকৃতিক বনায়নে আর কোনো সামাজিক বনায়ন হবে না। আপনি যদি সামাজিক বনায়ন করেন, তাহলে চুক্তি স্বাক্ষর করেন উপকারভোগীদের সঙ্গে। এরপর সামাজিক বনায়নের গাছগুলো কেটে উপকারভোগীদের মাঝে পয়সা বিতরণ করে দেন। বনবিভাগের প্রাথমিক দায়িত্ব পয়সা বিতরণ করা নয়। তাদের প্রাথমিক দায়িত্ব হচ্ছে প্রাকৃতিক বনকে রক্ষা করা। 

বুধবার (৬ নভেম্বর) টাঙ্গাইলে ‍‍‌বুরো বাংলাদেশ‍‍ মিলনাতনে আয়োজিত আন্তর্জাতিক পরিবেশ সন্মেলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় বিদ্যুৎ অপচয় রোধে তিনি বলেন, আপনারা দেখতে পাচ্ছেন দিনের বেলায় সকল লাইট বন্ধ করে দিয়েছি। এই বিদ্যুৎ কোথা থেকে উৎপাদন হয়, কীভাবে হয় তা জানতে হবে। তিনি প্রশ্ন রাখেন, আমরা কেন দিনের বেলায় বিদ্যুৎ অপচয় করব? প্রাকৃতিক আলো থাকার পরেও কেন দিনের বেলায় লাইট জ্বালিয়ে প্রোগ্রাম করব?

তিনি বলেন, ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদী উদ্ধার করা যাচ্ছে না। নদীর নিচে তিন থেকে চার আস্তরের পলিথিন পড়ে আছে। এ কারণে সেখানে ড্রেজিং করা সম্ভব না। তাই আমাদের সকলের উচিৎ পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করা।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক শরীফা হক, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. শহীদুল হক, আসপাড়া পরিবেশ উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক লায়ন এম এ রশীদ, রিভারাইন পিপলের মহাসচিব শেখ রোকন।

সভাপতিত্ব করেন ব্যুরো বাংলাদেশের এইচআরডি অ্যান্ড আইসিটি ডিরেক্টর অপারেশন্স ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস এর ফারমিনা হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সবুজ পৃথিবীর নির্বাহী পরিচালক সহিদ মাহমুদ।

জুয়েল রানা/মাহফুজ/এমএ/